পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে স্পর্শ করার কারণে ওযূ ওয়াজিব হয় না মর্মে দলীলের ন্যায় হাদীস
১১০৮. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নিশ্চয় আমি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই পাত্র থেকে গোসল করতাম, তাতে আমাদের হাতগুলো পরস্পরের সাথে লেগে যেতো ।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৭০।)
ذِكْرُ خَبَرٍ فِيهِ كَالدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْمُلَامَسَةَ لِلرَّجُلِ مِنِ امْرَأَتِهِ لَا يُوجِبُ الْوُضُوءَ عَلَيْهَا
1108 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: إني كُنْتُ لَأَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ تَخْتَلِفُ أَيْدِينَا فيه وتلتقي.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1108 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে স্পর্শ করার কারণে ওযূ ওয়াজিব হয় না মর্মে দলীলের ন্যায় হাদীস
১১০৯. উরওয়া বিন যুবাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি একবার মারওয়ান বিন হাকাম এর কাছে গেলাম, অতঃপর আমরা আলোচনা করলাম কিসে ওযূ করতে হয়, সেই সম্পর্কে। তখন মারওয়ান আমাকে বলেন, “আমাকে বুসরা বিনতু সাফওয়ান হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ তার পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করবে, তখন সে যেন ওযূ করে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আল্লাহর কাছে পানাহ চাই আমাদের কিতাবে এমন হাদীস দিয়ে দলীল গ্রহণ করা থেকে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন মারওয়ান বিন হাকাম ও তার মত লোকজন। কেননা আমরা হাদীসসমূহ থেকে সহীহ হাদীস ছাড়া অন্যান্য হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা বৈধ মনে করিনা, যদিও সেই হাদীস আমাদের মতামতের অনুকূলে যায়। আর বিভিন্ন মতামত থেকে আমরা কেবল হাদীস নিসৃত মতামতের উপরই নির্ভর করি, যদিও তা আমাদের ইমামদের মতামতের বিপরীত হয়।
আমরা যে বুসরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার হাদীস বর্ণনা করলাম, সেই হাদীস উরওয়া বিন যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মারওয়ান বিন হাকাম এর মাধ্যমে বুসরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে শুনেছেন। কিন্তু তিনি এতে সন্তুষ্ট হননি, এমনকি মারওয়ান বিন হাকাম তার এক পুলিশকে পাঠান বুসরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কাছে, তিনি তাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, অতঃপর তিনি ফিরে এসে বুসরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা যেভাবে তাকে হাদীস করেন, সেভাবে তাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করেন। কাজেই উরওয়া পুলিশের সূত্রে বুসরার হাদীস দ্বিতীয়বার শ্রবন করেন। কিন্তু এতেও তিনি পরিতৃপ্ত হননি, ফলে তিনি নিজেই বুসরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কাছে যান এবং তাঁর কাছ থেকে সরাসরি হাদীস শ্রবণ করেন। কাজেই বুসরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস মুত্তাসিল; মুনকাতি‘ নয়। সুতরাং মারওয়ান ও পুলিশ যেন ‘শুন’ যারা সানাদ থেকে বাদ পড়ে গেছে।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৭৫।)
ذِكْرُ خَبَرٍ فِيهِ كَالدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْمُلَامَسَةَ لِلرَّجُلِ مِنِ امْرَأَتِهِ لَا يُوجِبُ الْوُضُوءَ عَلَيْهَا
1109 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا أحمد بن أبي بكر عن مالك عن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ: دَخَلْتُ عَلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذَكَرْنَا مَا يَكُونُ مِنْهُ الْوُضُوءُ فَقَالَ مَرْوَانُ: أَخْبَرَتْنِي بُسْرَةُ بِنْتُ صَفْوَانَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يقول: (إذا مَسَّ أحدكم ذَكَرَهُ فليتوضأ)
الراوي : عُرْوَة بْن الزُّبَيْرِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1109 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: عَائِذٌ بِاللَّهِ أَنْ نَحْتَجَّ بِخَبَرٍ رَوَاهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ وَذَوُوهُ فِي شَيْءٍ مِنْ كُتُبِنَا لَأَنَّا لَا نَسْتَحِلُّ الِاحْتِجَاجَ بِغَيْرِ الصَّحِيحِ مِنْ سَائِرِ الْأَخْبَارِ وَإِنْ وَافَقَ ذَلِكَ مَذْهَبَنَا وَلَا نَعْتَمِدُ مِنَ الْمَذَاهِبِ إِلَّا عَلَى الْمُنْتَزَعِ مِنَ الْآثَارِ وَإِنْ خَالَفَ ذَلِكَ قَوْلَ أَئِمَّتِنَا وَأَمَّا خَبَرُ بُسْرَةَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فَإِنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ سَمِعَهُ مِنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ عَنْ بُسْرَةَ فَلَمْ يُقْنِعْهُ ذَلِكَ حَتَّى بَعَثَ مَرْوَانُ شُرْطِيًّا لَهُ إِلَى بُسْرَةَ فَسَأَلَهَا ثُمَّ آتَاهُمْ فَأَخْبَرَهُمْ بِمِثْلِ مَا قَالَتْ بُسْرَةُ فَسَمِعَه عُرْوَةُ ثَانِيًا عَنِ الشُّرْطِيِّ عَنْ بُسْرَةَ ثُمَّ لَمْ يُقْنِعْه ذَلِكَ حَتَّى ذَهَبَ إِلَى بُسْرَةَ فَسَمِعَ مِنْهَا فَالْخَبَرُ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ بُسْرَةَ مُتَّصِلٌ لَيْسَ بِمُنْقَطِعٍ وَصَارَ مَرْوَانُ وَالشُّرْطِيُّ كَأَنَّهُمَا عَارِيَتَانِ يَسْقُطَانِ من الإسناد.