পরিচ্ছেদঃ ৫/১৯৬. বাইতুল মাকদিস মসজিদে সালাত পড়ার ফযীলত।
১/১৪০৭। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তদাসী মায়মূনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! বাইতুল মাকদিস সম্পর্কে আমাকে ফাতওয়া দিন। তিনি বলেনঃ এটা হাশরের মাঠ এবং সকলের একত্র হওয়ার ময়দান। তোমরা তাতে সালাত (নামায/নামাজ) পড়ো। কেননা সেখানে এক ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) পড়া অন্যান্য স্থানের তুলনায় এক হাজার গুণ উত্তম। আমি বললাম, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি সেখানে যেতে সমর্থ না হই? তিনি বলেনঃ তুমি তাতে বাতি জ্বালানোর জন্য যায়তুন তৈল হাদিয়া পাঠাও। যে ব্যক্তি তা করলো, সে যেন সেখানে উপস্থিত হলো।
তাহক্বীক্ব আলবানী: মুনকার। তাখরীজ আলবানী: যঈফ আবী দাউদ ৬৮। উক্ত হাদিসের রাবী উসমান বিন আবু সাওদাহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।
بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ فِي مَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي سَوْدَةَ، عَنْ أَخِيهِ، عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سَوْدَةَ عَنْ مَيْمُونَةَ، مَوْلاَةِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفْتِنَا فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ . قَالَ " أَرْضُ الْمَحْشَرِ وَالْمَنْشَرِ ائْتُوهُ فَصَلُّوا فِيهِ فَإِنَّ صَلاَةً فِيهِ كَأَلْفِ صَلاَةٍ فِي غَيْرِهِ " . قُلْتُ أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ أَتَحَمَّلَ إِلَيْهِ قَالَ " فَتُهْدِي لَهُ زَيْتًا يُسْرَجُ فِيهِ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَهُوَ كَمَنْ أَتَاهُ " .
It was narrated that Maimunah the freed (female) slave of the Prophet (ﷺ) said:
I said: “O Messenger of Allah, tell us about Baitil- Maqdis.” He said: “It is the land of the Resurrection and the Gathering. Go and pray there, for one prayer there is like one thousand prayers elsewhere.” I said: “What if I cannot travel and go there?” He said: “Then send a gift of oil to light its lamps, for whoever does that is like one who goes there.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৯৬. বাইতুল মাকদিস মসজিদে সালাত পড়ার ফযীলত।
২/১৪০৮। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সুলাইমান ইবনু দাঊদ (আলাইহিস সালাম) বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ কাজ শেষ করে আল্লাহ্র কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেনঃ আল্লাহ্র হুকুমমত সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হবে না এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মাকদিসে কেবলমাত্র সালাত (নামায/নামাজ) পড়ার জন্য আসবে, তার গুনাহ যেন তার থেকে বের হয়ে যায় তার মা তাকে প্রসব করার দিনের মত। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: প্রথম দুটি তাঁকে দান করা হযেছে এবং আমি আশা করি তৃতীয়টিও তাঁকে দান করা হবে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ১৩৭।
بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ فِي مَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَهْمِ الأَنْمَاطِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ السَّيْبَانِيِّ، يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الدَّيْلَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لَمَّا فَرَغَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ مِنْ بِنَاءِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَأَلَ اللَّهَ ثَلاَثًا حُكْمًا يُصَادِفُ حُكْمَهُ وَمُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ وَأَلاَّ يَأْتِيَ هَذَا الْمَسْجِدَ أَحَدٌ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ فِيهِ إِلاَّ خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " . فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَمَّا اثْنَتَانِ فَقَدْ أُعْطِيَهُمَا وَأَرْجُو أَنْ يَكُونَ قَدْ أُعْطِيَ الثَّالِثَةَ " .
It was narrated from ‘Abdullah bin ‘Amr that the Prophet (ﷺ) said:
“When Sulaiman bin Dawud finished building Baitil-Maqdis, he asked Allah for three things: judgment that was in harmony with His judgment, a dominion that no one after him would have, and that no one should come to this mosque, intending only to pray there, but he would emerge free of sin as the day his mother bore him.” The Prophet (ﷺ) said: “Two prayers were granted, and I hope that the third was also granted.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৯৬. বাইতুল মাকদিস মসজিদে সালাত পড়ার ফযীলত।
৩/১৪০৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের উদ্দেশে) তিনটি মাসজিদ ব্যতীত আর কোথাও সফর করা যাবে নাঃ মাসজিদুল হারাম, আমার এই মাসজিদ এবং মাসজিদুল আকসা।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭৭৩, ৯৭০।
بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ فِي مَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِي هَذَا وَالْمَسْجِدِ الأَقْصَى " .
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“No one should prepare a mount (travel) to visit any mosque except three: the Sacred Mosque, this mosque of mine, and Aqsa Mosque.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৯৬. বাইতুল মাকদিস মসজিদে সালাত পড়ার ফযীলত।
৪/১৪১০। আবূ সাঈদ ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিনটি মাসজিদ ব্যতীত আর কোথাও (আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের আশায়) সফর করা যাবে না। মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুল আকসা এবং আমার এই মসজিদের দিকে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৩১-২৩৫, ১৪৩।
بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ فِي مَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى وَإِلَى مَسْجِدِي هَذَا " .
It was narrated from Abu Sa’eed and ‘Abdullah bin ‘Amr bin ‘As that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Do not prepare a mount (travel) to visit any mosque except three: the Sacred Mosque, Aqsa Mosque, and this mosque of mine.”