পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৪৬. উবায়দুল্লাহ্ ইবন সা’দ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ একদা ফাতেমা (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পাঠালেন। তিনি এসে অনুমতি চাইলেন, সে সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর গায়ে আমার সাথে শোয়া ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা (রাঃ)-কে অনুমতি দিলেন। তখন ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনার স্ত্রীগণ আমাকে আপনার নিকট পাঠিয়েছেন। তারা আবু কুহাফার মেয়ের (আয়েশা) বিষয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ করছেন। আয়েশা (রাঃ) বললেনঃ আমি চুপ ছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা (রাঃ)-কে বললেন, যাকে আমি ভালবাসি তাকে কি তুমি ভালবাস না? ফাতিমা (রাঃ) বললেন, কেন ভালবাসব না? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে একে ভালবাস।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা শোনার পর ফাতিমা (রাঃ) উঠে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের কাছে ফিরে গিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছিলেন তার বর্ণনা দিলেন। তারা বললেন, তোমার দ্বারা আমাদের কোন কাজ হল না। তুমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পুনরায় যাও এবং তাঁকে বল, আপনার স্ত্রীগণ আবু কুহাফার মেয়ে [আয়েশা (রাঃ)]-এর বিষয়ে ইনসাফের অনুরোধ করছে। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, এই বিষয়ে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আর কখনো কোন কথা বলব না।

আয়েশা (রাঃ) বললেন, এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ যয়নাব বিনত জাহাশকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণের মধ্যে তিনিই একমাত্র রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে মর্যাদার বিষয়ে আমার সমপর্যায়ের ছিলেন। আমি যয়নব (রাঃ) অপেক্ষা বেশি দীনদার, আল্লাহর ভয়, আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী, সত্যবাদী-দানশীলা যেই কাজে দান-সাদকার সওয়াব হয় ও নৈকট্য লাভ করা যায়, সেই কাজে অধিকতর সাধনাকারিণী আর কাউকে দেখিনি। শুধু এতটুকু কথা যে, তিনি হঠাৎ রেগে যেতেন। আবার তার রাগ পড়েও যেত খুব তাড়াতাড়ি। তিনি আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুমতি চাইলেন।

এ সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা (রাঃ) প্রবেশ করার সময় যেই রকম আয়েশা (রাঃ)-এর সাথে চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন, সেই অবস্থায় ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি দিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে আপনার স্ত্রীগণ পাঠিয়েছেন। তারা আবু কুহাফার মেয়ের (আয়েশা-এর) ব্যাপারে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ করছেন। এই বলে তিনি আমার সাথে লেগেই গেলেন এবং ভাল-মন্দ বহু কিছু বললেন।

আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৃষ্টির দিকে তাকাচ্ছিলাম তিনি আমাকে উত্তর দেয়ার অনুমতি দিচ্ছেন কি না এটা বুঝার জন্য। যয়নব তার অবস্থার মধ্যেই আছেন। শেষে আমি বুঝতে পারলাম যে, আমার উত্তর দেয়াটারাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপছন্দ করবেন না। আমি যখন তার জওয়াব দেওয়া শুরু করলাম, তখন তাকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলাম না। শেষ পর্যন্ত আমি তার উপর বিজয়ী হলাম। পরিশেষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এতো আবু বকরেরই মেয়ে।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَمِّي قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَيْهِ وَهُوَ مُضْطَجِعٌ مَعِي فِي مِرْطِي فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ وَأَنَا سَاكِتَةٌ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْ بُنَيَّةُ أَلَسْتِ تُحِبِّينَ مَنْ أُحِبُّ قَالَتْ بَلَى قَالَ فَأَحِبِّي هَذِهِ فَقَامَتْ فَاطِمَةُ حِينَ سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَجَعَتْ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُنَّ بِالَّذِي قَالَتْ وَالَّذِي قَالَ لَهَا فَقُلْنَ لَهَا مَا نَرَاكِ أَغْنَيْتِ عَنَّا مِنْ شَيْءٍ فَارْجِعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُولِي لَهُ إِنَّ أَزْوَاجَكَ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ قَالَتْ فَاطِمَةُ لَا وَاللَّهِ لَا أُكَلِّمُهُ فِيهَا أَبَدًا قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنْزِلَةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ أَرَ امْرَأَةً قَطُّ خَيْرًا فِي الدِّينِ مِنْ زَيْنَبَ وَأَتْقَى لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَأَصْدَقَ حَدِيثًا وَأَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَعْظَمَ صَدَقَةً وَأَشَدَّ ابْتِذَالًا لِنَفْسِهَا فِي الْعَمَلِ الَّذِي تَصَدَّقُ بِهِ وَتَقَرَّبُ بِهِ مَا عَدَا سَوْرَةً مِنْ حِدَّةٍ كَانَتْ فِيهَا تُسْرِعُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ عَائِشَةَ فِي مِرْطِهَا عَلَى الْحَالِ الَّتِي كَانَتْ دَخَلَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا فَأَذِنَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ وَوَقَعَتْ بِي فَاسْتَطَالَتْ وَأَنَا أَرْقُبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَرْقُبُ طَرْفَهُ هَلْ أَذِنَ لِي فِيهَا فَلَمْ تَبْرَحْ زَيْنَبُ حَتَّى عَرَفْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا بِشَيْءٍ حَتَّى أَنْحَيْتُ عَلَيْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ

اخبرني عبيد الله بن سعد بن ابراهيم بن سعد قال حدثنا عمي قال حدثنا ابي عن صالح عن ابن شهاب قال اخبرني محمد بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام ان عاىشة قالت ارسل ازواج النبي صلى الله عليه وسلم فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاستاذنت عليه وهو مضطجع معي في مرطي فاذن لها فقالت يا رسول الله ان ازواجك ارسلنني اليك يسالنك العدل في ابنة ابي قحافة وانا ساكتة فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم اي بنية الست تحبين من احب قالت بلى قال فاحبي هذه فقامت فاطمة حين سمعت ذلك من رسول الله صلى الله عليه وسلم فرجعت الى ازواج النبي صلى الله عليه وسلم فاخبرتهن بالذي قالت والذي قال لها فقلن لها ما نراك اغنيت عنا من شيء فارجعي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقولي له ان ازواجك ينشدنك العدل في ابنة ابي قحافة قالت فاطمة لا والله لا اكلمه فيها ابدا قالت عاىشة فارسل ازواج النبي صلى الله عليه وسلم زينب بنت جحش الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهي التي كانت تساميني من ازواج النبي صلى الله عليه وسلم في المنزلة عند رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم ار امراة قط خيرا في الدين من زينب واتقى لله عز وجل واصدق حديثا واوصل للرحم واعظم صدقة واشد ابتذالا لنفسها في العمل الذي تصدق به وتقرب به ما عدا سورة من حدة كانت فيها تسرع منها الفيىة فاستاذنت على رسول الله صلى الله عليه وسلم ورسول الله صلى الله عليه وسلم مع عاىشة في مرطها على الحال التي كانت دخلت فاطمة عليها فاذن لها رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله ان ازواجك ارسلنني يسالنك العدل في ابنة ابي قحافة ووقعت بي فاستطالت وانا ارقب رسول الله صلى الله عليه وسلم وارقب طرفه هل اذن لي فيها فلم تبرح زينب حتى عرفت ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يكره ان انتصر فلما وقعت بها لم انشبها بشيء حتى انحيت عليها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم انها ابنة ابي بكر


'Aishah said:
"The wives of the Prophet sent Fatimah, the daughter of the Messenger of Allah, to the Messenger of Allah. She asked permission to enter when he was lying with me under my cover. He gave her permission to enter, and she said: 'O Messenger of Allah, your wives have sent me to you to ask you to be equitable with regard to the matter of the daughter of Abu Quhafah.' I ('Aishah) kept quiet and the Messenger of Allah said to her: 'O my daughter! Do you not love the one whom I love?' She said: 'Yes.' He said: 'Then love this one.' Fatimah stood up when she heard this and left the Messenger of Allah, and went back to the wives of the Prophet. She told them what she had said, and what he had said to her. They said to her: 'We do not think that you have been of any avail to us. Go back to the Messenger of Allah and say to him: Your wives are urging you to be equitable with regard to the matter of the daughter of Abu Quhafah.' Fatimah said: 'No, by Allah; I will never speak to him about her again.'" 'Aishah said: "So the wives of the Prophet sent Zainab bint Jahsh to the Messenger of Allah; she was one who was somewhat equal to me in rank in the eyes of the Messenger of Allah. And I have never seen a woman who was better in religious commitment than Zainab, more fearing of Allah, more honest in speech, more dutiful in upholding the ties of kinship, more generous in giving charity, and devoted in giving of herself in acts of charity, by means of which she sought to draw closer to Allah. But she was quick-tempered; however, she was also quick to calm down. She asked permission to enter upon the Messenger of Allah when he was with 'Aishah under her cover, in the same situation as when Fatimah had entered. The Messenger of Allah gave her permission to enter and she said: 'O Messenger of Allah, your wives have sent me to ask you to be equitable with regard to the matter of the daughter of Abu Quhafah.' Then she verbally abused me at length, and I was watching the Messenger of Allah to see if he would allow me to respond. Zainab went on until I realized that the Messenger of Allah would not disapprove if I responded. Then I spoke back to her in such a way, until I silenced her. Then the Messenger of Allah said: 'She is the daughter of Abu Bakr.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৪৭. ইমরান ইবন বাক্কার আল-হিমসী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি পূর্বের মত হাদীসটি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ যয়নবকে পাঠালেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুমতি নিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি দিলেন। তিনি প্রবেশ করলেন এবং পূর্বে বর্ণিত হাদীসে যা বলা হয়েছে সেভাবে বললেন।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنِي عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارٍ الْحِمْصِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ فَذَكَرَتْ نَحْوَهُ وَقَالَتْ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ فَاسْتَأْذَنَتْ فَأَذِنَ لَهَا فَدَخَلَتْ فَقَالَتْ نَحْوَهُ خَالَفَهُمَا مَعْمَرٌ رَوَاهُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ

اخبرني عمران بن بكار الحمصي قال حدثنا ابو اليمان قال انبانا شعيب عن الزهري قال اخبرني محمد بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام ان عاىشة قالت فذكرت نحوه وقالت ارسل ازواج النبي صلى الله عليه وسلم زينب فاستاذنت فاذن لها فدخلت فقالت نحوه خالفهما معمر رواه عن الزهري عن عروة عن عاىشة


It was narrated that 'Aishah mentioned a similar report and said:
"The wives of the Prophet sent Zainab and she asked him permission to enter and she entered." And she said something similar. Ma'mar contradicted the two of them; he reported it from Az-Zuhri, from 'Urwah, from 'Aishah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৪৮. মুহাম্মদ ইবন রাফে আন-নিশাপুরী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ একত্রিত হলেন এবং ফাতিমা (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এই বলে পাঠালেন যে, আপনার স্ত্রীগণ আবু কুহাফার মেয়ের বিষয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ করছেন। এইরকম কিছু বললেন। আয়েশা (রাঃ) বললেন, ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রবেশ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা (রাঃ)-এর সাথে তার চাদরের ভেতরে ছিলেন। তিনি বললেন, আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন, তারা আবু কুহাফার মেয়ের বিষয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, তুমি কি আমাকে ভালবাস? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তাকেও ভালবাস। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ফাতিমা (রাঃ) তাদের কাছে ফিরে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন, তা তাদেরকে বললেন। তখন তারা বললেন, আপনি তো আমাদের জন্য কিছুই করলেন না। পুনরায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যান। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, তার কাছে আর আমি এই বিষয় নিয়ে কখনো যাব না। ফাতিমা (রাঃ) (চরিত্র ও চাল-চলনের দিক থেকে) বাস্তবিকই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেয়ে ছিলেন। পুনরায় তাঁরা সবাই (স্ত্রীগণ) মিলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যয়নব বিনত জাহাশকে পাঠালেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণের মধ্যে যয়নব বিনত জাহাশই একমাত্র স্ত্রী (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে মর্যাদার দিক থেকে) যে আমার সমপর্যায়ের ছিল।

তিনি বললেন, আপনার স্ত্রীগণ আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন। তারা আবু কুহাফার মেয়ের (আয়েশার) বিষয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আয়েশা (রাঃ) বললেন, এরপরে যয়নব আমাকে কটু কথা বলতে শুরু করে দিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে লক্ষ্য করতে লাগলাম এবং তিনি আমার উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে মৌন সম্মতি দিচ্ছে কি না বুঝার জন্য তাঁর ভাবভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তিনি আমাকে কটু কথা বলেই যাচ্ছেন। এতে আমি ধারণা করলাম, আমার এসব কথার উত্তর দেওয়াটা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপছন্দ করবেন না। সুতরাং তার মুখােমুখি হলাম এবং তাকে থামিয়ে দিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এতো আবু বকরের মেয়ে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি যয়নব থেকে বেশি দানশীল, আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী এবং যে কাজে দান-সাদকার সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়, তাতে তার চেয়ে বেশি চেষ্টাকারী কাউকে দেখিনি। অবশ্য একটু দ্রুত ক্রোধপ্রবণা ছিলেন তবে তা খুবই দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যেত।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ النَّيْسَابُورِيُّ الثِّقَةُ الْمَأْمُونُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اجْتَمَعْنَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلْنَ فَاطِمَةَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَ لَهَا إِنَّ نِسَاءَكَ وَذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ قَالَتْ فَدَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَعَ عَائِشَةَ فِي مِرْطِهَا فَقَالَتْ لَهُ إِنَّ نِسَاءَكَ أَرْسَلْنَنِي وَهُنَّ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتُحِبِّينِي قَالَتْ نَعَمْ قَالَ فَأَحِبِّيهَا قَالَتْ فَرَجَعَتْ إِلَيْهِنَّ فَأَخْبَرَتْهُنَّ مَا قَالَ فَقُلْنَ لَهَا إِنَّكِ لَمْ تَصْنَعِي شَيْئًا فَارْجِعِي إِلَيْهِ فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَا أَرْجِعُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبَدًا وَكَانَتْ ابْنَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقًّا فَأَرْسَلْنَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ قَالَتْ عَائِشَةُ وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ أَزْوَاجُكَ أَرْسَلْنَنِي وَهُنَّ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَيَّ تَشْتِمُنِي فَجَعَلْتُ أُرَاقِبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْظُرُ طَرْفَهُ هَلْ يَأْذَنُ لِي مِنْ أَنْ أَنْتَصِرَ مِنْهَا قَالَتْ فَشَتَمَتْنِي حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ لَا يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ مِنْهَا فَاسْتَقْبَلْتُهَا فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ أَفْحَمْتُهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ عَائِشَةُ فَلَمْ أَرَ امْرَأَةً خَيْرًا وَلَا أَكْثَرَ صَدَقَةً وَلَا أَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَبْذَلَ لِنَفْسِهَا فِي كُلِّ شَيْءٍ يُتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مِنْ زَيْنَبَ مَا عَدَا سَوْرَةً مِنْ حِدَّةٍ كَانَتْ فِيهَا تُوشِكُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ هَذَا خَطَأٌ وَالصَّوَابُ الَّذِي قَبْلَهُ

اخبرنا محمد بن رافع النيسابوري الثقة المامون قال حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن الزهري عن عروة عن عاىشة قالت اجتمعن ازواج النبي صلى الله عليه وسلم فارسلن فاطمة الى النبي صلى الله عليه وسلم فقلن لها ان نساءك وذكر كلمة معناها ينشدنك العدل في ابنة ابي قحافة قالت فدخلت على النبي صلى الله عليه وسلم وهو مع عاىشة في مرطها فقالت له ان نساءك ارسلنني وهن ينشدنك العدل في ابنة ابي قحافة فقال لها النبي صلى الله عليه وسلم اتحبيني قالت نعم قال فاحبيها قالت فرجعت اليهن فاخبرتهن ما قال فقلن لها انك لم تصنعي شيىا فارجعي اليه فقالت والله لا ارجع اليه فيها ابدا وكانت ابنة رسول الله صلى الله عليه وسلم حقا فارسلن زينب بنت جحش قالت عاىشة وهي التي كانت تساميني من ازواج النبي صلى الله عليه وسلم فقالت ازواجك ارسلنني وهن ينشدنك العدل في ابنة ابي قحافة ثم اقبلت علي تشتمني فجعلت اراقب النبي صلى الله عليه وسلم وانظر طرفه هل ياذن لي من ان انتصر منها قالت فشتمتني حتى ظننت انه لا يكره ان انتصر منها فاستقبلتها فلم البث ان افحمتها فقال لها النبي صلى الله عليه وسلم انها ابنة ابي بكر قالت عاىشة فلم ار امراة خيرا ولا اكثر صدقة ولا اوصل للرحم وابذل لنفسها في كل شيء يتقرب به الى الله تعالى من زينب ما عدا سورة من حدة كانت فيها توشك منها الفيىة قال ابو عبد الرحمن هذا خطا والصواب الذي قبله


