পরিচ্ছেদঃ ১৭/৫. কালালা (পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি)

১/২৭২৬। মা’দান ইবনে আবূ তালহা আল-ই’য়ামুরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) জুমু’আর দিন তাদের উদ্দেশে খুতবা দিতে দাঁড়ালেন এবং খুতবা দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি আমার পরে কালালার চেয়ে গুরুতর কোন বিষয় রেখে যাচ্ছি না। বিষয়টি সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে এতো কঠোর জবাব দেন যে, অন্য কোন বিষয়ে ততো কঠোর জবাব আমাকে দেননি। এমনকি তিনি তাঁর আঙ্গুল দিয়ে আমার উভয় পার্শ্বদেশে অথবা আমার বুকে খোঁচা মারেন, অতঃপর বললেনঃ হে উমার! তোমার জন্য গ্রীষ্মকালে নাযিলকৃত সূরা নিসার শেষ ভাগের আয়াতটিই (৪ঃ ১৭৬) যথেষ্ট।

بَاب الْكَلَالَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمُرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَامَ خَطِيبًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ خَطَبَهُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ إِنِّي وَاللَّهِ مَا أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا هُوَ أَهَمُّ إِلَىَّ مِنْ أَمْرِ الْكَلاَلَةِ وَقَدْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهَا حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي جَنْبِي أَوْ فِي صَدْرِي ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي نَزَلَتْ فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا اسماعيل ابن علية، عن سعيد، عن قتادة، عن سالم بن ابي الجعد، عن معدان بن ابي طلحة اليعمري، ان عمر بن الخطاب، قام خطيبا يوم الجمعة او خطبهم يوم الجمعة فحمد الله واثنى عليه وقال اني والله ما ادع بعدي شيىا هو اهم الى من امر الكلالة وقد سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم فما اغلظ لي في شىء ما اغلظ لي فيها حتى طعن باصبعه في جنبي او في صدري ثم قال ‏ "‏ يا عمر تكفيك اية الصيف التي نزلت في اخر سورة النساء ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ma’dan bin Abu Talhah Al-Ya’muri that ‘Umar bin Khattab stood up to deliver a sermon one Friday, or he addressed them one Friday. He praised and glorified Allah, and said:
“By Allah, I am not leaving behind any problem more difficult than the one who leaves behind an heir. I asked the Messenger of Allah (ﷺ), and he never spoke so harshly to me about anything as he spoke to me about this. He jabbed his finger into my side or my chest and said: ‘O ‘Umar, sufficient for you is the Verse that was revealed in summer, at the end of Surat An-Nisa’.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
১৭/ ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন (كتاب الفرائض) 17/ Chapters on Shares of Inheritance

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৫. কালালা (পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি)

২/২৭২৭। মুররা ইবনে শুরাহবীল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বললেন, তিনটি বিষয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিলে তা আমার জন্য দুনিয়া ও তার মধ্যেকার সব কিছুর চেয়ে প্রিয়তর হতো। তা হলোঃ কালালা, সূদ এবং খিলাফত।

بَاب الْكَلَالَةِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ بْنِ شَرَاحِيلَ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثَلاَثٌ لأَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيَّنَهُنَّ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا الْكَلاَلَةُ وَالرِّبَا وَالْخِلاَفَةُ ‏.‏

حدثنا علي بن محمد، وابو بكر بن ابي شيبة قالا حدثنا وكيع، حدثنا سفيان، حدثنا عمرو بن مرة، عن مرة بن شراحيل، قال قال عمر بن الخطاب ثلاث لان يكون رسول الله صلى الله عليه وسلم بينهن احب الى من الدنيا وما فيها الكلالة والربا والخلافة ‏.‏


‘Umar bin Khattab said:
“There are three things, if the Messenger of Allah (ﷺ) had clarified them, that would have been dearer to me than the world and everything in it: a person who leaves behind no heir, usury, and the caliphate.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
১৭/ ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন (كتاب الفرائض) 17/ Chapters on Shares of Inheritance

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৫. কালালা (পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি)

৩/২৭২৮। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাঃ) -কে সাথে নিয়ে পদব্রজে আমাকে দেখতে এলেন। আমি বেহুঁশ হয়ে পড়লাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযু করলেন, অতঃপর তাঁর উযুর পানি আমার গায়ে ছিটিয়ে দিলেন। (হুঁশ ফিরে এলে) আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার সম্পদের ব্যাপারে কী করবো, আমি এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিবো? শেষভাগে মীরাছের আয়াত নাযিল হলো (অনুবাদ) ’’লোকে তোমার নিকট ব্যবস্থা জানতে চায়। বলো, পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলে এবং তার এক বোন থাকলে তার জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ এবং সে (বোন) নিঃসন্তান হলে তার ভাই তার ওয়ারিস হবে। আর দু’ বোন থাকলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ তাদের প্রাপ্য। আর ভাই-বোন থাকলে এক পুরুষের অংশ দু’ নারীর অংশের সমান। তোমরা যাতে পথভ্রষ্ট না হও সেজন্য আল্লাহ তোমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত’’ (সূরা নিসাঃ ১৭৬)।

بَاب الْكَلَالَةِ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ مَرِضْتُ فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ مَعَهُ وَهُمَا مَاشِيَانِ وَقَدْ أُغْمِيَ عَلَىَّ فَتَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَبَّ عَلَىَّ مِنْ وَضُوئِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَصْنَعُ كَيْفَ أَقْضِي فِي مَالِي حَتَّى نَزَلَتْ آيَةُ الْمِيرَاثِ فِي آخِرِ النِّسَاءِ ‏(وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلاَلَةً‏)‏ الآيَةَ وَ ‏(يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلاَلَةِ)‏ الآيَةَ ‏.‏

حدثنا هشام بن عمار، حدثنا سفيان، عن محمد بن المنكدر، سمع جابر بن عبد الله، يقول مرضت فاتاني رسول الله صلى الله عليه وسلم يعودني هو وابو بكر معه وهما ماشيان وقد اغمي على فتوضا رسول الله صلى الله عليه وسلم فصب على من وضوىه فقلت يا رسول الله كيف اصنع كيف اقضي في مالي حتى نزلت اية الميراث في اخر النساء ‏(وان كان رجل يورث كلالة‏)‏ الاية و ‏(يستفتونك قل الله يفتيكم في الكلالة)‏ الاية ‏.‏


It was narrated from Muhammad bin Munkadir that he heard Jabir bin ‘Abdullah say:
“I fell sick and the Messenger of Allah (ﷺ) came to visit me, he and Abu Bakr with him, and they came walking. I had lost consciousness, so the Messenger of Allah (ﷺ) performed ablution and poured some of the water of his ablution over me. I said: ‘O Messenger of Allah, what should I do? How should I decide about my wealth?’ Until the Verse of inheritance was revealed at the end of An-Nisa’: “If the man or woman whose inheritance is in question has left neither ascendants or descendents.” [4:12] And: “They ask you for a legal verdict. Say: ‘Allah directs (thus) about those who leave neither descendants nor ascendants as heirs.’” [4:176]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
১৭/ ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন (كتاب الفرائض) 17/ Chapters on Shares of Inheritance
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে