পরিচ্ছেদঃ ১৯/৫৬. আরাফাতের দোয়া

১/৩০১৩। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ইবনে মিদাস আস-সুলামী (রহঃ) বলেন যে, তার পিতা (কানানা) তাকে অবহিত করেছেন তার পিতা আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাতে তৃতীয় প্রহরে তাঁর উম্মাতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে দোয়া করেন। জবাবে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তাঁকে জানানো হয়ঃ আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম, স্বৈরাচারী যালেম ব্যতীত। কারণ আমি অবশ্যই তার উপর নির্যাতিতের প্রতিশোধ নিবো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে প্রভু! আপনি ইচ্ছা করলে নির্যাতিত ব্যক্তিকে জান্নাত দান করতে এবং যালেমকে ক্ষমা করতে পারেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত এর কোন জবাব পাওয়া গেলো না। ভোরবেলা তিনি মুযদালিফায় পুনরায় উপরোক্ত দোয়া করেন। এবার তাঁর আবেদন কবুল হলো।

রাবী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনন্দের হাসি দিলেন অথবা মুচকি হাসলেন। আবূ বকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক! আপনি এ (হজ্জের) সময় কখনও হাসেননি, আজ কোন্ জিনিস আপনাকে হাসালো? আল্লাহ আপনাকে হাসিমুখে রাখুন। তিনি বলেনঃ আল্লাহর দুশমন ইবলীস যখন জানতে পারলো যে, মহামহিম আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছেন এবং আমার উম্মাতকে ক্ষমা করেছেন, তখন সে গুড়া মাটি তুলে নিজের মাথায় ঢালতে ঢালতে বলতে লাগলো, হায় সর্বনাশ, হায় ধ্বংস। আমি ওর যে অস্থিরতা দেখেছি তা আমাকে হাসিয়েছে।

بَاب الدُّعَاءِ بِعَرَفَةَ

حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ السَّرِيِّ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كِنَانَةَ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيُّ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَعَا لأُمَّتِهِ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ بِالْمَغْفِرَةِ فَأُجِيبَ إِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ مَا خَلاَ الظَّالِمَ فَإِنِّي آخُذُ لِلْمَظْلُومِ مِنْهُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَىْ رَبِّ إِنْ شِئْتَ أَعْطَيْتَ الْمَظْلُومَ مِنَ الْجَنَّةِ وَغَفَرْتَ لِلظَّالِمِ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمْ يُجَبْ عَشِيَّتَهُ فَلَمَّا أَصْبَحَ بِالْمُزْدَلِفَةِ أَعَادَ الدُّعَاءَ فَأُجِيبَ إِلَى مَا سَأَلَ ‏.‏ قَالَ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ أَوْ قَالَ تَبَسَّمَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنَّ هَذِهِ لَسَاعَةٌ مَا كُنْتَ تَضْحَكُ فِيهَا فَمَا الَّذِي أَضْحَكَكَ أَضْحَكَ اللَّهُ سِنَّكَ قَالَ ‏"‏ إِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ إِبْلِيسَ لَمَّا عَلِمَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدِ اسْتَجَابَ دُعَائِي وَغَفَرَ لأُمَّتِي أَخَذَ التُّرَابَ فَجَعَلَ يَحْثُوهُ عَلَى رَأْسِهِ وَيَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُورِ فَأَضْحَكَنِي مَا رَأَيْتُ مِنْ جَزَعِهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ايوب بن محمد الهاشمي، حدثنا عبد القاهر بن السري السلمي، حدثنا عبد الله بن كنانة بن عباس بن مرداس السلمي، ان اباه، اخبره عن ابيه، ان النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ دعا لامته عشية عرفة بالمغفرة فاجيب اني قد غفرت لهم ما خلا الظالم فاني اخذ للمظلوم منه ‏.‏ قال ‏"‏ اى رب ان شىت اعطيت المظلوم من الجنة وغفرت للظالم ‏"‏ ‏.‏ فلم يجب عشيته فلما اصبح بالمزدلفة اعاد الدعاء فاجيب الى ما سال ‏.‏ قال فضحك رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ او قال تبسم ‏.‏ فقال له ابو بكر وعمر بابي انت وامي ان هذه لساعة ما كنت تضحك فيها فما الذي اضحكك اضحك الله سنك قال ‏"‏ ان عدو الله ابليس لما علم ان الله عز وجل قد استجاب دعاىي وغفر لامتي اخذ التراب فجعل يحثوه على راسه ويدعو بالويل والثبور فاضحكني ما رايت من جزعه ‏"‏ ‏.‏


‘Abdullah bin Kinanah bin ‘Abbas bin Mirdas As-Sulami narrated that his father told him, from his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) prayed for forgiveness for his nation one evening at ‘Arafat, and the response came:
“I have forgiven them, except for the wrongdoer, with whom I will settle the score in favor of the one whom he wronged.” He said: “O Lord, if You will, then grant Paradise to the one who is wronged, and forgive the wrongdoer.” No response came (that evening).The next day at Muzdalifah he repeated the supplication, and received a response to what he asked for. He (the narrator) said: “The Messenger of Allah (ﷺ) laughed,” or he said, “He smiled. Abu Bakr and ‘Umar said to him: ‘May my father and mother be ransomed for you, this is not a time when you usually laugh. What made you laugh, may Allah make your years filled with laughter?’ He said: ‘The enemy of Allah, Iblis, when he came to know that Allah answered my prayer and forgiven my nation, took some dust and started to sprinkle it on his head, uttering cries of woe and doom, and what I saw of his anguish made me laugh.’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
১৯/ হজ্জ (كتاب المناسك) 19/ Chapters on Hajj Rituals

পরিচ্ছেদঃ ১৯/৫৬. আরাফাতের দোয়া

২/৩০১৪। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরাফাতের দিন জাহান্নাম থেকে যতো অধিক সংখ্যক বান্দাকে নাজাত দেন, অন্য কোন দিন এতো অধিক বান্দাকে নাজাত দেন না। মহাপ্রতাপশালী আল্লাহ এ দিন (বান্দার) নিকটবর্তী হন, অতঃপর তাদের সম্পর্কে ফেরেশতাদের নিকট গৌরব করে বলেনঃ তারা কী চায়?

بَاب الدُّعَاءِ بِعَرَفَةَ

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الْمِصْرِيُّ أَبُو جَعْفَرٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ يُوسُفَ، يَقُولُ عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهُ لَيَدْنُو عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ يُبَاهِي بِهِمُ الْمَلاَئِكَةَ فَيَقُولُ مَا أَرَادَ هَؤُلاَءِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هارون بن سعيد المصري ابو جعفر، انبانا عبد الله بن وهب، اخبرني مخرمة بن بكير، عن ابيه، قال سمعت يونس بن يوسف، يقول عن ابن المسيب، قال قالت عاىشة ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ ما من يوم اكثر من ان يعتق الله عز وجل فيه عبدا من النار من يوم عرفة وانه ليدنو عز وجل ثم يباهي بهم الملاىكة فيقول ما اراد هولاء ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ibn Musayyab that ‘Aishah said that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“There is no day on which Allah ransoms more slaves from the Fire than the Day of ‘Arafah. He draws closer and closer, then He boasts about them before the angels and says: ‘What do these people want?’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
১৯/ হজ্জ (كتاب المناسك) 19/ Chapters on Hajj Rituals
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে