পরিচ্ছেদঃ ৫/১২২. যে ব্যক্তি বিতর সালাত না পড়ে ঘুমালো অথবা ভুলে গেলো।
১/১১৮৮। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিতর সালাত (নামায/নামাজ) না পড়ে ঘুমিয়ে গেলো বা তা পড়তে ভুলে গেলো, সে যেন ভোরবেলা অথবা যখন তার স্মরণ হয় তখন তা পড়ে নেয়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তাখরীজুল মিশকাত ১২৬৮, ১২৭৯; ইরওয়াহ ১৫৩। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী ও মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির বাহ্যিক অবস্থার দ্বারা এটা প্রতিমান হয় যে, যে ব্যক্তি বেতরের নামাজ ছেড়ে দিয়েছে শুয়ে যাওয়ার কারণে অথবা ভুলে যাওয়ার কারণে, সে ব্যক্তি যখনই তা স্মরণ করবে কিংবা নিদ্রা থেকে জেগে উঠবে, রাত্রিবেলায় অথবা দিনের বেলায়, তখনই সে বেতরের নামাজ পড়ে নিবে। যেহেতু আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “কোনো ব্যক্তি কোনো নামাজ ভুলে গেলে কিংবা কোনো ব্যক্তির ঘুমের কারণে নামাজ ছুটে গেলে তার কাফফারা হলো এই যে, সে উক্ত নামাজের কথা স্মরণ করলেই সাথে সাথে সেই নামাজ পড়ে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১৫ - (৬৮৪) ]।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কতকগুলি পণ্ডিত বলেছেন: যে ব্যক্তি ঘুমের কারণে বেতরের নামাজ ছেড়ে দিয়েছে। সে ব্যক্তি বেতরের নামাজ পড়বে চাশতের নামাজের সময়ে। তবে সে বেতরের নামাজ বিজোড় ও অযুগ্ম পড়বে না বরং যুগ্ম করে পড়বে। যেহেতু আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রিয়তমা আয়েশা উম্মুল মুমেনীন [রাদিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন কোনো নফল নামাজ পড়তেন, তখন তিনি তা নিয়মিতভাবেই পড়তে পছন্দ করতেন। তবে যদি তাঁর উপর ঘুম প্রবল হতো অথবা তাঁর কোনো প্রকার কষ্ট হতো, তাহলে তিনি দিনে বারো রাকাআত নফল নামাজ পড়তেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৯ - (৭৪৬) ]।
৩। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তি বেতরের নামাজ কাজা করার বিষয়ে উল্লিখিত দুইটি মতের মধ্যে থেকে যে মতটি তার পছন্দ হবে সে মতটি সে গ্রহণ করবে, তবে প্রথম মতটি বেশি প্রাধান্য দেওয়ার উপযোগী। আর এই বিষয়ে মহান আল্লাহই বেশি জানেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي مَنْ نَامَ عَنْ الْوِتْرِ أَوْ نَسِيَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمَدِينِيُّ وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ نَامَ عَنِ الْوِتْرِ أَوْ نَسِيَهُ فَلْيُصَلِّ إِذَا أَصْبَحَ أَوْ ذَكَرَهُ " .
It was narrated that Abu Sa’eed said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Whoever sleeps and misses Witr, or forgets it, let him pray it when morning comes, or when he remembers.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১২২. যে ব্যক্তি বিতর সালাত না পড়ে ঘুমালো অথবা ভুলে গেলো।
২/১১৮৯। আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভোরে উপনীত হওয়ার আগেই বিতর সালাত (নামায/নামাজ) পড়ো।
মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহ ) বলেন, এই হাদীস প্রমাণ করে যে, আবদুর রহমানের রিওয়ায়াত (১১৮৮) দুর্বল বিধায় আমলযোগ্য নয়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪২২।
بَاب مَا جَاءَ فِي مَنْ نَامَ عَنْ الْوِتْرِ أَوْ نَسِيَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَأَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَوْتِرُوا قَبْلَ أَنْ تُصْبِحُوا " . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى فِي هَذَا الْحَدِيثَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ حَدِيثَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَاهٍ .
It was narrated that Abu Sa’eed said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Pray Witr before morning comes.’”