পরিচ্ছেদঃ ৩১/৭. দরিদ্রদের সাথে মেলামেশা করা
১/৪১২৫। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাফর ইবনে আবূ তালিব (রাঃ) ফকীর-মিসকীনদের মহববত করতেন, তাদের সাথে ওঠাবসা করতেন এবং তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন। আর তারাও তার সাথে আলাপ-আলোচনা করতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আবুল মাসাকীন (দরিদ্রদের পিতা) উপাধি দেন।
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ أَبُو يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ أَبُو إِسْحَاقَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يُحِبُّ الْمَسَاكِينَ وَيَجْلِسُ إِلَيْهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ وَيُحَدِّثُونَهُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَكْنِيهِ أَبَا الْمَسَاكِينِ .
It was narrated that Abu Hurairah said:
“Ja’far bin Abu Talib used to like the poor; he would sit with them and talk to them, and they would talk to him. And the Messenger of Allah (ﷺ) gave him the Kunyah of Abul-Masakin (Father of the Poor).”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৭. দরিদ্রদের সাথে মেলামেশা করা
২/৪১২৬। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা মিসকীনদের মহববত করবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর দোয়ায় বলতে শুনেছিঃ ’’হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মিসকীনরূপে জীবিত রাখো, মিসকীনরূপে মৃত্যুদান করো এবং মিসকীনদের দলভুক্ত করে হাশরের ময়দানে উত্থিত করো ’’।
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইয়াযীদ বিন সিনান ও আবুল মুবারাক এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ৩ টি খুবই দুর্বল, ৭ টি দুর্বল, ৫ টি হাসান, ১১ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ২৩৫২, শুআবুল ঈমান ১৪৫১।
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَحِبُّوا الْمَسَاكِينَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ " اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ " .
It was narrated that Abu Sa’eed Al-Khudri said:
“Love the poor, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say in his supplication: ‘O Allah, cause me to live poor and cause me to die poor, and gather me among the poor (on the Day of Resurrection).’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৭. দরিদ্রদের সাথে মেলামেশা করা
৩/৪১২৭। খাববাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বাণী (অনুবাদ): ’’যারা তাদের প্রতিপালককে সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ডাকে তাদেরকে তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে, করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবে ’’ (সূরা আনআমঃ ৫২)। তিনি উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেন, আকরা ইবনে হাবেস আতম-তামীমী ও উয়াইনা ইবনে হিসন আল-ফাজারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সুহাইব, বিলাল, আম্মার ও খাববাব (রাঃ) প্রমুখ দরিদ্র অসহায় মুমিনদের সাথে বসা দেখলো।
তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চারপাশে তাদের উপবিষ্ট দেখে তাদেরকে হেয় জ্ঞান করলো। তারা তাঁর সান্নিধ্যে এসে একান্তে তাঁকে বললো, আমরা চাই যে, আপনি আপনার সাথে আমাদের বিশেষ বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন, যাতে আরবরা আমাদের মর্যাদা উপলব্ধি করতে পারে। কেননা আপনার নিকট আরবের প্রতিনিধিদলসমূহ আসে। এই দাসদের সাথে আরবরা আমাদেরকে উপবিষ্ট দেখলে তাতে আমরা লজ্জাবোধ করি। অতএব আমরা যখন আপনার নিকট আসবো তখন আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে উঠিয়ে দিবেন।
আমরা আপনার নিকট থেকে বিদায় নেয়ার পর আপনি ইচ্ছা করলে তাদের সাথে বসুন। তিনি বলেনঃ আচ্ছা! দেখা যাক। তারা বললো, আপনি আমাদের জন্য একটি চুক্তিপত্র লিখিয়ে দিন। রাবী বলেন, তিনি কাগজ আনালেন এবং আলী (রাঃ) কে লেখার জন্য ডাকলেন। আমরা এক পাশে বসা ছিলাম। ইত্যবসরে জিবরীল (আঃ) এই আয়াত নিয়ে অবতরণ করলেন (অনুবাদ) ’’যারা তাদের রবকে সকাল-সন্ধ্যায় ডাকে তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাদের তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে। করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবে ’’ (সূরা আনআমঃ ৫২)।
অতঃপর আল্লাহ তা’আলা আকরা ইবনে হাবেস ও উয়াইনা ইবনে হিসন-এর সম্পর্কে নাযিল করেন (অনুবাদঃ) ’’এভাবেই আমি তাদের এক দলকে অন্য দল দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যেন তারা বলে, আমাদের মধ্যে কি এদের প্রতিই আল্লাহ অনুগ্রহ করলেন? আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকেদের সম্পর্কে বিশেষ অবহিত নন’’ (সূরা আনআমঃ ৫৩)?
অতঃপর আল্লাহ বলেন, ’’যারা আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে তারা যখন তোমার নিকট আসে, তখন তুমি তাদের বলোঃ তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। তোমাদের প্রতিপালক দয়া করা তাঁর কর্তব্য বলে স্থির করেছেন’’ (সূরা আনআমঃ ৫৪)। রাবী বলেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর আমরা তাঁর এতো নিকটবর্তী হলাম যে, আমাদের হাঁটু তাঁর হাঁটুর সাথে লাগিয়ে বসলাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে বসতেন এবং যখন উঠে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখন আমাদের ছেড়ে দাঁড়িয়ে যেতেন। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) ’’তুমি নিজেকে ধৈর্য সহকারে রাখবে তাদের সংসর্গে যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁর সন্তোষ লাভের আশায় এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না’’ (সূরা কাহ্ফঃ ২৮) আর তুমি অভিজাতদের সাথে বসো না এবং যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি তার অনুসরণ করো না। যে নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং কাজেকর্মে সীমা অতিক্রম করে (অর্থাৎ উয়াইনা ও আকরা) তার কৃতকর্ম বরবাদ হয়েছে। অতঃপর তিনি তাদের সামনে দু’ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত ও পার্থিব জীবনের উপমা পেশ করেন (সূরা কাহফের ৩২ নং ও ৪৫ নং আয়াত দ্রঃ) খাব্বাব (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বসতাম। যখন তাঁর উঠার সময় হতো তখন আমরা তাঁর আগে উঠে যেতাম, অতঃপর তিনি উঠতেন।
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَنْقَزِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ الأَزْدِيِّ، وَكَانَ، قَارِئَ الأَزْدِ عَنْ أَبِي الْكَنُودِ، عَنْ خَبَّابٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى (وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ) إِلَى قَوْلِهِ (فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ) قَالَ جَاءَ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ وَعُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ الْفَزَارِيُّ فَوَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَعَ صُهَيْبٍ وَبِلاَلٍ وَعَمَّارٍ وَخَبَّابٍ قَاعِدًا فِي نَاسٍ مِنَ الضُّعَفَاءِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَلَمَّا رَأَوْهُمْ حَوْلَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَقَرُوهُمْ فَأَتَوْهُ فَخَلَوْا بِهِ وَقَالُوا إِنَّا نُرِيدُ أَنْ تَجْعَلَ لَنَا مِنْكَ مَجْلِسًا تَعْرِفُ لَنَا بِهِ الْعَرَبُ فَضْلَنَا فَإِنَّ وُفُودَ الْعَرَبِ تَأْتِيكَ فَنَسْتَحْيِي أَنْ تَرَانَا الْعَرَبُ مَعَ هَذِهِ الأَعْبُدِ فَإِذَا نَحْنُ جِئْنَاكَ فَأَقِمْهُمْ عَنْكَ فَإِذَا نَحْنُ فَرَغْنَا فَاقْعُدْ مَعَهُمْ إِنْ شِئْتَ . قَالَ " نَعَمْ " . قَالُوا فَاكْتُبْ لَنَا عَلَيْكَ كِتَابًا . قَالَ فَدَعَا بِصَحِيفَةٍ وَدَعَا عَلِيًّا لِيَكْتُبَ وَنَحْنُ قُعُودٌ فِي نَاحِيَةٍ فَنَزَلَ جِبْرَائِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ (وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِنْ شَىْءٍ وَمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِمْ مِنْ شَىْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ) ثُمَّ ذَكَرَ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ وَعُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ فَقَالَ (وَكَذَلِكَ فَتَنَّا بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لِيَقُولُوا أَهَؤُلاَءِ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنْ بَيْنِنَا أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِالشَّاكِرِينَ) . ثُمَّ قَالَ (وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ ) . قَالَ فَدَنَوْنَا مِنْهُ حَتَّى وَضَعْنَا رُكَبَنَا عَلَى رُكْبَتِهِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَجْلِسُ مَعَنَا فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومُ قَامَ وَتَرَكَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلاَ تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ) وَلاَ تُجَالِسِ الأَشْرَافَ (تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلاَ تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا) - يَعْنِي عُيَيْنَةَ وَالأَقْرَعَ - (وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا ) - قَالَ هَلاَكًا - قَالَ أَمْرُ عُيَيْنَةَ وَالأَقْرَعِ . ثُمَّ ضَرَبَ لَهُمْ مَثَلَ الرَّجُلَيْنِ وَمَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا . قَالَ خَبَّابٌ فَكُنَّا نَقْعُدُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَإِذَا بَلَغْنَا السَّاعَةَ الَّتِي يَقُومُ فِيهَا قُمْنَا وَتَرَكْنَاهُ حَتَّى يَقُومَ .
It was narrated from Khabbab, concerning the Verse:
“And turn not away those who invoke their Lord, morning and afternoon...” up to His saying: “...and thus become of the unjust.” [6:52] He said: “Aqra’ bin Habis At-Tamimi and ‘Uyainah bin Hisn Al-Fazri came and found the Messenger of Allah (ﷺ) with Suhaib, Bilal, ‘Ammar and Khabbab, sitting with some of the believers who were weak (i.e., socially). When they saw them around the Prophet (ﷺ) they looked down on them. They took him aside and said: ‘We want you to sit with us along, so that the ‘Arabs will recognize our superiority. If the delegations of the Arabs come to you we will feel ashamed if the Arabs see us with these slaves. So, when we come to you, make them get up from your presence, then when we have finished, sit with them if you wish.’ He said: ‘Yes.’ They said: ‘Write a document for us (binding you to that).’ So he called for a piece of paper and he called ‘Ali to write, and we were sitting in a corner. Then Jibra’il (as), came down and said: “And turn not away those who invoke their Lord, morning and afternoon seeking His Face. You are accountable for them in nothing, and they are accountable for you in nothing, that you may turn them away, and thus become of the unjust.” [6:52] Then he mentioned Aqra’ bin Habis and ‘Uyaynah bin Hisn, then he said: “Thus We have tried some of them with others, that they might say: ‘Is it these (poor believers) whom Allah has favored from amongst us?’ Does not Allah know best those who are grateful.” [6:53] Then he said: “When those who believe in Our Ayat come to you, say: Salamun ‘Alaykum (peace be on you); your Lord has written (prescribed) mercy for Himself”.” [6:54] He said: “Then we got so close to him that our knees were touching his, and the Messenger of Allah (ﷺ) was sitting with us. When he wanted to get up, he stood up and left us. Then Allah revealed: “And keep yourself patiently with those who call on their Lord morning and afternoon, seeking His Face; and let not your eyes overlook them,” – and do not sit with the nobles – “desiring the pomp and glitter of the life of the world; and obey not him whose heart We have made heedless of Our remembrance,” – meaning ‘Uyainah and Aqra’ – “and who follows his own lusts, and those affair (deeds) has been lost” [18:28] He said: ‘May they be doomed.’ He said: ‘May ‘Uyainah and Aqra’ be doomed.’ Then he made the parable for them of two men and the parable of this world. Khabbab said: “We used to sit with the Prophet (ﷺ) and if the time came for him to leave, we would get up and leave him, then he would leave.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৭. দরিদ্রদের সাথে মেলামেশা করা
৪/৪১২৮। সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এ আয়াত আমাদের ছ’জন সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ আমি, ইবনে মাসউদ, সুহাইব, আম্মার, মিকদাদ ও বিলাল (রাঃ)। কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললো, আমরা এসব লোকের সাথে বসতে সম্মত নই। আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে তাড়িয়ে দিন। রাবী বলেন, এ কথা শোনার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্তরে আল্লাহর মর্জি একটা ধারণার উদয় হলো। তখন মহান আল্লাহ এই আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ): ’’যারা তাদের রবকে সকাল-সন্ধ্যায় ডাকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাদের তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে, করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবে’’ (সূরা আনআমঃ ৫২)।
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا سِتَّةٍ فِيَّ وَفِي ابْنِ مَسْعُودٍ وَصُهَيْبٍ وَعَمَّارٍ وَالْمِقْدَادِ وَبِلاَلٍ . قَالَ قَالَتْ قُرَيْشٌ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِنَّا لاَ نَرْضَى أَنْ نَكُونَ أَتْبَاعًا لَهُمْ فَاطْرُدْهُمْ عَنْكَ . قَالَ فَدَخَلَ قَلْبَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْخُلَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ) الآيَةَ .
It was narrated that Sa’d said:
“This Verse was revealed concerning us six: Myself, Ibn Mas’ud, Suhaib, ‘Ammar, Miqdad and Bilal. The Quraish said to the Messenger of Allah (ﷺ): ‘We do not want to join them, send them away.’ Thoughts of that entered the heart of the Messenger of Allah (ﷺ) as much as Allah willed, then Allah revealed: “And turn not away those who invoke their Lord, morning and afternoon seeking His Face. You are accountable for them in nothing, and they are accountable for you in nothing, that you may turn them away, and thus become of the unjust.” [6:52]