পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

১/৪২৫৮। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অধিক পরিমাণে জীবনের স্বাদ হরণকারী অর্থাৎ মৃত্যুকে স্মরণ করো।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي الْمَوْتَ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا الفضل بن موسى، عن محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ اكثروا ذكر هاذم اللذات ‏"‏ ‏.‏ يعني الموت ‏.‏


It was narrated that Abu Hurairah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Frequently remember the destroyer of pleasures,’ meaning death.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

২/৪২৫৯। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ছিলাম। এমতাবস্থায় এক আনসারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে তাকে সালাম দিলো। অতঃপর বললো, হে আল্লাহর রাসূল! মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম কে? তিনি বলেনঃ স্বভাব-চরিত্রে তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অধিক উত্তম। সে পুনরায় জিজ্ঞেস কররো, মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান কে? তিনি বলেনঃ তাদের মধ্যে যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তারাই সর্বাধিক বুদ্ধিমান।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ ‏:‏ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَاءَهُ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثُمَّ قَالَ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْمُؤْمِنِينَ أَفْضَلُ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَىُّ الْمُؤْمِنِينَ أَكْيَسُ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ أَكْثَرُهُمْ لِلْمَوْتِ ذِكْرًا وَأَحْسَنُهُمْ لِمَا بَعْدَهُ اسْتِعْدَادًا أُولَئِكَ الأَكْيَاسُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا الزبير بن بكار، حدثنا انس بن عياض، حدثنا نافع بن عبد الله، عن فروة بن قيس، عن عطاء بن ابي رباح، عن ابن عمر، انه قال ‏:‏ كنت مع رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ فجاءه رجل من الانصار فسلم على النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثم قال ‏:‏ يا رسول الله اى المومنين افضل قال ‏:‏ ‏"‏ احسنهم خلقا ‏"‏ ‏.‏ قال فاى المومنين اكيس قال ‏:‏ ‏"‏ اكثرهم للموت ذكرا واحسنهم لما بعده استعدادا اولىك الاكياس ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Ibn ‘Umar said:
“I was with the Messenger of Allah (ﷺ) and a man from among the Ansar came to him and greeted the Prophet (ﷺ) with Salam. Then he said: ‘O Messenger of Allah, which of the believers is best?’ He said: ‘He who has the best manners among them.’ He said: ‘Which of them is wisest?’ He said: ‘The one who remembers death the most and is best in preparing for it. Those are the wisest.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

৩/৪২৬০। আবূ ইয়ালা শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করে। আর নির্বোধ ও অকর্মন্য সেই ব্যক্তি যে তার নফসের দাবির অনুসরণ করে এবং আল্লাহর নিকট বৃথা আশা করে।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي يَعْلَى، شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ الْكَيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ وَالْعَاجِزُ مَنْ أَتْبَعَ نَفْسَهُ هَوَاهَا ثُمَّ تَمَنَّى عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هشام بن عبد الملك الحمصي، حدثنا بقية بن الوليد، حدثني ابن ابي مريم، عن ضمرة بن حبيب، عن ابي يعلى، شداد بن اوس قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ الكيس من دان نفسه وعمل لما بعد الموت والعاجز من اتبع نفسه هواها ثم تمنى على الله ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Ya’la Shaddad bin Aws that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “The wise man is the one who takes account of himself and strives for that which is after death. And the helpless man is the one who follows his own whims then indulges in wishful thinking about Allah.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

