পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

১/৪০০৪। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজে বাধা দিবে এমন সময় আসার পূর্বে যখন তোমরা দোয়া করবে কিন্তু তা কবুল হবে না।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ مُرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ قَبْلَ أَنْ تَدْعُوا فَلاَ يُسْتَجَابَ لَكُمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا معاوية بن هشام، عن هشام بن سعد، عن عمرو بن عثمان، عن عاصم بن عمر بن عثمان، عن عروة، عن عاىشة، قالت سمعت رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يقول ‏ "‏ مروا بالمعروف وانهوا عن المنكر قبل ان تدعوا فلا يستجاب لكم ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that ‘Aishah said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘enjoin what is good and forbid what is evil, before you call and you are not answered.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

২/৪০০৫। কায়েস ইবনে আবূ হাযেম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন, অতঃপর বলেন, হে লোকসকল! তোমরা তো এই আয়াত তিলাওয়াত করো (অনুবাদঃ) ’’হে ঈমানদারগণ! আত্মসংশোধন করাই তোমাদের কর্তব্য, তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও, তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না’’ (সূরা মাইদাঃ ১০৫)। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ লোকেরা মন্দ কাজ হতে দেখে তা পরিবর্তনের চেষ্টা না করলে অচিরেই আল্লাহ তাদের উপর ব্যাপকভাবে শাস্তি পাঠান। আবূ উসামা (রাঃ) -এর অপর সনদে এভাবে উক্ত হয়েছেঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ هَذِهِ الآيَةَ ‏(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ)‏ وَإِنَّا سَمِعْنَا رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏"‏ إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوُا الْمُنْكَرَ لاَ يُغَيِّرُونَهُ أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّهُ بِعِقَابِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ مَرَّةً أُخْرَى فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عبد الله بن نمير، وابو اسامة عن اسماعيل بن ابي خالد، عن قيس بن ابي حازم، قال قام ابو بكر فحمد الله واثنى عليه ثم قال يا ايها الناس انكم تقرءون هذه الاية ‏(يا ايها الذين امنوا عليكم انفسكم لا يضركم من ضل اذا اهتديتم)‏ وانا سمعنا رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يقول ‏"‏ ان الناس اذا راوا المنكر لا يغيرونه اوشك ان يعمهم الله بعقابه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو اسامة مرة اخرى فاني سمعت رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يقول ‏.‏


It was narrated that Qais bin Abu Hazim said:
“Abu Bakr stood up and praised and glorified Allah, then he said: ‘O people, you recite this Verse – “O you who believe! Take care of your own selves. If you follow the (right) guidance no hurt can come to you from those who are in error.”[5:105] – but I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘If people see some evil but do not change it, soon Allah will send His punishment upon them all.’” (One of the narrators) Abu Usamah repeated: "Indeed I heard that Messenger of Allah (ﷺ) say."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

৩/৪০০৬। আবূ উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে এভাবে পাপাচারের সূচনা হয় যে, কোন ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইকে পাপাচরে লিপ্ দেখলে সে তাকে তা থেখে বারখ করতো। কিন্তু পরদিনসেতাকে পাপাচারে লিপ্ত দেখে নিষেধ করতো না, বরং তার সাথে মেলামেশা ও উঠাবসা করতো এবং তার সাথে পানাহারে অংশগ্রহণ করতো। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের পরস্পরের অন্তরকে মৃত্যুদান করেন। তাদের সম্পর্কে তিনি কুরআন মজীদে আয়াত নাযিল করেন।তিনি বলেনঃ ’’বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তাদা দাউদ ও মরিয়ম-তনয় ঈসা কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল। তা এজন্য যে, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী।

তারা যেসব গর্হিত কাজ করতো তা থেকে তারা একে অপরকে বারণ করতো না। তারা যা করতো তা কতই না নিকৃষ্ট। তাদের অনেককে তুমি কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবে। কত নিকৃষ্ট তাদের কৃতকর্ম যে কারণে আল্লাহতাদের প্রতি ক্রোধান্বিত হয়েছেন। তাদের শাস্তিভোগ স্থায়ী হবে। তারা আল্লাহর প্রতি, নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে তাতে বিশ্বাসী হলে তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতো না। কিন্তু তাদের অনেকেই সত্যত্যাগ’’ (সূরা মাইদাঃ ৭৮-৮১)। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলাম দিয়ে বসা ছিলেন। তিনি সোজা হয়ে বসে বলেনঃ না! তোমরা জালেমের হাত ধরে তাকে জোরপূর্বক সত্যের উপর দাঁড় করিয়ে দিবে।


৪/৪০০৬(১)। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাঃ) আবুদাউদ-আলী-মুহাম্মাদ ইবনে আবুল ওয়াদ্দাহ-আলী ইবনে বাযীমা আবূ উবায়দা-আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَّا وَقَعَ فِيهِمُ النَّقْصُ كَانَ الرَّجُلُ يَرَى أَخَاهُ عَلَى الذَّنْبِ فَيَنْهَاهُ عَنْهُ فَإِذَا كَانَ الْغَدُ لَمْ يَمْنَعْهُ مَا رَأَى مِنْهُ أَنْ يَكُونَ أَكِيلَهُ وَشَرِيبَهُ وَخَلِيطَهُ فَضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ وَنَزَلَ فِيهِمُ الْقُرْآنُ فَقَالَ ‏(لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ)‏ حَتَّى بَلَغَ ‏(وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَكِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ فَاسِقُونَ )‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ وَقَالَ ‏"‏ لاَ حَتَّى تَأْخُذُوا عَلَى يَدَىِ الظَّالِمِ فَتَأْطِرُوهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، - أَمْلاَهُ عَلَىَّ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْوَضَّاحِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا سفيان، عن علي بن بذيمة، عن ابي عبيدة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ ان بني اسراىيل لما وقع فيهم النقص كان الرجل يرى اخاه على الذنب فينهاه عنه فاذا كان الغد لم يمنعه ما راى منه ان يكون اكيله وشريبه وخليطه فضرب الله قلوب بعضهم ببعض ونزل فيهم القران فقال ‏(لعن الذين كفروا من بني اسراىيل على لسان داود وعيسى ابن مريم)‏ حتى بلغ ‏(ولو كانوا يومنون بالله والنبي وما انزل اليه ما اتخذوهم اولياء ولكن كثيرا منهم فاسقون )‏ ‏"‏ ‏.‏ قال وكان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ متكىا فجلس وقال ‏"‏ لا حتى تاخذوا على يدى الظالم فتاطروه على الحق اطرا ‏"‏ ‏.‏ حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو داود، - املاه على - حدثنا محمد بن ابي الوضاح، عن علي بن بذيمة، عن ابي عبيدة، عن عبد الله، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ بمثله ‏.‏


It was narrated from Abu ‘Ubaidah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When the Children of Isral became deficient in religious commitment, a man would see his brother committing sin and would tell him not to do it, but the next day, what he had seen him do did not prevent him from eating or drinking with him, or mixing with him. So Allah made the hearts of those who did not commit sin like the hearts of those who did, and He revealed Qur’an concerning them and said: “Those among the Children of Israel who disbelieved were cursed by the tongue of David and ‘Eisa, son of Maryam” until he reached: “And had they believed in Allah, and in the Prophet and in what has been revealed to him, never would they have taken them (the disbelievers) as their friends; but many of them are disobedient (to Allah).”[5:78-81] The Messenger of Allah (ﷺ) sat up and said: "No, not until they take the hand of the wrongdoer (i.e. restrain him] and force him to follow the right way."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

৫/৪০০৭। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন এবং তাঁর ভাষণে বলেনঃ সাবধান! মানুষের ভয় যেন কোন ব্যক্তিকে সজ্ঞানে সত্য কথা বলতে বিরত না রাখে। রাবী বলেন (এ হাদীস বর্ণনাকালে) আবূ সাঈদ (রাঃ) কেঁদে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বহু কিছু লক্ষ্য করেছি কিন্তু বলতে ভয় পাচ্ছি।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَامَ خَطِيبًا فَكَانَ فِيمَا قَالَ ‏ "‏ أَلاَ لاَ يَمْنَعَنَّ رَجُلاً هَيْبَةُ النَّاسِ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍّ إِذَا عَلِمَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبَكَى أَبُو سَعِيدٍ وَقَالَ قَدْ وَاللَّهِ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ فَهِبْنَا ‏.‏

حدثنا عمران بن موسى، انبانا حماد بن زيد، حدثنا علي بن زيد بن جدعان، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد الخدري، ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قام خطيبا فكان فيما قال ‏ "‏ الا لا يمنعن رجلا هيبة الناس ان يقول بحق اذا علمه ‏"‏ ‏.‏ قال فبكى ابو سعيد وقال قد والله راينا اشياء فهبنا ‏.‏


It was narrated from Abu Sa’eed Al-Khudri that the Messenger of Allah (ﷺ) stood up to deliver a sermon, and one of the things he said was:
“Indeed, fear of people should not prevent a man from speaking the truth, if he knows it.” Then Abu Sa'eed wept and said: "By Allah, we have seen things that made us scared (and we did not speak up)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

৬/৪০০৮। আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন নিজেকে অপমানিত নাকরে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ নিজেকে কিভাবে অপমানিত করতে পারে? তিনি বলেনঃ সে কোন বিষয়ে আল্লাহর বিধান অবহিত থাকা সত্বেও তার পরিপন্থী কিছু হতে দেখেও সে সম্পর্কে কিছুই বললো না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে বলবেনঃ অমুক অমুক ব্যাপারে কথা বলতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিলো? সে বলবে, মানুষের ভয়। তখন আল্লাহ বলবেনঃ আমাকেউ তো তোমার ভয় করা উচিত ছিলো।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لاَ يَحْقِرْ أَحَدُكُمْ نَفْسَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يَحْقِرُ أَحَدُنَا نَفْسَهُ قَالَ ‏"‏ يَرَى أَمْرًا لِلَّهِ عَلَيْهِ فِيهِ مَقَالٌ ثُمَّ لاَ يَقُولُ فِيهِ فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَقُولَ فِي كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ خَشْيَةُ النَّاسِ ‏.‏ فَيَقُولُ فَإِيَّاىَ كُنْتَ أَحَقَّ أَنْ تَخْشَى ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا عبد الله بن نمير، وابو معاوية عن الاعمش، عن عمرو بن مرة، عن ابي البختري، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لا يحقر احدكم نفسه ‏"‏ ‏.‏ قالوا يا رسول الله كيف يحقر احدنا نفسه قال ‏"‏ يرى امرا لله عليه فيه مقال ثم لا يقول فيه فيقول الله عز وجل له يوم القيامة ما منعك ان تقول في كذا وكذا فيقول خشية الناس ‏.‏ فيقول فاياى كنت احق ان تخشى ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Sa’eed that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“No one of you should belittle himself.” They said: “O Messenger of Allah, how could anyone of us belittle himself?” He said: “If he sees something concerning which he should speak out for the sake of Allah but does not say anything. Allah will say to him on the Day of Resurrection: “What prevented you from speaking concerning such and such?” He will say: “Fear of the people.” (Allah) will say: “Rather you should have feared Me.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

৭/৪০০৯। জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে পাপাচার হতে থাকে এবং তাদের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতা থাকা সত্বেও তাদের পাপাচারীদের বাধা দেয় না, তখন আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর ব্যাপকভাবে শাস্তি পাঠান।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا مِنْ قَوْمٍ يُعْمَلُ فِيهِمْ بِالْمَعَاصِي هُمْ أَعَزُّ مِنْهُمْ وَأَمْنَعُ لاَ يُغَيِّرُونَ إِلاَّ عَمَّهُمُ اللَّهُ بِعِقَابٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا علي بن محمد، حدثنا وكيع، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن عبيد الله بن جرير، عن ابيه، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ ما من قوم يعمل فيهم بالمعاصي هم اعز منهم وامنع لا يغيرون الا عمهم الله بعقاب ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from ‘Ubaidullah bin Jarir that his father said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘There is no people among whom sins are committed when they are stronger and of a higher status (i.e. they have the power and ability to stop the sinners) and they do not change them, but Allah will send His punishment upon them all.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

৮/৪০১০। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সমুদ্রের মুহাজিরগণ (হাবশায় হিজরতকারী প্রথম দল) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রত্যাবর্তন করলে, তিনি বলেনঃ তোমরা হাবশায় যেসব অনিষ্টজনক বিষয় প্রত্যক্ষ করেছো তা কি আমরার নিকট ব্যক্ত করবে না? তাদের মধ্য থেকে এক যুবক বললেন, হাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! একদা আমরা বসা ছিলাম, আমাদের সামনে দিয়ে সেখানকার এক বৃদ্ধা রমনী মাথায় পানি ভর্তি কলসসহ যাচ্ছিল। সে তাদের এক যুবককে অতিক্রমকালে সে তার কাঁধে তার এক হাত রেখে তাকে ধাক্কা দিলে সে উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং এর ফলে তার কলসটি ভেঙ্গে যায়। সে উঠে দাঁড়িয়ে যুবকের দিকে তাকিলে বললো, হে দাগাবাজ!’’তুমি অচিরেই জানতে পারবে যখন আল্লাহ তা’আলা ইনসাফের আসনে উপবিষ্ট হয়ে পূর্বাপর সকল মানুষকে সমবেত করবেন এবং হাত-পাগুলো তাদের কৃতকর্মের বিবরণ দিবে তখন তুমিও জানতে পারবে সেদিনতোমার ও আমার অবস্থা কি হবে। জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই বৃদ্ধা সত্য কথাই বলেছে, সত্য কথাই বলেছে। আল্লাহ তা’আলা সেই উম্মাতকে কিভাবে গুনাহথেকে পবিত্র করবেন, যাদের সবলদের থেকে দুর্বলদের প্রাপ্য আদায় করে দেয়া হয় না।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَمَّا رَجَعَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُهَاجِرَةُ الْبَحْرِ قَالَ ‏"‏ أَلاَ تُحَدِّثُونِي بِأَعَاجِيبِ مَا رَأَيْتُمْ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فِتْيَةٌ مِنْهُمْ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ مَرَّتْ بِنَا عَجُوزٌ مِنْ عَجَائِزِ رَهَابِينِهِمْ تَحْمِلُ عَلَى رَأْسِهَا قُلَّةً مِنْ مَاءٍ فَمَرَّتْ بِفَتًى مِنْهُمْ فَجَعَلَ إِحْدَى يَدَيْهِ بَيْنَ كَتِفَيْهَا ثُمَّ دَفَعَهَا فَخَرَّتْ عَلَى رُكْبَتَيْهَا فَانْكَسَرَتْ قُلَّتُهَا فَلَمَّا ارْتَفَعَتِ الْتَفَتَتْ إِلَيْهِ فَقَالَتْ سَوْفَ تَعْلَمُ يَا غُدَرُ إِذَا وَضَعَ اللَّهُ الْكُرْسِيَّ وَجَمَعَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ وَتَكَلَّمَتِ الأَيْدِي وَالأَرْجُلُ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ فَسَوْفَ تَعْلَمُ كَيْفَ أَمْرِي وَأَمْرُكَ عِنْدَهُ غَدًا ‏.‏ قَالَ يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ صَدَقَتْ صَدَقَتْ كَيْفَ يُقَدِّسُ اللَّهُ أُمَّةً لاَ يُؤْخَذُ لِضَعِيفِهِمْ مِنْ شَدِيدِهِمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا سويد بن سعيد، حدثنا يحيى بن سليم، عن عبد الله بن عثمان بن خثيم، عن ابي الزبير، عن جابر، قال لما رجعت الى رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ مهاجرة البحر قال ‏"‏ الا تحدثوني باعاجيب ما رايتم بارض الحبشة ‏"‏ ‏.‏ قال فتية منهم بلى يا رسول الله بينا نحن جلوس مرت بنا عجوز من عجاىز رهابينهم تحمل على راسها قلة من ماء فمرت بفتى منهم فجعل احدى يديه بين كتفيها ثم دفعها فخرت على ركبتيها فانكسرت قلتها فلما ارتفعت التفتت اليه فقالت سوف تعلم يا غدر اذا وضع الله الكرسي وجمع الاولين والاخرين وتكلمت الايدي والارجل بما كانوا يكسبون فسوف تعلم كيف امري وامرك عنده غدا ‏.‏ قال يقول رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ صدقت صدقت كيف يقدس الله امة لا يوخذ لضعيفهم من شديدهم ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Jabir said:
“When the emigrants who had crossed the sea came back to the Messenger of Allah (ﷺ), he said: ‘Why don’t you tell me of the strange things that you saw in the land of Abyssinia?’ Some young men among them said: ‘Yes, O Messenger of Allah. While we were sitting, one of their elderly nuns came past, carrying a vessel of water on her head. She passed by some of their youth, one of whom placed his hand between her shoulders and pushed her. She fell on her knees and her vessel broke. When she stood up, she turned to him and said: “You will come to know, O traitor, that when Allah sets up the Footstool and gathers the first and the last, and hands and feet speak of what they used to earn, you will come to know your case and my case in His presence soon.’” The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘She spoke the truth, she spoke the truth. How can Allah purify any people (of sin) when they do not support their weak from their strong?’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

৯/৪০১১। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যালেম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা অধিক উত্তম জিহাদ।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُصْعَبٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَادَةَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا القاسم بن زكريا بن دينار، حدثنا عبد الرحمن بن مصعب، ح وحدثنا محمد بن عبادة الواسطي، حدثنا يزيد بن هارون، قالا حدثنا اسراىيل، انبانا محمد بن جحادة، عن عطية العوفي، عن ابي سعيد الخدري، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ افضل الجهاد كلمة عدل عند سلطان جاىر ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Sa’eed Al-Khudri that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The best of jihad is a just word spoken to an unjust ruler.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

১০/৪০১২। আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জামরাতুল উলাতে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহর রাসূল! কোন জিহাদ অধিক উত্তম? তিনি তাকে কিছু না বলে নীরব থাকলেন। অতঃপর তিনি দ্বিতীয় জামরায় কংকর নিক্ষেপকালে সে পুনরায় একই প্রশ্ন করলো। তিনি এবারও নিশ্চুপ থাকলেন। তিনিজামরাতুল আকাবা-তে কংকর নিক্ষেপ করার পর বাহনে আরোহণের জন্য পাদানিতে পা রেখে জিজ্ঞাসা করলেনঃ প্রশ্নকারী কোথায়? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এই যে আমি। তিনি বলেনঃ যালেম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা (উত্তম জিহাদ)।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا رَاشِدُ بْنُ سَعِيدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ عَرَضَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ عِنْدَ الْجَمْرَةِ الأُولَى فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ فَسَكَتَ عَنْهُ فَلَمَّا رَأَى الْجَمْرَةَ الثَّانِيَةَ سَأَلَهُ فَسَكَتَ عَنْهُ فَلَمَّا رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ لِيَرْكَبَ قَالَ ‏"‏ أَيْنَ السَّائِلُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ كَلِمَةُ حَقٍّ عِنْدَ ذِي سُلْطَانٍ جَائِرٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا راشد بن سعيد الرملي، حدثنا الوليد بن مسلم، حدثنا حماد بن سلمة، عن ابي غالب، عن ابي امامة، قال عرض لرسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ رجل عند الجمرة الاولى فقال يا رسول الله اى الجهاد افضل فسكت عنه فلما راى الجمرة الثانية ساله فسكت عنه فلما رمى جمرة العقبة وضع رجله في الغرز ليركب قال ‏"‏ اين الساىل ‏"‏ ‏.‏ قال انا يا رسول الله قال ‏"‏ كلمة حق عند ذي سلطان جاىر ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abu Umamah said:
“A man came to the Messenger of Allah (ﷺ) at the first pillar and said: ‘O Messenger of Allah, which Jihad is best?’ but he kept quiet. When he saw the second Pillar, he asked again, and he kept quiet. When he stoned ‘Aqabah Pillar, he placed his foot in the stirrup, to ride, and said: ‘Where is the one who was asking?’ (The man) said: ‘Here I am, O Messenger of Allah.’ He said: ‘A word of truth spoken to an unjust ruler.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২০. সৎকাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা

১১/৪০১৩। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারওয়ান ঈদের দিন ঈদের মাঠে মিম্বার বের (স্থাপন) করলো এবং ঈদের নামাযের পূর্বে খোতবা দিলো। এক ব্যক্তি বললো, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাতের বিপরীত করেছো, তুমি আজকের এই দিনে মিম্বার বের (স্থাপন) করেছো, অথচ এই দিন তা বের করা (ঈদের মাঠে মিম্বার নেয়া) হতো না। উপরন্তু তুমি নামাযের আগে খোতবা শুরু করেছো, অথচ নামাযের পূর্বে খোতবা দেয়া হতো না। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, এই ব্যক্তি তার দাযিত্ব পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার দৈহিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা সেভাবেই প্রতিহত করে। তার সেউ সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্যও নাথাকলে সে যেন মনে মনে তাকে ঘৃণা করে। তা হলো সবচেয়ে দুর্বল ঈমান।

بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَقَالَ رَجُلٌ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي هَذَا الْيَوْمِ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَلَمْ يَكُنْ يُبْدَأُ بِهَا ‏.‏ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن اسماعيل بن رجاء، عن ابيه، عن ابي سعيد الخدري، وعن قيس بن مسلم، عن طارق بن شهاب، عن ابي سعيد الخدري، قال اخرج مروان المنبر في يوم عيد فبدا بالخطبة قبل الصلاة فقال رجل يا مروان خالفت السنة اخرجت المنبر في هذا اليوم ولم يكن يخرج وبدات بالخطبة قبل الصلاة ولم يكن يبدا بها ‏.‏ فقال ابو سعيد اما هذا فقد قضى ما عليه سمعت رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يقول ‏ "‏ من راى منكم منكرا فاستطاع ان يغيره بيده فليغيره بيده فان لم يستطع فبلسانه فان لم يستطع فبقلبه وذلك اضعف الايمان ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abu Sa’eed Al-Khudri said:
“Marwan brought out the pulpit on the day of ‘Eid, and he started with the sermon before the prayer. A man said: ‘O Marwan, you have gone against the Sunnah. You have brought out the pulpit on this day, and it was not brought out before, and you have started with the sermon before the prayer, and this was not done before.’ Abu Sa’eed said: ‘As for this man, he has done his duty. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘Whoever among you sees an evil action and can change it with his hand (by taking action), let him change it with his hand. If he cannot do that, then with his tongue (by speaking out); and if he cannot do that, then with his heart (by hating it and feeling that it is wrong), and that is the weakest of faith.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে