পরিচ্ছেদঃ ১৯/৬১. মুযদালিফায় অবস্থান
১/৩০২২। ’আমর ইবনে মায়মুন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে হজ্জ করেছি। আমরা যখন মুযদালিফা থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম তখন তিনি বলেন, মুশরিকরা বলতো, হে সাবীর (মুযদালিফার একটি পাহাড়)! উজ্জ্বল হও, আমরা প্রত্যাবর্তন করবো। তারা সূর্য না উঠা পর্যন্ত (মুযদালিফা থেকে) প্রত্যাবর্তন করতো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিপরীত আমল করেন এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে (মিনার উদ্দেশ্যে) রওয়ানা করেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
بَاب الْوُقُوفِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ حَجَجْنَا مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نُفِيضَ، مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ قَالَ إِنَّ الْمُشْرِكِينَ كَانُوا يَقُولُونَ أَشْرِقْ ثَبِيرُ كَيْمَا نُغِيرُ . وَكَانُوا لاَ يُفِيضُونَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَخَالَفَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَفَاضَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ .
It was narrated that ‘Amr bin Maimun said:
“We performed Hajj with ‘Umar bin Khattab, and when we wanted to depart from Muzdalifah, he said: ‘The idolators used to say: “May the sun rise over you, O Thabir!* So that we may begin our journey (to Mina),” and they did not depart until the sun had risen.’ So the Messenger of Allah (ﷺ) differed from them by departing before the sun rose.”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৬১. মুযদালিফায় অবস্থান
২/৩০২৩। জাবির (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জে ধীরেসুস্থে (মুযদালিফা থেকে) রওয়ানা করেন এবং লোকেদেরও শান্তভাবে রওয়ানা হতে বলেন। (মিনায় পৌঁছার পর) তিনি তাদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন ক্ষুদ্র কাঁকর নিক্ষেপ করে। তিনি নিজে (মুযদালিফা ও মিনার মাঝখানে অবস্থিত) ওয়াদী মুহাসসির দ্রুত অতিক্রম করেন এবং বলেনঃ আমার উম্মাত যেন হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শিখে নেয়। কারণ এ বছরের পর হয়তো আমি তাদের সাথে আর মিলিত হতে পারবো না।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الْوُقُوفِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، قَالَ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ قَالَ جَابِرٌ أَفَاضَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَعَلَيْهِ السَّكِينَةُ وَأَمَرَهُمْ بِالسَّكِينَةِ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ وَأَوْضَعَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ . وَقَالَ " لِتَأْخُذْ أُمَّتِي نُسُكَهَا فَإِنِّي لاَ أَدْرِي لَعَلِّي لاَ أَلْقَاهُمْ بَعْدَ عَامِي هَذَا " .
Jabir said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) departed during the Farewell Pilgrimage in a tranquil manner, and he urged them to be tranquil. He told them to throw small pebbles. He hastened through Muhassir Valley, and said: ‘Let my nation learn its rites (of Hajj), for I do not know, perhaps I will not meet them again after this year.’”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৬১. মুযদালিফায় অবস্থান
৩/৩০২৪। বিলাল ইবনে রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। মুযদালিফার দিন ভোরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ হে বিলাল! লোকেদের চুপ করতে বলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ এই মুযদালিফায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি যথেষ্ট অনুগ্রহ করেছেন, তোমাদের উত্তম লোকেদের উসীলায় তোমাদের গুনাহগারদের ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে সৎকর্মশীল ব্যক্তি যা প্রার্থনা করেছে তিনি তাকে তা দিয়েছেন। অতএব তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যাবর্তন করো।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইবনু আবু রাওওয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বলতার দিক থেকে তিনি পরিচিত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন ও মুরজীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৪৭, ১৮/১৩৬ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু সালামাহ আল-হিমসী সম্পর্কে আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৪১১, ৩৩/৩৭৭ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইবনু আবু রাওওয়াদ ও আবু সালামাহ আল-হিমসী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৩ টি খুবই দুর্বল, ৫ টি দুর্বল, ৪ টি হাসান, ৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮৮৩১, মা'রিফাতুস সাহাবাহ ৩০৩৭।
بَاب الْوُقُوفِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ الْحِمْصِيِّ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ رَبَاحٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَهُ غَدَاةَ جَمْعٍ " يَا بِلاَلُ أَسْكِتِ النَّاسَ " . أَوْ " أَنْصِتِ النَّاسَ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ تَطَوَّلَ عَلَيْكُمْ فِي جَمْعِكُمْ هَذَا فَوَهَبَ مُسِيئَكُمْ لِمُحْسِنِكُمْ وَأَعْطَى مُحْسِنَكُمْ مَا سَأَلَ ادْفَعُوا بِاسْمِ اللَّهِ " .
It was narrated from Bilal bin Rabah that the Prophet (ﷺ) said to him, on the morning of Jama’:
“O Bilal, calm the people down,” or “make them be quiet.” Then he said: “Allah has been very gracious to you in this Jam’ of yours. He has forgiven the wrongdoers among you because of the righteous among you, and He has given the righteous among you whatever they ask. Move on in the Name of Allah.”