৪/৪২৬১। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুমূর্ষু যুবকের নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করেনঃ তোমার কেমন লাগছে? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার গুনাহ সম্পর্কে আল্লাহর কাছে (ক্ষমার) আশাবাদী ও ভীত-শংকিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ দু’টি জিনিস (আশা ও শংকা) যে বান্দার অন্তরেই একত্র হয়, সে যা আশা করে, আল্লাহ তাকে তা দান করবেন এবং সে যা আশংকা করে তা থেকে তাকে নিরাপদ রাখবেন।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، ‏:‏ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَخَلَ عَلَى شَابٍّ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَقَالَ ‏:‏ ‏"‏ كَيْفَ تَجِدُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ أَرْجُو اللَّهَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَأَخَافُ ذُنُوبِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏"‏ لاَ يَجْتَمِعَانِ فِي قَلْبِ عَبْدٍ فِي مِثْلِ هَذَا الْمَوْطِنِ إِلاَّ أَعْطَاهُ اللَّهُ مَا يَرْجُو وَآمَنَهُ مِمَّا يَخَافُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن الحكم بن ابي زياد، حدثنا سيار، حدثنا جعفر، عن ثابت، عن انس، ‏:‏ ان النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ دخل على شاب وهو في الموت فقال ‏:‏ ‏"‏ كيف تجدك ‏"‏ ‏.‏ قال ‏:‏ ارجو الله يا رسول الله واخاف ذنوبي ‏.‏ فقال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏"‏ لا يجتمعان في قلب عبد في مثل هذا الموطن الا اعطاه الله ما يرجو وامنه مما يخاف ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Anas that the Prophet (ﷺ) entered upon a young man who was dying and said:
“How do you feel?” He said: “I have hope in Allah, O Messenger of Allah, but I fear my sins.” The Messenger of Allah (ﷺ) said: “These two things (hope and fear) do not coexist in the heart of a person in a situation like this, but Allah will give him that which he hopes for and keep him safe from that which he fears.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

৫/৪২৬২। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মৃত্যুর সময় মানুষের নিকট ফেরেশতা আগমন করেন। অতএব মুমূর্ষু ব্যক্তি উত্তম লোক হলে তারা বলেন, হে পবিত্র আত্মা! পবিত্র দেহ থেকে প্রশংসিত অবস্থায় বের হয়ে এসো এবং আল্লাহর রহমত ও সুঘ্রাণের সুসংবাদ গ্রহণ করো। তোমার রব তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট নন। রূহ বের হয়ে আসা পর্যন্ত তারা এভাবে আহবান জানাতে থাকে। অতঃপর রূহ বের হয়ে আসলে তারা তা নিয়ে আসমানে আরোহণ করেন। এ রূহের জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়।

জিজ্ঞেস করা হয়, সে কে? ফেরেশতাগণ বলেন, অমুক ব্যক্তি। তখন বলা হয়, পবিত্র আত্মাকে স্বাগতম, যা ছিল পবিত্র দেহে। প্রশংসিত অবস্থায় তুমি প্রবেশ করো, আল্লাহর রহমত ও সুঘ্রাণের সুসংবাদ গ্রহণ করো। তোমার রব তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট নন। তাকে অবিরতভাবে এ সংবাদ প্রদান করা হয়, যাবত না তা মহামহিম আল্লাহ যে আসমানে অবস্থান করেন সেখানে পৌঁছে যায়। মুমূর্ষু ব্যক্তি পাপাচারী হলে ফেরেশতা বলেন, হে নিকৃষ্ট দেহের নিকৃষ্ট আত্মা! নিন্দিত অবস্থায় বের হয়ে আয় এবং উত্তপ্ত গরম পানি ও রক্ত-পুঁজের দুঃসংবাদ গ্রহণ কর এবং অনুরূপ বহু বিষাক্ত বস্ত্তর। রূহ বের হয়ে আসা পর্যন্ত তারা এভাবে আহবান জানাতে থাকেন। অতঃপর তারা রূহসহ উর্দ্ধাকাশে আরোহণ করেন। কিন্তু তার জন্য দরজা খোলা হয় না।

জিজ্ঞেস করা হয়, এ ব্যক্তি কে? বলা হয়, অমুক। তখন বলা হয়, নিকৃষ্ট দেহের নিকৃষ্ট আত্মার জন্য নাই কোন সাদর সম্ভাষণ। তুই নিন্দিত অবস্থায় ফিরে যা। কারণ তোর জন্য আকাশের দ্বারসমূহ খোলা হবে না। অতঃপর একে আসমান থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং তা কবরে ফিরে আসে।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ الْمَيِّتُ تَحْضُرُهُ الْمَلاَئِكَةُ فَإِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَالِحًا قَالُوا ‏:‏ اخْرُجِي أَيَّتُهَا النَّفْسُ الطَّيِّبَةُ كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الطَّيِّبِ اخْرُجِي حَمِيدَةً وَأَبْشِرِي بِرَوْحٍ وَرَيْحَانٍ وَرَبٍّ غَيْرِ غَضْبَانَ فَلاَ يَزَالُ يُقَالُ لَهَا ذَلِكَ حَتَّى تَخْرُجَ ثُمَّ يُعْرَجُ بِهَا إِلَى السَّمَاءِ فَيُفْتَحُ لَهَا فَيُقَالُ ‏:‏ مَنْ هَذَا فَيَقُولُونَ ‏:‏ فُلاَنٌ ‏.‏ فَيُقَالُ ‏:‏ مَرْحَبًا بِالنَّفْسِ الطَّيِّبَةِ، كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الطَّيِّبِ ادْخُلِي حَمِيدَةً، وَأَبْشِرِي بِرَوْحٍ وَرَيْحَانٍ وَرَبٍّ غَيْرِ غَضْبَانَ ‏.‏ فَلاَ يَزَالُ يُقَالُ لَهَا ذَلِكَ حَتَّى يُنْتَهَى بِهَا إِلَى السَّمَاءِ الَّتِي فِيهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَإِذَا كَانَ الرَّجُلُ السُّوءُ قَالَ اخْرُجِي أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْخَبِيثَةُ كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الْخَبِيثِ اخْرُجِي ذَمِيمَةً وَأَبْشِرِي بِحَمِيمٍ وَغَسَّاقٍ ‏.‏ وَآخَرَ مِنْ شَكْلِهِ أَزْوَاجٌ ‏.‏ فَلاَ يَزَالُ يُقَالُ لَهَا ذَلِكَ حَتَّى تَخْرُجَ ثُمَّ يُعْرَجُ بِهَا إِلَى السَّمَاءِ فَلاَ يُفْتَحُ لَهَا فَيُقَالُ ‏:‏ مَنْ هَذَا فَيُقَالُ ‏:‏ فُلاَنٌ ‏.‏ فَيُقَالُ ‏:‏ لاَ مَرْحَبًا بِالنَّفْسِ الْخَبِيثَةِ كَانَتْ فِي الْجَسَدِ الْخَبِيثِ ارْجِعِي ذَمِيمَةً فَإِنَّهَا لاَ تُفْتَحُ لَكِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ فَيُرْسَلُ بِهَا مِنَ السَّمَاءِ ثُمَّ تَصِيرُ إِلَى الْقَبْرِ ‏"

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا شبابة، عن ابن ابي ذىب، عن محمد بن عمرو بن عطاء، عن سعيد بن يسار، عن ابي هريرة، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏:‏ ‏ "‏ الميت تحضره الملاىكة فاذا كان الرجل صالحا قالوا ‏:‏ اخرجي ايتها النفس الطيبة كانت في الجسد الطيب اخرجي حميدة وابشري بروح وريحان ورب غير غضبان فلا يزال يقال لها ذلك حتى تخرج ثم يعرج بها الى السماء فيفتح لها فيقال ‏:‏ من هذا فيقولون ‏:‏ فلان ‏.‏ فيقال ‏:‏ مرحبا بالنفس الطيبة، كانت في الجسد الطيب ادخلي حميدة، وابشري بروح وريحان ورب غير غضبان ‏.‏ فلا يزال يقال لها ذلك حتى ينتهى بها الى السماء التي فيها الله عز وجل واذا كان الرجل السوء قال اخرجي ايتها النفس الخبيثة كانت في الجسد الخبيث اخرجي ذميمة وابشري بحميم وغساق ‏.‏ واخر من شكله ازواج ‏.‏ فلا يزال يقال لها ذلك حتى تخرج ثم يعرج بها الى السماء فلا يفتح لها فيقال ‏:‏ من هذا فيقال ‏:‏ فلان ‏.‏ فيقال ‏:‏ لا مرحبا بالنفس الخبيثة كانت في الجسد الخبيث ارجعي ذميمة فانها لا تفتح لك ابواب السماء فيرسل بها من السماء ثم تصير الى القبر ‏"


It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
“Angels come to the dying person, and if the man was righteous, they say: ‘Come out, O good soul that was in a good body, come out praiseworthy and receive glad tidings of mercy and fragrance and a Lord Who is not angry.’ And this is repeated until it comes out, then it is taken up to heaven, and it is opened for it, and it is asked: ‘Who is this?’ They say: ‘So-and-so.’ It is said: ‘Welcome to the good soul that was in a good body. Enter praiseworthy and receive the glad tidings of mercy and fragrance and a Lord Who is not angry.’ And this is repeated until it is brought to the heaven above which is Allah. But if the man was evil, they say: ‘Come out O evil soul that was in an evil body. Come out blameworthy, and receive the tidings of boiling water and the discharge of dirty wounds,’ and other torments of similar kind, all together. And this is repeated until it comes out, then it is taken up to heaven and it is not opened for it. And it is asked: ‘Who is this?’ It is said: ‘So-and-so.’ And it is said: ‘No welcome to the evil soul that was in an evil body. Go back blameworthy, for the gates of heaven will not be opened to you.’ So it is sent back down from heaven, then it goes to the grave.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

৬/৪২৬৩। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন তোমাদের কারো মৃত্যু কোন এলাকায় নির্ধারিত হয়, তখন কোন প্রয়োজন তাকে সেখানে যেতে বাধ্য করে। সে যখন উক্ত এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যায় তখন মহান আল্লাহ তার জান কবয করেন। কিয়ামতের দিন জমীন বলবে, হে প্রভু! এই তোমার আমানত যা আমার নিকট গচ্ছিত রেখেছিলে।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَعُمَرُ بْنُ شَبَّةَ بْنِ عَبِيدَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ إِذَا كَانَ أَجَلُ أَحَدِكُمْ بِأَرْضٍ أَوْثَبَتْهُ إِلَيْهَا الْحَاجَةُ فَإِذَا بَلَغَ أَقْصَى أَثَرِهِ قَبَضَهُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ فَتَقُولُ الأَرْضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏:‏ رَبِّ هَذَا مَا اسْتَوْدَعْتَنِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا احمد بن ثابت الجحدري، وعمر بن شبة بن عبيدة، قالا حدثنا عمر بن علي، اخبرني اسماعيل بن ابي خالد، عن قيس بن ابي حازم، عن عبد الله بن مسعود، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏:‏ ‏ "‏ اذا كان اجل احدكم بارض اوثبته اليها الحاجة فاذا بلغ اقصى اثره قبضه الله سبحانه فتقول الارض يوم القيامة ‏:‏ رب هذا ما استودعتني ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from ‘Abdullah bin Mas’ud that the Prophet (ﷺ) said:
“If the appointed time of death of anyone of you is in a certain land, some need will cause him to go there, then when he reaches the furthest point that it is decreed he will reach, Allah takes (his soul). And on the Day of Resurrection the earth will say: ‘My Lord, this is what You entrusted to me.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

৭/৪২৬৪। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাথে সাক্ষাত পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত অপছন্দ করে, আল্লাহও তার সাথে সাক্ষাত অপছন্দ করেন। বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর সাথে সাক্ষাত অপছন্দ করা তো মৃত্যুকে অপছন্দ করা। অতএব আমাদের সকলেই তো মৃত্যুকে অপছন্দ করে। তিনি বলেনঃ তা নয়, এটা মৃত্যুর সময়ের ব্যাপার। যখন কোন বান্দাকে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন সে আল্লাহর সাক্ষাত লাভকে পছন্দ করে এবং আল্লাহও তার সাক্ষাত পছন্দ করেন। আর যখন কোন বান্দাকে কঠিন শাস্তির দুঃসংবাদ দেয়া হয়, তখন সে আল্লাহর সাক্ষাত অপছন্দ করে এবং আল্লাহও তার সাক্ষাত অপছন্দ করেন।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقِيلَ لَهُ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَرَاهِيَةُ لِقَاءِ اللَّهِ فِي كَرَاهِيَةِ لِقَاءِ الْمَوْتِ فَكُلُّنَا يَكْرَهُ الْمَوْتَ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ لاَ إِنَّمَا ذَاكَ عِنْدَ مَوْتِهِ إِذَا بُشِّرَ بِرَحْمَةِ اللَّهِ وَمَغْفِرَتِهِ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ فَأَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَإِذَا بُشِّرَ بِعَذَابِ اللَّهِ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ وَكَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن خلف ابو سلمة، حدثنا عبد الاعلى، عن سعيد، عن قتادة، عن زرارة بن اوفى، عن سعد بن هشام، عن عاىشة، ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏:‏ ‏"‏ من احب لقاء الله احب الله لقاءه ومن كره لقاء الله كره الله لقاءه ‏"‏ ‏.‏ فقيل له ‏:‏ يا رسول الله كراهية لقاء الله في كراهية لقاء الموت فكلنا يكره الموت قال ‏:‏ ‏"‏ لا انما ذاك عند موته اذا بشر برحمة الله ومغفرته احب لقاء الله فاحب الله لقاءه واذا بشر بعذاب الله كره لقاء الله وكره الله لقاءه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from ‘Aishah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever loves to meet Allah, Allah loves to meet him, and whoever hates to meet Allah, Allah hates to meet him.” It was said to him: “O Messenger of Allah, does hating to meet Allah mean hating to meet death? For all of us hate death.” He said: “No. Rather that is only at the moment of death. But if he is given the glad tidings of the mercy and forgiveness of Allah, he loves to meet Allah and Allah loves to meet him; and if he is given the tidings of the punishment of Allah, he hates to meet Allah and Allah hates to meet him.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩১. মৃত্যুকে স্মরণ এবং তার প্রস্তুতি

৮/৪২৬৫। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন তার উপর পতিত বিপদাপদের কারণে মৃত্যু কামনা না করে। অবশ্যই কেউ যদি মৃত্যু কামনা করতেই চায়, তবে সে যেন বলে, ’’হে আল্লাহ! যাবৎ জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, তাবৎ আমাকে জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যুই আমার জন্য কল্যাণকর হবে তখন আমাকে মৃত্যুদান করুন’’।

بَاب ذِكْرِ الْمَوْتِ وَالِاسْتِعْدَادِ لَهُ

حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ لاَ يَتَمَنَّى أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ فَإِنْ كَانَ لاَ بُدَّ مُتَمَنِّيًا الْمَوْتَ فَلْيَقُلِ ‏:‏ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عمران بن موسى الليثي، حدثنا عبد الوارث بن سعيد، حدثنا عبد العزيز بن صهيب، عن انس، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ لا يتمنى احدكم الموت لضر نزل به فان كان لا بد متمنيا الموت فليقل ‏:‏ اللهم احيني ما كانت الحياة خيرا لي وتوفني اذا كانت الوفاة خيرا لي ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Anas that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“None of you should wish for death because of some harm that befalls him. If he must wish for death, let him say: ‘O Allah, keep me alive so long as living is good for me and cause me to die when death is good for me.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে