পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো এমন কাজ থেকে দূরে থাকা, যা সম্পাদন করলে পরকালে শাস্তির সম্ভাবনা রয়েছে

৬৫৪. সামুরা বিন জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায়শই বলতেন, “কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছে কি?” অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করতেন, তিনি তাঁর কাছে স্বপ্ন বর্ণনা করতেন। একদিন সকালে তিনি আমাদের বললেন, “আজ রাতে আমার কাছে দুইজন আগন্তুক এসেছিলেন, তাঁরা আমাকে জাগিয়ে তুলেন এবং বলেন, “চলুন।” আমি তাঁদের সাথে যাই, এভাবে এক ব্যক্তির কাছে আসি, সে ব্যক্তি শুয়ে ছিল আরেকজন ব্যক্তি তার কাছে পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই ব্যক্তি পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে তার মাথা চূর্ণ করে দেন আর পাথরটি ছিটকে দূরে সরে যায়। অতঃপর তিনি পাথরের দিকে এগিয়ে যান এবং পাথর গ্রহন করেন।
রাবীর ধারণা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তিনি তার কাছে ফিরে আসতেই তার মাথা আগের মতোই ঠিক হয়ে যায়। অতঃপর তিনি তার সাথে প্রথম বারের মতোই আচরণ করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, সুবহানাল্লাহ! এরা কারা?” তারা আমাকে বলেন, “সামনে চলুন, সামনে চলুন।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর আমি তাদের সাথে চললাম তারপর আমরা এক ব্যক্তির কাছে আসলাম যে মাথার পিছনের উপর চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। তার কাছে আরেক ব্যক্তি হাতে লোহার কীলক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সে ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির মুখের একপাশে আসেন অতঃপর তিনি তার চিবুক ঘাড়ের পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত ফেঁড়ে ফেলেন, নাকের ছিদ্র ঘাড়ের পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত ফেঁড়ে ফেলেন, তার চোখ ঘাড়ের পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত ফেঁড়ে ফেলেন। তারপর তিনি অন্য পাশে যান এবং সেটার সাথেও তেমন করেন, যেমন প্রথম পাশের সাথে করেছিলেন। ঐ পাশে অনুরুপ করা শেষ হতেই প্রথম পাশ আগের মতো ভালো হয়ে যায়। তারপর তিনি আবার প্রথম পাশে যান, এবং সেটার সাথে তেমন করেন, যেমন প্রথম বার করেছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, সুবহানাল্লাহ! এরা কারা?” তারা আমাকে বলেন, “সামনে চলুন, সামনে চলুন।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর আমি তাদের সাথে চললাম অতঃপর আমরা চুলার মতো একটা স্থাপনার কাছে আসলাম। ‘আওফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমার ধারণা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অতঃপর আমি সেখানে প্রচুর আওয়াজ ও হৈচৈ দেখতে পেলাম। আমরা সেখানে উঁকি দিলাম অতঃপর সেখানে অনেক বিবস্ত্র নারী-পুরুষ দেখতে পেলাম। আমরা আরো দেখলাম তাদের নিচে রয়েছে অগ্নী-নদী, যখন তাদের কাছে অগ্নী-শিখা আসে, তখন তারা চিৎকার করে কান্না করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, সুবহানাল্লাহ! এরা কারা?” তারা আমাকে বলেন, “সামনে চলুন, সামনে চলুন।