পরিচ্ছেদঃ ১৩. আয়শা (রাঃ) এর ফযীলত
৬০৭২। হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী, আবূ বকর ইবনু নযর ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ রাসুল তনয়া ফাতিমাকে তাঁর কাছে পঠেলেন। সে এসে অনুমতি চাইলো। তিনি তখন আমার চাদর গায়ে, আমার সাথে শোয়া ছিলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার বিবিগণ আমাকে পাঠিয়েছেন, আবূ কুহাফার কন্যার (আয়শা) ব্যাপারে তাঁরা আপনার সুবিচার চান। আমি চুপ করে রইলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেনঃ হে স্নেহের মেয়ে! আমি যা ভালবাসি, তা কি তুমি ভালবাস না? সে বলল, হ্যাঁ, অবশ্যই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে একে ভালবাসো।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ কথা শুনে ফাতিমা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের কাছে ফিরে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তিনি যা বলেছেন, আর তিনি তাঁকে যা উত্তর দিয়েছেন, তা তাঁদেরকে বললেন। তারা বললেনঃ তুমি আমাদের কোন উপকার করতে পারলে না। তুমি আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে তাঁকে বল, আপনার বিবিগণ আবূ কুহাফার মেয়ের ব্যাপারে আপনার কাছে সুবিচার চাচ্ছে। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! তার ব্যাপারে আমি কোনদিন তার সাথে কথা বলতে যাবো না।
আয়িশা (রাঃ) বলেন, এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (অন্যতম) স্ত্রী যয়নব বিনত জাহাশ (রাঃ) তাঁর কাছে পাঠালেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চোখে তিনি ছিলেন আমার সমপর্যায়ের। যয়নবের চেয়ে দ্বীনদার, আল্লাহভীরু, সত্যভাষিনী, মায়ামযী, দানশীনা এবং আল্লাহর নৈকট্যলাভের পথে ও দান-খয়রাতের জন্যে নিজেকে শক্তভাবে ব্যবহার করার মত কোন মহিলা আমি দেখি নি। তবে তাঁর মাঝে শুধু একটা হঠাৎ ক্ষিপ্ততা ছিল, এটা থেকেও তিনি খুব দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে যেতেন।
তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে অনুমতি চাইলেন। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার চাঁদরে আবৃত থাকা অবস্থায়ই অনুমতি দিলেন, যে অবস্থায় ফাতিমা (রাঃ) তার কাছে এসেছিল। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার বিবিগণ আমাকে পাঠিয়েছেন। আবূ কুহাফার মেয়ের ব্যাপারে তাঁরা আপনার সুবিচার চান।
আয়িশা (রাঃ) বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে এলেন এবং কিছু বড় বড় কথা বললেন। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চোখের দিকে দেখছিলাম, তিনি আমায় কিছু বলার অনুমতি দিবেন কিনা? আমি বুঝতে পারলাম যে, যয়নবের কথার উত্তর দিলে তিনি কিছু মনে করবেন না। তিনি বলেন, তখন আমিও তাঁর উপর কথা বলতে লাগলাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে চুপ করিয়ে দিলাম। তিনি বলেন, পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে বললেনঃ এটা তো আবূ বকরের মেয়ে (না)।
মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে এর সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি "যখন আমিও তাঁর সাথে কথা বলা শুরু করলাম তখন অল্প সময়েই তাকে পরাভূত করে দিলাম" বলেছেন।
باب فِي فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله تعالى عنها
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَيْهِ وَهُوَ مُضْطَجِعٌ مَعِي فِي مِرْطِي فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ وَأَنَا سَاكِتَةٌ - قَالَتْ - فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَىْ بُنَيَّةُ أَلَسْتِ تُحِبِّينَ مَا أُحِبُّ " . فَقَالَتْ بَلَى . قَالَ " فَأَحِبِّي هَذِهِ " . قَالَتْ فَقَامَتْ فَاطِمَةُ حِينَ سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَجَعَتْ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُنَّ بِالَّذِي قَالَتْ وَبِالَّذِي قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَ لَهَا مَا نُرَاكِ أَغْنَيْتِ عَنَّا مِنْ شَىْءٍ فَارْجِعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُولِي لَهُ إِنَّ أَزْوَاجَكَ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ . فَقَالَتْ فَاطِمَةُ وَاللَّهِ لاَ أُكَلِّمُهُ فِيهَا أَبَدًا . قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْهُنَّ فِي الْمَنْزِلَةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ أَرَ امْرَأَةً قَطُّ خَيْرًا فِي الدِّينِ مِنْ زَيْنَبَ وَأَتْقَى لِلَّهِ وَأَصْدَقَ حَدِيثًا وَأَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَعْظَمَ صَدَقَةً وَأَشَدَّ ابْتِذَالاً لِنَفْسِهَا فِي الْعَمَلِ الَّذِي تَصَدَّقُ بِهِ وَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مَا عَدَا سَوْرَةً مِنْ حَدٍّ كَانَتْ فِيهَا تُسْرِعُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ قَالَتْ فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَائِشَةَ فِي مِرْطِهَا عَلَى الْحَالَةِ الَّتِي دَخَلَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا وَهُوَ بِهَا فَأَذِنَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ . قَالَتْ ثُمَّ وَقَعَتْ بِي فَاسْتَطَالَتْ عَلَىَّ وَأَنَا أَرْقُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَرْقُبُ طَرْفَهُ هَلْ يَأْذَنُ لِي فِيهَا - قَالَتْ - فَلَمْ تَبْرَحْ زَيْنَبُ حَتَّى عَرَفْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ - قَالَتْ - فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا حِينَ أَنْحَيْتُ عَلَيْهَا - قَالَتْ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَبَسَّمَ " إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ " . حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنِيهِ عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ فِي الْمَعْنَى غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا أَنْ أَثْخَنْتُهَا غَلَبَةً .
`A'isha, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), said:
The wives of Allah's Apostle (ﷺ) sent Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ), to Allah's Apostle (ﷺ). She sought permission to get in as he had been lying with me in my mantle. He gave her permission and she said: Allah's Messenger, verily, your wives have sent me to you in order to ask you to observe equity in case of the daughter of Abu Quhafa. She (`A'isha) said: I kept quiet. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said to her (Fatima): O daughter, don't you love whom I love? She said: Yes, (I do). Thereupon he said: I love this one. Fatima then stood up as she heard this from Allah's Messenger (ﷺ) and went to the wives of Allah's Apostle (ﷺ) and informed them of what she had said to him and what Allah's messenger (ﷺ) had said to her. Thereupon they said to her: We think that you have been of no avail to us. You may again go to Allah's Messenger (ﷺ) and tell him that his wives seek equity in case of the daughter of Abu Quhafa. Fatima said: By Allah, I will never talk to him about this matter. `A'isha (further) reported: The wives of Allah's Apostle (ﷺ) then sent Zainab b. Jahsh, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), and she was one who was somewhat equal in rank with me in the eyes of Allah's Messenger (ﷺ) and I have never seen a woman more advanced in religious piety than Zainab, more God-conscious, more truthful, more alive to the ties of blood, more generous and having more sense of self-sacrifice in practical life and having more charitable disposition and thus more close to God, the Exalted, than her. She, however, lost temper very soon but was soon calm. Allah's Messenger (ﷺ) permitted her to enter as she (`A'isha) was along with Allah's Messenger (ﷺ) in her mantle, in the same very state when Fatima had entered. She said: Allah's Messenger, your wives have sent me to you seeking equity in case of the daughter of Abu Quhafa. She then came to me and showed harshness to me and I was seeing the eyes of Allah's Messenger (ﷺ) whether he would permit me. Zainab went on until I came to know that Allah's Messenger (ﷺ) would not disapprove if I retorted. Then I exchanged hot words until I made her quiet. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) smiled and said: She is the daughter of Abu Bakr.
This hadith has been narrated on the authority of Zuhri with the same chain of transmitters, but with a slight variation of wording.