পরিচ্ছেদঃ মাটি বা ধুলি ব্যাতিত, কয়লা, সীসা বা এ জাতীয় যে কোন জিনিস দিয়ে তায়াম্মুম করা বৈধ নয়

১২৯৮. ইমরান বিন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে কোন এক সফরে ছিলাম। আমরা রাতে চলছিলাম। যখন আমরা রাতের শেষ সময়ে উপনীত হলাম, তখন আমরা ঘুমিয়ে যাই। আর এসময় মুসাফিরের নিকট ঘুমের থেকে প্রিয় আর কিছু হয়না। অতঃপর রোদের উত্তাপই আমাদেরকে জাগিয়ে তুলে। রাবী বলেন, সর্বপ্রথম জাগ্রত হন ওমুক, তারপর ওমুক, তারপর ওমুক। রাবী আবূ রজা তাদের নাম বলেছিলেন কিন্তু আওফ সেসব নাম ভুলে যান। চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জাগ্রত হন। রাবী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমালে আমরা তাঁকে জাগ্রত করতাম না, যতক্ষন না তিনি নিজে থেকে জাগ্রত হন। কারণ আমরা জানি না যে, তাঁর ঘুমের মাঝে কী ঘটছে।

রাবী বলেন, যখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জাগ্রত হন এবং তিনি যখন দেখতে পান মানুষের এই অবস্থা, রাবী বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বুলন্দ আওয়াজ ও কঠিন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। রাবী বলেন, তখন তিনি উচ্চ আওয়াজে আল্লাহু আকবার বলেন এবং এভাবে তিনি তিনি উচ্চ আওয়াজে আল্লাহু আকবার বলতেই থাকেন। এক পর্যায়ে তাঁর আওয়াজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাগ্রত হন। যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাগ্রত হন, তখন লোকজন তাঁর কাছে তাদেরকে যে অবস্থা পেয়ে বসেছে, তার অভিযোগ করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন ক্ষতি নেই। অথবা (রাবীর সন্দেহ তিনি বলেছেন) কোন ক্ষতি হবে না। তোমরা যাত্রা শুরু করো। অতঃপর তিনি সেখান থেকে অনতিদূরে গেলেন। অতঃপর যাত্রা বিরতি দিলেন এবং পানি আনতে বললেন। অতঃপর তিনি ওযূ করলেন। সালাতের জন্য আহবান করা হলো। অতঃপর লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। যখন তিনি সালাত শেষ করলেন, এমন সময় এক ব্যক্তিকে আলাদা দেখতে পেলেন, যিনি লোকদের সাথে সালাত আদায় করেননি, তিনি তাকে বললেন, “হে ওমুক, লোকদের সাথে সালাত করতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে?” জবাবে তিনি বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি নাপাক হয়ে গেছি, কিন্তু কোন পানি নেই।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমার জন্য আবশ্যক হলো মাটি ব্যবহার করা। কেননা এটি তোমার জন্য যথেষ্ট।”
তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাত্রা শুরু করলেন, অতঃপর লোকজন তাঁর কাছে পিপাসার অভিযোগ করলেন। রাবী বলেন, “অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাত্রাবিরতি দিলেন এবং ওমুক ব্যক্তিকে ডাক দিলেন। আবূ রজা তার নাম বলেছিলেন কিন্তু আওফ তা ভুলে যান। এছাড়া তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ডাক দিলেন এবং বললেন, “তোমরা যাও এবং আমাদের জন্য পানি অনুসন্ধান করো।” অতঃপর তাঁরা একজন নারীর সাক্ষাত পেলেন, যিনি তার উটের উপর দুই পাশে পানির মশক রেখে তিনি মাঝখানে আরোহন করেছিলেন। তারা তাকে বললেন, “পানি কোথায় (থেকে নিয়ে আসলে)?” জবাবে তিনি বলেন, “আমি পানি পেয়েছি গতকাল বিকেলের এই সময়ে (অর্থাৎ পানি সেখান থেকে একদিনের দূরত্বে রয়েছে)! আর আমাদের দলের লোকজন পিছনে রয়েছে।” রাবী বলেন, তারা তাকে বললেন, “তবে তুমি আমাদের সাথে চলো।” সে বললো, “কোন দিকে?” তারা বললেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে।” সে বললো, “যাকে সাবি‘ (নতুন ধর্ম আনয়নকারী) বলা হয়, তিনি?” তারা বললেন, “তুমি যাকে বুঝাচ্ছো, তিনি তিনিই। অতএব তুমি চলো।” তারপর তারা তাকে নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসেন এবং তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে বৃত্তান্ত বর্ণনা করেন।

রাবী বলেন, অতঃপর লোকজন তাকে তার উট থেকে নামায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি পাত্র আনতে বললেন। অতঃপর তিনি তার দুই মশক থেকে সেই পাত্রে পানি ঢাললেন। তিনি মশক দুটির বড় মুখ বন্ধ করে দিলেন এবং মশকের নিচের দিকের ছোট  মুখ খুলে দিলেন এবং মানুষের মাঝে ঘোষনা দিলেন, “তোমরা (তোমাদের বাহনকে) পানি পান করাও এবং নিজে পানি পান করো।” রাবী বলেন, “যার ইচ্ছা পানি পান করলো আর যার ইচ্ছা (বাহনকে) পানি পান করালো। অবশেষে জুনুবী ব্যক্তিকে এক পাত্র পানি দিলেন এবং বললেন, “যাও, এই পানি তোমার ‍উপর ঢালো (অর্থাৎ এটা দিয়ে গোসল করে নাও)। রাবী বলেন, “এই সময় সেই নারী দাঁড়িয়ে দেখছিল তার পানির সাথে যা করা হচ্ছিল। রাবী বলেন, “আল্লাহর কসম, যখন তার পানি ফিরিয়ে দেওয়া হলো, আমাদের কাছে মনে হলো যেন পানি প্রথম যখন নেওয়া শুরু করেন, তারচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে!” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা তার জন্য কিছু খাবার জমা করো।” অতঃপর আজওয়া খেজুর, আটা ও ছাতু জমা করা হলো। এভাবে তারা অনেক খাবার জমা করলেন এবং তা একটি কাপড়ে দিলেন। তারা তাকে তার বাহনের তুলে দিলেন এবং কাপড়টি তার সামনে রেখে দিলেন। রাবী বলেন, অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, “আমরা তোমার পানি একটুও কমিয়ে দেইনি কিন্তু আল্লাহই আমাদেরকে পান করিয়েছেন।”

রাবী বলেন, “অতঃপর সে নারী যথেষ্ট বিলম্ব করে তার পরিবারের কাছে যায়। তারা তাকে বলে, “হে ওমুক, তোমাকে কিসে আটকে দিয়েছিল?” জবাবে তিনি বলেন, “এক বিস্ময়কর জিনিস! আমার সাথে দুইজন ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়, অতঃপর তারা আমাকে এই ব্যক্তির কাছে নিয়ে যান, যাকে সাবি‘ (নতুন ধর্ম আনয়নকারী) বলা হয়। অতঃপর তারা আমার সাথে এই এই করে, যা তার সাথে ঘটেছিল, তাই বলেন। আল্লাহর কসম! হয় তিনি এর (আসমান) এবং এর (জমিনের) মাঝে সবচেয়ে বড় যাদুকর অন্যথায় নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর সত্য রাসূল।

রাবী বলেন, “পরবর্তী সময়ে সাহাবীগণ তার আশপাশ মুশরিক অধ্যুষিত এলাকায় অতর্কিত হামলা করতেন, কিন্তু সেই নারীর এলাকায় হামলা করতেন না। একদিন সে নারী তার সম্প্রদায়ের লোকদের বললো, “এই লোকগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই তোমাদের উপর আক্রমণ করে না। কাজেই তোমরা ইসলাম গ্রহণ করবে কি?” অতঃপর তারা তার কথা মেনে নেয় এবং তারা ইসলামে প্রবেশ করেন।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ التَّيَمُّمَ بالكُحل والزَّرنيخ وَمَا أَشْبَهَهُمَا دُونَ الصَّعِيدِ الَّذِي هُوَ التُّرَابُ وَحْدَهُ غير جائز

