পরিচ্ছেদঃ ৫/১৭৩. রমাযান মাসের কিয়ামুল লাইল (তারাবীহ সালাত)
১/১৩২৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমযান মাসের সওম রাখে (এবং রাতে) দন্ডায়মান হয় (সালাত (নামায/নামাজ) পড়ে) তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করা হয়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ ইরওয়াহ ৯০৬, সহীহ আবী দাউদ ১২৪২।
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Whoever fasts Ramadan and spends its nights in prayer, out of faith and in hope of reward, his previous sins will be forgiven.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৭৩. রমাযান মাসের কিয়ামুল লাইল (তারাবীহ সালাত)
২/১৩২৭। আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রমযানে সওম রাখলাম। তিনি আমাদের নিয়ে এ মাসে (নফল সালাতে) দাঁড়াননি, এমনকি রমযানের মাত্র সাতটি রাত বাকি রইল। সপ্তম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রাত সালাত (নামায/নামাজ) পড়লেন। এরপর ষষ্ঠ রাতে তিনি (নফল) সালাত ড়েননি। অতঃপর পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় অর্ধরাত পর্যন্ত সালাত পড়েন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এর রাতের অবশিষ্ট অংশও যদি আপনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাত পড়ে ফিরে আসে, সে সারা রাত সালাত পড়ার সমান সওয়াব পায়। অতঃপর তিনি চতুর্থ রাতে সালাত পড়েননি। তৃতীয় রাত এলে তিনি তাঁর স্ত্রীদের, পরিজনদের একত্র করেন এবং লোকেরাও একত্র হয়। রাবী বলেন, তিনি আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘক্ষণ সালাত পড়লেন যে, আমরা কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করলাম। আবূ যার (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, কল্যাণ কী? তিনি বলেন, সাহরী। অতঃপর তিনি আমাদের নিয়ে মাসের অবশিষ্ট রাতগুলোতে আর কোন নফল সালাত পড়েননি।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৪৭, মিশকাত ১২৯৮, সহীহ আবী দাউদ ১২৪৫।
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنْهُ حَتَّى بَقِيَ سَبْعُ لَيَالٍ فَقَامَ بِنَا لَيْلَةَ السَّابِعَةِ حَتَّى مَضَى نَحْوٌ مِنْ ثُلُثِ اللَّيْلِ ثُمَّ كَانَتِ اللَّيْلَةُ السَّادِسَةُ الَّتِي تَلِيهَا فَلَمْ يَقُمْهَا حَتَّى كَانَتِ الْخَامِسَةُ الَّتِي تَلِيهَا ثُمَّ قَامَ بِنَا حَتَّى مَضَى نَحْوٌ مِنْ شَطْرِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ . فَقَالَ " إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ فَإِنَّهُ يَعْدِلُ قِيَامَ لَيْلَةٍ " . ثُمَّ كَانَتِ الرَّابِعَةُ الَّتِي تَلِيهَا فَلَمْ يَقُمْهَا حَتَّى كَانَتِ الثَّالِثَةُ الَّتِي تَلِيهَا . قَالَ فَجَمَعَ نِسَاءَهُ وَأَهْلَهُ وَاجْتَمَعَ النَّاسُ . قَالَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ . قِيلَ وَمَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ . قَالَ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنْ بَقِيَّةِ الشَّهْرِ .
It was narrated that Abu Dharr said:
“We fasted Ramadan with the Messenger of Allah (ﷺ) and he did not lead us in praying Qiyam (prayers at night) during any part of it, until there were seven nights left. He led us in praying Qiyam on the seventh night until approximately one third of the night had passed. Then on the sixth night which followed it he did not lead us in prayer. Then he led us in praying Qiyam on the fifth night which followed it until almost half the night had passed. I said: ‘O Messenger of Allah, would that we had offered voluntary prayers throughout the whole night.’ He said: ‘Whoever stands with the Imam until he finishes, it is equivalent to spending the whole night in prayer.’ Then on the fourth night which followed it, he did not lead us in prayer, until the third night that followed it, when he gathered his wives and family, and the people gathered, and he led us in prayer until we feared that we would miss the Falah.” It was asked: “What is the Falah?” He said: “Suhur.” He said: “Then he did not lead us in prayer at night for the rest of the month.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৭৩. রমাযান মাসের কিয়ামুল লাইল (তারাবীহ সালাত)
৩/১৩২৮। নাযর ইবনু শাইবান (রহ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সালাম ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম, আপনি আপনার পিতাকে রমযান মাস সম্পর্কে যে হাদীস বলতে শুনেছেন তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেন যে,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাস সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেনঃ এমন একটি মাস, আল্লাহ তোমাদের উপর তার সওম ফরয করেছেন এবং আমি তোমাদের উপর এর দন্ডায়মান হওয়া (রাত জেগে ইবাদাত করা) সুন্নাত করেছি। অতএব এয ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় এ মাসে সওম রাখে ও (রাতে ইবাদাতে) দন্ডায়মান হয় সে তার জন্মদিনের মত পাপমুক্ত হয়ে যায়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: "দন্ডায়মান হওয়া সুন্নাত করেছি" এ পর্যন্ত যঈফ। বাকী অংশ সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ৭৩।
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَالْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ لَقِيتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، أَبِيكَ يَذْكُرُهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . قَالَ نَعَمْ . حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَكَرَ شَهْرَ رَمَضَانَ فَقَالَ " شَهْرٌ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " .
It was narrated that Nadr bin Shaiban said:
“I met Abu Salamah bin ‘Abdur-Rahman and said: ‘Tell me a Hadith that you heard from your father, in which mention is made of the month of Ramadan.’ He said: ‘Yes, my father narrated to me that the Messenger of Allah (ﷺ) mentioned the month of Ramadan and said: “A month which Allah has enjoined upon you to fast, and in which I have established Qiyam (prayers at night) as Sunnah for you. So whoever fasts it and spends its nights in prayer out of faith and in hope of reward; he will emerge from his sins as on the day his mother bore him.”