পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৮৯. (হাসান সহীহ্) ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ
’’আল্লাহ তা’আলা মুখমণ্ডল উজ্জল করুন সেই ব্যাক্তির, যে আমাদের থেকে কিছু শুনবে, অতঃপর যেভাবে শুনেছে সেভাবেই অপরের কাছে পৌঁছে দিবে। কেননা যার কাছে পৌঁছান হয় সে অনেক সময় শ্রোতার চেয়ে অধিক সংরক্ষণকারী হয়।’’
(আবু দাউদ ৩৬৬০, তিরমিযী ২৬৫৮ ও ইবনু হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)[1] তবে ইবনু হিব্বানের বর্ণনায় বলা হয়ঃ আল্লাহ রহম করুন সেই ব্যাক্তির উপর......। (তিরমিযী বলেন, হাদীছটি হাসান সহীহ্)
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(حسن صحيح) عنْ ابنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا شَيْئًا فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَ فَرُبَّ مُبَلِّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ.
رواه أبو داود والترمذي وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৯০. (সহীহ) যায়েদ বিন ছাবেত (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’আল্লাহ তা’আলা উজ্জলতা দান করুন সেই ব্যাক্তিকে যে আমাদের একটি হাদীছ শ্রবণ করে অতঃপর তা অপরের কাছে পৌঁছে দেয়। কেননা জ্ঞান বহনকারী কতক ব্যাক্তি তার চেয়ে অধিক জ্ঞানীর কাছে পৌঁছে দেয়। আর জ্ঞান বহনকারী কতক ব্যাক্তি, নিজেই জ্ঞানী নয়।
তিনটি বিষয়ে কোন মুসলিমের অন্তর হিংসা করে নাঃ (১) কর্মকে আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করা (২) নেতৃবৃন্দকে নসীহত করা এবং (৩) (মুসলমানদের) জামাআতকে আকড়ে থাকা। কেননা এদের দু’আ অন্যান্যদেরকেও পরিবেষ্টিত করে।
যে ব্যাক্তির দুনিয়াটাই হল একক উদ্দেশ্য, আল্লাহ তার প্রতিটি বিষয়কে বিশৃংখল করে দেন। দুচোখের সামনে শুধু অভাব-অনটন লাগিয়ে রাখেন। আর নির্ধারিত বস্তু ছাড়া দুনিয়ার কোন কিছুই তার কাছে আসে না। যে ব্যাক্তির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আখেরাত, আল্লাহ তার প্রতিটি বিষয় সুশৃংখল করে দেন। তার অন্তরকে পরিতৃপ্ত করে দেন। আর দুনিয়ার সম্পদ তার সামনে লাঞ্ছিত অবস্থায় হাজির হয়।’’
(হাদীছটি ইবনু হিব্বান (সহীহ) ৬৭ গ্রন্থে এবং বায়হাকী ১৭৩৬ বাক্যগুলো কিছু আগে পিছে করে বর্ণনা করেন।)
(আর আবু দাউদ ৩৬৬০, তিরমিযী ২৬৫৮, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ্ ২৩০ হাদীছটির শুরু থেকে নিজেই জ্ঞানী নয়..। পর্যন্ত বর্ণনা করেন।)
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(صحيح) وَعَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَبَلَّغَهُ غَيْرَهُ فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ.
ثَلاثٌ لاَ يَغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ: إِخْلاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ، وَمُنَاصَحَةُ وُلاةِ الأَمْرِ وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ.
وَمَنْ كَانَتْ الدُّنْيَا نِيَّتُهُ فَرَّقَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَمْرَهُ، وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ ، وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ، وَمَنْ نِيَّتُهُ كَانَتْ الآخِرَةَ جَمَعَ اللَّهُ لَهُ شَمْلَهُ، وَجَعَلَ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ، وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا رَاغِمَةً. رواه ابن حبان في صحيحه والبيهقي بتقديم وتأخير وروى صدره إلى قوله ليس بفقيه أبو داود والترمذي وحسنه والنسائي وابن ماجه بزيادة عليهما
পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৯১. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনার মসজিদে খায়ফে আমাদের সামনে বক্তব্য রাখলেন। তিনি বললেনঃ
’’আল্লাহ সেই ব্যাক্তিকে উজ্জলতা দান করুন, যে আমার কথা শুনেছে- মুখস্ত করেছে ও ধারণ করে রেখেছে। অতঃপর যারা তা শুনেনি তাদের কাছে পৌঁছিয়েছে। কেননা কতক জ্ঞান বহনকারী নিজে জ্ঞানী নয়। আর কতক জ্ঞান বহনকারী ব্যাক্তি তার চেয়ে বড় জ্ঞানীর নিকট তা পৌঁছিয়ে থাকে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী [আওসাত] গ্রন্থে, মাযমাউল যাওয়ায়েদ ১/১৩৯ পৃষ্ঠা)
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(صحيح) وروي عن أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَسْجِدِ الْخَيْفِ مِنْ مِنىً فَقاَلَ: نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَحَفِظَها وَوَعَاهَا وَبَلَّغَهَا مَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا ثم ذهب بها إِلَى مَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لا فِقْهَ لَهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ، إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ. رواه الطبراني في الأوسط
পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৯২. (সহীহ্ লি গাইরিহী) জুবাইর বিন মুত্এম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’আল্লাহ তা’আলা সেই বান্দাকে সৌন্দর্যতা ও উজ্জলতা দান করুন, যে আমার বক্তব্য শুনেছে উহা মুখস্ত করেছে ও ভালভাবে সংরক্ষণ করেছে এবং যে শুনেনি তার কাছে পৌঁছে দিয়েছে। কেননা কতক জ্ঞান বহনকারী ব্যাক্তি কোন জ্ঞান রাখে না। আর জ্ঞান বহনকারী কতক ব্যাক্তি তার চাইতে বেশী জ্ঞানীর নিকট তা পৌঁছিয়ে দেয়। তিনটি ক্ষেত্রে মুমিন ব্যাক্তির দিলে কোন হিংসা-দ্বেষ থাকে না। (১) আমলকে এখলাসের সাথে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা। (২) মুসলমানদের নেতৃবৃন্দকে নসীহত করা। এবং (৩) তাদের জামাআতকে আঁকড়ে থাকা। কেননা তাদের দু’আ পরবর্তীদেরকেও শামিল করে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৪/৮০, ইবনু মাজাহ্ ২৩১ ও ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘাকারে ১/৭৭)
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(صحيح لغيره) وَعَنْ جبير بن مطعم قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ بِالْخَيْفِ خَيْفِ مِنًى : نَضَّرَ اللَّهُ عَبْدًا سَمِعَ مَقَالَتِي فَحَفِظَها وَوَعَاهَا وَبَلَّغَهَا مَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لا فِقْهَ لَهُ وَرُبُّ حَامِلِ فِقْهٍ ، إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ، ثَلاثٌ لا يَغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُؤْمِنٍ: إِخْلاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَالنَّصِيحَةُ لأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ ، وَلُزُومُ جَمَاعَتِهِمْ ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ ، تُحِيطُ مَنْ وَرَاءَهُمْ. رواه أحمد وابن ماجه والطبراني في الكبير مختصرا ومطولا
পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৯৩. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেনঃ
’’আদম সন্তান যখন মৃত্যু বরণ করে, তখন তিনটি আমল ব্যতীত তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়ঃ (১) সাদকায়ে জারিয়া (২) উপকারী বিদ্যা (৩) সৎ সন্তানের দু’আ।’’
(মুসলিম ১৬৩১ প্রমুখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
[নোটঃ হাফেয ইবনু হাজার বলেনঃ উল্লেখিত হাদীছ ও তদনুরুপ হাদীছ সমূহ দ্বারা বুঝা যায়, উপকারী বিদ্যার নকল কপিকারীও তার ছোয়াব পাবে। এমনি ভাবে যে উহা পাঠ করবে বা নকল কপি করবে বা তদানুযায়ী আমল করবে তার প্রতিদানও লাভ করবে। আর অপকারী বিদ্যা, যাতে পাপ রয়েছে- তার নকলকারী পাপের ভাগী হবে। এমনিভাবে যে উহা পাঠ করবে বা নকল কপি করবে বা সে অনুযায়ী আমল করবে তার পাপও তাকে বহন করতে হবে যতদিন তার সেই লিখা অবশিষ্ট থাকবে। যেমনটি পূর্বেল্লিখিত হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, যে ব্যাক্তি ইসলামে উত্তম রীতি চালু করবে...... যে ব্যাক্তি ইসলামে খারাপ কাজ চালু করবে.....।
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
رواه مسلم وغيره
পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৯৪. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে আরো বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন
’’যে ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে তার স্থায়ী ঠিকানা জাহান্নামে করে নিবে।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ১১০ ও মুসলিম ৩ প্রমূখ। এ হাদীছটি একাধিক সাহাবী থেকে মুতাওয়াতের পর্যায়ে বর্ণিত হয়েছে। যা সহীহ, সুনান ও মুসনাদ গ্রন্থ সমূহে বিদ্যমান রয়েছে)
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
) (صحيح) وَعَنْه قال قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ. رواه البخاري ومسلم وغيرهما
পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৯৫. (সহীহ) সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’যে ব্যাক্তি আমার নামে কোন হাদীছ বর্ণনা করে মনে করে যে হাদীছটি মিথ্যা, তবে (বর্ণনা করার কারণে) সে দু’জন মিথ্যাবাদীর একজন।’’
(মুসলিম ৪ প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(صحيح) وَعَنْ سَمُرَةَ بنِ جُنْدَبٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قاَلَ: مَنْ حَدَّثَ عَنِّي بِحَدِيثٍ يُرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ. رواه مسلم وغيره
পরিচ্ছেদঃ ৩) হাদীছ শোনা, পৌঁছিয়ে দেয়া ও তা লিখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৯৬. (সহীহ) মুগীরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’নিঃসন্দেহে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করা অন্য কারো প্রতি মিথ্যারোপ করার মত নয়। কেননা যে ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নিবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ৪ প্রমুখ)
الترغيب في سماع الحديث وتبليغه ونسخه والترهيب من الكذب على رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(صحيح) وَعَنْ المغيرة قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ كَذِبًا عَلَيَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ فَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ. رواه مسلم وغيره