পরিচ্ছেদঃ ১৭/২. ওরসজাত সন্তানের ওয়ারিসী স্বত্ব
১/২৭২০। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাদ ইবনুর রাবী (রাঃ) এর স্ত্রী সা’দের দু’ কন্যাসহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরা দু’জন সা’দ (রাঃ) এর কন্যা, যিনি আপনার সাথে উহুদের যুদ্ধে শরীক হয়ে শহীদ হয়েছেন। এদের পিতার পরিত্যক্ত সমস্ত মাল এদের চাচা দখল করে নিয়েছে। মেয়েদের সম্পদ না থাকলে তাদের বিবাহ দেয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করে রইলেন। শেষে উত্তরাধিকার স্বত্ব সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা’দ ইবনুর রাবী’র ভাইকে ডেকে এনে বলেনঃ সা’দের কন্যাদ্বয়কে তার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ দাও, তার স্ত্রীকে এক-অষ্টমাংশ দাও, অবশিষ্ট যা থাকে তা তুমি নাও।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আকীল সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন কর যায়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় শিথিল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৪৩, ১৬/৭৮ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فَرَائِضِ الصُّلْبِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةُ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ بِابْنَتَىْ سَعْدٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَاتَانِ ابْنَتَا سَعْدٍ قُتِلَ مَعَكَ يَوْمَ أُحُدٍ وَإِنَّ عَمَّهُمَا أَخَذَ جَمِيعَ مَا تَرَكَ أَبُوهُمَا وَإِنَّ الْمَرْأَةَ لاَ تُنْكَحُ إِلاَّ عَلَى مَالِهَا . فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أُنْزِلَتْ آيَةُ الْمِيرَاثِ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَا سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ فَقَالَ " أَعْطِ ابْنَتَىْ سَعْدٍ ثُلُثَىْ مَالِهِ وَأَعْطِ امْرَأَتَهُ الثُّمُنَ وَخُذْ أَنْتَ مَا بَقِيَ " .
It was narrated that Jabir bin ‘Abdullah said:
“The wife of Sa’d bin Rabi’ came with the two daughters of Sa’d to the Prophet (ﷺ) and said: ‘O Messenger of Allah, these are the two daughters of Sa’d. He was killed with you on the day of Uhud, and their paternal uncle has taken all that their father left behind, and a woman is only married for her wealth.’ The Prophet (ﷺ) remained silent until the Verse of inheritance was revealed to him. Then the Messenger of Allah (ﷺ) called the brother of Sa’d bin Rabi’ and said: ‘Give the two daughters of Sa’d two thirds of his wealth, and give his wife on eighth, and take what is left.’”
পরিচ্ছেদঃ ১৭/২. ওরসজাত সন্তানের ওয়ারিসী স্বত্ব
২/২৭২১। হুযাইল ইবনে শুরাহবীল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আবূ মূসা আশআরী ও সালমান ইবনে রাবীআ আল-বাহিলী (রাঃ) -এর কাছে এসে এক কন্যা, এক পৌত্রী ও এক সহোদর বোনের ওয়ারিসী স্বত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। তারা বলেন, কন্যা পারে অর্ধেক এবং যা অবশিষ্ট থাকবে তা পাবে বোন। তুমি ইবনে মাসউদের নিকট যাও। তিনিও হয়তো আমাদের সাথে একমত হবেন। অতঃপর লোকটি ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো এবং তারা যা বলেছিলেন তাও তাকে অবহিত করলো। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, তাহলে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাবো এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকবো না। এ ব্যাপারে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুরূপ ফায়সালাই দিবো। কন্যা পাবে অর্ধাংশ এবং পৌত্রী পাবে এক-ষষ্ঠাংশ। এভাবে উভয়ের অংশ মিলে দুই-তৃতীয়াংশ পূর্ণ হবে। অবশিষ্ট যা থাকবে তা পাবে বোন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু কায়স আল-আওদী সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৭৮, ১৭/২০ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فَرَائِضِ الصُّلْبِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ الأَوْدِيِّ، عَنِ الْهُزَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ وَسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ الْبَاهِلِيِّ فَسَأَلَهُمَا عَنِ ابْنَةٍ وَابْنَةِ ابْنٍ وَأُخْتٍ، لأَبٍ وَأُمٍّ فَقَالاَ لِلاِبْنَةِ النِّصْفُ وَمَا بَقِيَ فَلِلأُخْتِ وَائْتِ ابْنَ مَسْعُودٍ فَسَيُتَابِعُنَا . فَأَتَى الرَّجُلُ ابْنَ مَسْعُودٍ فَسَأَلَهُ وَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالاَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَدْ ضَلَلْتُ إِذًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُهْتَدِينَ وَلَكِنِّي سَأَقْضِي بِمَا قَضَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلاِبْنَةِ النِّصْفُ وَلاِبْنَةِ الاِبْنِ السُّدُسُ تَكْمِلَةَ الثُّلُثَيْنِ وَمَا بَقِيَ فَلِلأُخْتِ .
It was narrated that Huzail bin Shurahbil said:
“A man came to Abu Musa Al-Ash’ari and Salman bin Rabi’ah Al-Bahili and asked them about (the shares of) a daughter, a son’s daughter, a sister through one’s father and mother. They said: ‘The daughter gets one half, and what is left goes to the sister. Go to Ibn Mas’ud, for he will concur with what we say.’ So the man went to Ibn Mas’ud, and told him what they had said. ‘Abdullah said: ‘I will go astray and will not be guided (if I say that I agree); but I will judge as the Messenger of Allah (ﷺ) judged. The daughter gets one half, and the son’s daughter gets one- sixth. That makes two thirds. And what is left goes to the sister.’”