পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

১/৩৯১৮। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহুদ থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফেরার পথে এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি স্বপ্নে একটি ছায়াদার মেঘ দেখেছি, যা থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় ঘি ও মধু পড়ছিলো।। লোকেদেরকে দেখলাম যে, তারা হাতে তুলে নিয়ে তা পান করছে। কেউ বেশি পাচ্ছে এবং কেউ কম পাচ্ছে। আমি আরো দেখলাম যে, আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত একটি রশি ঝুলছে। আমি দেখলাম যে, আপনি তা ধরে উপরে উঠে গেছেন। আপনার পর আরেকজন তা ধরে উপরে উঠে গেল, তার পরে আরেকজন তা ধরে উপরে উঠে গেলো। তার পরে আরেকজন তা ধরলে রশিটি ছিঁড়ে গেলো। পুনরায় তা জোড়া লেগে গেলো এবং সেও তা ধরে উপরে উঠে গেলো।

আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে দিন। তিনি বললেনঃ আচছা, তুমি এর ব্যাখ্যা করো। আবূ বকর (রাঃ) বলেন, মেঘখন্ড হলো ইসলামের ছায়া। পতিত ঘি ও মধু হলো কুরআন থেকে বেশি ও কম লাভকারী। আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত ঝুলন্ত রশি হলো সেই মহাসত্য যার উপর আপনি প্রতিষ্ঠিত। আপনি রশিটি ধরলেন এবং আল্লাহ আপনাকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। আপনার পর তা আরেকজন ধরবে এবং আল্লাহ তাকে উপরে তুলে নিবেন। তার পরে আরেকজন ধরবে, সেও তা ধরে উপরে উঠে যাবে। এরপর আরেকজন রশিটি ধরবে এবং তা ছিঁড়ে যাবে। আবার তা জোড়া লাগবে এবং সেও তা ধরে উপরে উঠে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কিছু তো ঠিক বলেছো এবং কিছু বলেছো ভুল। আবূ বকর (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে শপথ দিয়ে বলছি, আপনি আমাকে বলে দিন, আমি কোথায় ঠিক করেছি এবং কোথায় ভুল করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আবূ বকর! শপথ দিয়ে বলো না।


২/৩৯১৮(১)। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি স্বপ্নে আসমান-যমীনের মাঝে একটি ছায়াদার মেঘখন্ড দেখলাম, যা থেকে ঘি ও মধু ঝরে পড়ছে। .... অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ مُنْصَرَفَهُ مِنْ أُحُدٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ ظُلَّةً تَنْطِفُ سَمْنًا وَعَسَلاً وَرَأَيْتُ النَّاسَ يَتَكَفَّفُونَ مِنْهَا فَالْمُسْتَكْثِرُ وَالْمُسْتَقِلُّ وَرَأَيْتُ سَبَبًا وَاصِلاً إِلَى السَّمَاءِ رَأَيْتُكَ أَخَذْتَ بِهِ فَعَلَوْتَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَكَ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَهُ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَهُ فَانْقَطَعَ بِهِ ثُمَّ وُصِلَ لَهُ فَعَلاَ بِهِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ دَعْنِي أَعْبُرْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اعْبُرْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَمَّا الظُّلَّةُ فَالإِسْلاَمُ وَأَمَّا مَا يَنْطِفُ مِنْهَا مِنَ الْعَسَلِ وَالسَّمْنِ فَهُوَ الْقُرْآنُ حَلاَوَتُهُ وَلِينُهُ وَأَمَّا مَا يَتَكَفَّفُ مِنْهُ النَّاسُ فَالآخِذُ مِنَ الْقُرْآنِ كَثِيرًا وَقَلِيلاً وَأَمَّا السَّبَبُ الْوَاصِلُ إِلَى السَّمَاءِ فَمَا أَنْتَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَقِّ أَخَذْتَ بِهِ فَعَلاَ بِكَ ثُمَّ يَأْخُذُهُ رَجُلٌ مِنْ بَعْدِكَ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ آخَرُ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ آخَرُ فَيَنْقَطِعُ بِهِ ثُمَّ يُوَصَّلُ لَهُ فَيَعْلُو بِهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَصَبْتَ بَعْضًا وَأَخْطَأْتَ بَعْضًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَتُخْبِرَنِّي بِالَّذِي أَصَبْتُ مِنَ الَّذِي أَخْطَأْتُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لاَ تُقْسِمْ يَا أَبَا بَكْرٍ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ ظُلَّةً بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ تَنْطِفُ سَمْنًا وَعَسَلاً فَذَكَرَ الْحَدِيثَ نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا يعقوب بن حميد بن كاسب المدني، حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن عبيد الله بن عبد الله، عن ابن عباس، قال اتى النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ رجل منصرفه من احد فقال يا رسول الله اني رايت في المنام ظلة تنطف سمنا وعسلا ورايت الناس يتكففون منها فالمستكثر والمستقل ورايت سببا واصلا الى السماء رايتك اخذت به فعلوت به ثم اخذ به رجل بعدك فعلا به ثم اخذ به رجل بعده فعلا به ثم اخذ به رجل بعده فانقطع به ثم وصل له فعلا به ‏.‏ فقال ابو بكر دعني اعبرها يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ اعبرها ‏"‏ ‏.‏ قال اما الظلة فالاسلام واما ما ينطف منها من العسل والسمن فهو القران حلاوته ولينه واما ما يتكفف منه الناس فالاخذ من القران كثيرا وقليلا واما السبب الواصل الى السماء فما انت عليه من الحق اخذت به فعلا بك ثم ياخذه رجل من بعدك فيعلو به ثم اخر فيعلو به ثم اخر فينقطع به ثم يوصل له فيعلو به ‏.‏ قال ‏"‏ اصبت بعضا واخطات بعضا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو بكر اقسمت عليك يا رسول الله لتخبرني بالذي اصبت من الذي اخطات ‏.‏ فقال النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لا تقسم يا ابا بكر ‏"‏ ‏.‏ حدثنا محمد بن يحيى، حدثنا عبد الرزاق، انبانا معمر، عن الزهري، عن عبيد الله، عن ابن عباس، قال كان ابو هريرة يحدث ان رجلا، اتى رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ فقال يا رسول الله رايت ظلة بين السماء والارض تنطف سمنا وعسلا فذكر الحديث نحوه ‏.‏


It was narrated that Ibn ‘Abbas said:
“A man came to the Prophet (ﷺ), upon his return from Uhud, and said: ‘O Messenger of Allah, in my dream I saw a cloud giving shade, from which drops of ghee and honey were falling, and I saw people collecting them in the palms of their hands, some gathering a lot and some a little. And I saw a rope reaching up into heaven, and I saw you take hold of it and rise with it. Then another man took hold of it after you rose with it, then another man took hold of it after him and rose with it. Then a man took hold of it after him and it broke, then it was reconnected and he rose with it.’ Abu Bakr said: ‘Let me interpret it, O Messenger of Allah.’ He said: ‘Interpret it.’ He said: ‘As for the cloud giving shade, it is Islam, and the drops of honey and ghee that fall from it (represent) the Qur’an with its sweetness and softness. As for the people collecting that in their palms, some learn a lot of the Qur’an and some learn a little. As for the rope reaching up into heaven, it is the truth that you are following; you took hold of it and rose with it, then another man till take hold of it after you and rise with you, then another, who will rise with it, then another, but it will break and then he reconnected, then he will rise with it.’ He said: ‘You have got some of it right and some of it wrong.’ Abu Bakr said: ‘I adjure you O Messenger of Allah, tell me what I got right and what I got wrong.’ The Prophet (ﷺ) said: ‘Do not swear, O Abu Bakr.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

৩/৩৯১৯। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে আমি ছিলাম অবিবাহিত যুবক। আমি মসজিদেই রাত কাটাতাম। আমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখলে সে তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করতো। আমি মনে মনে বললাম, হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমার জন্য কোন কল্যাণ থাকলে তা আমাকে একটি স্বপ্নে দেখাও যার ব্যাখ্যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলে দিবেন। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। আমি স্বপ্নে আমার নিকট দু’জন ফেরেশতাকে আসতে দেখলাম। তারা আমাকে নিয়ে রওয়ানা হলেন, পথিমধ্যে আরেকজন ফেরেশতা তাদের সাথে মিলিত হন।

তিনি বলেন, তুমি ভয় পেয়ো না। ফেরেশতাদ্বয় আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চললো। তা ছিলো একটি কূপের ন্যায়। তাতে আমি কিছু সংখ্যক লোক দেখতে পেলাম, যাদের কতককে আমি চিনতে পেরেছি। তারা আমাকে ডান দিকে নিয়ে গেলো। ভোর হলে আমি বিষয়টি হাফসা (রাঃ) কে বললাম। হাফসা (রাঃ) তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বললেন। তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ একজন সৎলোক। সে যদি রাতে অধিক নামায পড়তো। যুহরী (রাঃ) বলেন, তখন থেকে আবদুল্লাহ (রাঃ) রাতে বেশী বেশী নামায পড়তেন।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنْتُ غُلاَمًا شَابًّا عَزَبًا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَكُنْتُ أَبِيتُ فِي الْمَسْجِدِ فَكَانَ مَنْ رَأَى مِنَّا رُؤْيَا يَقُصُّهَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ لِي عِنْدَكَ خَيْرٌ فَأَرِنِي رُؤْيَا يُعَبِّرُهَا لِي النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فَنِمْتُ فَرَأَيْتُ مَلَكَيْنِ أَتَيَانِي فَانْطَلَقَا بِي فَلَقِيَهُمَا مَلَكٌ آخَرُ فَقَالَ لَمْ تُرَعْ ‏.‏ فَانْطَلَقَا بِي إِلَى النَّارِ فَإِذَا هِيَ مَطْوِيَّةٌ كَطَىِّ الْبِئْرِ وَإِذَا فِيهَا نَاسٌ قَدْ عَرَفْتُ بَعْضَهُمْ فَأَخَذُوا بِي ذَاتَ الْيَمِينِ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِحَفْصَةَ فَزَعَمَتْ حَفْصَةُ أَنَّهَا قَصَّتْهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَجُلٌ صَالِحٌ لَوْ كَانَ يُكْثِرُ الصَّلاَةَ مِنَ اللَّيْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُكْثِرُ الصَّلاَةَ مِنَ اللَّيْلِ ‏.‏

حدثنا ابراهيم بن المنذر الحزامي، حدثنا عبد الله بن معاذ الصنعاني، عن معمر، عن الزهري، عن سالم، عن ابن عمر، قال كنت غلاما شابا عزبا في عهد رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ فكنت ابيت في المسجد فكان من راى منا رويا يقصها على النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ فقلت اللهم ان كان لي عندك خير فارني رويا يعبرها لي النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فنمت فرايت ملكين اتياني فانطلقا بي فلقيهما ملك اخر فقال لم ترع ‏.‏ فانطلقا بي الى النار فاذا هي مطوية كطى البىر واذا فيها ناس قد عرفت بعضهم فاخذوا بي ذات اليمين فلما اصبحت ذكرت ذلك لحفصة فزعمت حفصة انها قصتها على رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ فقال ‏ "‏ ان عبد الله رجل صالح لو كان يكثر الصلاة من الليل ‏"‏ ‏.‏ قال فكان عبد الله يكثر الصلاة من الليل ‏.‏


It was narrated that Ibn ‘Umar said:
“I was a young unmarried man at the time of the Messenger of Allah (ﷺ), and I used to stay overnight in the mosque. If any of us had seen a dream, he would tell it to the Prophet (ﷺ). I said: ‘O Allah, if there is any good in me before You, show me a dream that the Prophet (ﷺ) can interpret for me.’ So I went to sleep and I saw two angels who came to me and took me away. They were met by another angel who said: ‘Do not be alarmed,’ and they took me to Hell which was built like a well. In it were people, some of whom I recognized. Then they took me off to the right. In the morning I mentioned that to Hafsah, and Hafsah said that she told the Messenger of Allah (ﷺ) about it, and he said: ‘Abdullah is a righteous man, if only he would pray more at night.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

৪/৩৯২০। খারাশা ইবনুল হুর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় পৌঁছে মসজিদে নববীতে প্রবীণদের এক মজলিসে বসলাম। একজন প্রবীন লোক তার লাঠিতে ভর দিয়ে আসলেন। লোকেরা বললো, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতী লোক দেখে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তির দিকে তাকায়। তিনি খুঁটির পেছনে দাঁড়িয়ে দু’ রাক’আত নামায পড়লেন। আমি উঠে গিয়ে তাকে বললাম, লোকেরা এই এই বলেছে। তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, জান্নাত আল্লাহর এবং তিনি যাকে ইচ্ছা তাতে প্রবেশ করাবেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি দেখলাম, এক ব্যক্তি যেন আমার নিকট এসে আমাকে বললো, চলুন। আমি তার সাথে গেলাম। সে আমাকে একটি বিরাট প্রশস্ত রাস্তায় পৌঁছে দিলো। আমার বাঁ দিকে একটি পথ দেখানো হলো। আমি সেই পথ ধরে অগ্রসর হতে চাইলাম। সে বললো, তুমি এ পথের উপযুক্ত নও। অতঃপর আমার ডানে একটি রাস্তা দেখানো হলো। আমি সেই রাস্তা দিয়ে অগ্রসর হলাম।

আমি একটি পিচ্ছিল পাহাড়ে পৌঁছলে সে আমার হাত ধরে আমাকে ধাক্কা দিলো এবং আমি এর চূড়ায় পৌঁছে গেলাম, কিন্তু আমি সেখানে স্থির হয়ে থাকতে পারলাম না। আমি এর চূড়ায় লোহার একটি খুঁটি দেখতে পেলাম। এর চূড়ায় ছিলো একটি সোনার হাতল। সে (ফেরেশতা) আমার হাত ধরে ধাক্কা দিলে আমি সেই হাতল ধরে ফেললাম। সে বললো, তুমি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরেছ? আমি বললাম, হাঁ। সে তার পা দ্বারা খুঁটিতে আঘাত করলে আমি হাতলটি দৃঢ়ভাবে ধরে ফেললাম। তিনি বললেন, আমি ঘটনাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবহিত করলাম। তিনি বলেনঃ তুমি উত্তম স্বপ্ন দেখেছো। বিরাট প্রশস্ত রাস্তাটি হলো হাশরের ময়দান। তোমার বাঁ দিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে তা হলো জাহান্নামীদের রাস্তা। তুমি জাহান্নামী নও। তোমার ডান দিক দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে তা হলো জান্নাতীদের রাস্তা। পিচ্ছিল পাহাড়টি হলো শহীদদের মনযিল। যে হাতলটি তুমি আঁকড়ে ধরেছিলে, সেটি হলো ইসলামরে হাতল। অতএব তুমি আমৃত্যু এটি আঁকড়ে ধরে রাখবে। আশা করি আমি জান্নাতবাসী হবো। স্বপ্নটি দেখেছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ)।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى الأَشْيَبُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَجَلَسْتُ إِلَى أَشْيِخَةٍ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَاءَ شَيْخٌ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَصًا لَهُ فَقَالَ الْقَوْمُ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ‏.‏ فَقَامَ خَلْفَ سَارِيَةٍ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الْجَنَّةُ لِلَّهِ يُدْخِلُهَا مَنْ يَشَاءُ وَإِنِّي رَأَيْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رُؤْيَا رَأَيْتُ كَأَنَّ رَجُلاً أَتَانِي فَقَالَ لِيَ انْطَلِقْ ‏.‏ فَذَهَبْتُ مَعَهُ فَسَلَكَ بِي فِي مَنْهَجٍ عَظِيمٍ فَعُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَلَى يَسَارِي فَأَرَدْتُ أَنْ أَسْلُكَهَا فَقَالَ إِنَّكَ لَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا ‏.‏ ثُمَّ عُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَنْ يَمِينِي فَسَلَكْتُهَا حَتَّى إِذَا انْتَهَيْتُ إِلَى جَبَلٍ زَلَقٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَلَ بِي فَإِذَا أَنَا عَلَى ذُرْوَتِهِ فَلَمْ أَتَقَارَّ وَلَمْ أَتَمَاسَكْ وَإِذَا عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ فِي ذُرْوَتِهِ حَلْقَةٌ مِنْ ذَهَبٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَّلَ بِي حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقَالَ اسْتَمْسَكْتَ قُلْتُ نَعَمْ فَضَرَبَ الْعَمُودَ بِرِجْلِهِ ‏.‏ فَاسْتَمْسَكْتُ بِالْعُرْوَةِ ‏.‏ فَقَالَ قَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ رَأَيْتَ خَيْرًا أَمَّا الْمَنْهَجُ الْعَظِيمُ فَالْمَحْشَرُ وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَسَارِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ النَّارِ وَلَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَمِينِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَمَّا الْجَبَلُ الزَّلَقُ فَمَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ وَأَمَّا الْعُرْوَةُ الَّتِي اسْتَمْسَكْتَ بِهَا فَعُرْوَةُ الإِسْلاَمِ فَاسْتَمْسِكْ بِهَا حَتَّى تَمُوتَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَنَا أَرْجُو أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَإِذَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا الحسن بن موسى الاشيب، حدثنا حماد بن سلمة، عن عاصم بن بهدلة، عن المسيب بن رافع، عن خرشة بن الحر، قال قدمت المدينة فجلست الى اشيخة في مسجد النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ فجاء شيخ يتوكا على عصا له فقال القوم من سره ان ينظر الى رجل من اهل الجنة فلينظر الى هذا ‏.‏ فقام خلف سارية فصلى ركعتين فقمت اليه فقلت له قال بعض القوم كذا وكذا ‏.‏ قال الحمد لله الجنة لله يدخلها من يشاء واني رايت على عهد رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ رويا رايت كان رجلا اتاني فقال لي انطلق ‏.‏ فذهبت معه فسلك بي في منهج عظيم فعرضت على طريق على يساري فاردت ان اسلكها فقال انك لست من اهلها ‏.‏ ثم عرضت على طريق عن يميني فسلكتها حتى اذا انتهيت الى جبل زلق فاخذ بيدي فزجل بي فاذا انا على ذروته فلم اتقار ولم اتماسك واذا عمود من حديد في ذروته حلقة من ذهب فاخذ بيدي فزجل بي حتى اخذت بالعروة فقال استمسكت قلت نعم فضرب العمود برجله ‏.‏ فاستمسكت بالعروة ‏.‏ فقال قصصتها على النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قال ‏ "‏ رايت خيرا اما المنهج العظيم فالمحشر واما الطريق التي عرضت عن يسارك فطريق اهل النار ولست من اهلها واما الطريق التي عرضت عن يمينك فطريق اهل الجنة واما الجبل الزلق فمنزل الشهداء واما العروة التي استمسكت بها فعروة الاسلام فاستمسك بها حتى تموت ‏"‏ ‏.‏ فانا ارجو ان اكون من اهل الجنة فاذا هو عبد الله بن سلام ‏.‏


It was narrated that Kharashah bin Hurr said:
“I came to Al-Madinah and sat with some old men in the mosque of the Prophet (ﷺ). Then an old man came, leaning on his stick, and the people said: ‘Whoever would like to look at a man from among the people of Paradise, let him look at this man.’ He stood behind a pillar and prayed two Rak’ah. I got up and went to him, and said to him: ‘Some of the people said such and such.’ He said: ‘Praise is to Allah. Paradise belongs to Allah and He admits whomsoever He wills to it. At the time of the Messenger of Allah (ﷺ) I saw a dream in which a man came to me and said: “Let’s go.” So I went with him and he took me along a great road. A road was shown to me on the left and I wanted to follow it, but he said: “You are not one of its people.” Then a road was shown to me on the right, and I followed him until I reached a slippery mountain. He took me by the hand and helped me up. When I reached the top I could not stand firm. There was an iron pillar there with a golden ring at the top. He took my hand and helped me up until I reached the handhold, then he said: “Have you gotten a firm hold?” I said: “Yes.” Then he struck the pillar with his foot and I held tight to the pillar. I told this to the Prophet (ﷺ) and he said: "You have seen something good. The great road is the plain of gathering (on the Day of Resurrection). The road that you were shown on your left is the way of the people of Hell, and you are not one of its people. The road which you were shown on your right is the way of the people of Paradise. The slippery mountain is the place of the martyrs, and the handhold that you held on tight to is the handhold of Islam. Hold on tight to it until you die." I hope to be one of the people of Paradise,' and he was 'Abdullah bin Salam."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

৫/৩৯২১। আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মক্কা থেকে খেজুর গাছ সমৃদ্ধ এক এলাকায় হিজরত করছি। আমার মনে হলো যে, সেই এলাকা ইয়ামামা অথবা হাজার। কিন্তু আসলে তা মদীনা, যার নাম ইয়াসরিব। আমি আমার এ স্বপ্নে আরও দেখলাম যে, আমি তরবারি নাড়াচাড়া করছি এবং তা মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে গেলো। আসলে তা ছিলো উহুদ যুদ্ধে মুমিনদের উপর আগত বিপদ। আমি পুনরায় তরবারি নাড়া দিলে তা পূর্বাপেক্ষা আরো উত্তম রূপ ধারণ করলো। আসলে তা ছিলো আল্লাহ প্রদত্ত পরবর্তী সময়ের বিজয় (মক্কা বিজয়) এবং মুসলিমদের সম্মিলিত অভ্যূত্থান। আমি স্বপ্নে আরও দেখতে পেলাম একটি গাভী। আল্লাহ কল্যাণময়। এরা ছিলেন উহুদের যুদ্ধের শহীদ একদল মুমিন। তাও ভালো, যা আল্লাহ গনীমতের মাল হিসাবে পরে আমাদের দান করেছেন এবং তাও ভালো, যা সত্যের বিনিময় হিসাবে আল্লাহ আমাদের বদর যুদ্ধের দিন দান করেছিলেন।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أُهَاجِرُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضٍ بِهَا نَخْلٌ فَذَهَبَ وَهَلِي إِلَى أَنَّهَا يَمَامَةُ أَوْ هَجَرٌ فَإِذَا هِيَ الْمَدِينَةُ يَثْرِبُ وَرَأَيْتُ فِي رُؤْيَاىَ هَذِهِ أَنِّي هَزَزْتُ سَيْفًا فَانْقَطَعَ صَدْرُهُ فَإِذَا هُوَ مَا أُصِيبَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ ثُمَّ هَزَزْتُهُ فَعَادَ أَحْسَنَ مَا كَانَ فَإِذَا هُوَ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْفَتْحِ وَاجْتِمَاعِ الْمُؤْمِنِينَ وَرَأَيْتُ فِيهَا أَيْضًا بَقَرًا وَاللَّهُ خَيْرٌ فَإِذَا هُمُ النَّفَرُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ وَإِذَا الْخَيْرُ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْخَيْرِ بَعْدُ وَثَوَابِ الصِّدْقِ الَّذِي آتَانَا اللَّهُ بِهِ يَوْمَ بَدْرٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو اسامة، حدثنا بريد، عن ابي بردة، عن ابي موسى، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ رايت في المنام اني اهاجر من مكة الى ارض بها نخل فذهب وهلي الى انها يمامة او هجر فاذا هي المدينة يثرب ورايت في روياى هذه اني هززت سيفا فانقطع صدره فاذا هو ما اصيب من المومنين يوم احد ثم هززته فعاد احسن ما كان فاذا هو ما جاء الله به من الفتح واجتماع المومنين ورايت فيها ايضا بقرا والله خير فاذا هم النفر من المومنين يوم احد واذا الخير ما جاء الله به من الخير بعد وثواب الصدق الذي اتانا الله به يوم بدر ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Musa that the Prophet (ﷺ) said:
“In a dream I saw myself emigrating from Makkah to a land in which there were date-palm trees, and I thought that it was Yamamah or Hajar, but it was Al-Madinah, Yathrib. And I saw in this dream of mine that I was wielding a sword then it broke in the middle. That was what befell the believers on the Day of Uhud. Then I wielded it again and it was better than it had been before, and that is what Allah brought about of the Conquest and the regrouping of the believers. And I also saw cows, and by Allah it is good, for they are the group of the believers (who were martyred) on the Day of Uhud, and the goodness is that which Allah brought forth after that, and the reward of the truth which Allah brought us on the Day of Badr.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

৬/৩৯২২। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি স্বপ্নে আমার হাতে দু’টি সোনার চুড়ি দেখতে পেলাম। আমি ফুঁ দিতেই তা উড়ে চলে গেলো। আমি এই চুড়িদ্বয়ের এ ব্যাখ্যা করেছি যে, নবুয়াতের দু’ মিথ্যা দাবিদারের আবির্ভাব হবে। তারা হলোঃ মুসায়লামা ও আনসী।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ رَأَيْتُ فِي يَدِي سِوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ فَنَفَخْتُهُمَا ‏.‏ فَأَوَّلْتُهُمَا هَذَيْنِ الْكَذَّابَيْنِ مُسَيْلِمَةَ وَالْعَنْسِيَّ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن بشر، حدثنا محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ رايت في يدي سوارين من ذهب فنفختهما ‏.‏ فاولتهما هذين الكذابين مسيلمة والعنسي ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I saw wristbands of gold on my arms, so I blew into them, and I interpreted them as being these two liars, Musailimah and ‘Ansi.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

৭/৩৯২৩। কাবূস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল ফাদল (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি স্বপ্নে আপনার দেহের কোন একটি অঙ্গ আমার ঘরে দেখতে পেলাম। তিনি বলেনঃ তুমি ভালোই দেখেছো। ফাতেমা একটি সন্তান প্রসব করবে এবং তুমি তাকে দুধ পার করাবে। অতএব ফাতেমা (রাঃ) হুসায়ন অথবা হাসান (রাঃ) কে প্রসব করেন এবং তিনি তাকে কুছাম এর ভাগের দুধ পান করান। তিনি বলেন, আমি তাকে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম এবং তাকে তাঁর কোলে রাখলাম। সে পেশাব করে দিলে আমি তার কাঁধে আঘাত করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি আমার সন্তানকে কষ্ট দিলে, আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَابُوسَ، قَالَ قَالَتْ أُمُّ الْفَضْلِ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ كَأَنَّ فِي بَيْتِي عُضْوًا مِنْ أَعْضَائِكَ قَالَ ‏"‏ خَيْرًا رَأَيْتِ تَلِدُ فَاطِمَةُ غُلاَمًا فَتُرْضِعِيهِ ‏"‏ ‏.‏ فَوَلَدَتْ حُسَيْنًا أَوْ حَسَنًا فَأَرْضَعَتْهُ بِلَبَنِ قُثَمَ قَالَتْ فَجِئْتُ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَضَعْتُهُ فِي حَجْرِهِ فَبَالَ فَضَرَبْتُ كَتِفَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ أَوْجَعْتِ ابْنِي رَحِمَكِ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر، حدثنا معاوية بن هشام، حدثنا علي بن صالح، عن سماك، عن قابوس، قال قالت ام الفضل يا رسول الله رايت كان في بيتي عضوا من اعضاىك قال ‏"‏ خيرا رايت تلد فاطمة غلاما فترضعيه ‏"‏ ‏.‏ فولدت حسينا او حسنا فارضعته بلبن قثم قالت فجىت به الى النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ فوضعته في حجره فبال فضربت كتفه فقال النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ اوجعت ابني رحمك الله ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Qabus said:
“Umm Fadl said: ‘O Messenger of Allah! It is as if I saw (in a dream) one of your limbs in my house.’ He said: ‘What you have seen is good. Fatimah will give birth to a boy and you will breastfeed him.’ Fatimah gave birth to Husain or Hasan, and I breastfed him with the milk of Qutham.’ She said: ‘I brought him to the Prophet (ﷺ) and placed him in his lap, and he urinated, so I struck him on the shoulder.” The Prophet (ﷺ) said: “You have hurt my son, may Allah have mercy on you.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

৮/৩৯২৪। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বপ্ন সম্পর্কে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, এলোমেলো চুলবিশিষ্ট এক কৃষ্ণকায় নারী নির্গত হয়ে মাহইয়াআ অর্থাৎ জুহফায় পৌঁছে যাত্রাবিরতি করলো। আমি স্বপ্নের এই ব্যাখ্যা করলাম যে, মদীনার মহামারী জুহফায় স্থানান্তরিত হয়েছে।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ رُؤْيَا النَّبِيِّ، ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ رَأَيْتُ امْرَأَةً سَوْدَاءَ ثَائِرَةَ الرَّأْسِ خَرَجَتْ مِنَ الْمَدِينَةِ حَتَّى قَامَتْ بِالْمَهْيَعَةِ وَهِيَ الْجُحْفَةُ ‏.‏ فَأَوَّلْتُهَا وَبَاءً بِالْمَدِينَةِ فَنُقِلَ إِلَى الْجُحْفَةِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو عامر، اخبرني ابن جريج، اخبرني موسى بن عقبة، اخبرني سالم بن عبد الله، عن عبد الله بن عمر، عن رويا النبي، ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ رايت امراة سوداء ثاىرة الراس خرجت من المدينة حتى قامت بالمهيعة وهي الجحفة ‏.‏ فاولتها وباء بالمدينة فنقل الى الجحفة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from ‘Abdullah bin ‘Umar concerning the dream of the Prophet (ﷺ) that he (the Prophet (ﷺ)) said:
“I saw a black woman with disheveled hair, who left Al-Madinah and went to stay in Al- Mahya’ah, which is Juhfah. I interpreted it as referring to an epidemic in Al-Madinah which moved to Juhfah.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

৯/৩৯২৫। তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। দু’ ব্যক্তি দূর-দূরান্ত থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে উপস্থিত হলো। তারা ছিলো খাঁটি মুসলিম। তাদের একজন ছিলো অপরজন অপেক্ষা শক্তিধর মুজাহিদ। তাদের মধ্যকার মুজাহিদ ব্যক্তি যুদ্ধ করে শহীদ হলো এবং অপরজন এক বছর পর মারা গেলো। তালহা (রাঃ) বলেন, আমি একদা স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি জান্নাতে দরজায় উপস্থিত এবং আমি তাদের সাথে আছি। জান্নাত থেকে এক ব্যক্তি বের হয়ে এলো এবং তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরে মারা গিয়েছিল তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিলো। সে পুনরায় বের হয়ে এসে শহীদ ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিলো। পরে সে আমার নিকট ফিরে এসে বললো, তুমি চলে যাও। কেননা তোমার (জান্নাতে প্রবেশের) সময় এখনও হয়নি, তোমার পালা পরে।

সকাল বেলা তালহা (রাঃ) উক্ত ঘটনা লোকেদের নিকট বর্ণনা করলেন। তারা এতে বিস্ময়াভিভূত হলো। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কানে গেলো এবং তারাও তাঁর কাছে ঘটনা বর্ণনা করলো। তিনি বলেনঃ কী কারণে তোমরা বিস্মিত হলে? তারা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ব্যক্তি তাদের দু’জনের মধ্যে অধিকতর শক্তিধর মুজাহিদ। তাকে শহীদ করা হয়েছে। অথচ অপর লোকটি তার আগেই জান্নাতে প্রবেশ করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ অপর লোকটি কি তার পরে এক বছর জীবিত থাকেনি? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ সে একটি রমযান মাস পেয়েছে, রোযা রেখেছে এবং এক বছর যাবত এই এই নামায কি পড়েনি? তারা বললো, হাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আসমান-জমীনের মধ্য যে ব্যবধান রয়েছে, তাদের দু’জনের মধ্যে রয়েছে তার চেয়ে অধিক ব্যবধান।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، مِنْ بَلِيٍّ قَدِمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَكَانَ إِسْلاَمُهُمَا جَمِيعًا فَكَانَ أَحَدُهُمَا أَشَدَّ اجْتِهَادًا مِنَ الآخَرِ فَغَزَا الْمُجْتَهِدُ مِنْهُمَا فَاسْتُشْهِدَ ثُمَّ مَكَثَ الآخَرُ بَعْدَهُ سَنَةً ثُمَّ تُوُفِّيَ ‏.‏ قَالَ طَلْحَةُ فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ بَيْنَا أَنَا عِنْدَ بَابِ الْجَنَّةِ إِذَا أَنَا بِهِمَا فَخَرَجَ خَارِجٌ مِنَ الْجَنَّةِ فَأَذِنَ لِلَّذِي تُوُفِّيَ الآخِرَ مِنْهُمَا ثُمَّ خَرَجَ فَأَذِنَ لِلَّذِي اسْتُشْهِدَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَىَّ فَقَالَ ارْجِعْ فَإِنَّكَ لَمْ يَأْنِ لَكَ بَعْدُ ‏.‏ فَأَصْبَحَ طَلْحَةُ يُحَدِّثُ بِهِ النَّاسَ فَعَجِبُوا لِذَلِكَ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ وَحَدَّثُوهُ الْحَدِيثَ فَقَالَ ‏"‏ مِنْ أَىِّ ذَلِكَ تَعْجَبُونَ ‏"‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا كَانَ أَشَدَّ الرَّجُلَيْنِ اجْتِهَادًا ثُمَّ اسْتُشْهِدَ وَدَخَلَ هَذَا الآخِرُ الْجَنَّةَ قَبْلَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ أَلَيْسَ قَدْ مَكَثَ هَذَا بَعْدَهُ سَنَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَأَدْرَكَ رَمَضَانَ فَصَامَهُ وَصَلَّى كَذَا وَكَذَا مِنْ سَجْدَةٍ فِي السَّنَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ فَمَا بَيْنَهُمَا أَبْعَدُ مِمَّا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن رمح، انبانا الليث بن سعد، عن ابن الهاد، عن محمد بن ابراهيم التيمي، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن طلحة بن عبيد الله، ان رجلين، من بلي قدما على رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ وكان اسلامهما جميعا فكان احدهما اشد اجتهادا من الاخر فغزا المجتهد منهما فاستشهد ثم مكث الاخر بعده سنة ثم توفي ‏.‏ قال طلحة فرايت في المنام بينا انا عند باب الجنة اذا انا بهما فخرج خارج من الجنة فاذن للذي توفي الاخر منهما ثم خرج فاذن للذي استشهد ثم رجع الى فقال ارجع فانك لم يان لك بعد ‏.‏ فاصبح طلحة يحدث به الناس فعجبوا لذلك فبلغ ذلك رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ وحدثوه الحديث فقال ‏"‏ من اى ذلك تعجبون ‏"‏ فقالوا يا رسول الله هذا كان اشد الرجلين اجتهادا ثم استشهد ودخل هذا الاخر الجنة قبله ‏.‏ فقال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ اليس قد مكث هذا بعده سنة ‏"‏ ‏.‏ قالوا بلى ‏.‏ قال ‏"‏ وادرك رمضان فصامه وصلى كذا وكذا من سجدة في السنة ‏"‏ ‏.‏ قالوا بلى قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ فما بينهما ابعد مما بين السماء والارض ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Talhah bin ‘Ubaidullah that two men from Bali came to the Messenger of Allah (ﷺ). They had become Muslim together, but one of them used to strive harder than the other. The one who used to strive harder went out to fight and was martyred. The other one stayed for a year longer, then he passed away. Talhah said:
“I saw in a dream that I was at the gate of Paradise and I saw them (those two men). Someone came out of Paradise and admitted the one who had died last, then he came out and admitted the one who had been martyred. Then he came back to me and said: ‘Go back, for your time has not yet come.’” The next morning, Talhah told the people of that and they were amazed. News of that reached the Messenger of Allah (ﷺ) and they told him the story. He said: “Why are you so amazed at that?” They said: “O Messenger of Allah, the first one was the one who strove harder, then he was martyred, but the other one was admitted to Paradise before him. The Messenger of Allah (ﷺ) said: “Did he not stay behind for a year?” They said: “Yes.” He said: “And did not Ramadan come and he fasted, and he offered such and such prayers during that year?” They said: “Yes.” The Messenger of Allah (ﷺ) said: “The difference between them is greater than the difference between heaven and earth.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams

পরিচ্ছেদঃ ২৯/১০. স্বপ্নের ব্যাখ্যা

১০/৩৯২৬। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি স্বপ্নে গলায় চাকতি দেখা অপছন্দ করি, কিন্তু আংটা পছন্দ করি। কারণ আংটা অর্থ দীনের উপর অবিচলথাকা।

بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَكْرَهُ الْغُلَّ وَأُحِبُّ الْقَيْدَ الْقَيْدُ ثَبَاتٌ فِي الدِّينِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا علي بن محمد، حدثنا وكيع، حدثنا ابو بكر الهذلي، عن ابن سيرين، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ اكره الغل واحب القيد القيد ثبات في الدين ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I dislike (to see in a dream) a chain around the neck, but I like to see fetters on the feet, for fetters (represent) steadfastness in religion.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
২৯/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা (كتاب تعبير الرؤيا) 29/ Interpretation of Dreams
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে