পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য মুস্তাহাব হলো নিজের মুশরিক আত্নীয়দের জন্য আদৌ দু‘আ করবেন না
৯৭৭. আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বের হলেন, আমরাও তাঁর সাথে বের হলাম, এমনকি আমরা গোরস্থানে আসলাম। অতঃপর আমাদেরকে বসার আদেশ করলেন ফলে আমরা ফলে বসে পড়লাম। তারপর তিনি হেঁটে হেঁটে কবর অতিক্রম করতে লাগলেন, শেষ অবধি তিনি একটি কবরের কাছে আসলেন এবং সেখানে বসে পড়লেন। অতঃপর দীর্ঘক্ষন সেখানে মুনাজাত করেন। তারপর তিনি আমাদের কাছে আমাদের কাছে আসেন ক্রন্দনরত অবস্থায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কান্না দেখে আমরাও কান্না করি। তারপর তিনি আমাদের মুখোমুখি হলেন, তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কেন আপনি কাঁদছেন? আপনি তো আমাদেরকেও কাঁদিয়েছেন এবং আমাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত্র করে তুলেছেন।” তখন তিনি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাত ধরেন এবং আমাদের দিকে মুখ করে বলেন, “আমাদের ক্রন্দন কি তোমাদেরকে কাঁদিয়েছে?” আমরা বললাম, “জ্বী, হ্যাঁ।” তখন তিনি বলেন, “তোমরা আমাকে যে কবরের নিকটে মুনাজাত করতে দেখেছো, সেটা হলো আমেনা বিনতু ওয়াহাব এর কবর এর কবর। আমি তার জন্য আল্লাহর প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়েছি, কিন্তু তিনি আমাকে সে অনুমতি দেননি। অতঃপর আমার উপর অবতীর্ণ হয় এই আয়াত مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ (নাবীর জন্য এটা সঙ্গত নয় যে, তিনি মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।) (সূরা আত তাওবাহ: ১১৩।) অতঃপর আমাকে পেয়ে বসে, যা পিতা-মাতার জন্য একজন সন্তানের পেয়ে থাকে অর্থাৎ অন্তরের কোমলতা। আর এই বিষয়টিই আমাকে কাঁদিয়েছে। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা কবর যিয়ারত করতে পারো, কেননা দুনিয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী আর আখেরাতের ব্যাপারে মানুষকে আগ্রহী করে তুলে ।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (আয য‘ঈফা: ৫১৩১।)
ذِكْرُ مَا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْءِ أَنْ يَتْرُكَ الِاسْتِغْفَارَ لِقَرَابَتِهِ الْمُشْرِكِينَ أَصْلًا
977 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى الْمِصْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ هَانِئٍ عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ الْأَجْدَعِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَوْمًا فَخَرَجْنَا مَعَهُ حتى انتهيا إِلَى الْمَقَابِرِ فَأَمَرَنَا فَجَلَسْنَا ثُمَّ تخطَّى الْقُبُورَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى قَبْرٍ مِنْهَا فَجَلَسَ إِلَيْهِ فَنَاجَاهُ طَوِيلًا ثُمَّ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاكِيًا فَبَكَيْنَا لِبُكَاءِ رَسُولِ الله ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَتَلَقَّاهُ عُمَرُ - رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ - وَقَالَ: مَا الَّذِي أَبْكَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَدْ أَبْكَيْتَنَا وَأَفْزَعْتَنَا؟ فَأَخَذَ بِيَدِ عُمَرَ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ: (أَفْزَعَكُمْ بُكَائِي)؟ قُلْنَا: نَعَمْ فَقَالَ: (إِنَّ الْقَبْرَ الَّذِي رَأَيْتُمُونِي أُنَاجِي قَبْرُ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي الِاسْتِغْفَارَ لَهَا فَلَمْ يَأْذَنْ لِي فَنَزَلَ عَلَيَّ: {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ} [التوبة: 113] فَأَخَذَنِي مَا يَأْخُذُ الْوَلَدُ لِلْوَالِدِ مِنَ الرِّقَّةِ فَذَلِكَ الَّذِي أَبْكَانِي أَلَا وَإِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُزَهِّدُ في الدنيا وتُرَغِّبُ في الآخرة)
الراوي : ابْن مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 977 | خلاصة حكم المحدث:. ضعيف.