পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য “তখন তোমরা আল্লাহর কাছে দু‘আ করবে, তাকবীর দিবে এবং সাদাকাহ করবে” এখানে দু‘আ করো দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তোমরা সালাত আদায় করবে, কেননা সালাতকে দু‘আ হিসেবে অভিহিত করা হয়
২৮৩৫. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে একবার সূর্য গ্রহণ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়িয়ে যান। তিনি দীর্ঘক্ষন কিয়াম করেন। তারপর তিনি রুকূ‘ করেন, খুবই দীর্ঘ রুকূ‘ করেন। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করেন, তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। তারপর তিনি দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন অতঃপর সাজদায় চলে গেলেন এবং সাজদা করেন।
তারপর তিনি দ্বিতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়ান। অতঃপর তিনি কিয়াম করেন, তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। তারপর দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করেন, তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। তারপর তিনি দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন অতঃপর সাজদায় চলে গেলেন এবং সাজদা করেন।
তারপর বলেন, “হে লোকসকল, নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। এগুলি কারো বেঁচে থাকা অথবা কারো মৃত্যুবরণ করার কারণে গ্রহণ লাগে না। বরং যখন এরকম দেখবে, তখন তোমরা সালাত আদায় করবে, তাকবীর দিবে এবং সাদাকাহ করবে।
হে মুহাম্মাদের উম্মাত, আল্লাহর কসম, আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্নমর্যাদার অধিকারী আর কেউ নেই, তাঁর কোন বান্দা বা বান্দী ব্যভিচার করার ব্যাপারে।
হে মুহাম্মাদের উম্মাত, আল্লাহর কসম, আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে, তবে অল্প হাসতে আর বেশি কাঁদতে।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০৭৭)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَادْعُوا اللَّهَ وَكَبِّرُوا وَتَصَدَّقُوا أَرَادَ بِهِ فَصَلُّوا إِذِ الصَّلَاةُ تُسَمَّى دُعَاءً
2835 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ جِدًّا ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ جِدًّا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ ثُمَّ قَامَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَانْحَدَرَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ ثُمَّ قَالَ: (أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَا يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا وَكَبِّرُوا يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ إِنْ أحدٌ أَغْيَرَ مِنَ اللَّهِ أن يزني عبده أو تزني أمته يا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كثيراً)
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2735 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (1077)، ((جزء الكسوف))، ((الإرواء)) (658): ق.