পরিচ্ছেদঃ ৩৩. রাসুল (ﷺ) কে সম্মান প্রদর্শন করা, অপ্রয়োজনীয় অথবা এমন বিষয় যার সাথে শরী'আতের বিধি-বিধানের সম্পর্কে নেই এবং যা সংগঠিত হবে না এবং অনুরূপ বিষয়ে অধিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা
৫৯০৯। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হারামালা ইবনু ইমরান তূজীবী (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলার পর বাইরে এলেন এবং লোকদের নিয়ে যোহরের সালাত আদায় করলেন। যখন সালাম ফিরালেন তখন মিম্বরে উঠে কিয়ামতের আলোচনা করলেন এবং উল্লেখ করলেন যে, এর আগে অনেক বড় বড় ব্যাপার সংঘটিত হবে। এরপর বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমাকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে চায়, সে যেন সে সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করে। আল্লহর কসম! যতক্ষন পর্যন্ত আমি এ স্থানে রয়েছি, ততক্ষন তোমরা আমাকে যে বিষয়েই প্রশ্ন করবে, আমি তা বলে দিব।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনে লোকেরা খুবই কান্নাকাটি শুরু করে দিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারংবার বলতে থাকলেন, আমাকে প্রশ্ন কর। তখন আবদুল্লাহ ইবনু হুযাফা (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আমার পিতা কে? ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হুযাফাহ। এরপর যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারংবার বলতে থাকলেন আমাকে প্রশ্ন কর। তখন উমর (রাঃ) হাটু গেড়ে বসে বললেন, সন্তুষ্ট চিত্তে আমরা আল্লাহকে রব্ব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রাসুল হিসেবে মেনে নিয়েছি।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, উমর (রাঃ) যখন এ কথা বললেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেমে গেলেন। রাবী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বিপদ (সন্নিকটে)। মুহাম্মাদের প্রাণ যার হাতে, তাঁর কসম! এ দেয়ালটির পাশে এখনই আমার সম্মুখে জান্নাত ও জাহান্নাম পেশ করা হয়। অতএব আজকের মত ভাল এবং মন্দ আমি আর দেখি নি।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবাহ আমাকে বলেছেন, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু হুযাফার মা আবদুল্লাহ ইবনু হুযাফাকে বলেছেন, তোমার চেয়ে বেশি অবাধ্য কোন সন্তানের কথা আমি শুনিনি নি। তুই কি এ কথা থেকে নিশ্চিন্ত ছিলি যে, তোর মাও হয়ত এমন কোন পাপ করে বসেছে যা জাহেলী যুগের নারীরা করতো, আর তুই তোর মাকে লোকদের সামনে অপমান করতিস! আবদুল্লাহ ইবনু হুযাফা (রাঃ) উত্তরে বললেন, আল্লাহর কসম! যদি তিনি আমাকে একটা কাল হাবশীর সাথেও সস্পর্কিত করতেন (তাকে আমার পিতা সাব্যস্ত করতেন) তবে আমি তা গ্রহণ করে নিতাম।
باب توقير النبي وترك إكثار سؤاله عما لا ضرورة إليه أو لا يتعلق به تكليف وما لا يقع
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى لَهُمْ صَلاَةَ الظُّهْرِ فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ السَّاعَةَ وَذَكَرَ أَنَّ قَبْلَهَا أُمُورًا عِظَامًا ثُمَّ قَالَ " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَنِي عَنْ شَىْءٍ فَلْيَسْأَلْنِي عَنْهُ فَوَاللَّهِ لاَ تَسْأَلُونَنِي عَنْ شَىْءٍ إِلاَّ أَخْبَرْتُكُمْ بِهِ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا " . قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَأَكْثَرَ النَّاسُ الْبُكَاءَ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَكْثَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقُولَ " سَلُونِي " . فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ فَقَالَ مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَبُوكَ حُذَافَةُ " . فَلَمَّا أَكْثَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَنْ يَقُولَ " سَلُونِي " . بَرَكَ عُمَرُ فَقَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً - قَالَ - فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَالَ عُمَرُ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوْلَى وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَقَدْ عُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا فِي عُرْضِ هَذَا الْحَائِطِ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ " . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ قَالَتْ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُذَافَةَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُذَافَةَ مَا سَمِعْتُ بِابْنٍ قَطُّ أَعَقَّ مِنْكَ أَأَمِنْتَ أَنْ تَكُونَ أُمُّكَ قَدْ قَارَفَتْ بَعْضَ مَا تُقَارِفُ نِسَاءُ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ فَتَفْضَحَهَا عَلَى أَعْيُنِ النَّاسِ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ وَاللَّهِ لَوْ أَلْحَقَنِي بِعَبْدٍ أَسْوَدَ لَلَحِقْتُهُ .
Anas b. Malik reported that Allah's Messenger (may peace be upon him stood when the sun had passed the meridian and he led them noon prayer and after observing salutations (completing the prayer) he stood upon the pulpit and talked about the Last Hour and made a mention of the important facts prior to it and then said:
He who desires to ask anything from me let him ask me about it. By Allah, I shall not move from this place so long as I do not inform you about that which you ask. Anas b. Malik said: People began to shed tears profusely when they heard this from Allah's Messenger (ﷺ) and Allah's Messenger (ﷺ) said it repeatedly: You ask me. Thereupon 'Abdullah b. Hudhafa stood up and said: Allah's Messenger, who is my father? He said: Your father is Hudhafa, and Allah's Messenger (ﷺ) said repeatedly: Ask me, and (it was at this juncture that 'Umar knelt down and said): We are well pleased with Allah as our Lord, with Islam as our code of life and with Muhammad as the Messenger (of Allah). Allah's Messenger (ﷺ) kept quiet so long as 'Umar spoke. Then Allah's Messenger (ﷺ) said: (The Doom) is near; by Him, in Whose Hand is the life of Muhammad, there was presented to me the Paradise and Hell in the nook of this enclosure, and I did not see good and evil like that of the present day. Ibn Shihab reported: Ubaidullah b. 'Abdullah b. 'Utba told me that the mother of 'Abdullah b. Hudhafa told 'Abdullah b. Hudhafa: I have never heard of a son more disobedient than you. Do you feel yourself immune from the fact that your mother committed a sin which the women in the pre-Islamic period committed and then you disgrace her in the eyes of the people? 'Abdullah b. Hudhafa said: If my fatherhood were to be attributed to a black slave I would have connected myself with him.