পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৪. সন্তানের দাবিদার হওয়া সম্পর্কে
১/২৭৪৫। ’আমর ইবনে শু’আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি বাঁদী বা স্বাধীন নারীর সাথে যেনা করলে তার পরিণতিতে যে সন্তান হবে তা জারজ সন্তান। পুরুষ লোকটিও ঐ সন্তানের ওয়ারিস হবে না এবং ঐ সন্তানও পুরুষ লোকটির ওয়ারিস হবে না।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াহইয়া ইবনুল ইয়ামান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হুজ্জাহ ছিলেন না তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৫৩, ৩২৫৫ নং পৃষ্ঠা) ২. মুসান্না ইবনুস সাব্বাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি পূর্ব ইমামদের নিকট দুর্বল। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৭৩, ২৭/২০৩ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي ادِّعَاءِ الْوَلَدِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ عَاهَرَ أَمَةً أَوْ حُرَّةً فَوَلَدُهُ وَلَدُ زِنًا لاَ يَرِثُ وَلاَ يُورَثُ " .
It was narrated from ‘Amr bin Shu’aib, from his father, from his grandfather that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever commits adultery with a slave woman or a free woman, his child is illegitimate, and he cannot inherit from him or be inherited from (i.e., this child cannot inherit from him).”
পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৪. সন্তানের দাবিদার হওয়া সম্পর্কে
২/২৭৪৬। ’আমর ইবনে শু’আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর কোন শিশুকে তার সন্তানরূপে তার সাথে সম্পৃক্ত করা হলো এবং মৃতের ওয়ারিসগণ তার সম্পর্কে এই দাবি করলো, ’’সে আমাদের বংশীয়’’, তার ক্ষেত্রে ফয়সালা এই যে, সে যে দাসীর গর্ভজাত, মালিকের মালিকানায় থাকা অবস্থায় যদি তার সাথে তার সঙ্গম হয়ে থাকে তবে সেই সন্তান যার বলে দাবি করা হচ্ছে তার সাথে সম্পৃক্ত হবে। তবে ইতোপূর্বে (জাহিলী যুগে) যে ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টিত হয়েছে সে তার কিছুই পাবে না। আর যে ওয়ারিসী স্বত্ব এখনও বন্টিত হয়নি তা থেকে সে তার অংশ পাবে।
পক্ষান্তরে তাকে যে পিতার সাথে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, সেই পিতা তাকে অস্বীকার করলে ওয়ারিসগণের দাবির কোন কার্যকারিতা নাই। আর সেই সন্তান যদি তার মালিকানাহীন কোন দাসীর গর্ভজাত হয়ে থাকে অথবা কোন স্বাধীন নারীর সাথে তার যেনার পরিণতিতে হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত সন্তান তার সাথে সম্পৃক্ত হবে না এবং সে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তিও পাবে না, যদিও সে তাকে তার সন্তান বলে দাবি করে। সে হবে জারজ সন্তান। সে তার মায়ের বংশের সাথে সম্পৃক্ত হবে, সে স্বাধীন নারী হোক বা ক্রীতদাসী। রাবী মুহাম্মাদ ইবনে রাশেদ বলেন, এখানে বণ্টনের অর্থ হলোঃ যে ওয়ারিসী স্বত্ব ইসলামের পূর্বে জাহিলী যুগে বণ্টিত হয়েছে।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন রাশীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার হাদিস হাসান। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন, তার কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। শু'বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২০৮, ২৫/১৮৬ নং পৃষ্ঠা) ২. সুলায়মান বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন ফকীহ ছিলেন। আতা বিন আবু রাবাহ বলেন, তিনি শামের যুবকদের নেতা ছিলেন। ইমাম বুখারী তাকে মুনকার বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭১, ১২/৯২ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي ادِّعَاءِ الْوَلَدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ بِلاَلٍ الدِّمَشْقِيُّ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مُسْتَلْحَقٍ اسْتُلْحِقَ بَعْدَ أَبِيهِ الَّذِي يُدْعَى لَهُ ادَّعَاهُ وَرَثَتُهُ مِنْ بَعْدِهِ فَقَضَى أَنَّ مَنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ يَمْلِكُهَا يَوْمَ أَصَابَهَا فَقَدْ لَحِقَ بِمَنِ اسْتَلْحَقَهُ وَلَيْسَ لَهُ فِيمَا قُسِمَ قَبْلَهُ مِنَ الْمِيرَاثِ شَىْءٌ وَمَا أَدْرَكَ مِنْ مِيرَاثٍ لَمْ يُقْسَمْ فَلَهُ نَصِيبُهُ وَلاَ يَلْحَقُ إِذَا كَانَ أَبُوهُ الَّذِي يُدْعَى لَهُ أَنْكَرَهُ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ لاَ يَمْلِكُهَا أَوْ مِنْ حُرَّةٍ عَاهَرَ بِهَا فَإِنَّهُ لاَ يَلْحَقُ وَلاَ يُورَثُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ هُوَ ادَّعَاهُ فَهُوَ وَلَدُ زِنًا لأَهْلِ أُمِّهِ مَنْ كَانُوا حُرَّةً أَوْ أَمَةً " . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ يَعْنِي بِذَلِكَ مَا قُسِمَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَبْلَ الإِسْلاَمِ .
It was narrated from ‘Amr bin Shu’aib, from his father, from his grandfather, that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Every child who is attributed to his father after his father to whom he is attributed has died, and his heirs attributed him to him after he died, he ruled that* whoever was born to a slave woman whom he owned at the time when he had intercourse with her, he should be named after the one to whom he was attributed, but he has no share of any inheritance that was distributed previously. Whatever inheritance he finds has not yet been distributed, he will have a share of it. But he cannot be named after his father if the man whom he claimed as his father did not acknowledge him. If he as born to a slave woman whom his father did not own, or to a free woman with whom he committed adultery, then he cannot be named after him and he does not inherit from him, even if the one whom he claims as his father acknowledges him. So he is an illegitimate child who belongs to his mother’s people, whoever they are, whether she is a free woman or a slave.”