পরিচ্ছেদঃ ১৫/২. ঈমানদার মুসলিমের হত্যাকারীর তওবা কবুল হবে কি?
১/২৬২১। সালিম ইবনে আবুল জাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে কোন ঈমানদার মুসলিমকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলো, অতঃপর তওবা করলো, ঈমান আনলো (ইসলাম গ্রহণ করলো), সৎকাজ করলো, অতঃপর হেদায়াত মত চললো। তিনি বলেন, আফসোস তার জন্য! কোথায় তার জন্য হেদায়াত? আমি তোমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন হত্যাকারী তার মাথার সাথে নিহত ব্যক্তির মাথা লটকানো অবস্থায় উপস্থিত হবে। নিহত ব্যক্তি বলবে, হে প্রভু! তাকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেন আমাকে হত্যা করেছে? আল্লাহর শপথ! অবশ্যি আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের নবীর উপর এ কথা নাযিল করেছেন এবং অতঃপর এমন কিছু নাযিল করেননি যা উক্ত কথাকে রহিত করতে পারে।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب هَلْ لِقَاتِلِ مُؤْمِنٍ تَوْبَةٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَمَّنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا ثُمَّ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى . قَالَ وَيْحَهُ وَأَنَّى لَهُ الْهُدَى سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَجِيءُ الْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُتَعَلِّقٌ بِرَأْسِ صَاحِبِهِ يَقُولُ رَبِّ سَلْ هَذَا لِمَ قَتَلَنِي " . وَاللَّهِ لَقَدْ أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَبِيِّكُمْ ثُمَّ مَا نَسَخَهَا بَعْدَ مَا أَنْزَلَهَا .
It was narrated that Salim bin Abu Jad said:
“Ibn Abbas was asked about one who kills a believer deliberately, then repents, believes, does righteous deeds and follows true guidance. He said: 'Woe to him can there be any guidance for him? I heard your Prophet (ﷺ) say: “The killer and his victim will be brought on the day of Resurrection, with slain holding onto the head of his killer, saying: 'O Lord, ask this one, why did he kill me?” By Allah (SWT), Allah (SWT) the Mighty and Sublime revealed it to your Prophet (ﷺ) then He did not abrogate it after He revealed it.”
পরিচ্ছেদঃ ১৫/২. ঈমানদার মুসলিমের হত্যাকারীর তওবা কবুল হবে কি?
২/২৬২২। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখে শুনেছি এবং যা আমার দু’ কান শুনেছে এবং আমার অন্তর যা সংরক্ষণ করেছে তা কি তোমাদেরকে অবহিত করবো না? এক বান্দা নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। এরপর তার তওবা করার খেয়াল হলে সে জানতে চাইলো যে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় আলেম কে? তাকে একটি লোক সম্পর্কে অবহিত করা হলো। সে তার কাছে এসে বললো, আমি নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করেছি, আমার জন্য কি তওবার কোন সুযোগ আছে? লোকটি বললো, নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করার পর (এখন আবার তওবা)!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন সে তার তরবারি কোষমুক্ত করে তাকে হত্যা করলো এবং তার দ্বারা এক শতজন পূর্ণ করলো। পুনরায় তার তওবার খেয়াল হলে সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আলেম ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলো। তাকে এক লোক সম্পর্কে বলা হলে সে তার নিকট গিয়ে বললো, আমি একশত ব্যক্তিকে হত্যা করেছি, আমার জন্য কি তওবার কোন সুযোগ আছে?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই লোকটি বললো, তোমার জন্য আফসোস! তোমার এবং তওবার মধ্যে কে প্রতিবন্ধক হতে পারে? তুমি যে নিকৃষ্ট জনপদে আছো সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে উত্তম জনপদে, অমুক অমুক জনপদে যাও। সেখানে গিয়ে তোমার রবের ইবাদত করো। অতঃপর সে সেই উত্তম জনপদের উদ্দেশে যাত্রা করলো। পথিমধ্যে তার মৃত্যু এসে উপস্থিত হলো। তখন তার ব্যাপারে রহমতের ফেরেশতা ও আযাবের ফেরেশতা বিবাদে লিপ্ত হলো। ইবলীস বললো, আমিই তার উপযুক্ত হকদার। সে মুহূর্তের জন্যও আমার অবাধ্য হয়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ রহমতের ফেরেশতা বললেন, সে অনুতপ্ত হয়ে যাত্রা করেছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন মহামহিম আল্লাহ একজন ফেরেশতা পাঠান। উভয় ফেরেশতা তার কাছে মামলা রুজু করলেন। মীমাংসাকারী ফেরেশতা বললেন, তোমরা দেখো, উভয় জনপদের যেটি তার নিকটবর্তী তাকে সেই জনপদের অন্তর্ভুক্ত করো।
কাতাদা (রাঃ) বলেন, হাসান (রাঃ) আমাদের নিকট একথাও বর্ণনা করেছেন যে, তার মৃত্যু এসে গেলে সে হামাগুড়ি দিয়ে উত্তম জনপদের নিকটবর্তী হয়ে গেলো এবং নিকৃষ্ট জনপদ থেকে দূরে সরে গেলো। তাই ফেরেশতাগণ তাকে উত্তম জনপদের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।
৩/২৬২২(১)। আবুল আব্বাস ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ইসমাঈল আল-বাগদাদী-আফ্ফান-হাম্মাম (রাঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
তাহকীক আলবানীঃ "তার মৃত্যু এসে গেলে সে হামাগুড়ি দিয়ে উত্তম জনপদের নিকটবর্তী হয়ে গেলো এবং নিকৃষ্ট জনপদ থেকে দূরে সরে গেলো। তাই ফেরেশতাগণ তাকে উত্তম জনপদের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। " এ বাক্য ব্যাতিত সহীহ। কারণ বাক্যটি হাসান।
بَاب هَلْ لِقَاتِلِ مُؤْمِنٍ تَوْبَةٌ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَنْبَأَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ فِي رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي إِنَّ عَبْدًا قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا ثُمَّ عَرَضَتْ لَهُ التَّوْبَةُ فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي قَتَلْتُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ قَالَ بَعْدَ تِسْعَةٍ وَتِسْعِينَ نَفْسًا قَالَ فَانْتَضَى سَيْفَهُ فَقَتَلَهُ فَأَكْمَلَ بِهِ الْمِائَةَ ثُمَّ عَرَضَتْ لَهُ التَّوْبَةُ فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي قَتَلْتُ مِائَةَ نَفْسٍ فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ فَقَالَ وَيْحَكَ وَمَنْ يَحُولُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ التَّوْبَةِ اخْرُجْ مِنْ الْقَرْيَةِ الْخَبِيثَةِ الَّتِي أَنْتَ فِيهَا إِلَى الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ قَرْيَةِ كَذَا وَكَذَا فَاعْبُدْ رَبَّكَ فِيهَا فَخَرَجَ يُرِيدُ الْقَرْيَةَ الصَّالِحَةَ فَعَرَضَ لَهُ أَجَلُهُ فِي الطَّرِيقِ فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ قَالَ إِبْلِيسُ أَنَا أَوْلَى بِهِ إِنَّهُ لَمْ يَعْصِنِي سَاعَةً قَطُّ قَالَ فَقَالَتْ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ إِنَّهُ خَرَجَ تَائِبًا
قَالَ هَمَّامٌ فَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ فَبَعَثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَلَكًا فَاخْتَصَمُوا إِلَيْهِ ثُمَّ رَجَعُوا فَقَالَ انْظُرُوا أَيَّ الْقَرْيَتَيْنِ كَانَتْ أَقْرَبَ فَأَلْحِقُوهُ بِأَهْلِهَا قَالَ قَتَادَةُ فَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ احْتَفَزَ بِنَفْسِهِ فَقَرُبَ مِنْ الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ وَبَاعَدَ مِنْهُ الْقَرْيَةَ الْخَبِيثَةَ فَأَلْحَقُوهُ بِأَهْلِ الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ إِسْمَعِيلَ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ فَذَكَرَ نَحْوَهُ
It was narrated that Abu Sa'eed Al Khudri said:
“Shall I not tell you what I heard directly from the Messenger of Allah (ﷺ)? I heard it and memorized it: 'A man killed ninety-nine people, then the idea of repentance occurred to him. He asked who was the most knowledgeable of people on earth, and he was told of a man so he went to him and said: “I have killed ninety-nine people. Can I repent?” He said: “After ninety-nine people?!” He said: 'So he drew his sword and killed him, thus completing one hundred. Then the idea of repentance occurred to him (again), so he asked who was the most knowledgeable of people, and he was told of a man (so he went to him) and said: “I have killed one hundred people. Can I repent?” He said: “Woe to you, what is stopping you from repenting? Leave the evil town where you are living and go to a good town, such and such town and worship your Lord there.” So he went out, heading for the good town, but death came to him on the road. The angels of mercy and angels of punishment argued over him. Iblis (Satan) said: “I have more right to him, for he never disobeyed me for a moment.” But the angels of mercy said: “He went out repenting.” (One of the narrators) Hammam said: “Humaid At-Tawil narrated to me from Bakr bin Abdullah that Abu Rafi said: 'So Allah (SWT) sent an angel to whom they referred (the case). He said: “Look and see which of the two towns was he closer, and put him with its people.” (One of the narrators) Qatadah said: “Hasan narrated to us: 'When death came to him he strove and drew closer to the good town, and farther away from the evil town, so they put him with the people of the good town.”