পরিচ্ছেদঃ ৫/১৯০. সালাতুত তাসবীহ
১/১৩৮৬। আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিন বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্বাস (রাঃ) কে বললেনঃ হে চাচাজান! আমি কি আপনার অবাধ্য হতে বিরত থাকবো না, আমি কি আপনার উপকার করবো না, আমি কি আপনার সাথে আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবো না? তিনি বলেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি বলেনঃ তাহলে আপনি চার রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) পড়ুন। আপনি প্রতি রাকআতে সূরাহ ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরাও পড়ুন। আপনি কিরাআত পাঠ শেষে রুকূ করার আগে পনের বার বলুনঃ আল্লাহ পুতঃ পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ মহান।
অতঃপর রুকূতে গিয়ে ঐ দুআ দশবার পড়ুন, অতঃপর রুকূ থেকে আপনার মাথা তুলে ঐ দুআ দশবার পড়ুন, অতঃপর সিজদায় গিয়ে ঐ দুআ দশবার পড়ুন, অতঃপর আপনার মাথা তুলে দশবার ঐ দুআ পড়ুন, পুনরায় সিজদায় গিয়ে তা দশবার পড়ুন, পুনরায় সিজদা থেকে আপনার মাথা তুলে উঠে দাঁড়ানোর আগে তা দশবার পড়ুন। এভাবে প্রতি রাকআতে তা পঁচাত্তর বার এবং চার রাকআতে তিন শতবার হবে। আপনার পাপরাশি বালুর স্তুপের সম-পরিমাণ হলেও আল্লাহ তা মাফ করবেন।
আব্বাস (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! প্রতি দিন এ সালাত পড়ার সামর্থ্য কার আছে? তিনি বলেনঃ তাহলে প্রতি জুমুআহর দিন তা পড়ুন। তাতেও সমর্থ না হলে প্রতি মাসে একবার পড়ুন। অবশেষে তিনি বলেনঃ তাহলে অন্তত বছরে একবার তা পড়ুন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২২৮, ১৩২৯, সহীহ তারগীব ৬৭৮।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ التَّسْبِيحِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو عِيسَى الْمَسْرُوقِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِلْعَبَّاسِ " يَا عَمِّ أَلاَ أَحْبُوكَ أَلاَ أَنْفَعُكَ أَلاَ أَصِلُكَ " قَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " تُصَلِّي أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ فَإِذَا انْقَضَتِ الْقِرَاءَةُ فَقُلْ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً قَبْلَ أَنْ تَرْكَعَ ثُمَّ ارْكَعْ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ اسْجُدْ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ اسْجُدْ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ فَقُلْهَا عَشْرًا قَبْلَ أَنْ تَقُومَ فَتِلْكَ خَمْسٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَهِيَ ثَلاَثُمِائَةٍ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ فَلَوْ كَانَتْ ذُنُوبُكَ مِثْلَ رَمْلِ عَالِجٍ غَفَرَهَا اللَّهُ لَكَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ يَقُولُهَا فِي يَوْمٍ قَالَ " قُلْهَا فِي جُمُعَةٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُلْهَا فِي شَهْرٍ " . حَتَّى قَالَ " فَقُلْهَا فِي سَنَةٍ " .
It was narrated that Abu Rafi’ said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said to ‘Abbas: ‘O uncle, shall I not give you a gift, shall I not benefit you, shall I not uphold my ties of kinship with you?’ He said: ‘Of course, O Messenger of Allah.’ He said: ‘Pray four Rak’ah, and recite in each Rak’ah the Opening of the Book (Al-Fatihah) and a Surah. When you have finished reciting, say: Subhan-Allah wal-hamdu Lillah wa la ilaha illallah wa Allahu Akbar (Glory is to Allah, praise is to Allah, none has the right to be worshipped but Allah and Allah is the Most Great) fifteen times before you bow in Ruku’. Then bow and say it ten times; then raise your head and say it ten times; then prostrate and say it ten times; then raise your head and say it ten times; then prostrate and say it ten times; then raise your head and say it ten times before you stand up. That wil be seventy-five times in each Rak’ah and three hundred times in the four Rak’ah, and even if your sins are like the grains of sand, Allah will forgive you for them.’ He said: ‘O Messenger of Allah, what if someone cannot say it in one day?’ He said: ‘Then say it once in a week; if you cannot, then say it once in a month’ until he said: ‘Once in a year.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৯০. সালাতুত তাসবীহ
২/১৩৮৭। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্বাস (রাঃ) ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) কে বললেনঃ হে আব্বাস! হে প্রিয় চাচাজান! আমি কি আপনাকে কিছু দান করবো না, আমি কি আপনার সাথে আত্নীয় সম্পর্ক বজায় রাখবো না, আমি কি আপনার অবাধ্য হতে বিরত থাকবো না, আমি কি আপনাকে এমন কলেমা বলে দিব না, যা পড়লে আল্লাহ আপনার আগের-পরের, নতুন-পুরান, ভুলক্রমে, স্বেচ্ছায়, ছোট-বড়, গোপন-প্রকাশ্য সব ধরনের গুনাহ মাফ করে দিবেন? সেই দশটি কলেমা হলোঃ
আপনি চার রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) পড়ুন এবং তার প্রতি রাকআতে সুরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরাহ পড়ুন। প্রথম রাকআতের কিরাআত পাঠ শেষ হলে দাঁড়ানো অবস্থায় আপনি পনের বার বলুনঃ
আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান। অতঃপর আপনি রুকূ করুন এবং রুকূ অবস্থায় তা দশবার বলুন, অতঃপর রুকূ থেকে আপনার মাথা তুলে তা দশবার বলুন। অতঃপর আপনি সিজদায় যান এবং সিজদাবনত অবস্থায় তা দশবার বলুন, অতঃপর সিজদা থেকে আপনার মাথা তুলে তা দশবার বলুন, অতঃপর সিজদায় গিয়ে আবার তা দশবার বলুন, অতঃপর সিজদা থেকে আপনার মাথা তুলে তা দশবার বলুন। এভাবে তা প্রতি রাকআতে পঁচাত্তর বার হলো।
এ নিয়মে আপনি চার রাকআত সালাত পড়ুন। আপনি প্রতিদিন একবার এ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে সক্ষম হলে তাই করুন। আপনি তাতে সক্ষম না হলে প্রতি সপ্তাহে তা একবার পড়ুন। আপনি তাতেও সক্ষম না হলে প্রতি মাসে তা একবার পড়ুন। আপনি তাতেও সক্ষম না হলে অন্তত জীবনে তা একবার পড়ুন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত, ১৩২৮, তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১২১৬, সহীহ আবী দাউদ ১১৭৩। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন উবায়দাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ২. সুওয়ায়াদ বিন আবু সাঈদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ التَّسْبِيحِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْحَكَمِ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ " يَا عَبَّاسُ يَا عَمَّاهُ أَلاَ أُعْطِيكَ أَلاَ أَمْنَحُكَ أَلاَ أَحْبُوكَ أَلاَ أَفْعَلُ لَكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَقَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ وَخَطَأَهُ وَعَمْدَهُ وَصَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ وَسِرَّهُ وَعَلاَنِيَتَهُ عَشْرُ خِصَالٍ أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ قُلْتَ وَأَنْتَ قَائِمٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُ وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ تَفْعَلُ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمُرِكَ مَرَّةً " .
It was narrated that Ibn ‘Abbas said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said to ‘Abbas bin ‘Abdul-Muttalib: ‘O ‘Abbas, O my uncle, shall I not give you a gift, shall I not give you something, shall I not tell you of something which, if you do it, will expiate for ten types of sins? If you do them, Allah will forgive you your sins, the first and the last of them, the old and the new, the unintentional and the deliberate, the minor and the major, the secret and the open, ten types of sin. Pray four Rak’ah, and recite in each Rak’ah the Opening of the Book (Al-Fatihah) and a Surah. When you have finished reciting in the first Rak’ah, while you are standing, say: Subhan-Allah wal- hamdu Lillah wa la ilaha illallah wa Allahu Akbar (Glory if to Allah, praise is to Allah, none has the right to be worshipped but Allah and Allah is the Most Great) fifteen times. Then bow and say it ten times while you are bowing. Then raise your head from Ruku’ and say it ten times. Then go into prostration and say it ten times while you are prostrating. Then raise your head from prostration and say it ten times. Then prostrate and say it ten times. Then raise your head from prostration and say it ten times. That will be seventy-five times in each Rak’ah. Do that in all four Rak’ah. If you can pray it once each day then do so. If you cannot, then once each week; if you cannot, then once each month. If you cannot, then once in your lifetime.’”