পরিচ্ছেদঃ ৫/১৭৮. কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব।
১/১৩৪৫। আওস ইবনু হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ছাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট আসলাম। তারা তাদের মিত্র বনু মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাঃ) এর মেহমান হলেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ মালেকের তাঁবুতে অবস্থান করেন। তিনি প্রতি রাতে এশা সালাতের পর আমাদের নিকট আসতেন এবং তাঁর দু পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলতেন। তিনি কখনো এক পায়ের উপর ভর করে আবার কখনো উভয় পায়ের উপর ভর করে কথাবার্তা বলতেন।
তিনি অধিকাংশই আমাদের কাছে তাঁর নিজ গোত্র কুরায়শদের নির্মম আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করতেন এবং বলতেনঃ এ কথা বলতে কোন দোষ নেই যে, আমরা ছিলাম দুর্বল ও লাঞ্ছিত। আমরা যখন মদিনার দিকে বেরিয়ে এলাম, তখন আমাদের ও তাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। কখনো আমরা তাদের উপর বিজয়ী হতাম, আবার কখনো তারা আমাদের উপর জয়লাভ করতো।
এক রাতে তিনি তার পূর্ব নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে আমাদের নিকট এলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আজ রাতে আপনি আমাদের নিকট বিলম্বে এসেছেন! তিনি বলেনঃ আমার কুরআনের কিছু তিলাওয়াত বাকী থাকায়, তা তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত বের হওয়া অপছন্দ করলাম।
আওস (রহ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কিভাবে কুরআনের অংশ নির্দিষ্ট করে তিলাওয়াত করতেন? তারা বলেন, প্রথম দিন তিন সূরা, দ্বিতীয় দিন পাঁচ সূরা, তৃতীয় দিন সাত সূরা, চতুর্থ দিন নয় সূরা, পঞ্চম দিন এগার সূরা, ষষ্ঠ দিন তের সূরাহ এবং সপ্তম দিন হিযবুল মুফাসসাল হতে শেষ অংশ।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ আবী দাউদ ২৪৬। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল-আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন।
بَاب فِي كَمْ يُسْتَحَبُّ يُخْتَمُ الْقُرْآنُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى الطَّائِفِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ جَدِّهِ، أَوْسِ بْنِ حُذَيْفَةَ قَالَ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ فَنَزَّلُوا الأَحْلاَفَ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَنِي مَالِكٍ فِي قُبَّةٍ لَهُ فَكَانَ يَأْتِينَا كُلَّ لَيْلَةٍ بَعْدَ الْعِشَاءِ فَيُحَدِّثُنَا قَائِمًا عَلَى رِجْلَيْهِ حَتَّى يُرَاوِحَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ وَأَكْثَرُ مَا يُحَدِّثُنَا مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ وَيَقُولُ " وَلاَ سَوَاءَ كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ مُسْتَذَلِّينَ فَلَمَّا خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَتْ سِجَالُ الْحَرْبِ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ نُدَالُ عَلَيْهِمْ وَيُدَالُونَ عَلَيْنَا " . فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ لَيْلَةٍ أَبْطَأَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يَأْتِينَا فِيهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَبْطَأْتَ عَلَيْنَا اللَّيْلَةَ . قَالَ " إِنَّهُ طَرَأَ عَلَىَّ حِزْبِي مِنَ الْقُرْآنِ فَكَرِهْتُ أَنْ أَخْرُجَ حَتَّى أُتِمَّهُ " . قَالَ أَوْسٌ فَسَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَيْفَ تُحَزِّبُونَ الْقُرْآنَ قَالُوا ثَلاَثٌ وَخَمْسٌ وَسَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَثَلاَثَ عَشْرَةَ وَحِزْبُ الْمُفَصَّلِ .
It was narrated from ‘Uthman bin ‘Abdullah bin Aws that his grandfather Aws bin Hudhaifah said:
“We came to the Messenger of Allah (ﷺ) in the delegation of Thaqif. The allies of Quraish stayed at the house of Mughirah bin Shu’bah, and the Messenger of Allah (ﷺ) camped Bani Malik in a tent belonging to him. He used to come to us every night after the ‘Isha’ and speak to us standing on his two feet, until he started to shift his weight from one foot to the other. Most of what he told us was what he had suffered from his people, the Quraish. He said: ‘(The two sides) were not equal. We were weak and oppressed and humiliated, and when we went out to Al-Madinah, the outcome of the battles between us varied; sometimes we would defeat them and sometimes they would defeat us.’ One night he was later than he usually was, and I said: ‘O Messenger of Allah, you have come to us late tonight.’ He said: ‘It occurred to me that I had not read my daily portion of Qur’an and I did not want to come out until I had completed it.’” Aws said: “I asked the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ): ‘How did you used to divide up the Qur’an?’ They said: ‘A third, a fifth, a seventh, a ninth, an eleventh, a thirteenth, and Hizbul-Mufassal.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৭৮. কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব।
২/১৩৪৬। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কুরআন মুখস্থ করেছি এবং তা প্রতি রাতে সম্পূর্ণ তিলাওয়াত করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার আশংকা যে, তুমি দীর্ঘজীবী হবে এবং বার্ধক্যে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই তুমি এক মাস অন্তর কুরআন খতম করো। আমি বললাম, আমাকে আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা উপকৃত হতে দিন। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি দশ দিন অন্তর কুরআন খতম করো। আমি বললাম, আপনি আমাকে আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা উপকৃত হতে দিন। তিনি বলেন: তাহলে তুমি সাত দিন অন্তর খতম করো। আমি বললাম, আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা আমাকে উপকৃত হতে দিন। তখন তিনি তা অস্বীকার করেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِي كَمْ يُسْتَحَبُّ يُخْتَمُ الْقُرْآنُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَكِيمِ بْنِ صَفْوَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ جَمَعْتُ الْقُرْآنَ فَقَرَأْتُهُ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنِّي أَخْشَى أَنْ يَطُولَ عَلَيْكَ الزَّمَانُ وَأَنْ تَمَلَّ فَاقْرَأْهُ فِي شَهْرٍ " . فَقُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي . قَالَ " فَاقْرَأْهُ فِي عَشْرَةٍ " . قُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي . قَالَ " فَاقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ " . قُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي . فَأَبَى .
It was narrated that ‘Abdullah bin ‘Amr said:
“I memorized the Qur’an and recited it all in one night. The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘I am afraid that you may live a long life and that you may get bored. Recite it over the period of a month.’ I said: ‘Let me benefit from my strength in my youth.’ He said: ‘Recite it in ten days.’ I said: ‘Let me benefit from my strength and my youth.’ He said: ‘Recite it in seven days.’ I said: ‘Let me benefit from my strength and my youth,’ but he refused (to alter it any further).”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৭৮. কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব।
৩/১৩৪৭। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন দিনের কম সময়ে যে ব্যক্তি কুরআন খতম করে, সে কুরআনের কিছুই বুঝতে পারে না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِي كَمْ يُسْتَحَبُّ يُخْتَمُ الْقُرْآنُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لَمْ يَفْقَهْ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثٍ " .
It was narrated from ‘Abdullah bin ‘Amr that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“No one properly understands who reads the Qur’an in less than three days.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৭৮. কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব।
৪/১৩৪৮। আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে কুরআন খতম করেছেন বলে আমার জানা নেই।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِي كَمْ يُسْتَحَبُّ يُخْتَمُ الْقُرْآنُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لاَ أَعْلَمُ نَبِيَّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ حَتَّى الصَّبَاحِ .
It was narrated that ‘Aishah said:
“I did not know of the Prophet of Allah (ﷺ) reciting the entire Qur’an until morning.”