It was narrated that 'Aishah said:
"The wives of the Prophet got together and sent Fatimah to the Prophet. They told her to say: 'Your wives'" -and he (the narrator) said something to the effect that they are urging you to be equitable with regard to the matter of the daughter of Abu Quhafah. She said: "So she entered upon the Prophet when he was with 'Aishah under her cover. She said to him: 'Your wives have sent me and they are urging you to be equitable with regard to the matter of the daughter of Abu Quhafah.' The Prophet said to her: 'Do you love me?' She said: 'Yes.' He said: 'Then love her.' So she went back to them and told them what he said. They said to her: 'You did not do anything; go back to him.' She said: 'By Allah, I will never go back (and speak to him) about her again.' She was truly the daughter of the Messenger of Allah. So they sent Zainab bint Jahsh." 'Aishah said: "She was somewhat my equal among the wives of the Prophet. She said: 'Your wives have sent me to urge you to be equitable with regard to the matter of the daughter of Abu Quhafa.' Then she swooped on me and abused me, and I started watching the Prophet to see if he would give me permission to respond to her. She insulted me and I started to think that he would not disapprove if I responded to her. So I insulted her and I soon silenced her. Then the Prophet said to her: 'She is the daughter of Abu Bakr.'" 'Aishah said: "And I never saw any woman who was better, more generous in giving charity, more keen to uphold the ties of kinship, and more generous in giving of herself in everything by means of which she could draw closer to Allah than Zainab. But she had a quick temper; however, she was also quick to calm down."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৪৯. ইসমাঈল ইবন মাসউদ (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অপরাপর খাদ্যের উপর মাংস-রুটি মিশ্রিত স্যুপের যেই প্রাধান্য, অন্য নারীদের উপর আয়েশারও সেই প্রাধান্য।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرٌ يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ


اخبرنا اسمعيل بن مسعود قال حدثنا بشر يعني ابن المفضل قال حدثنا شعبة عن عمرو بن مرة عن مرة الجهني عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم قال فضل عاىشة على النساء كفضل الثريد على ساىر الطعام


It was narrated from Abu Musa that the Prophet said:
"The superiority of 'Aishah to other women is like the superiority of Tharid to other kinds of food."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৫০. আলী ইবন খাশরাম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অপরাপর খাদ্যের উপর মাংস-রুটি মিশ্রিত স্যুপের যেই প্রাধান্য, অন্য নারীদের উপর আয়েশারও সেই প্রাধান্য।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالَ أَنْبَأَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِر الطَّعَامِ


اخبرنا علي بن خشرم قال انبانا عيسى بن يونس عن ابن ابي ذىب عن الحارث بن عبد الرحمن عن ابي سلمة عن عاىشة ان النبي صلى الله عليه وسلم قال فضل عاىشة على النساء كفضل الثريد على ساىر الطعام


It was narrated from 'Aishah that the Prophet said:
"The superiority of 'Aishah to other women is like the superiority of Tharid to other kinds of food."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৫১. আবূ বকর ইবন ইসহাক আস-সান’আনী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আয়েশার ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দিও না। কেননা আল্লাহর শপথ, আয়েশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে আর কারো লেপে অবস্থান করা অবস্থায় ওহী নাযিল হয়নি।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَقَ الصَّغَانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا شَاذَانُ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أُمَّ سَلَمَةَ لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ فَإِنَّهُ وَاللَّهِ مَا أَتَانِي الْوَحْيُ فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ إِلَّا هِيَ

اخبرنا ابو بكر بن اسحق الصغاني قال حدثنا شاذان قال حدثنا حماد بن زيد عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا ام سلمة لا توذيني في عاىشة فانه والله ما اتاني الوحي في لحاف امراة منكن الا هي


It was narrated that 'Aishah said:
"The Messenger of Allah said: 'O Umm Salamah, do not bother me about 'Aishah, for by Allah, the Revelation has never come to me under the blanket of any of you apart from her.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৫২. মুহাম্মদ ইবন আদম (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ তাঁকে বলেন যে, তিনি যেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলেন, মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাদের হাদিয়া পেশ করার জন্য আয়েশা (রাঃ)-এর পালার (দিনের) অপেক্ষা করে থাকে। অতএব তিনি যেন তাকে বলেন, যে আমরাও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কল্যাণ চাই যেরকম আয়েশা চায়। (অতএব হাদীয়া পেশ করার জন্য শুধু আয়েশার পালার দিনের অপেক্ষা করাতে লাভ কি?)

উম্মে সালামা উক্ত বিষয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আলাপ করলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোন উত্তর দিলেন না। পর্যায়ক্রমে যখন উম্মে সালামার পালার দিন আসল সেই দিনও উম্মে সালমা উপরোক্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করলেন। এতেও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী উত্তর দিলেন? উম্মে সালামা বললেন, তিনি কোন উত্তর দেননি। তারা বললেন, আপনি বলতে থাকুন, যাবৎ না তিনি আপনার কথার উত্তর দেন কিংবা দেখেন তিনি কী বলেন।

যখন তার (উম্মে সালামার) পালা আসল, তিনি উপরোক্ত বিষয় নিয়ে পুনরায় আলাপ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আয়েশার ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দিও না। কেননা আল্লাহর শপথ! আয়েশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে আর কারো লেপে অবস্থান করা অবস্থায় ওহী নাযিল হয়নি।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ عَنْ عَبْدَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عَوْفِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ رُمَيْثَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ نِسَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلَّمْنَهَا أَنْ تُكَلِّمَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ وَتَقُولُ لَهُ إِنَّا نُحِبُّ الْخَيْرَ كَمَا تُحِبُّ عَائِشَةَ فَكَلَّمَتْهُ فَلَمْ يُجِبْهَا فَلَمَّا دَارَ عَلَيْهَا كَلَّمَتْهُ أَيْضًا فَلَمْ يُجِبْهَا وَقُلْنَ مَا رَدَّ عَلَيْكِ قَالَتْ لَمْ يُجِبْنِي قُلْنَ لَا تَدَعِيهِ حَتَّى يَرُدَّ عَلَيْكِ أَوْ تَنْظُرِينَ مَا يَقُولُ فَلَمَّا دَارَ عَلَيْهَا كَلَّمَتْهُ فَقَالَ لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ فَإِنَّهُ لَمْ يَنْزِلْ عَلَيَّ الْوَحْيُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ إِلَّا فِي لِحَافِ عَائِشَةَ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ هَذَانِ الْحَدِيثَانِ صَحِيحَانِ عَنْ عَبْدَةَ

اخبرني محمد بن ادم عن عبدة عن هشام عن عوف بن الحارث عن رميثة عن ام سلمة ان نساء النبي صلى الله عليه وسلم كلمنها ان تكلم النبي صلى الله عليه وسلم ان الناس كانوا يتحرون بهداياهم يوم عاىشة وتقول له انا نحب الخير كما تحب عاىشة فكلمته فلم يجبها فلما دار عليها كلمته ايضا فلم يجبها وقلن ما رد عليك قالت لم يجبني قلن لا تدعيه حتى يرد عليك او تنظرين ما يقول فلما دار عليها كلمته فقال لا توذيني في عاىشة فانه لم ينزل علي الوحي وانا في لحاف امراة منكن الا في لحاف عاىشة قال ابو عبد الرحمن هذان الحديثان صحيحان عن عبدة


It was narrated from Umm Salamah that the wives of the Prophet asked her to speak to the Prophet and tell him, that the people were trying to bring their gifts to him when it was 'Aishah's day, and to say to him:
"We love good things as much as 'Aishah does." So she spoke to him, but he did not reply her. When her turn came again, she spoke to him again, but he did not reply her. They said to her: "How did he respond?" She said: "He did not answer me." They said: "Do not leave him alone until he answers you or you comprehend what he says." When her turn came again, she spoke to him and he said: 'Do not bother me about 'Aishah, for the Revelation has never come to me under the blanket of any of you apart from the blanket of 'Aishah.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৫৩. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে লোকেরা হাদিয়া পেশ করার জন্য আয়েশা (রাঃ)-এর পালার দিনটি খুঁজতেন।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

اخبرنا اسحق بن ابراهيم قال انبانا عبدة بن سليمان قال حدثنا هشام عن ابيه عن عاىشة قالت كان الناس يتحرون بهداياهم يوم عاىشة يبتغون بذلك مرضاة رسول الله صلى الله عليه وسلم


It was narrated that 'Aishah said:
"The people used to try to bring their gifts (to the Prophet) on 'Aishah's day, hoping thereby to earn the pleasure of the Messenger of Allah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৫৪. মুহাম্মদ ইবন আদম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর আল্লাহপাক ওহী নাযিল করলেন। আমি উঠে গেলাম এবং তাঁর আমার মাঝখানে দরজা ভেজিয়ে দিলাম। যখন ওহী নাযিল শেষ হল ও তার কষ্ট লাঘব হল, তখন তিনি আমাকে বললেনঃ হে আয়েশা! জিবরীল (আ) তোমাকে সালাম পেশ করেছেন।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ عَنْ عَبْدَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ هُدَيْرٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَوْحَى اللَّهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَعَهُ فَقُمْتُ فَأَجَفْتُ الْبَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَلَمَّا رُفِّهَ عَنْهُ قَالَ لِي يَا عَائِشَةُ إِنَّ جِبْرِيلَ يُقْرِئُكِ السَّلَامَ

حدثنا محمد بن ادم عن عبدة عن هشام عن صالح بن ربيعة بن هدير عن عاىشة قالت اوحى الله الى النبي صلى الله عليه وسلم وانا معه فقمت فاجفت الباب بيني وبينه فلما رفه عنه قال لي يا عاىشة ان جبريل يقرىك السلام


It was narrated that 'Aishah said:
"Allah sent Revelation to the Prophet when I was with him, so I got up and closed the door between him and I. When it was taken off him, he said to me: 'O 'Aishah, Jibril sends greetings of Salam to you.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৫৫. নূহ ইবন হাবীব (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে (আয়েশাকে) বলেছেন, জিবরীল (আঃ) তোমাকে সালাম পেশ করেছেন। উত্তরে আয়েশা (রাঃ) বললেন, তাঁর উপরও আল্লাহর শান্তি, রহমত, বরকত বর্ষিত হোক। আপনি দেখেন, যা আমরা দেখি না।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا إِنَّ جِبْرِيلَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ قَالَتْ وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ تَرَى مَا لَا نَرَى

اخبرنا نوح بن حبيب قال حدثنا عبد الرزاق قال حدثنا معمر عن الزهري عن عروة عن عاىشة ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لها ان جبريل يقرا عليك السلام قالت وعليه السلام ورحمة الله وبركاته ترى ما لا نرى


It was narrated from 'Aishah that the Prophet said to her:
"Jibril sends greetings of Salam to you." She said: "And upon him be peace and the mercy of Allah and His blessings; you see what we do not."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশি ভালবাসা

৩৯৫৬. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে আয়েশা ইনি হচ্ছেন জিবরীল, তিনি তোমাকে সালাম পেশ করছেন।

حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَائِشَةُ هَذَا جِبْرِيلُ وَهُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ مِثْلَهُ سَوَاءٌ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ هَذَا الصَّوَابُ وَالَّذِي قَبْلَهُ خَطَأٌ

اخبرنا عمرو بن منصور قال حدثنا الحكم بن نافع قال انبانا شعيب عن الزهري قال اخبرني ابو سلمة عن عاىشة قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا عاىشة هذا جبريل وهو يقرا عليك السلام مثله سواء قال ابو عبد الرحمن هذا الصواب والذي قبله خطا


It was narrated that 'Aishah said:
"The Messenger of Allah said: 'O 'Aishah, this is Jibril and he is sending greetings of Salam to you.'" The same.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء) 37/ The Book of the Kind Treatment of Women
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে