পরিচ্ছেদঃ ৫/৫৬. কিবলার বর্ণনা।

১/১০০৮। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ (কাবা ঘর) তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহীমে আসেন। তখন উমার বলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! এটা তো আমাদের পিতা ইবরাহীম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মাকাম, যে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন (অনুবাদ) তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো (সূরাহ বাকারা: ১২৫)। ওলীদ ইবনু মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি ইমাম মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এভাবে ওয়াত্তাখিযূ পড়েছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ।

بَاب الْقِبْلَةِ

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ طَوَافِ الْبَيْتِ أَتَى مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا مَقَامُ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ الَّذِي قَالَ اللَّهُ ‏(وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى )‏ ‏.‏ قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِمَالِكٍ أَهَكَذَا قَرَأَ ‏(وَاتَّخِذُوا)‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

حدثنا العباس بن عثمان الدمشقي، حدثنا الوليد بن مسلم، حدثنا مالك بن انس، عن جعفر بن محمد، عن ابيه، عن جابر، انه قال لما فرغ رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ من طواف البيت اتى مقام ابراهيم فقال عمر يا رسول الله هذا مقام ابينا ابراهيم الذي قال الله ‏(واتخذوا من مقام ابراهيم مصلى )‏ ‏.‏ قال الوليد فقلت لمالك اهكذا قرا ‏(واتخذوا)‏ قال نعم ‏.‏


It was narrated that Jabir said:
“When the Messenger of Allah (ﷺ) finished Tawaf around the House (the Ka’bah), he came to Maqam of Ibrahim (the Station of Ibrahim). ‘Umar said: ‘O Messenger of Allah, this is the Station of our father Ibrahim about which Allah said: “And take you (people) the Maqam of Ibrahim as a place of prayer.’” [2:125]


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৫/ সালাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) 6/ Establishing the Prayer and the Sunnah Regarding Them

পরিচ্ছেদঃ ৫/৫৬. কিবলার বর্ণনা।

২/১০০৯। উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আপনি মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করতেন! তখন নাযিল হলঃ তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়ানোর স্থানকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো (সূরাহ বাকারাঃ ১২৫)।

بَاب الْقِبْلَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اتَّخَذْتَ مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى فَنَزَلَتْ ‏(وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى)‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن الصباح، حدثنا هشيم، عن حميد الطويل، عن انس بن مالك، قال قال عمر قلت يا رسول الله لو اتخذت من مقام ابراهيم مصلى فنزلت ‏(واتخذوا من مقام ابراهيم مصلى)‏ ‏.‏


It was narrated that Anas bin Malik told that ‘Umar said:
“I said: ‘O Messenger of Allah (ﷺ), why do you not take the Maqam of Ibrahim as a place of prayer?’ Then the following was revealed: ‘And take you (people) the Maqam of Ibrahim as a place of prayer.’” [2:125]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৫/ সালাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) 6/ Establishing the Prayer and the Sunnah Regarding Them

পরিচ্ছেদঃ ৫/৫৬. কিবলার বর্ণনা।

৩/১০১০। আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আঠার মাস যাবত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বাইতুল মাকদিসের দিকে মুখ করে সালাত পড়ি। তাঁর হিজরত করে মদিনা্য় আসার দু মাস পর কাবা শরীফের দিকে কিবলা পরিবর্তিত করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাইতুল মাকদিসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করতে, তখন অধিকাংশ সময় তিনি তাঁর মুখমণ্ডল আকাশের দিকে ফিরাতেন। আল্লাহ তাঁর নবীর মনের আকাঙ্ক্ষা জানতেন যে, তিনি কাবাকে পছন্দ করেন। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আরোহণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দৃষ্টি তাঁর অনুসরণ করে। তিনি আসমান ও যমীনের মাঝখান দিয়ে অগ্রসর হন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লক্ষ্য করেন, তিনি কী হুকুম নিয়ে আসেন তাঁর জন্য। তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করছি (সূরাহ বাকারা: ১৪৪)।

এরপর আমাদের কাছে একজন আগন্তুক এসে বলেন, নিশ্চয় কিবলা তো কাবার দিকে পরিবর্তিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বায়তুল মাকদিসকে কিবলা করে আমাদের দু রাকআত সালাত পড়া হয়েছে। আমরা রুকূতে থাকা অবস্থায় (নতুন) কিবলার দিকে ঘুরে গেলাম এবং আমাদের অবশিষ্ট সালাত বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে পড়লাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে জিবরীল! আমাদের বাইতুল মাকদিসের দিকের সালাতের অবস্থা কী? তখন মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) আল্লাহ এরূপ নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করবেন (সূরাহ বাকারা: ১৪৩)।

بَاب الْقِبْلَةِ

حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ عَمْرٍو الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَصُرِفَتِ الْقِبْلَةُ إِلَى الْكَعْبَةِ بَعْدَ دُخُولِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ بِشَهْرَيْنِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا صَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ أَكْثَرَ تَقَلُّبَ وَجْهِهِ فِي السَّمَاءِ وَعَلِمَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِ نَبِيِّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ يَهْوَى الْكَعْبَةَ فَصَعِدَ جِبْرِيلُ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ وَهُوَ يَصْعَدُ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ يَنْظُرُ مَا يَأْتِيهِ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ)‏ الآيَةَ فَأَتَانَا آتٍ فَقَالَ إِنَّ الْقِبْلَةَ قَدْ صُرِفَتْ إِلَى الْكَعْبَةِ وَقَدْ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَنَحْنُ رُكُوعٌ فَتَحَوَّلْنَا فَبَنَيْنَا عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلاَتِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ يَا جِبْرِيلُ كَيْفَ حَالُنَا فِي صَلاَتِنَا إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ)‏ ‏.‏

حدثنا علقمة بن عمرو الدارمي، حدثنا ابو بكر بن عياش، عن ابي اسحاق، عن البراء، قال صلينا مع رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ نحو بيت المقدس ثمانية عشر شهرا وصرفت القبلة الى الكعبة بعد دخوله الى المدينة بشهرين وكان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ اذا صلى الى بيت المقدس اكثر تقلب وجهه في السماء وعلم الله من قلب نبيه ـ صلى الله عليه وسلم ـ انه يهوى الكعبة فصعد جبريل فجعل رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يتبعه بصره وهو يصعد بين السماء والارض ينظر ما ياتيه به فانزل الله ‏(قد نرى تقلب وجهك في السماء)‏ الاية فاتانا ات فقال ان القبلة قد صرفت الى الكعبة وقد صلينا ركعتين الى بيت المقدس ونحن ركوع فتحولنا فبنينا على ما مضى من صلاتنا فقال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ يا جبريل كيف حالنا في صلاتنا الى بيت المقدس ‏"‏ ‏.‏ فانزل الله عز وجل ‏(وما كان الله ليضيع ايمانكم)‏ ‏.‏


It was narrated that Bara’ said:
“We prayed with the Messenger of Allah (ﷺ) facing towards Baitul-Maqdis (Jerusalem) for eighteen months, then the Qiblah was changed to the Ka’bah two months after the Prophet (ﷺ) entered Al-Madinah. When the Messenger of Allah (ﷺ) prayed towards Baitul-Maqdis, he would often lift his face towards the heavens, and Allah knew what was in the heart of His Prophet and how he longed to face the Ka’bah (during prayer). Jibril appeared (in the sky), and the Messenger of Allah (ﷺ) started watching him as he was descending between the heavens and the earth, waiting to see what he would bring. Then Allah revealed the words: ‘Verily, We have seen the turning of your face towards the heaven. Surely, We shall turn you to a Qiblah that shall please you, so turn your face in the direction of Al-Masjid Al-Haram (at Makkah). And wherever you people are, turn your faces (during prayer) in that direction.’ [2:144] Then someone came to us and said: ‘The Qiblah has been changed to the Ka’bah.’ We had performed two Rak’ah facing towards Jerusalem. And we were bowing. So we turned around, and we continued our prayer. The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘O Jibril! What about our prayer facing towards Baitul- Maqdis?’ Then Allah revealed the words: “And Allah would never make your faith to be lost.” [2:143]


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৫/ সালাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) 6/ Establishing the Prayer and the Sunnah Regarding Them

পরিচ্ছেদঃ ৫/৫৬. কিবলার বর্ণনা।

৪/১০১১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানে কিবলা অবস্থিত।

بَاب الْقِبْلَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قِبْلَةٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن يحيى الازدي، حدثنا هاشم بن القاسم، ح وحدثنا محمد بن يحيى النيسابوري، قال حدثنا عاصم بن علي، قالا حدثنا ابو معشر، عن محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ ما بين المشرق والمغرب قبلة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abu Hurairah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘What is between the east and the west is the Qiblah (prayer direction).’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৫/ সালাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) 6/ Establishing the Prayer and the Sunnah Regarding Them
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে