পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম তার বৈধতা সুস্পষ্টকরণের মাধ্যমে যে হাদীস মন থেকে সংশয়কে দূর করে দেয়
১২৬৪. আব্দুর রহমান বিন আবযা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করে বলেন, “আমি নাপাক হয়েছি, কিন্তু কোন পানি পাইনি।” উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তুমি সালাত আদায় করবে না।” তখন আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আপনার কি মনে নেই, সে সময়ের কথা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জামানায় আমি এবং আপনি একটি যুদ্ধাভিযানে ছিলাম (অতঃপর আমরা নাপাক হয়ে যাই কিন্তু কোন পানি পাওয়া যায়নি তারপর মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে সালাত আদায় করি আর আপনি সালাত আদায় করেননি) অতঃপর ব্যাপারটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলে তিনি বলেন, “তোমার জন্য এরকম করাই যথেষ্ট ছিল; অতঃপর তিনি তাঁর হাত মাটিতে মারেন একবার, তারপর দুই হাতের তালুতে ফুঁক দেন অতঃপর তিনি মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করেন।”[1]
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “উক্ত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তায়াম্মুম শিক্ষা দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তিনি মুখমন্ডল ও হাত মাসেহ করার জন্য হাত মাটিতে একবার মারার উপর ক্ষ্যান্ত থেকেছেন। এতে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে যে, যা দিয়ে একটি ফরয আদায় করা যায়, তা দিয়ে দ্বিতীয়বার আরেকটি ফরয আদায় করা যায়। এটি এভাবে যে, তায়াম্মুমকারী ব্যক্তির জন্য ফরয হলো মুখমন্ডল ও হাত উভয়টি তায়াম্মুম করা। কাজেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা দিয়ে মুখের তায়াম্মুমের ফরয আদায় করা হয়, সেটা দিয়ে হাতের তায়াম্মুমের ফরযিয়্যাত আদায় করার বৈধতা দিয়েছেন, কাজেই যে মাটি দিয়ে এক অঙ্গের ফরযিয়্যাত আদায় করা হয়, সেটি দিয়ে আরেক অঙ্গের ফরযিয়্যাত আদায় করা শুদ্ধ। আর তায়াম্মুমের ক্ষেত্রে যখন এটা বৈধ ওযূর ক্ষেত্রে এটা সমানভাবে বৈধ হবে।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ১৫৮।)
ذِكْرُ خَبَرٍ يَنْفِي الرِّيَبَ عَنِ الخَلَدِ بِالتَّصْرِيحِ بِإِبَاحَةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
1264 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زريع حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ ذَرٍّ عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ عُمَرَ فَقَالَ: إِنِّي أجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدِ الْمَاءَ فَقَالَ: لَا تُصَلِّ فَقَالَ عَمَّارٌ: أَمَا تَذْكُرُ إِذْ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ فِي سَرِيَّةٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم فذُكِرَ ذلك له فقال صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ) وَضَرَبَ بِيَدِهِ الْأَرْضَ ضَرْبَةً فَنَفَخَ فِي كَفَّيْهِ ومسح وجهه وكفيه.
الراوي : جَابِر بْن عَبْدِ اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1264 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فِي تَعْلِيمِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّيَمُّمَ وَالِاكْتِفَاءُ فِيهِ بِضَرْبَةٍ وَاحِدَةٍ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ أَبْيَنُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمُؤَدَّى بِهِ الْفَرْضُ مَرَّةً جَائِزٌ أَنْ يُؤَدَّى بِهِ الْفَرْضُ ثَانِيًا وَذَاكَ أَنَّ الْمُتَيَمِّمَ عَلَيْهِ الْفَرْضُ أَنْ يُيمِّم وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ جَمِيعًا فَلَمَّا أَجَازَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَدَاءَ الْفَرْضِ فِي التَّيَمُّمِ لِكَفَّيْهِ بِفَضْلِ مَا أَدَّى بِهِ فَرَضَ وَجْهِهِ صحَّ أَنَّ التُّرَابَ الْمُؤَدَّى بِهِ الْفَرْضُ بِعُضْوٍ وَاحِدٍ جَائِزٌ أَنْ يؤدى به فرض العضوء الثَّانِي بِهِ مَرَّةً أُخْرَى وَلَمَّا صَحَّ ذَلِكَ فِي التَّيَمُّمِ صَحَّ ذَلِكَ فِي الْوُضُوءِ سَوَاءً.