পরিচ্ছেদঃ ৬/ যোহরের নামাযের শেষ সময়।

৫০৩। হুসায়ন ইবনু হুরায়স (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইনি জিবরীল (আলাইহিস সালাম), যিনি তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিক্ষা দেয়ার জন্য এসেছিলান। তিনি ঊষা উদিত হলে ফজরের সালাত আদায় করেন। যোহরের সালাত আদায় করেন সুর্য ঢলে পড়লে, তারপর আসরের সালাত আদায় করেন যখন ছায়া তাঁর সমান দেখেন। তারঃপর যখন সূর্য অস্তমিত হলো, আর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালনকারীর জন্য ইফতার করা হালাল হল তখন মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। তারপর ইশার সালাত আদায় করেন সুর্য অস্তমিত হওয়ার পর যে শাফাক দেখা যায়, তা অদৃশ্য হওয়ার পর।

জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আবার পরদিন আসলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সাথে নিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন যখন কিছুটা ফর্সা হলো তখন। পরে তাকে নিয়ে যোহরের নামায আদায় করেন যখন ছায়া তার সমান হলো। তারপর আসরের নামায আদায় করেন যখন ছায়া তার দিগুণ হলো। পরে মাগরিবের নামায একই সময়ে পূর্বের দিনের ন্যায় আদায় করেন। যখন সূর্য অস্তমিত হলো এবং রোজা পালনকারীর জন্য ইফতার করা হালাল হলো। এরপর রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে গেলে ইশার নামায আদায় করেন। পরে তিনি বলেন, আপনার আজকের নামায ও গতকালকের নামাযের মধ্যবর্তী সময়ই হলো নামাযের সময়।

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَذَا جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ جَاءَكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَصَلَّى الصُّبْحَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ وَصَلَّى الظُّهْرَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ رَأَى الظِّلَّ مِثْلَهُ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَحَلَّ فِطْرُ الصَّائِمِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ ذَهَبَ شَفَقُ اللَّيْلِ ثُمَّ جَاءَهُ الْغَدَ فَصَلَّى بِهِ الصُّبْحَ حِينَ أَسْفَرَ قَلِيلاً ثُمَّ صَلَّى بِهِ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ الظِّلُّ مِثْلَهُ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ الظِّلُّ مِثْلَيْهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ بِوَقْتٍ وَاحِدٍ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَحَلَّ فِطْرُ الصَّائِمِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ ذَهَبَ سَاعَةٌ مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ الصَّلاَةُ مَا بَيْنَ صَلاَتِكَ أَمْسِ وَصَلاَتِكَ الْيَوْمَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا الحسين بن حريث، قال انبانا الفضل بن موسى، عن محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هذا جبريل عليه السلام جاءكم يعلمكم دينكم ‏"‏ ‏.‏ فصلى الصبح حين طلع الفجر وصلى الظهر حين زاغت الشمس ثم صلى العصر حين راى الظل مثله ثم صلى المغرب حين غربت الشمس وحل فطر الصاىم ثم صلى العشاء حين ذهب شفق الليل ثم جاءه الغد فصلى به الصبح حين اسفر قليلا ثم صلى به الظهر حين كان الظل مثله ثم صلى العصر حين كان الظل مثليه ثم صلى المغرب بوقت واحد حين غربت الشمس وحل فطر الصاىم ثم صلى العشاء حين ذهب ساعة من الليل ثم قال ‏"‏ الصلاة ما بين صلاتك امس وصلاتك اليوم ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: This is 'Jibril, peace be upon you, he came to teach you your religion. He prayed Subh when the dawn appeared, and he prayed Zuhr when the sun had (passed its zenith), and he prayed 'Asr when he saw that the shadow of a thing was equal to its height, then he prayed Maghrib when the sub had set and it is permissible for the fasting person to eat. Then he prayed 'Isha' when the twilight had disappeared. Then he came to him the following day and prayed Subh when it had got a little lighter, then he prayed Zuhr when the shadow of a thing was equal to its height, then he prayed 'Asr when the shadow of a thing was equal to twice its height, then he prayed Maghrib at the same time as before, then he prayed 'Isha' when a short period of the night had passed. Then he said: 'The prayer is between the times when you prayed yesterday and the times when you prayed today.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ নামাজের সময়সীমা (كتاب المواقيت) 6/ The Book of the Times (of Prayer)

পরিচ্ছেদঃ ৬/ যোহরের নামাযের শেষ সময়।

৫০৪। আবূ আব্দুর রহমান আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ আযরামী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গ্রীষ্মকালে যোহরের সালাত আদায় করতেন যখন কোন ব্যাক্তির ছায়া তিন হতে পাঁচ কদমের মধ্যে হতো এবং শীতকালে ছায়া যখন পাঁচ হতে সাত কদমের মধ্যে হতো।

أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَذْرَمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ قَدْرُ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فِي الصَّيْفِ ثَلاَثَةَ أَقْدَامٍ إِلَى خَمْسَةِ أَقْدَامٍ وَفِي الشِّتَاءِ خَمْسَةَ أَقْدَامٍ إِلَى سَبْعَةِ أَقْدَامٍ ‏.‏

اخبرنا ابو عبد الرحمن عبد الله بن محمد الاذرمي، قال حدثنا عبيدة بن حميد، عن ابي مالك الاشجعي، سعد بن طارق عن كثير بن مدرك، عن الاسود بن يزيد، عن عبد الله بن مسعود، قال كان قدر صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم الظهر في الصيف ثلاثة اقدام الى خمسة اقدام وفي الشتاء خمسة اقدام الى سبعة اقدام ‏.‏


It was narrated that 'Abdullah bin Mas'ud said:
"The Prophet (ﷺ) prayed Zuhr when the length of (a person's shadow) was between three and five feet in summer, and between five and seven feet in winter."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ নামাজের সময়সীমা (كتاب المواقيت) 6/ The Book of the Times (of Prayer)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে