পরিচ্ছেদঃ ৩১/২৬. নিয়াত (অভিপ্রায়)
১/৪২২৭। আলকামা ইবনে ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) জনগণের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যাবতীয় কাজের ফল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক মানুষের জন্য তার নিয়্যাত (অভিপ্রায়) অনুযায়ী ফলাফল রয়েছে। অতএব যার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই গণ্য হয়। আর যার হিজরত পার্থিব স্বার্থ লাভের জন্য, সে তাই লাভ করবে অথবা তার হিজরত কোন নারীকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হলে সে যে উদ্দেশ্যে হিজরত করেছে তার হিজরত সেই উদ্দেশ্যের জন্য গণ্য হবে।
بَاب النِّيَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالاَ أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ : " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَلِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ " .
‘Alqamah bin Waqqas (said) that he heard ‘Umar bin Khattab, when he was addressing the people, saying:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘Actions are but by the intention and every man will have but that which he intended. So he whose emigration was for Allah and His Messenger, his emigration was for Allah and His Messenger. But he whose emigration was for some worldly benefit or to take some woman in marriage, his emigration was for that which he migrated.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/২৬. নিয়াত (অভিপ্রায়)
২/৪২২৮। আবূ কাবশা আল-আনমারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ এ উম্মাতের দৃষ্টান্ত চার ব্যক্তি সদৃশ। (এক) এক ব্যক্তিকে আল্লাহ ধন-সম্পদ ও জ্ঞান দান করেছেন এবং সে তার জ্ঞান দ্বারা তার মাল ব্যবহার করে, যথার্থ খাতে তা ব্যয় করে। (দুই) এক ব্যক্তিকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন কিন্তু সম্পদ দান করেননি। সে বলে, ঐ ব্যক্তির অনুরূপ আমার সম্পদ থাকলে আমি তার মত তা কাজে লাগাতাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ এ দু’জন সমান পুরস্কার লাভের অধিকারী। (তিন) এক ব্যক্তিকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু জ্ঞান দান করেননি। সে তার মালে ভ্রষ্টনীতি গ্রহণ করে, তা অন্যায় পথে ব্যয় করে। (চার) এক ব্যক্তিকে আল্লাহ জ্ঞান ও সম্পদ কোনটাই দান করেননি। সে বলে, তার অনুরূপ আমার সম্পদ থাকলে আমি তার মত (ভ্রষ্ট) কাজে লাগাতাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ এই দু’ ব্যক্তি সমান অপরাধী।[1]
৩/৪২২৮(১)। ইসহাক ইবনে মানসূর-আবদুর রাযযাক-মামার (মুআম্মার)-মানসূর-সালেম ইবনে আবুল জাদ-ইবনে আবূ কাবশা-তার পিতা-নবী ﷺ, পুনরায় মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে সামুরা-আবূ উসামা-মুফাদ্দাল-মানসূর-সালেম ইবনে আবূ জাদ-ইবনে আবূ কাবশা-তার পিতা-নবী রাসূলুল্লাহ ﷺ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
بَاب النِّيَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ الأَنْمَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ : " مَثَلُ هَذِهِ الأُمَّةِ كَمَثَلِ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ : رَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَعْمَلُ بِعِلْمِهِ فِي مَالِهِ يُنْفِقُهُ فِي حَقِّهِ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يُؤْتِهِ مَالاً فَهُوَ يَقُولُ : لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ هَذَا عَمِلْتُ فِيهِ مِثْلَ الَّذِي يَعْمَلُ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ : " فَهُمَا فِي الأَجْرِ سَوَاءٌ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالاً وَلَمْ يُؤْتِهِ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ يُنْفِقُهُ فِي غَيْرِ حَقِّهِ وَرَجُلٌ لَمْ يُؤْتِهِ اللَّهُ عِلْمًا وَلاَ مَالاً فَهُوَ يَقُولُ : لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ مَالِ هَذَا عَمِلْتُ فِيهِ مِثْلَ الَّذِي يَعْمَلُ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ : " فَهُمَا فِي الْوِزْرِ سَوَاءٌ " .
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي كَبْشَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُفَضَّلٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي كَبْشَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ .
It was narrated that Abu Kabshah Al-Anmari said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘The likeness of this nation is that of four people: A man to whom Allah gives wealth and knowledge, so he acts according to his knowledge with regard to his wealth, spending it as it should be spent; a man to whom Allah gives knowledge, but he does not give him wealth, so he says: “If I had been given (wealth) like this one, I would have done what (the first man) did.” The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘They will be equal in reward. And a man to whom Allah gives wealth but does not give knowledge, so he squanders his wealth and spends it in inappropriate ways; and a man to whom Allah gives neither knowledge nor wealth, and he says: “If I had (wealth) like this one, I would do what (the third man) did.” The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘They are equal in their burden (of sin).’”
A similar report (as above) was narrated from Ibn Abu Kabshah, from his father, from the Prophet (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৩১/২৬. নিয়াত (অভিপ্রায়)
৪/৪২২৯। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেদের (হাশরের দিন) তাদের নিয়্যাত (অভিপ্রায়) অনুসারে উঠানো হবে।
بَاب النِّيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ : " إِنَّمَا يُبْعَثُ النَّاسُ عَلَى نِيَّاتِهِمْ " .
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“People will be resurrected (and judged) according to their intentions.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/২৬. নিয়াত (অভিপ্রায়)
৫/৪২৩০। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকজনকে তাদের নিয়াত (উদ্দেশ্য) অনুসারে হাশরের ময়দানে একত্র করা হবে।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইসলাম ধর্মে নিয়তের মহা মান, মর্যাদা ও গুরুত্ব রয়েছে । তাই নিশ্চয় প্রত্যেকটি কর্ম বা আমল সঠিক হওয়ার মূল ভিত্তি হলো পবিত্র ও বিশুদ্ধ নিয়ত অনুযায়ী আল্লাহর বিধান মোতাবেক হওয়া।
২। নিয়ত বলা হয়: কোনো কর্ম সম্পাদনের সাথে সাথে ইচ্ছা পোষণ করা বা মনে ধারণ পোষণ করা । যদি কোনো কর্ম সম্পাদনের ইচ্ছা পোষণ করা হয় কিন্তু কর্ম সম্পাদন পরে হয়, তাহলে তাকে সঙ্কল্প বা সিদ্ধান্ত বলা হয়। সুতরাং নিয়তের তাৎপর্য হলো এই যে, কোনো কর্ম সম্পাদনের ইচ্ছা পোষণ করার সাথে সাথেই কর্ম সম্পাদন করা।
৩। নিশ্চয় কুরআন এই নিয়তকে অনেক ভঙ্গিতে প্রকাশ করেছে: পরকালের ইচ্ছা পোষণ করা, আল্লাহর চেহারা বা দিক চাওয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার দৃঢ় ইচ্ছা রাখা ইত্যাদি।
بَاب النِّيَّةِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنْبَأَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ : " يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى نِيَّاتِهِمْ " .
It was narrated from Jabir that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“People will be gathered (on the Day of Resurrection) according to their intentions.”