হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৪৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৯৯৮. মক্কা প্রবেশের সময় গোসল করা

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: (ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ)

وَقَالَ أَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ مُتْعَةِ الْحَجِّ، فَقَالَ أَهَلَّ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ وَأَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَأَهْلَلْنَا، فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اجْعَلُوا إِهْلاَلَكُمْ بِالْحَجِّ عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ قَلَّدَ الْهَدْىَ ‏"‏‏.‏ فَطُفْنَا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَأَتَيْنَا النِّسَاءَ، وَلَبِسْنَا الثِّيَابَ وَقَالَ ‏"‏ مَنْ قَلَّدَ الْهَدْىَ فَإِنَّهُ لاَ يَحِلُّ لَهُ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْىُ مَحِلَّهُ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ أَمَرَنَا عَشِيَّةَ التَّرْوِيَةِ أَنْ نُهِلَّ بِالْحَجِّ، فَإِذَا فَرَغْنَا مِنَ الْمَنَاسِكِ جِئْنَا فَطُفْنَا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ تَمَّ حَجُّنَا، وَعَلَيْنَا الْهَدْىُ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْىِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ‏)‏ إِلَى أَمْصَارِكُمْ‏.‏ الشَّاةُ تَجْزِي، فَجَمَعُوا نُسُكَيْنِ فِي عَامٍ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَنْزَلَهُ فِي كِتَابِهِ وَسَنَّهُ نَبِيُّهُ صلى الله عليه وسلم وَأَبَاحَهُ لِلنَّاسِ غَيْرَ أَهْلِ مَكَّةَ، قَالَ اللَّهُ ‏(‏ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ‏)‏ وَأَشْهُرُ الْحَجِّ الَّتِي ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى شَوَّالٌ وَذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحَجَّةِ، فَمَنْ تَمَتَّعَ فِي هَذِهِ الأَشْهُرِ فَعَلَيْهِ دَمٌ أَوْ صَوْمٌ، وَالرَّفَثُ الْجِمَاعُ، وَالْفُسُوقُ الْمَعَاصِي، وَالْجِدَالُ الْمِرَاءُ

৯৯৭. পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তা (হজ্জে তামাত্তু) তাদের জন্য, যাদের পরিবার-পরিজন মসজিদুল হারামের (হারামের সীমার) মধ্যে বাস করে না (২ঃ ১৯৬)। আবু কামিল ফুযাইল ইবন হুসায়ন (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হজ্জে তামাত্তু সম্পর্কে তার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন, বিদায় হজ্জের বছর আনসার ও মুহাজির সাহাবীগণ নবী-সহধর্মীণীগণ ইহরাম বাঁধলেন, আর আমরাও ইহরাম বাঁধলাম। আমরা মক্কায় পৌছলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা হজ্জ এর ইহরামকে উমরায় পরিণত কর। তবে যারা কুরবানীর পশুর গলায় মালা ঝুলিয়েছে, তাদের কথা ব্যতিক্রম (তারা ইহরাম ভঙ্গ করতে পারবে না) আমরা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা’য়ী করলাম। এরপর স্ত্রী সহবাস করলাম এবং কপড়-চোপড় পরিধান করলাম।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্য উপস্থিত করার উদ্দেশ্যে পশুর গলায় মালা ঝুলিয়েছে, পশু কুরবানীর স্থানে না পৌছা পর্যন্ত সে হালাল হতে পারে না। এরপর যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ বিকালে আমাদেরকে হজ্জ এর ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেন। যখন আমরা হজ্জ এর সকল কার্য শেষ করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া সা’য়ী করে অবসর হলাম তখন আমাদের হজ্জ পূর্ণ হল এবং আমাদের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হল। যেমন মহান আল্লাহ্‌ ইরশাদ করেনঃ যার পক্ষে সম্ভব সে একটি কুরবানী করবে, আর যার পক্ষে সম্ভব নয় সে হজ্জ চলাকালে তিনটি সাওম পালন করবে এবং ফিরে এসে সাত দিন অর্থাৎ নিজ দেশে ফিরে (২ঃ ১৯৮) একটি বকরিই দম হিসেবে কুরবানীর জন্য যথেষ্ট।

একই বছরে সাহাবীগণ হজ্জ ও উমরা একসাথে আদায় করলেন। আল্লাহ্‌ তার কুরআনে এ বিধান নাযিল করেছেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তরিকা জারী করেছেন আর মক্কাবাসী ব্যতীত অন্যদের জন্য তা বৈধ করেছেন। আল্লাহ্‌ ইরশাদ করেনঃ (হজ্জে তামাত্তু) তাদের জন্য যাদের পরিবার-পরিজন মসজিদুল হারামের (হারামের সীমার) মধ্যে বাস করে না। আল্লাহ্‌ তার কুরআনে হজ্জের যে মাসগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন তা হলোঃ শাওয়াল, যিলকদ, ও যিলহজ্জ। যারা এ মাসগুলোতে তামাত্তু হজ্জ করবে তাদের অবশ্য দম দিতে হবে অথবা সাওম পালন করতে হবে। رفث অর্থ স্ত্রী সহবাস فسوق অর্থ গুনাহ, جدال অর্থ বিবাদ।


১৪৭৮। ইয়া’কূব ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) ... নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু ’উমর (রাঃ) হারামের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছলে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন। তারপর যী-তুয়া নামক স্থানে রাত যাপন করতেন। এরপর সেখানে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন ও গোসল করতেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন।

باب الاِغْتِسَالِ عِنْدَ دُخُولِ مَكَّةَ

حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ إِذَا دَخَلَ أَدْنَى الْحَرَمِ أَمْسَكَ عَنِ التَّلْبِيَةِ، ثُمَّ يَبِيتُ بِذِي طُوًى، ثُمَّ يُصَلِّي بِهِ الصُّبْحَ وَيَغْتَسِلُ، وَيُحَدِّثُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ‏.‏


Narrated Nafi`:

On reaching the sanctuary of Mecca, Ibn `Umar used to stop, reciting Talbiya and then he would pass the night at Dhi-Tuwa and then offer the Fajr prayer and take a bath. He used to say that the Prophet (ﷺ) used to do the same.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