পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেয় সে ব্যক্তি অবধারিতভাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম
১৯৯. বানু আব্দুদুদ দার গোত্রের সুহাইল বিন বাইদ্বো রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে এক সফরে ছিলাম। অতঃপর যারা তাঁর সামনে ছিলেন তাঁরা বসে পড়লেন এবং যারা পিছে পড়ে ছিলেন, তাঁরা তাঁর কাছে পৌঁছলেন, এভাবে সবাই যখন একত্রিত হলেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই, জাহান্নামের আগুন আল্লাহ তার উপর হারাম করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিবেন।’[1]
قال أبو حاتم رضي الله تعالى عَنْهُ: هَذَا خَبَرٌ خَرَجَ خِطَابُهُ عَلَى حَسَبِ الْحَالِ وَهُوَ مِنَ الضَّرْبِ الَّذِي ذَكَرْتُ فِي كِتَابِ فُصُولُ السُّنَنِ أَنَّ الْخَبَرَ إِذَا كَانَ خِطَابُهُ عَلَى حَسَبِ الْحَالِ لَمْ يَجُزْ أَنْ يُحْكَمَ بِهِ فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ وَكُلُّ خِطَابٍ كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَسَبِ الْحَالِ فَهُوَ عَلَى ضَرْبَيْنِ أَحَدُهُمَا وُجُودُ حَالَةٍ مِنْ أَجْلِهَا ذَكَرَ مَا ذَكَرَ لَمْ تُذْكَرْ تِلْكَ الْحَالَةُ مَعَ ذَلِكَ الْخَبَرِ وَالثَّانِي أَسْئِلَةٌ سُئِلَ عَنْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَجَابَ عَنْهَا بِأَجْوِبَةٍ فَرُوِيَتْ عَنْهُ تِلْكَ الْأَجْوِبَةُ مِنْ غَيْرِ تِلْكَ الْأَسْئِلَةِ فَلَا يَجُوزُ أَنْ يُحْكَمَ بِالْخَبَرِ إِذَا كَانَ هَذَا نَعَتُهُ فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ دُونَ أَنْ يُضَمَّ مجمله إلى مفسره ومختصره إلى متقصاه.
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “এই হাদীসের বক্তব্য তৎকালীন অবস্থা অনুযায়ী ছিল। এটা ঠিক ঐ প্রকারের বক্তব্য যা আমরা ’ফুসূলুস সুনান’ কিতাবে উল্লেখ করেছি, আর তা হলো: যখন কোন হাদীসের বক্তব্য সমকালীন অবস্থার পরিপেক্ষিতে হয়, সেই হাদীসকে সর্বাবস্থায় প্রয়োগ করা জায়েয হবেনা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যেসব বক্তব্য সমকালীন অবস্থার পরিপেক্ষিতে বলেছেন, সেগুলি দুই প্রকার। প্রথমত: কোন একটি অবস্থার পরিপেক্ষিতে তিনি যা বলার তা বলেছেন, কিন্তু হাদীস উল্লেখ করার সময় সেই অবস্থার বিবরণ উল্লেখ করা হয়নি। দ্বিতীয়ত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কিছু প্রশ্ন করা হয়, আর তিনি সেই প্রশ্নের পরিপেক্ষিতে জবাব দিয়েছেন। তারপর প্রশ্ন উল্লেখ না করে হাদীসে শুধু উত্তর উল্লেখ করা হয়। কাজেই কোন বক্তব্যের অবস্থা যখন এমন হবে, তখন তাঁর সংক্ষিপ্ত ও ব্যাখ্যাহীন বক্তব্যের সাথে বিস্তারিত, ব্যাখ্যামূলক বক্তব্যকে যুক্ত না করে স্রেফ এই ধরণের হাদীস অনুযায়ী সব জায়গায় বিধান দেওয়া জায়েয হবে না “
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘হাদীসটির রাবীগণ সবাই সহীহ বুখারীর রাবী সা‘ঈদ বিন আস সালত ব্যতীত। তাকে ইবনু হিব্বান ছাড়া আর কেউ নির্ভরযোগ্য বলেননি। তবে হাদীসটির সমর্থনে অনেক সহীহ হাদীস থাকার কারণে হাদীসটি সহীহ হিসেবে গণ্য হবে।’
আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সানাদগত ভাবে দুর্বল বললেও, এর সমর্থনে অনেক সহীহ হাদীস থাকার কারণে হাদীসটিকে সহীহ লিগাইরিহী বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান ‘আলা সহীহ ইবনু হিব্বান: ১৯৯।)
ذِكْرُ إِيجَابِ الْجَنَّةِ لِمَنْ شَهِدَ لِلَّهِ جَلَّ وَعَلَا بِالْوَحْدَانِيَّةِ مَعَ تَحْرِيمِ النَّارِ عَلَيْهِ بِهِ
أخبرنا بْنِ قُتَيْبَةَ قَالَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ قَالَ حَدَّثَنَا بن وهب قال أخبرني حيوة قال حدثنا بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الصَّلْتِ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ بَيْضَاءَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَ مَنْ كَانَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَلَحِقَهُ مَنْ كَانَ خَلْفَهُ حَتَّى إِذَا اجْتَمَعُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "أنه مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ وَأَوْجَبَ لَهُ الْجَنَّةَ".
الراوي : سُهَيْل بْن بَيْضَاءَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 199 | خلاصة حكم المحدث: صحيح لغيره.