পরিচ্ছেদঃ ৫৬: উপবাস, রুক্ষ ও নীরস জীবন যাপন করা, পানাহার ও পোশাক ইত্যাদি মনোরঞ্জনমূলক বস্তুতে অল্পে তুষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব বর্জন করার মাহাত্ম্য
৩০/৫২৫। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধের সময় আমরা পরিখা খনন করছিলাম। সেই সময় এক খন্ড কঠিন পাথর বেরিয়ে এলে (যা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না) সকলেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ’খন্দকের মধ্যে এক খন্ড পাথর বেরিয়েছে (আমরা তা ভাঙ্গতে পারছি না)।’ এ কথা শুনে তিনি বললেন, ’’আমি নিজে খন্দকে অবতরণ করব।’’ অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন। সে সময়ে তাঁর পেটে একটি পাথর বাঁধা ছিল। আর আমরাও অনাহারে ছিলাম; তিনদিন কোন কিছুই খাইনি।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এসে) একটি গাঁইতি হাতে নিয়ে পাথরের উপর আঘাত করলেন, ফলে তৎক্ষণাৎ তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে বালুকা রাশিতে পরিণত হল। অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে বাড়ী যাওয়ার জন্য অনুমতি দিন।’ (তিনি অনুমতি দিলে বাড়ী পৌঁছে) আমার স্ত্রীকে বললাম, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে আমি এমন কিছু দেখেছি, যা আমি সহ্য করতে পারছি না। তোমার নিকট কোন খাবার আছে কি?’ সে বলল, ’আমার নিকট কিছু যব ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে।’
সুতরাং বকরীর বাচ্চাটি আমি যবেহ করলাম এবং সে যব পিষে দিল। অতঃপর মাংস ডেকচিতে দিয়ে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। সে সময় আটা খামির হচ্ছিল এবং ডেকচি চুলার ঝিঁকের উপর ছিল ও মাংস প্রায় রান্না হয়ে এসেছিল। তখন আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমার (বাড়ীতে) সামান্য কিছু খাবার আছে। ফলে একজন বা দু’জন সাথে নিয়ে আপনি উঠে আসুন।’ তিনি বললেন, ’’ কী পরিমাণ খাবার আছে?’’ আমি তাঁর নিকট সব খুলে বললে তিনি বললেন, ’অনেক এবং উত্তম আছে।’ অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, ’’তুমি তোমার স্ত্রীকে গিয়ে বল, সে যেন আমি না আসা পর্যন্ত ডেকচি চুলা থেকে না নামায় এবং রুটি তৈরী না করে।’’
তারপর (সকলের উদ্দেশ্যে) তিনি বললেন, ’’তোমরা উঠ! (জাবির তোমাদেরকে খাবারের দাওয়াত দিয়েছে।)’’ মুহাজির ও আনসারগণ উঠলেন (এবং চলতে লাগলেন)। অতঃপর আমি আমার স্ত্রীর নিকট গিয়ে বললাম, ’তোমার সর্বনাশ হোক! (এখন কী হবে?) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মুহাজির, আনসার এবং তাদের অন্য সাথীদের নিয়ে চলে আসছেন।’ তিনি (জাবেরের স্ত্রী বললেন, ’তিনি কি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন?’ আমি বললাম, ’হ্যাঁ।’ (স্ত্রী বললেন, ’তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক জানেন। আমাদের কাছে যা আছে তা তো আপনি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন।’
জাবের বলেন, তখন আমার কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা দূর হল। আমি বললাম, ’তুমি ঠিকই বলেছ।’) তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত হয়ে বললেন, ’’তোমরা সকলেই প্রবেশ কর এবং ভিড় করো না।’’ এ বলে তিনি রুটি টুকরো করে তার উপর মাংস দিয়ে সাহাবাদের মাঝে বিতরণ করতে শুরু করলেন। (এগুলো পরিবেশন করার সময়) তিনি ডেকচি ও চুলা ঢেকে রেখেছিলেন। এভাবে তিনি রুটি টুকরো করে হাত ভরে বিতরণ করতে লাগলেন। এতে সকলে তৃপ্তি সহকারে খাবার পরেও কিছু বাকী রয়ে গেল। তিনি (জাবেরের স্ত্রীকে) বললেন, ’’এ তুমি খাও এবং অন্যকে উপহার দাও। কেননা, লোকদেরকে [ক্ষুধা পেয়েছে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, যখন পরিখা খনন করা হল, তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভুখা দেখলাম। অতঃপর আমি আমার স্ত্রীর নিকট গিয়ে বললাম, ’তোমার নিকট কোন (খাবার) জিনিস আছে কি? কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত দেখলাম।’ সুতরাং সে একটি চামড়ার থলি বের করল, যাতে এক সা’ (আড়াই কিলো পরিমাণ) যব ছিল। আর আমাদের নিকট একটি গৃহপালিত ছাগলের বাচ্চা ছিল। আমি তা জবাই করলাম এবং আমার স্ত্রী যব পিষল। আমার (মাংস বানানোর কাজ সম্পন্ন করা পর্যন্ত) সেও যব পিষার কাজ সেরে নিল। পুনরায় আমি মাংস টুকরো টুকরো করে হাঁড়িতে রাখলাম।
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যেতে লাগলাম। সে বলল, ’আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীদের কাছে আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না।’ সুতরাং আমি তাঁর নিকট এলাম এবং চুপি চুপি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আমাদের একটি ছাগল জবাই করেছি এবং আমার স্ত্রী এক সা যব পিষেছে। সুতরাং আপনি আসুন এবং আপনার সাথে কিছু লোক।’ এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিৎকার করে বললেন, ’’হে পরিখা খননকারীরা! জাবের খাবার তৈরী করেছে, তোমরা এসো।’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ’’যে পর্যন্ত আমি না আসি, সে পর্যন্ত তুমি চুলা থেকে ডেকচি নামাবে না এবং আটার রুটি তৈরী করবে না।’’
অতঃপর আমি এলাম এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও এলেন। তিনি লোকদের আগে আগে হাঁটতে লাগলেন। পরিশেষে আমি আমার স্ত্রীর নিকট এলাম (এবং তাকে সকলের আসার সংবাদ দিলাম)। সে আমাকে ভৎর্সনা করতে লাগল। আমি বললাম, ’(এতে আমার দোষ কি?) আমি তো তা-ই করেছি যা তুমি আমাকে বলেছিলে।’ (যাই হোক) সে খামীর বের করে দিল। তিনি তাতে থুথু মারলেন এবং বরকতের দো’আ করলেন। তারপর তিনি আমাদের ডেকচির নিকট গিয়ে তাতেও থুথু মারলেন এবং বরকতের দো’আ করলেন। আর তিনি (আমার স্ত্রীকে) বললেন, ’’একজন মহিলা ডাকো; সে তোমার সাথে রুটি তৈরী করুক এবং তুমি ডেচকি থেকে (মাংস) পাত্রে দিতে থাক, কিন্তু চুলা থেকে তা নামাবে না।’’
তাঁরা সংখ্যায় এক হাজার ছিলেন। জাবের বলেন, আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি যে, ’সকলেই খাবার খেলেন এমনকি শেষ পর্যন্ত তারা কিছু অবশিষ্ট রেখে চলে গেলেন। আর আমাদের ডেকচি আগের মত ফুটতেই থাকল এবং আমাদের আটা থেকে রুটি প্রস্তুত হতেই রইল।’
بَابُ فَضْلِ الْجُوْعِ وَخُشُوْنَةِ الْعَيْشِ وَالْاِقْتِصَارِ عَلَى الْقَلِيْلِ مِنَ الْمَأْكُوْلِ وَالْمَشْرُوْبِ وَالْمَلْبُوْسِ وَغَيْرِهَا مِنْ حُظُوْظِ النَّفْسِ وَتَرْكِ الشَّهَوَاتِ - (56)
وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: إنَّا كُنَّا يَوْمَ الْخَنْدَقِ نَحْفِرُ، فَعَرَضَتْ كُدْيَةٌ شَدِيدَةٌ، فَجَاؤُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَوا: هَذِهِ كُدْيَةٌ عَرَضَتْ في الخَنْدَقِ . فَقَالَ: «أنَا نَازِلٌ » ثُمَّ قَامَ، وَبَطْنُهُ مَعْصُوبٌ بِحَجَرٍ، وَلَبِثْنَا ثَلاَثَة أيّامٍ لاَ نَذُوقُ ذَوَاقاً فَأخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم المِعْوَلَ، فَضَرَبَ فَعَادَ كَثِيباً أهْيَلَ أَو أهْيَمَ، فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ائْذَنْ لِي إِلَى البَيْتِ، فَقُلتُ لامْرَأتِي: رَأيْتُ بالنَّبيِّ صلى الله عليه وسلم شَيئاً مَا في ذَلِكَ صَبْرٌ فَعِنْدَكِ شَيْءٌ ؟ فَقَالَت: عِنْدي شَعِيرٌ وَعَنَاقٌ، فَذَبَحْتُ العَنَاقَ وَطَحَنْتُ الشَّعِيرَ حَتَّى جَعَلْنَا اللَّحْمَ في البُرْمَةِ، ثُمَّ جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، وَالعَجِينُ قَدِ انْكَسَرَ، وَالبُرْمَةُ بَيْنَ الأثَافِيِّ قَدْ كَادَتْ تَنْضِجُ، فَقُلتُ: طُعَيْمٌ لِي، فَقُمْ أنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجُلٌ أَوْ رَجُلانِ، قَالَ: «كَمْ هُوَ » ؟ فَذَكَرْتُ لَهُ، فَقَالَ:«كَثِيرٌ طَيِّبٌ قُل لَهَا لاَ تَنْزَعِ البُرْمَةَ، وَلاَ الخُبْزَ مِنَ التَّنُّورِحَتَّى آتِي » فَقَالَ: «قُومُوا »، فَقَامَ المُهَاجِرُونَ وَالأنْصَارُ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا فَقُلتُ: وَيْحَكِ قَدْ جَاءَ النبيُّ صلى الله عليه وسلم وَالمُهَاجِرُونَ وَالأنْصَارُ وَمَن مَعَهُمْ ! قَالَت: هَلْ سَألَكَ ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «ادْخُلُوا وَلاَ تَضَاغَطُوا » فَجَعَلَ يَكْسرُ الخُبْزَ، وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ، وَيُخَمِّرُ البُرْمَةَ وَالتَّنُّورَ إِذَا أخَذَ مِنْهُ، وَيُقَرِّبُ إِلَى أصْحَابِهِ ثُمَّ يَنْزِعُ، فَلَمْ يَزَلْ يِكْسِرُ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوا، وَبَقِيَ مِنْهُ، فَقَالَ: «كُلِي هَذَا وَأهِدي، فَإنَّ النَّاسَ أصَابَتْهُمْ مَجَاعَةٌ ». متفقٌ عَلَيْهِ وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ جَابِرٍ: لَمَّا حُفِرَ الخَنْدَقُ رَأيْتُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَمَصاً، فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأتِي، فَقُلتُ: هَلْ عِنْدَكِ شَيْءٌ ؟ فَإنّي رَأيْتُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصاً شَديداً، فَأخْرَجَتْ إلَيَّ جِرَاباً فِيه صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ، وَلَنَا بَهِيمَةٌ دَاجِنٌ فَذَبَحْتُهَا، وَطَحَنتِ الشَّعِيرَ، فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغي، وَقَطَعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا، ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَت: لاَ تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ مَعَهُ، فَجِئتُهُ فَسَارَرْتُهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ذَبَحْنَا بَهِيمَةً لَنَا، وَطَحَنْتُ صَاعاً مِنْ شَعِيرٍ، فَتَعَالَ أنْتَ وَنَفَرٌ مَعَكَ، فَصَاحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: «يَا أهلَ الخَنْدَقِ: إنَّ جَابِراً قَدْ صَنَعَ سُؤْراً فَحَيَّهَلاً بِكُمْ» فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «لاَ تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ وَلاَ تَخْبِزُنَّ عَجِينَكُمْ حَتَّى أجِيءَ » فَجِئْتُ، وَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْدُمُ النَّاسَ، حَتَّى جِئْتُ امْرَأتِي، فَقَالَتْ: بِكَ وَبِكَ ! فقُلْتُ: قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي قُلْتِ . فَأخْرَجَتْ عَجِيناً، فَبسَقَ فِيهِ وَبَاركَ، ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنا فَبصَقَ وَبَارَكَ، ثُمَّ قَالَ: ادْعِي خَابزَةً فَلْتَخْبِزْ مَعَكِ، وَاقْدَحِي مِنْ بُرْمَتِكُمْ، وَلاَ تُنْزِلُوهَا وَهُم ألْفٌ، فَأُقْسِمُ بِاللهِ لأَكَلُوا حَتَّى تَرَكُوهُ وَانْحَرَفُوا، وَإنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ، وَإنَّ عَجِينَنَا لَيُخْبَزُ كَمَا هُوَ .
(56) Chapter: Excellence of Simple Living and being Content with Little
Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
On the day of the battle of Al-Khandaq (the Trench), we were digging the trench when a very hard boulder came in our way. The Companions went to Messenger of Allah (ﷺ) and told him about it. He said, "I will go down the trench to see it." He stood up and it was noticed that he had tied a stone over his stomach due to intense hunger. We had not tasted anything for three days. He took up a spade and struck the hard rock with it and it turned into sand. I sought his permission to go home, (after reaching home I) said to my wife, "I have seen the Prophet (ﷺ) in a state that I am unable to endure. Have you got anything in the house?" She said, "I have a small quantity of barley and a lamb." I slaughtered the lamb, ground the barley and put the meat in the cooking pot. Then I went to the Prophet (ﷺ). In the meantime the flour had been kneaded and the meat in the pot was nearly cooked. I said to him, "O Messenger of Allah, I have some food, will you come along with one or two Companions?" He asked, "How many men should go there?" I told him the number. He said, "It will be better if they are more in number. Tell your wife not to remove the pot from the hearth nor the bread from the oven till I arrive." Then he said to the Muhajirun and the Ansar: "Let us go (to eat)." They all rose (and went with him). I went to my wife and said, "Bless you, the Prophet (ﷺ), the Muhajirun, the Ansar and the whole company are coming." She said, "Did he (ﷺ) ask you?" I replied in the affirmative. (When they arrived) Messenger of Allah (ﷺ) said to his Companions, "Enter, but do not crowd in." Then he started breaking up the bread and putting meat on it. He would take from the pot and the oven then would cover them up, approach his Companions and hand it over to them. He would then go back and uncover the pot and the oven. He continued to break up the bread and put meat on it till all had eaten to their fill and still some of the food remained. Then he said to my wife, "Eat from it, and send it as a present, for the people have been afflicted with severe hunger."
[Al-Bukhari and Muslim].
Another narration is: Jabir said: When the trench was being dug, I noticed the signs of hunger on the face of the Prophet (ﷺ). I returned to my wife and said to her, "Have you got anything in the house? I have seen the signs of severe hunger on the face of Messenger of Allah (ﷺ)." She brought out a bag which contained a Sa' (a measure that equals approximately 3kg.) of barley. We had a lamb which was reared in the home. I slaughtered the lamb and she ground the flour for baking bread. I then cut the meat and put it in the cooking pot. When I was returning to Messenger of Allah (ﷺ), my wife said to me, "Do not embarass me before Messenger of Allah (ﷺ) and his Companions." (She said this because she thought that the food would not be enough for everyone, for how can very little food cater for a thousand people?) When I came to him, I said to him in a low tone, "O Messenger of Allah (ﷺ), we have slaughtered a small lamb and have ground a Sa' of barley. Please accompany me with a few of your Companions." Thereupon he (ﷺ) announced in a loud voice, "O people of the Trench, Jabir has arranged a feast for you, so all of you are welcome." And addressing me he said, "Do not take the pot off the fire, nor bake the kneaded flour till I arrive." So I came home and he came ahead of the people. My wife said, "It will be a matter of disgrace for you (because there is not enough food)." I said, "I did only what you told me." She brought out the kneaded flour and Messenger of Allah (ﷺ) spat into it, and invoked the blessing of Allah on it, and then he spat into the cooking pot and invoked the blessing of Allah on it. Then he said, "Call another woman to help bake bread and let her take out from the cooking pot, but do not take it off the fire." There were about a thousand guests. All of them ate till they left the food and went off. Our pot still bubbled as before and the dough was being baked as before.
Commentary: This Hadith throws light on the simple life style which the Prophet (PBUH) and his Companions led. It also throws light on the miracle of the augmentation of food. Besides, it highlights the humbleness of the Prophet (PBUH) that he, side by side with his Companions, also did hard and arduous jobs. Also we are informed that it is preferable to make an offering, particularly to a needy and hungry person.