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর আমি তাদের সাথে একটি নদীর কাছে আসলাম।” রাবী বলেন, “আমার ধারণা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “রক্তের মতো লাল নদী।” আমরা দেখলাম, নদীর মধ্যে একজন ব্যক্তি সাঁতার কাটছে আর নদীর কিনারায় এক ব্যক্তি তার কাছে অনেক পাথর জমা করে রেখেছেন। অতঃপর সাঁতার কাটা ব্যক্তি সাঁতার কাটতে কাটতে পাথর জমা করা ব্যক্তির কাছে আসে, অতঃপর সে তার মুখ খোলে আর কিনারার ব্যক্তি তার মুখে পাথর মারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, সুবহানাল্লাহ! এরা কারা?” তারা আমাকে বলেন, “সামনে চলুন, সামনে চলুন।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর আমরা এক বীভৎস চেহারার এক ব্যক্তির কাছে আসলাম যেমন তুমি সবচেয়ে বীভৎস চেহারার মানুষ দেখে থাকো। আমরা দেখলাম যে, সে ব্যক্তি আগুনের কাছে রয়েছে, সে আগুন জ্বালাচ্ছে এবং আগুনের পাশে ছুটাছুটি করছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, এরা কারা?” তারা আমাকে বলেন, “সামনে চলুন, সামনে চলুন।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর আমরা  একটা বাগানে আসলাম, যাতে বসন্ত কালের সব ধরনের ফুল ছিল। এতে আমরা দেখলাম বাগানের সামনে এতো লম্বা একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আসেন, যে লম্বার কারণে আসমানে দিকে তাঁর মাথা প্রায় আমি দেখতেই পাচ্ছিলাম না! আমি দেখি সেই ব্যক্তির পাশে এতো বিপুল সংখ্যক ও এতো সুন্দর শিশুরা যে তা আমি আগে কখনো দেখিনি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, এরা কারা?” তারা আমাকে বলেন, “চলুন, চলুন।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর আমরা এতো বিশাল এক বৃক্ষের কাছে আসলাম যে, এতো বড় ও সুন্দর বৃক্ষ আমি আর কখনোই দেখিনি! সাথীদ্বয় আমাকে বললেন, “আপনি এতে আরোহন করুন।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর আমরা তাতে আরোহন করলাম এবং আমরা একটি শহরে প্রবেশ করলাম যা স্বর্ণ ও রৌপ্যের ইট দ্বারা তৈরি ছিল। আমরা শহরের দরজার কাছে আসলাম এবং দরজা খুলে চাইলাম। অতঃপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। সেখানে আমরা দেখতে পাই এমন কিছু মানুষের যারা শরীরের একাংশ ছিল খুবই সুন্দর যেমন তুমি সবচেয়ে সুন্দর মানুষ দেখতে পাও আর অপর অংশ ছিল খুবই বিশ্রী যেমন তুমি সবচেয়ে খারাপ চেহারার মানুষ দেখতে পাও।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার সাথীদ্বয় তাদেরকে বললেন, “আপনারা যান এবং ঐ নদীতে ঝাঁপ দেন। সেখানে একটি নদী প্রবাহিত ছিল, তার পানি ছিল দুধের মতো সাদা। তারা সেখানে যান এবং নদীতে ঝাঁপ দেন তারপর তারা আবার ফিরে আসেন এমন অবস্থায় যে, তাদের চেহারার কুৎসিত অবস্থা দুর হয়ে যায় এবং তারা সর্বাধিক সুন্দর চেহারার অধিকারী হয়ে যান।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার সাথীদ্বয় আমাকে বললেন, “এটি জান্নাতু ‘আদন আর ঐটি আপনার বাসস্থান।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি উপরে দৃষ্টি তুলে তাকালাম, অতঃপর আমি সাদা মেঘের ন্যায় প্রাসাদ দেখতে পেলাম। আমার সাথীদ্বয় আমাকে বললেন, “ঐটি আপনার বাসস্থান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, “আল্লাহ আপনাদের বারাকাহ দান করুন, আপনারা আমাকে ছেড়ে দিন, আমি তাতে প্রবেশ করবো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার সাথীদ্বয় আমাকে বললেন, “এখন আপনি তাতে প্রবেশ করতে পারবেন না, তবে অবশ্যই আমি তাতে (একদিন) প্রবেশ করবেন।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি বললাম, আজ রাতে আমি অনেক বিস্ময়কর জিনিস দেখলাম, আমি যা দেখলাম, সেসবের মর্মার্থ কী?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সাথীদ্বয় আমাকে বললেন, “অচিরেই আমরা আপনাকে তা জানাবো। প্রথম ব্যক্তি, যার কাছে আপনি এসেছিলেন, যার মাথা পাথর দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে, সে হলো ঐ ব্যক্তি যে কুরআন শিক্ষা করে অতঃপর কুরআন পরিত্যাগ করে এবং ফরয সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে থাকে। আর যে ব্যক্তির কাছে আপনি এসেছিলেন, যার চিবুক মাথার পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত ফেড়ে ফেলা হচ্ছে, চোখ চিবুক মাথার পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত ফেড়ে ফেলা হচ্ছে, নাকের ছিদ্র চিবুক মাথার পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত ফেড়ে ফেলা হচ্ছে, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে মিথ্যা কথা বলে, অতঃপর তা দিকদিগন্তে পৌঁছে যায়।

 চুলা সদৃশ স্থাপনায় বিবস্ত্র যেসব নারী-পুরুষদের দেখেছেন, এরা হলো ব্যভিচারী নর ও নারী।

যে ব্যক্তি নদীতে আছে, যাকে পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছে গলাধঃকরণ করার জন্য সে হলো সুদখোর। আগুনের কাছে কুৎসিত চেহারার ব্যক্তি, যিনি আগুন জ্বালাচ্ছিলেন, তিনি হলেন জাহান্নামের রক্ষী ফেরেস্তা মালিক।

বাগানে যে লম্বা ব্যক্তিকে দেখেছেন, তিনি হলেন ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। তাঁর পাশের শিশুরা হলো সেসব শিশু, যারা ফিতরাত তথা ইসলামের উপর জন্ম গ্রহণ করেছে (অতঃপর বালেগ হওয়ার আগে মারা গিয়েছে)।

রাবী বলেন, “অতঃপর একজন মুসলিম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুশরিকদের সন্তানরাও?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মুশরিকদের সন্তানরাও।”

আর যেসব ব্যক্তির দেহের একাংশ সুন্দর ছিল আর অপরাংশ ছিল কুৎসিত, তারা হলো এমন ব্যক্তি যারা ভাল-মন্দ মিশ্রিত আমল করেছে অতঃপর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন।”[1]

ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ مُجَانَبَةِ أَفْعَالٍ يُتوقَّع لِمُرْتَكِبِهَا الْعُقُوبَةُ فِي الْعُقْبَى بِهَا

654 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْذِرِ بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ أَحْمَدَ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ أَخْبَرَنَا عَوْفٌ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ الْفَزَارِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَقُولُ: (هَلْ رَأَى أَحَدٌ مِنْ رُؤْيَا)؟ فَيَقُصُّ عَلَيْهِ مَنْ شَاءَ اللَّهُ أَنْ يقُصَّ وَإِنَّهُ قَالَ لَنَا ذَاتَ غَدَاةٍ: (إِنَّهُ أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتِيَانِ وَإِنَّهُمَا ابْتَعَثَانِي وَإِنَّهُمَا قَالَا لِي: انْطَلِقْ وَإِنِّي انْطَلَقْتُ مَعَهُمَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُضْطَجِعٍ وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِصَخْرَةٍ وَإِذَا هُوَ يَهْوِي بِالصَّخْرَةِ لِرَأْسِهِ فَيَثْلَغُ بِهَا رَأْسَهُ فَتُدَهْدِهَهُ الصَّخْرَةُ هَا هُنَا فَيَقُومُ إِلَى الْحَجَرِ فَيَأْخُذُهُ فَمَا يَرْجِعُ إِلَيْهِ - أَحْسِبُهُ قَالَ: حَتَّى يَصِحَّ رَأْسُهُ كَمَا كَانَ ثُمَّ يَعُودُ عَلَيْهِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْمَرَّةَ الْأُولَى قَالَ: قُلْتُ: سُبْحَانَ اللَّهِ مَا هَذَانِ؟ قَالَا لِي انْطَلِقِ انْطَلِقْ قَالَ: فَانْطَلَقْتُ مَعَهُمَا فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُسْتَلْقٍ لِقَفَاهُ وَإِذَا آخَرُ عَلَيْهِ بِكَلُّوبٍ مِنْ حَدِيدٍ فَإِذَا هُوَ يَأْتِيَ أَحَدَ شِقَّيْ وَجْهِهِ فَيُشَرْشِرُ شِدْقَهُ إِلَى قَفَاهُ وَمِنْخَرَهُ إِلَى قَفَاهُ وَعَيْنَهُ إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ يَتَحَوَّلُ إِلَى الْجَانِبِ الْآخَرِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ بِالْجَانِبِ الْأَوَّلِ فَمَا يَفْرُغُ مِنْ ذَلِكَ الْجَانِبِ حَتَّى يَصِحَّ الْجَانِبُ الْأَوَّلُ كَمَا كَانَ ثُمَّ يَعُودُ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْمَرَّةَ الْأُولَى قَالَ: قُلْتُ: سُبْحَانَ اللَّهِ مَا هَذَانِ؟ قَالَا: انْطَلِقِ انْطَلِقْ فَانْطَلَقْتُ مَعَهُمَا فَأَتَيْنَا عَلَى مِثْلِ بِنَاءِ التَّنُّورِ
قَالَ عَوْفٌ: أَحْسِبُ أَنَّهُ قَالَ: فَإِذَا فِيهِ لَغَطٌ وَأَصْوَاتٌ فَاطَّلَعْنَا فَإِذَا فِيهِ رِجَالٌ وَنِسَاءٌ عُرَاةٌ وَإِذَا بِنَهْرٍ لَهِيبٍ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ فَإِذَا أَتَاهُمْ ذَلِكَ اللَّهَبُ تَضَوْضَوْا قَالَ: قُلْتُ: مَا هَؤُلَاءِ؟ قَالَا لِي: انْطَلِقِ انْطَلِقْ قَالَ: فَانْطَلَقْنَا عَلَى نَهَرٍ - حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: أَحْمَرَ مِثْلِ الدَّمِ - وَإِذَا فِي النَّهَرِ رَجُلٌ يَسْبَحُ وَإِذَا عِنْدَ شَطِّ النَّهَرِ رَجُلٌ قَدْ جَمَعَ عِنْدَهُ حِجَارَةً كَثِيرَةً وَإِذَا ذَلِكَ السَّابِحُ يَسْبَحُ مَا يَسْبَحُ ثُمَّ يَأْتِي ذَلِكَ الرَّجُلَ الَّذِي جَمَعَ الْحِجَارَةَ فيفغَرُ لَهُ فَاهُ فيُلْقِمُهُ حَجَرًا قَالَ: قُلْتُ: مَا هَؤُلَاءِ؟ قَالَا لِي: انْطَلِقِ انْطَلِقْ قَالَ: فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ كَرِيهِ الْمَرْآةِ كَأَكْرَهِ مَا أَنْتَ رَاءٍ رَجُلًا مَرْآهُ فَإِذَا هُوَ عِنْدَ نَارٍ يحُشُّهَا وَيَسْعَى حَوْلَهَا قَالَ: قُلْتُ لَهُمَا: مَا هَذَا؟ قَالَا لِي: انْطَلِقِ انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا عَلَى رَوْضَةٍ فِيهَا مِنْ كُلِّ نَوْرِ الرَّبِيعِ وَإِذَا بَيْنَ ظَهْرَيِ الرَّوْضَةِ رَجُلٌ قَائِمٌ طَوِيلٌ لَا أَكَادُ أَرَى رَأْسَهُ طُولًا فِي السَّمَاءِ وأَرَى حَوْلَ الرَّجُلِ مِنْ أَكْثَرِ وِلْدَانٍ رَأَيْتُهُمْ قَطُّ وَأَحْسَنَهُ قَالَ: قُلْتُ لَهُمَا: مَا هَؤُلَاءِ؟ قَالَا لِي: انْطَلِقِ انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا وَأَتَيْنَا دَوْحَةً عَظِيمَةً لَمْ أَرَ دَوْحَةً قَطُّ أَعْظَمَ مِنْهَا وَلَا أَحْسَنَ قَالَا لِي: ارْقَ فِيهَا قَالَ: فَارْتَقَيْنَا فِيهَا فَانْتَهَيْنَا إِلَى مَدِينَةٍ مَبْنِيَّةٍ بِلَبِنِ ذَهَبٍ وَلَبِنِ فِضَّةٍ فَأَتَيْنَا بَابَ الْمَدِينَةِ فَاسْتَفْتَحْنَا ففتح لنا فتلقانا فيها رِجَالٌ شطرٌ مِنْ خَلْقِهِمْ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ وَشَطْرٌ كَأَقْبَحِ مَا أَنْتَ رَاءٍ قَالَ:
قَالَا لَهُمُ: اذْهَبُوا فَقَعُوا فِي ذَلِكَ النَّهَرِ فَإِذَا نَهَرٌ مُعْتَرِضٌ يَجْرِي كَأَنَّ مَاءَهُ الْمَحْضُ فِي الْبَيَاضِ فَذَهَبُوا فَوَقَعُوا فِيهِ ثُمَّ رَجَعُوا وَقَدْ ذَهَبَ ذَلِكَ السُّوءُ عَنْهُمْ وَصَارُوا فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ: قَالَا لِي: هَذِهِ جَنَّةُ عَدْنٍ وَهَذَاكَ مَنْزِلُكَ قَالَ: فَسَمَا بَصَرِي صُعُداً فَإِذَا قَصْرٌ مِثْلُ الرَّبَابَةِ الْبَيْضَاءِ قَالَ: قَالَا لِي: هَذَاكَ مَنْزِلُكَ قَالَ: قُلْتُ لَهُمَا: َبارك اللَّهُ فِيكُمَا ذَرَانِي أَدْخُلْهُ قَالَ: قَالَا لِي: أَمَّا الْآنَ فَلَا وَأَنْتَ دَاخِلُهُ قَالَ: فَإِنِّي رَأَيْتُ مُنْذُ اللَّيْلَةِ عَجَبًا فَمَا هَذَا الَّذِي رَأَيْتُ؟ قَالَ: قَالَا لِي: أَمَا إِنَّا سَنُخْبِرُك: أَمَّا الرَّجُلُ الْأَوَّلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُثْلَغُ رَأْسُهُ بِالْحَجَرِ فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَأْخُذُ الْقُرْآنَ فيرفُضُهُ وَيَنَامُ عَنِ الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ.
وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُشَرْشَرُ شِدْقُهُ إِلَى قَفَاهُ وَعَيْنُهُ إِلَى قَفَاهُ وَمِنْخَرُهُ إِلَى قَفَاهُ فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَغْدُو مِنْ بَيْتِهِ فَيَكْذِبُ الْكَذْبَةَ فَتَبْلُغُ الْآفَاقَ.
وَأَمَّا الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ الْعُرَاةُ الَّذِينَ فِي مِثْلِ بِنَاءِ التَّنُّورِ فَإِنَّهُمُ الزُّنَاةُ وَالزَّوَانِي
وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي فِي النَّهَرِ فَيَلْتَقِمُ الْحِجَارَةَ فَإِنَّهُ آكِلُ الرِّبَا
وَأَمَّا الرَّجُلُ الْكَرِيهُ الْمَرْآةِ الَّذِي عِنْدَ النَّارِ يحُشُّها فَإِنَّهُ مالكٌ خَازِنُ جَهَنَّمَ.
وَأَمَّا الرَّجُلُ الطَّوِيلُ الَّذِي فِي الرَّوْضَةِ فَإِنَّهُ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ
وَأَمَّا الْوِلْدَانُ الَّذِينَ حَوْلَهُ فَكُلُّ مَوْلُودٍ وُلِدَ عَلَى الْفِطْرَةِ.
قَالَ: فقَالَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَأَوْلَادُ الْمُشْرِكِينَ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَأَوْلَادُ الْمُشْرِكِينَ
وَأَمَّا الْقَوْمُ الَّذِينَ شطرٌ مِنْهُمْ حَسَنٌ وَشَطْرٌ مِنْهُمْ قَبِيحٌ فَهُمْ قَوْمٌ خَلَطُوا عَمَلًا صالحاً وآخر سيئاً فتجاوز الله عنهم)
الراوي : سَمُرَة بْن جُنْدُبٍ الْفَزَارِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 654 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

654 - اخبرنا محمد بن المنذر بن سعيد حدثنا عيسى بن احمد اخبرنا النضر بن شميل اخبرنا عوف عن ابي رجاء العطاردي عن سمرة بن جندب الفزاري قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم فيما يقول: (هل راى احد من رويا)؟ فيقص عليه من شاء الله ان يقص وانه قال لنا ذات غداة: (انه اتاني الليلة اتيان وانهما ابتعثاني وانهما قالا لي: انطلق واني انطلقت معهما حتى اتينا على رجل مضطجع واذا اخر قاىم عليه بصخرة واذا هو يهوي بالصخرة لراسه فيثلغ بها راسه فتدهدهه الصخرة ها هنا فيقوم الى الحجر فياخذه فما يرجع اليه - احسبه قال: حتى يصح راسه كما كان ثم يعود عليه فيفعل به مثل ما فعل المرة الاولى قال: قلت: سبحان الله ما هذان؟ قالا لي انطلق انطلق قال: فانطلقت معهما فاتينا على رجل مستلق لقفاه واذا اخر عليه بكلوب من حديد فاذا هو ياتي احد شقي وجهه فيشرشر شدقه الى قفاه ومنخره الى قفاه وعينه الى قفاه ثم يتحول الى الجانب الاخر فيفعل به مثل ما فعل بالجانب الاول فما يفرغ من ذلك الجانب حتى يصح الجانب الاول كما كان ثم يعود فيفعل به مثل ما فعل المرة الاولى قال: قلت: سبحان الله ما هذان؟ قالا: انطلق انطلق فانطلقت معهما فاتينا على مثل بناء التنور قال عوف: احسب انه قال: فاذا فيه لغط واصوات فاطلعنا فاذا فيه رجال ونساء عراة واذا بنهر لهيب من اسفل منهم فاذا اتاهم ذلك اللهب تضوضوا قال: قلت: ما هولاء؟ قالا لي: انطلق انطلق قال: فانطلقنا على نهر - حسبت انه قال: احمر مثل الدم - واذا في النهر رجل يسبح واذا عند شط النهر رجل قد جمع عنده حجارة كثيرة واذا ذلك السابح يسبح ما يسبح ثم ياتي ذلك الرجل الذي جمع الحجارة فيفغر له فاه فيلقمه حجرا قال: قلت: ما هولاء؟ قالا لي: انطلق انطلق قال: فانطلقنا فاتينا على رجل كريه المراة كاكره ما انت راء رجلا مراه فاذا هو عند نار يحشها ويسعى حولها قال: قلت لهما: ما هذا؟ قالا لي: انطلق انطلق فانطلقنا فاتينا على روضة فيها من كل نور الربيع واذا بين ظهري الروضة رجل قاىم طويل لا اكاد ارى راسه طولا في السماء وارى حول الرجل من اكثر ولدان رايتهم قط واحسنه قال: قلت لهما: ما هولاء؟ قالا لي: انطلق انطلق فانطلقنا واتينا دوحة عظيمة لم ار دوحة قط اعظم منها ولا احسن قالا لي: ارق فيها قال: فارتقينا فيها فانتهينا الى مدينة مبنية بلبن ذهب ولبن فضة فاتينا باب المدينة فاستفتحنا ففتح لنا فتلقانا فيها رجال شطر من خلقهم كاحسن ما انت راء وشطر كاقبح ما انت راء قال: قالا لهم: اذهبوا فقعوا في ذلك النهر فاذا نهر معترض يجري كان ماءه المحض في البياض فذهبوا فوقعوا فيه ثم رجعوا وقد ذهب ذلك السوء عنهم وصاروا في احسن صورة قال: قالا لي: هذه جنة عدن وهذاك منزلك قال: فسما بصري صعدا فاذا قصر مثل الربابة البيضاء قال: قالا لي: هذاك منزلك قال: قلت لهما: بارك الله فيكما ذراني ادخله قال: قالا لي: اما الان فلا وانت داخله قال: فاني رايت منذ الليلة عجبا فما هذا الذي رايت؟ قال: قالا لي: اما انا سنخبرك: اما الرجل الاول الذي اتيت عليه يثلغ راسه بالحجر فانه الرجل ياخذ القران فيرفضه وينام عن الصلاة المكتوبة. واما الرجل الذي اتيت عليه يشرشر شدقه الى قفاه وعينه الى قفاه ومنخره الى قفاه فانه الرجل يغدو من بيته فيكذب الكذبة فتبلغ الافاق. واما الرجال والنساء العراة الذين في مثل بناء التنور فانهم الزناة والزواني واما الرجل الذي في النهر فيلتقم الحجارة فانه اكل الربا واما الرجل الكريه المراة الذي عند النار يحشها فانه مالك خازن جهنم. واما الرجل الطويل الذي في الروضة فانه ابراهيم عليه السلام واما الولدان الذين حوله فكل مولود ولد على الفطرة. قال: فقال بعض المسلمين: يا رسول الله واولاد المشركين؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: واولاد المشركين واما القوم الذين شطر منهم حسن وشطر منهم قبيح فهم قوم خلطوا عملا صالحا واخر سيىا فتجاوز الله عنهم) الراوي : سمرة بن جندب الفزاري | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 654 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৭. মন গলানো সুমিষ্ট উপদেশমালা (كِتَابُ الرَّقَائِقِ)