1298 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا عَوْفٌ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ وَإِنَّا سِرْنَا لَيْلَةً حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ وَقَعْنَا تِلْكَ الْوَقْعَةَ - وَلَا وَقْعَةَ أَحْلَى عِنْدَ الْمُسَافِرِ مِنْهَا - فَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ قَالَ: وَكَانَ أَوَّلُ مَنِ اسْتَيْقَظَ فُلَانٌ ثُمَّ فُلَانٌ ثُمَّ فُلَانٌ - وَكَانَ يُسَمِّيهِمْ أَبُو رَجَاءٍ وَنَسِيَهُمْ عَوْفٌ - ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الرَّابِعُ قَالَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَامَ لَمْ نُوقِظْهُ حَتَّى يَكُونَ هُوَ يَسْتَيْقِظُ لَأَنَّا لَا نَدْرِي مَا يَحْدُثُ لَهُ فِي نَوْمِهِ قَالَ: فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ عُمَرُ وَرَأَى مَا أَصَابَ النَّاسَ قَالَ: وَكَانَ رَجُلًا أَجْوَفَ جَلِيدًا قَالَ: فَكَبَّرَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ فَمَا زَالَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ بِصَوْتِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَكَوَا الَّذِي أَصَابَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (لَا ضَيْرَ - أَوْ لَا يَضِيرُ - ارْتَحِلُوا) فَسَارَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ نَزَلَ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ وَنُودِيَ بِالصَّلَاةِ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَلَمَّا انْفَتَلَ مِنْ صَلَاتِهِ إِذَا هُوَ بِرَجُلٍ مُعْتَزِلٍ لَمْ يُصَلِّ مَعَ الْقَوْمِ قَالَ: (مَا مَنَعَكَ يَا فُلَانُ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ الْقَوْمِ)؟ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ وَلَا مَاءَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ) ثُمَّ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاشْتَكَى إِلَيْهِ النَّاسُ الْعَطَشَ قَالَ: فَنَزَلَ فَدَعَا فُلَانًا - وَكَانَ يُسَمِّيهِ أَبُو رَجَاءٍ وَنَسِيَهُ عَوْفٌ - وَدَعَا عَلِيًّا فَقَالَ: (اذْهَبَا فَابْغِيَا لَنَا الْمَاءَ) فَلَقِيَا امْرَأَةً بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ أَوْ سَطِيحَتَيْنِ مِنْ مَاءٍ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا فَقَالَا لَهَا: أَيْنَ الْمَاءُ؟ قَالَتْ: عَهْدِي بِالْمَاءِ أَمْسِ هَذِهِ السَّاعَةَ ونَفَرُنَا خُلُوفٌ قَالَ: فَقَالَا لَهَا: انْطَلِقِي إِذًا قَالَتْ: إِلَى أَيْنَ؟ قَالَا: إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم قالت: هذا الذي يُقال له: الصابىء؟ قَالَا: هُوَ الَّذِي تَعْنِينَ فَانْطَلِقِي إِذًا فَجَاءَا بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وحدَّثَاهُ الْحَدِيثَ
قَالَ: فَاسْتَنْزَلُوهَا عَنْ بَعِيرِهَا وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِنَاءٍ فَأَفْرَغَ فِيهِ مِنْ أَفْوَاهِ الْمَزَادَتَيْنِ أَوِ السَّطِيحَتَيْنِ وَأَوْكَأَ أَفْوَاهَهُمَا وَأَطْلَقَ الْعَزَالِي وَنُودِيَ فِي النَّاسِ أَنِ اسْتَقُوا واسْقُوا قَالَ: فَسَقَى مَنْ شَاءَ وَاسْتَقَى مَنْ شَاءَ وَكَانَ آخِرُ ذَلِكَ أن أعطي الذي أصابته الجنابة إناء من مَاءٍ فَقَالَ: (اذْهَبْ فَأَفْرِغْهُ عَلَيْكَ) قَالَ: وَهِيَ قَائِمَةٌ تَنْظُرُ إِلَى مَا يُفْعَلُ بِمَائِهَا قَالَ: وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أُقلع عَنْهَا حِينَ أُقلع وإنه لَيُخَيَّلُ لنا أنها أشد مَلأً منها حين ابتُدىء فِيهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (اجْمَعُوا لَهَا طَعَامًا) قَالَ: فَجَمَعَ لَهَا مِنْ بَيْنِ عَجْوَةٍ وَدَقِيقَةٍ وَسَوِيقَةٍ حَتَّى جَمَعُوا لَهَا طَعَامًا كَثِيرًا وَجَعَلُوهُ فِي ثَوْبٍ وحَمَلوها عَلَى بَعِيرِهَا وَوَضَعُوا الثَّوْبَ بَيْنَ يَدَيْهَا قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم: (تَعْلَمِينَ أنَّا وَاللَّهِ مَا رَزِئْنَا مِنْ مَائِكَ شيئاً ولكن الله هو سقانا) قال: فأنت أَهْلَهَا وَقَدِ احْتَبَسَتْ عَلَيْهِمْ فَقَالُوا: مَا حَبَسَكِ يَا فُلَانَةُ؟ قَالَتِ: الْعَجَبُ لَقِيَنِي رَجُلَانِ فَذَهَبَا بي إلى هذا الذي يقال له: الصابىء فَفَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا الَّذِي قَدْ كَانَ فو الله إِنَّهُ لأَسْحَرُ مَنْ بَيْنَ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ أَوْ إنه لرسول الله صلى الله عليه وَسَلَّمَ حَقًّا قَالَ: فَكَانَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ ذَلِكَ يُغيرون عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَلَا يُصِيبُونَ الصِّرْمَ الَّذِي هِيَ فِيهِ فَقَالَتْ لِقَوْمِهَا: وَاللَّهِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ يَدَعُونَكُمْ عَمْدًا فَهَلْ لَكُمْ في الإسلام؟ فأطاعوها فدخلوا في الإسلام.
الراوي : عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1298 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1298 - اخبرنا احمد بن علي بن المثنى قال: حدثنا عبيد الله بن عمر القواريري حدثنا يحيى القطان حدثنا عوف حدثنا ابو رجاء قال: حدثنا عمران بن حصين قال: كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في سفر وانا سرنا ليلة حتى اذا كان من اخر الليل وقعنا تلك الوقعة - ولا وقعة احلى عند المسافر منها - فما ايقظنا الا حر الشمس قال: وكان اول من استيقظ فلان ثم فلان ثم فلان - وكان يسميهم ابو رجاء ونسيهم عوف - ثم عمر بن الخطاب الرابع قال: وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا نام لم نوقظه حتى يكون هو يستيقظ لانا لا ندري ما يحدث له في نومه قال: فلما استيقظ عمر وراى ما اصاب الناس قال: وكان رجلا اجوف جليدا قال: فكبر ورفع صوته فما زال يكبر ويرفع صوته بالتكبير حتى استيقظ بصوته رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما استيقظ رسول الله صلى الله عليه وسلم شكوا الذي اصابهم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم (لا ضير - او لا يضير - ارتحلوا) فسار غير بعيد ثم نزل فدعا بماء فتوضا ونودي بالصلاة فصلى بالناس فلما انفتل من صلاته اذا هو برجل معتزل لم يصل مع القوم قال: (ما منعك يا فلان ان تصلي مع القوم)؟ قال: يا رسول الله اصابتني جنابة ولا ماء فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (عليك بالصعيد فانه يكفيك) ثم سار رسول الله صلى الله عليه وسلم فاشتكى اليه الناس العطش قال: فنزل فدعا فلانا - وكان يسميه ابو رجاء ونسيه عوف - ودعا عليا فقال: (اذهبا فابغيا لنا الماء) فلقيا امراة بين مزادتين او سطيحتين من ماء على بعير لها فقالا لها: اين الماء؟ قالت: عهدي بالماء امس هذه الساعة ونفرنا خلوف قال: فقالا لها: انطلقي اذا قالت: الى اين؟ قالا: الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت: هذا الذي يقال له: الصابىء؟ قالا: هو الذي تعنين فانطلقي اذا فجاءا بها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وحدثاه الحديث قال: فاستنزلوها عن بعيرها ودعا رسول الله صلى الله عليه وسلم باناء فافرغ فيه من افواه المزادتين او السطيحتين واوكا افواههما واطلق العزالي ونودي في الناس ان استقوا واسقوا قال: فسقى من شاء واستقى من شاء وكان اخر ذلك ان اعطي الذي اصابته الجنابة اناء من ماء فقال: (اذهب فافرغه عليك) قال: وهي قاىمة تنظر الى ما يفعل بماىها قال: وايم الله لقد اقلع عنها حين اقلع وانه ليخيل لنا انها اشد ملا منها حين ابتدىء فيها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (اجمعوا لها طعاما) قال: فجمع لها من بين عجوة ودقيقة وسويقة حتى جمعوا لها طعاما كثيرا وجعلوه في ثوب وحملوها على بعيرها ووضعوا الثوب بين يديها قال: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (تعلمين انا والله ما رزىنا من ماىك شيىا ولكن الله هو سقانا) قال: فانت اهلها وقد احتبست عليهم فقالوا: ما حبسك يا فلانة؟ قالت: العجب لقيني رجلان فذهبا بي الى هذا الذي يقال له: الصابىء ففعل بي كذا وكذا الذي قد كان فو الله انه لاسحر من بين هذه الى هذه او انه لرسول الله صلى الله عليه وسلم حقا قال: فكان المسلمون بعد ذلك يغيرون على من حولها من المشركين ولا يصيبون الصرم الذي هي فيه فقالت لقومها: والله هولاء القوم يدعونكم عمدا فهل لكم في الاسلام؟ فاطاعوها فدخلوا في الاسلام. الراوي : عمران بن حصين | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1298 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)

পরিচ্ছেদঃ মাটি বা ধুলি ব্যাতিত, কয়লা, সীসা বা এ জাতীয় যে কোন জিনিস দিয়ে তায়াম্মুম করা বৈধ নয়

১২৯৯. ইমরান বিন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে কোন এক সফরে ছিলাম। আমরা রাতে চলছিলাম। যখন আমরা রাতের শেষ সময়ে উপনীত হলাম, তখন আমরা ঘুমিয়ে যাই। আর এসময় মুসাফিরের নিকট ঘুম থেকে প্রিয় আর কিছু হয়না। অতঃপর রোদের উত্তাপই আমাদেরকে জাগিয়ে তুলে। অতঃপর জাগ্রত হয় ওমুক ও ওমুক। রাবী আবূ রজা তাদের নাম বলেছিলেন কিন্তু আওফ সেসব নাম ভুলে যান। তারপর চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জাগ্রত হন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমালে, তাঁকে জাগ্রত করা হতো না, যতক্ষন না তিনি নিজে থেকে জাগ্রত হন। কারণ আমরা জানি না যে, তাঁর ঘুমের মাঝে কী ঘটছে।

যখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জাগ্রত হন এবং তিনি যখন দেখতে পান মানুষের এই অবস্থা, আর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কঠিন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। রাবী বলেন, তখন তিনি উচ্চ আওয়াজে আল্লাহু আকবার বলেন এবং এভাবে তিনি তিনি উচ্চ আওয়াজে আল্লাহু আকবার বলতেই থাকেন। এক পর্যায়ে তাঁর আওয়াজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাগ্রত হন। যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাগ্রত হন, তখন লোকজন তাঁর কাছে তাদেরকে যে অবস্থা পেয়ে বসেছে, তার অভিযোগ করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন ক্ষতি হবে না। তোমরা যাত্রা শুরু করো।” অতঃপর তিনি তিনি রওয়ানা হলেন, এবং সামান্য সামনে চললেন। অতঃপর যাত্রা বিরতি দিলেন এবং পানি আনতে বললেন। অতঃপর তিনি ওযূ করলেন। সালাতের জন্য আহবান করা হলো। অতঃপর লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। যখন তিনি সালাত শেষ করলেন, এমন সময় এক ব্যক্তিকে আলাদা দেখতে পেলেন, যিনি লোকদের সাথে সালাত আদায় করেননি, তিনি তাকে বললেন, “হে ওমুক, লোকদের সাথে সালাত করতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে?” জবাবে তিনি বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে জুনুবী হয়ে গেছি, কিন্তু কোন পানি নেই।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমার জন্য আবশ্যক হলো মাটি ব্যবহার করা। কেননা এটি তোমার জন্য যথেষ্ট।” তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাত্রা শুরু করলেন, অতঃপর লোকজন তাঁর কাছে পিপাসার অভিযোগ করলেন। রাবী বলেন, “অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাত্রাবিরতি দিলেন এবং ওমুক ব্যক্তিকে ডাক দিলেন। আবূ রজা তার নাম বলেছিলেন কিন্তু আওফ তা ভুলে যান। এছাড়া তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ডাক দিলেন এবং বললেন, “তোমরা যাও এবং আমাদের জন্য পানি নিয়ে আসো।” অতঃপর তাঁরা একজন নারীর সাক্ষাৎ পেলেন, যিনি তার উটের উপর দুই পাশে পানির মশক রেখে তিনি মাঝখানে আরোহন করেছিলেন। তারা তাকে বললেন, “পানি কোথায় (থেকে নিয়ে আসলে)?” জবাবে তিনি বলেন, “আমি পানি পেয়েছি গতকাল বিকেলের এই সময়ে (অর্থাৎ পানি সেখান থেকে একদিনের দূরত্বে রয়েছে)! আর আমাদের দলের লোকজন পিছনে রয়েছে।” রাবী বলেন, তারা তাকে বললেন, “তবে তুমি আমাদের সাথে চলো।” সে বললো, “কোন দিকে?” তারা বললেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে।” সে বললো, “যাকে ধর্মত্যাগী বলা হয়, তিনি?” তারা বললেন, “তুমি যাকে বুঝাচ্ছো, তিনি তিনিই। অতএব তুমি চলো।” তারপর তারা তাকে নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসেন। এবং তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে বৃত্তান্ত বর্ণনা করেন।

রাবী বলেন, অতঃপর লোকজন তাকে তার উট থেকে নামায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি পাত্র আনতে বললেন। অতঃপর তিনি তার দুই মশক থেকে সেই পাত্রে পানি ঢাললেন। তিনি মশক দুটির বড় মুখ বন্ধ করে দিলেন এবং মশকের নিচের দিকের ছোট  মুখ খুলে দিলেন এবং মানুষের মাঝে ঘোষনা দিলেন, “তোমরা (তোমাদের বাহনকে) পানি পান করাও এবং নিজে পানি পান করো।” রাবী বলেন, “যার ইচ্ছা পানি পান করলো আর যার ইচ্ছা (বাহনকে) পানি পান করালো। অবশেষে জুনুবী ব্যক্তিকে এক পাত্র পানি দিলেন এবং বললেন, “যাও, এই পানি তোমার ‍উপর ঢালো (অর্থাৎ এটা দিয়ে গোসল করে নাও)। রাবী বলেন, “এই সময় সেই নারী দাঁড়িয়ে দেখছিল তার পানির সাথে যা করা হচ্ছিল। রাবী বলেন, “আল্লাহর কসম, যখন তার পানি ফিরিয়ে দেওয়া হলো, আমাদের কাছে মনে হলো যেন পানি প্রথম যখন নেওয়া শুরু করেন, তারচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে!” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা তার জন্য কিছু খাবার জমা করো।” অতঃপর আজওয়া খেজুর, আটা ও ছাতু জমা করা হলো। এভাবে তারা অনেক খাবার জমা করলেন এবং তা একটি কাপড়ে দিলেন। তারা তাকে তার বাহনের তুলে দিলেন এবং খাদ্যভর্তি কাপড়টি তার সামনে রেখে দিলেন। রাবী বলেন, অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, “আমরা তোমার পানি একটুও কমিয়ে দেইনি কিন্তু আল্লাহই আমাদেরকে পান করিয়েছেন।”

রাবী বলেন, “অতঃপর সে নারী যথেষ্ট বিলম্ব করে তার পরিবারের কাছে যায়। তারা তাকে বলে, “হে ওমুক, তোমাকে কিসে আটকে দিয়েছিল?” জবাবে তিনি বলেন, “এক বিস্ময়কর জিনিস! আমার সাথে দুইজন ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়, অতঃপর তারা আমাকে এই ব্যক্তির কাছে নিয়ে যান, যাকে সাবি‘ (নতুন ধর্ম আনয়নকারী) বলা হয়। অতঃপর তারা আমার সাথে এই এই করে, যা তার সাথে ঘটেছিল, তাই বলেন। আল্লাহর কসম! হয় তিনি এর (আসমান) এবং এর (জমিনের) মাঝে সবচেয়ে বড় যাদুকর, এই বলে তিনি মধ্যমা ও তর্জনী অঙ্গুলি আসমান ও জমিনের দিকে উঠিয়ে ইশারা করেন, অন্যথায় নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর সত্য রাসূল।

রাবী বলেন, “পরবর্তী সময়ে সাহাবীগণ তার আশপাশ মুশরিক অধ্যুষিত এলাকায় অতর্কিত হামলা করতেন, কিন্তু সেই নারীর এলাকায় হামলা করতেন না। একদিন সে নারী তার সম্প্রদায়ের লোকদের বললো, “আমার মনে হয়, এই লোকগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই তোমাদের উপর আক্রমণ করে না। কাজেই তোমরা ইসলাম গ্রহণ করবে কি?” অতঃপর তারা তার কথা মেনে নেয় এবং তারা ইসলামে প্রবেশ করেন।”[1]           

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আবূ রজা আল উতারিদী হলেন ইমরান বিন তাইম। তিনি ১২০ বছর বয়সে মারা যান।”

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ التَّيَمُّمَ بالكُحل والزَّرنيخ وَمَا أَشْبَهَهُمَا دُونَ الصَّعِيدِ الَّذِي هُوَ التُّرَابُ وَحْدَهُ غير جائز

1299 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ بْنُ مُسَرْهَدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَوْفٌ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو رَجَاءٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ قَالَ: كُنَّا فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كُنَّا فِي آخِرِ اللَّيْلِ وَقَعْنَا تِلْكَ الْوَقْعَةَ - وَلَا وَقْعَةَ أَحْلَى عِنْدَ الْمُسَافِرِ مِنْهَا - فَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ فاستيقظ فلان وفلان - كان يُسَمِّيهِمْ أَبُو رَجَاءٍ وَنَسِيَهُمْ عَوْفٌ - ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ الرَّابِعُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إذا نَامَ لَمْ يُوقَظْ حَتَّى يَكُونَ هُوَ يَسْتَيْقِظُ لَأَنَّا لَا نَدْرِي مَا يَحْدُثُ لَهُ فِي النوم فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ عُمَرُ وَرَأَى مَا أَصَابَ النَّاسَ وَكَانَ رَجُلًا جَلِيدًا فَكَبَّرَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ فَمَا زَالَ يُكبر وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ بِصَوْتِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَكَوْا إِلَيْهِ الَّذِي أَصَابَهُمْ فَقَالَ: (لَا يَضِيرُ فَارْتَحِلُوا) وَارْتَحَلَ فَسَارَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ نَزَلَ فَدَعَا بِالْوَضُوءِ فَتَوَضَّأَ فَنُودِيَ بِالصَّلَاةِ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَلَمَّا انْفَتَلَ مِنْ صَلَاتِهِ فَإِذَا هُوَ بِرَجُلٍ مُعْتَزِلٍ لَمْ يُصَلِّ مَعَ الْقَوْمِ فَقَالَ: (مَا مَنَعَكَ يَا فُلَانُ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ الْقَوْمِ)؟ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ وَلَا مَاءَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ) ثُمَّ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَكَا النَّاسُ إِلَيْهِ الْعَطَشَ فَنَزَلَ فَدَعَا فلاناً - كان يُسميه أَبُو رَجَاءٍ وَنَسِيَهُ عَوْفٌ - وَدَعَا عَلِيًّا وَقَالَ
اذْهَبَا فَأَتَيَا بِالْمَاءِ فَانْطَلَقَا فَاسْتَقْبَلَتْهُمَا امْرَأَةٌ بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ أَوْ سَطِيحَتَيْنِ مِنْ مَاءٍ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا وَقَالَا لَهَا: أَيْنَ الْمَاءُ؟ فَقَالَتْ: عَهْدِي بِالْمَاءِ أَمْسِ هَذِهِ السَّاعَةَ ونَفَرُنَا خُلُوفٌ قَالَا لَهَا: انْطَلِقِي قَالَتْ إِلَى أَيْنَ؟ قَالَا إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت: هذا الذي يقال له: الصابىء؟ قَالَا: هُوَ الَّذِي تَعْنِينَ فَانْطَلِقِي وَجَاءَا بِهَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَنْزَلُوهَا عَنْ بَعِيرِهَا وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِنَاءٍ فَأَفْرَغَ فِيهِ مِنْ أَفْوَاهِ الْمَزَادَتَيْنِ أَوِ السَّطِيحَتَيْنِ وَأَوْكَأَ أَفْوَاهَهُمَا وَأَطْلَقَ الْعَزَالِي وَنُودِيَ فِي النَّاسِ: أَنِ اسْتَقُوا وَاسْقُوا قَالَ: فَسَقَى مَنْ شَاءَ وَاسْتَسْقَى مَنْ شَاءَ وَكَانَ آخر ذلك أن أعطي الذي أصابته الجنابة إناء من ماء وقال: (اذْهَبْ فَأَفْرِغْهُ عَلَيْكَ) قَالَ: وَهِيَ قَائِمَةٌ تَنْظُرُ إِلَى مَا يَفْعَلُ بِمَائِهَا قَالَ: وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أُقلع عَنْهَا حِينَ أُقلع وَإِنَّهُ لَيُخَيِّلُ إلينا أنها أشد مَلأ منها حين ابتدىء فِيهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(اجْمَعُوا لَهَا طَعَامًا) قَالَ: فجُمع لَهَا من عَجْوَةٍ وَدَقِيقَةٍ وَسَوِيقَةٍ حَتَّى جَمَعُوا لَهَا طَعَامًا كَثِيرًا وَجَعَلُوهُ فِي ثَوْبٍ وَحَمَلُوهَا عَلَى بَعِيرِهَا وَوَضَعُوا الثَّوْبَ الَّذِي فِيهِ الطَّعَامُ بَيْنَ يَدَيْهَا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَعْلَمِينَ وَاللَّهِ مَا رَزَأْنَا مِنْ مَائِكِ شَيْئًا وَلَكِنَّ اللَّهَ هُوَ الَّذِي سَقَانَا) فَأَتَتْ أهلها وقد احتبست عنهم فَقَالُوا: مَا حَبَسَكِ يَا فُلَانَةُ؟ قَالَتِ: الْعَجَبُ لَقِيَنِي رَجُلَانِ فَذَهَبَا بِي إِلَى هَذَا الَّذِي يقال له: الصابىء فَفَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا - الَّذِي قَدْ كَانَ - وَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَسْحَرُ مَنْ بَيْنَ هَذِهِ وَهَذِهِ - وقالت بأصبعيها السبابة والوسطى فَرَفَعَتْهُمَا إِلَى السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ - أَوْ إِنَّهُ لَرَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقًّا فَكَانَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدُ يُغِيرُونَ عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ المشركين ولا يصيبوا الصِّرْمَ الَّذِي هِيَ فِيهِمْ قَالَتْ يَوْمًا لِقَوْمِهَا: مَا أَرَى هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ يَدَعُونَكُمْ إِلَّا عَمْدًا فَهَلْ لَكُمْ فِي الْإِسْلَامِ؟ فَأَطَاعُوهَا فَدَخَلُوا فِي الإسلام.
الراوي : عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1299 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ: عِمْرَانُ بْنُ تَيْمٍ مَاتَ ابن مئة وعشرين سنة.

1299 - اخبرنا الفضل بن الحباب قال: حدثنا مسدد بن مسرهد عن يحيى بن سعيد قال: حدثنا عوف قال حدثني ابو رجاء قال: حدثني عمران بن حصين قال: كنا في سفر مع رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اذا كنا في اخر الليل وقعنا تلك الوقعة - ولا وقعة احلى عند المسافر منها - فما ايقظنا الا حر الشمس فاستيقظ فلان وفلان - كان يسميهم ابو رجاء ونسيهم عوف - ثم عمر بن الخطاب رضوان الله عليه الرابع وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا نام لم يوقظ حتى يكون هو يستيقظ لانا لا ندري ما يحدث له في النوم فلما استيقظ عمر وراى ما اصاب الناس وكان رجلا جليدا فكبر ورفع صوته بالتكبير فما زال يكبر ويرفع صوته بالتكبير حتى استيقظ بصوته رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما استيقظ رسول الله صلى الله عليه وسلم شكوا اليه الذي اصابهم فقال: (لا يضير فارتحلوا) وارتحل فسار غير بعيد ثم نزل فدعا بالوضوء فتوضا فنودي بالصلاة فصلى بالناس فلما انفتل من صلاته فاذا هو برجل معتزل لم يصل مع القوم فقال: (ما منعك يا فلان ان تصلي مع القوم)؟ فقال: يا رسول الله اصابتني جنابة ولا ماء فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (عليك بالصعيد فانه يكفيك) ثم سار رسول الله صلى الله عليه وسلم فشكا الناس اليه العطش فنزل فدعا فلانا - كان يسميه ابو رجاء ونسيه عوف - ودعا عليا وقال اذهبا فاتيا بالماء فانطلقا فاستقبلتهما امراة بين مزادتين او سطيحتين من ماء على بعير لها وقالا لها: اين الماء؟ فقالت: عهدي بالماء امس هذه الساعة ونفرنا خلوف قالا لها: انطلقي قالت الى اين؟ قالا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت: هذا الذي يقال له: الصابىء؟ قالا: هو الذي تعنين فانطلقي وجاءا بها الى النبي صلى الله عليه وسلم فاستنزلوها عن بعيرها ودعا رسول الله صلى الله عليه وسلم باناء فافرغ فيه من افواه المزادتين او السطيحتين واوكا افواههما واطلق العزالي ونودي في الناس: ان استقوا واسقوا قال: فسقى من شاء واستسقى من شاء وكان اخر ذلك ان اعطي الذي اصابته الجنابة اناء من ماء وقال: (اذهب فافرغه عليك) قال: وهي قاىمة تنظر الى ما يفعل بماىها قال: وايم الله لقد اقلع عنها حين اقلع وانه ليخيل الينا انها اشد ملا منها حين ابتدىء فيها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (اجمعوا لها طعاما) قال: فجمع لها من عجوة ودقيقة وسويقة حتى جمعوا لها طعاما كثيرا وجعلوه في ثوب وحملوها على بعيرها ووضعوا الثوب الذي فيه الطعام بين يديها فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم: (تعلمين والله ما رزانا من ماىك شيىا ولكن الله هو الذي سقانا) فاتت اهلها وقد احتبست عنهم فقالوا: ما حبسك يا فلانة؟ قالت: العجب لقيني رجلان فذهبا بي الى هذا الذي يقال له: الصابىء ففعل بي كذا وكذا - الذي قد كان - والله انه لاسحر من بين هذه وهذه - وقالت باصبعيها السبابة والوسطى فرفعتهما الى السماء والارض - او انه لرسول رسول الله صلى الله عليه وسلم حقا فكان المسلمون بعد يغيرون على من حولها من المشركين ولا يصيبوا الصرم الذي هي فيهم قالت يوما لقومها: ما ارى هولاء القوم يدعونكم الا عمدا فهل لكم في الاسلام؟ فاطاعوها فدخلوا في الاسلام. الراوي : عمران بن حصين | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1299 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قال ابو حاتم رضي الله عنه: ابو رجاء العطاردي: عمران بن تيم مات ابن مىة وعشرين سنة.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে