পরিচ্ছেদঃ ৮. মালিকের সাথে বিবাহ

৩২২৫. কাছীর ইবন উবায়দ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন উতবা (রহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন উসমান, মারওয়ানের খেলাফতকালে বিনতে সাঈদ ইবন যায়দকে তিন তালাক দিলেন, অথচ তিনি ছিলেন তখন একজন পূর্ণ যুবক। আর বিনতে সাঈদ-এর মাতা ছিলেন বিনতে কায়স। তার খালা ফাতিমা বিনতে কায়স তার নিকট সংবাদ পাঠালো, সে যেন আব্দুল্লাহ্ ইবন আমরের ঘর হতে পৃথক হয়ে যায়। মারওয়ান এ খবর শুনে বিনতে সাঈদ-এর নিকট লোক পাঠিয়ে আদেশ করলো, সে যেন তার ঘরে প্রত্যাবর্তন করে, এবং তাকে প্রশ্ন করলো, সে ইতিপূর্বে তার ঘরে থাকা অবস্থায় তাকে কিসে তার ঘর হতে বের করলো। ঘরে থেকে ইদ্দত কেন পূর্ণ করলো না? সে খলিফার নিকট সংবাদ পাঠালো, তার খালা তাকে এ আদেশ করেছেন। ফাতিমা বিনতে কায়স মনে করলেন, সে আবু আমর ইবন হাফসের বিবাহে রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আলী ইবন আবী তালিব (রাঃ)-কে ইয়ামনে গর্ভনর করে পাঠালেন, তখন তিনি তাঁর সাথে গিয়েছিলেন, সেখান হতে তিনি তাঁর নিকট এক তালাক পাঠালেন, যা ছিল তাঁর অবশিষ্ট তালাক এবং হারিছ ইবন হিশাম এবং আইয়াশ ইবন আবী রবীআকে তার খোরপোষ দিয়ে দিতে আদেশ করলেন।

ফাতিমা হারিছ এবং আইয়াশ-এর নিকট লোক পাঠিয়ে তার স্বামী তাদেরকে যে খোরপোষ দিতে বলেছিলেন, তা চেয়ে পাঠালেন। তাঁরা উভয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ আমাদের নিকট তার কোন খোরপোষ নেই; তবে যদি সে গর্ভবতী হয়। আর তার আমাদের ঘরে থাকার কোন অধিকার নেই, আমাদের অনুমতি ব্যতীত। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে গমন করে তা বর্ণনা করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হারিছ এবং আইয়াশ এর কথাই বিশ্বাস করলেন। তখন ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কোথায় যাব? তিনি বললেনঃ তুমি ইবন উম্মে মাকতুম, যাকে আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় কিতাবে ’অন্ধ’ বলেছেন, তাঁর নিকট থাক। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ আমি তার নিকটই ইদ্দত পূৰ্ণ করলাম। তিনি ছিলেন দৃষ্টি শক্তিহীন ব্যক্তি। আমি তাঁর ঘরে আমার কাপড় খুলে রাখতাম। পরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উসামা ইবন যায়ীদ-এর নিকট বিবাহ দিলেন, মারওয়ান ইহা অবিশ্বাস করলেন। তিনি বললেন, তোমার পূর্বে এ হাদীস আমি কারও নিকট শ্রবণ করিনি। এ ব্যাপারে লোককে যা করতে দেখেছি, আমি সে ফয়সালা করবো। (সংক্ষিপ্ত)

تَزَوُّجُ الْمَوْلَى الْعَرَبِيَّةَ

أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الزُّبَيْدِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ طَلَّقَ وَهُوَ غُلَامٌ شَابٌّ فِي إِمَارَةِ مَرْوَانَ ابْنَةَ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَأُمُّهَا بِنْتُ قَيْسٍ الْبَتَّةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهَا خَالَتُهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ تَأْمُرُهَا بِالِانْتِقَالِ مِنْ بَيْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمِعَ بِذَلِكَ مَرْوَانُ فَأَرْسَلَ إِلَى ابْنَةِ سَعِيدٍ فَأَمَرَهَا أَنْ تَرْجِعَ إِلَى مَسْكَنِهَا وَسَأَلَهَا مَا حَمَلَهَا عَلَى الِانْتِقَالِ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَعْتَدَّ فِي مَسْكَنِهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ تُخْبِرُهُ أَنَّ خَالَتَهَا أَمَرَتْهَا بِذَلِكَ فَزَعَمَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ أَبِي عَمْرِو بْنِ حَفْصٍ فَلَمَّا أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى الْيَمَنِ خَرَجَ مَعَهُ وَأَرْسَلَ إِلَيْهَا بِتَطْلِيقَةٍ هِيَ بَقِيَّةُ طَلَاقِهَا وَأَمَرَ لَهَا الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ بِنَفَقَتِهَا فَأَرْسَلَتْ زَعَمَتْ إِلَى الْحَارِثِ وَعَيَّاشٍ تَسْأَلُهُمَا الَّذِي أَمَرَ لَهَا بِهِ زَوْجُهَا فَقَالَا وَاللَّهِ مَا لَهَا عِنْدَنَا نَفَقَةٌ إِلَّا أَنْ تَكُونَ حَامِلًا وَمَا لَهَا أَنْ تَكُونَ فِي مَسْكَنِنَا إِلَّا بِإِذْنِنَا فَزَعَمَتْ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَصَدَّقَهُمَا قَالَتْ فَاطِمَةُ فَأَيْنَ أَنْتَقِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ انْتَقِلِي عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الْأَعْمَى الَّذِي سَمَّاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ قَالَتْ فَاطِمَةُ فَاعْتَدَدْتُ عِنْدَهُ وَكَانَ رَجُلًا قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ فَكُنْتُ أَضَعُ ثِيَابِي عِنْدَهُ حَتَّى أَنْكَحَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا مَرْوَانُ وَقَالَ لَمْ أَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَحَدٍ قَبْلَكِ وَسَآخُذُ بِالْقَضِيَّةِ الَّتِي وَجَدْنَا النَّاسَ عَلَيْهَا مُخْتَصَرٌ

اخبرنا كثير بن عبيد قال حدثنا محمد بن حرب عن الزبيدي عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة ان عبد الله بن عمرو بن عثمان طلق وهو غلام شاب في امارة مروان ابنة سعيد بن زيد وامها بنت قيس البتة فارسلت اليها خالتها فاطمة بنت قيس تامرها بالانتقال من بيت عبد الله بن عمرو وسمع بذلك مروان فارسل الى ابنة سعيد فامرها ان ترجع الى مسكنها وسالها ما حملها على الانتقال من قبل ان تعتد في مسكنها حتى تنقضي عدتها فارسلت اليه تخبره ان خالتها امرتها بذلك فزعمت فاطمة بنت قيس انها كانت تحت ابي عمرو بن حفص فلما امر رسول الله صلى الله عليه وسلم علي بن ابي طالب على اليمن خرج معه وارسل اليها بتطليقة هي بقية طلاقها وامر لها الحارث بن هشام وعياش بن ابي ربيعة بنفقتها فارسلت زعمت الى الحارث وعياش تسالهما الذي امر لها به زوجها فقالا والله ما لها عندنا نفقة الا ان تكون حاملا وما لها ان تكون في مسكننا الا باذننا فزعمت انها اتت رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فصدقهما قالت فاطمة فاين انتقل يا رسول الله قال انتقلي عند ابن ام مكتوم الاعمى الذي سماه الله عز وجل في كتابه قالت فاطمة فاعتددت عنده وكان رجلا قد ذهب بصره فكنت اضع ثيابي عنده حتى انكحها رسول الله صلى الله عليه وسلم اسامة بن زيد فانكر ذلك عليها مروان وقال لم اسمع هذا الحديث من احد قبلك وساخذ بالقضية التي وجدنا الناس عليها مختصر


Narrated 'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Utbah:
It was narrated from 'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Utbah that during the reign of Marwan, 'Abdullah bin 'Amr bin 'Uthman, who was a young man, issued a final divorce to the daughter of Sa'eed bin Zaid, whose mother was Bint Qais. Her maternal aunt, Fatimah bint Qais, sent word to her telling her to move from the house of 'Abdullah bin 'Amr. Marwan heard of that and he sent word to the daughter of Sa'eed, telling her to go back to her home, and asking her why she had moved from her home before her 'Iddah was over? She sent word to him telling him that her maternal aunt had told her to do that. Fatimah bint Qais said that she had been married to Abu 'Amr bin Hafs, and when the Messenger of Allah appointed 'Ali bin Abi Talib as governor of Yemen, he went out with him and sent word to her that she was divorced with the third Talaq. He told Al-Harith bin Hisham and 'Ayyash bin Abi Rai'ah to spend on her. She sent word to Al-Harith and 'Ayyash asking them what her husband had told them to spend on her, and they said: 'By Allah, she has no right to any maintenance from us, unless she is pregnant, and she cannot come into our home without our permission.' She said that she came to the Messenger of Allah and told him about that, and he stated that they were correct. Fatimah said: 'Where should I move to, O Messenger of Allah?' He said: 'Move to the home of Ibn Umm Maktum, the blind man whom Allah, the Mighty and Sublime, named in His Book.' Fatimah said: 'So I observed my 'Iddah there. He was a man who has lost his sight, so I used to take off my garments in his house, until the Messenger of Allah married me to Usamah bin Zaid.' Marwan criticized her for that and said: 'I have never heard this Hadith from anyone before you. I will continue to follow the ruling that the people have been following.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৬/ নিকাহ (বিবাহ)(كتاب النكاح) 26/ The Book of Marriage

পরিচ্ছেদঃ ৮. মালিকের সাথে বিবাহ

৩২২৬. ইমরান ইবন বাক্কার ইবন রাশিদ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) বলেন, আবু হুযায়ফা ইবন উতবা ইবন রবীআ ইবন আবদ শামস ছিলেন ঐ সকল লোকের মধ্যে যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংগে বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন। তিনি সালিম নামে এক ব্যক্তিকে পুত্র বানিয়ে নিয়েছিলেন এবং তার সাথে তার ভ্রাতৃকন্যা হিন্দা বিনতে ওয়ালীল ইবন উতবা ইবন রবীআ ইবন আবদ শামস-এর বিবাহ দেন। আর সে ছিল এক আনসারী মহিলার ক্রীতদাস। যেমন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়দ-কে ছেলে হিসাবে গ্ৰহণ করেছিলেন।

জাহিলী যুগে নিয়ম ছিল, যদি কেউ কাউকেও পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করতো, লোক তাকে তার ছেলে বলেই ডাকতো এবং এ ছেলে ঐ লোকের ওয়ারিস হতো। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ

ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ

অর্থঃ তোমরা তাদের ডাক তাদের পিতৃ-পরিচয়ে, ইহা আল্লাহর দৃষ্টিতে অধিক ন্যায়সঙ্গত; যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই এবং বন্ধু। (সূরা আহযাবঃ ৫)।

এরপর যার পিতৃ পরিচয় না থাকতো, সে বন্ধু বা ধৰ্মীয় ভাই হিসেবে পরিগণিত হতো। (সংক্ষিপ্ত)

تَزَوُّجُ الْمَوْلَى الْعَرَبِيَّةَ

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ رَاشِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَبَنَّى سَالِمًا وَأَنْكَحَهُ ابْنَةَ أَخِيهِ هِنْدَ بِنْتَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَهُوَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ مِنْ الْأَنْصَارِ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا وَكَانَ مَنْ تَبَنَّى رَجُلًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ دَعَاهُ النَّاسُ ابْنَهُ فَوَرِثَ مِنْ مِيرَاثِهِ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي ذَلِكَ ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ فَمَنْ لَمْ يُعْلَمْ لَهُ أَبٌ كَانَ مَوْلًى وَأَخًا فِي الدِّينِ مُخْتَصَرٌ

اخبرنا عمران بن بكار بن راشد قال حدثنا ابو اليمان قال انبانا شعيب عن الزهري قال اخبرني عروة بن الزبير عن عاىشة ان ابا حذيفة بن عتبة بن ربيعة بن عبد شمس وكان ممن شهد بدرا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم تبنى سالما وانكحه ابنة اخيه هند بنت الوليد بن عتبة بن ربيعة بن عبد شمس وهو مولى لامراة من الانصار كما تبنى رسول الله صلى الله عليه وسلم زيدا وكان من تبنى رجلا في الجاهلية دعاه الناس ابنه فورث من ميراثه حتى انزل الله عز وجل في ذلك ادعوهم لاباىهم هو اقسط عند الله فان لم تعلموا اباءهم فاخوانكم في الدين ومواليكم فمن لم يعلم له اب كان مولى واخا في الدين مختصر


Narrated 'Aishah:
It was narrated from 'Aishah that Abu Hudhaifah bin 'Utbah bin Rabi'ah bin 'Abd Shams --who was one of those who had been present at Badr with the Messenger of Allah-- adopted Salim and married him to his brother's daughter, Hind bint Al-Walid bin 'Utbah bin Rabi'ah bin 'Abd Shams, and he was a freed slave of an Ansari woman --as the Messenger of Allah had adopted Zaid. During the Jahiliyyah, if a man adopted someone, the people would call him his son, and he would inherit from his legacy, until Allah, the Mighty and Sublime, revealed about that: 'Call them by (the names of) their fathers, that is more just with Allah. But if you know not their fathers' (names, call them) your brothers in Faith and Mawalikum (your freed slaves)." Then if a person's father's name was not known, he would be their freed slave and brother in faith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৬/ নিকাহ (বিবাহ)(كتاب النكاح) 26/ The Book of Marriage

পরিচ্ছেদঃ ৮. মালিকের সাথে বিবাহ

৩২২৭. মুহাম্মদ ইবন নাসর (রহঃ) ... রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) এবং উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আবু হুযায়ফা ইবন উতবা ইবন রবীআ ইবন আবদ শামস ছিলেন। ঐ সকল লোকদের একজন, যাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন, তিনি সালিম নামক এক ব্যক্তিকে পুত্ৰ বানিয়ে নেন। আর সালিম ছিলেন এক আনসারী মহিলার ক্রীতদাস। যেমন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়দ ইবন হারিছাকে পোষ্যপুত্র হিসাবে গ্রহণ করে ছিলেন। আবু হুযায়ফা ইবন উতবা তার ভাতিজি হিন্দা বিনত ওয়ালীদ ইবন উতবা ইবন রবীআ-কে তার সাথে বিবাহ দিলেন। হিন্দা বিনত ওয়ালীদ ইবন উতবা ছিলেন প্রথম হিজরতকারিণীদের মধ্যে উত্তম। এরপর আল্লাহ্ তাআলা যখন যায়দ ইবন হারিছা সম্বন্ধে আয়াত নাযিল করলেনঃ

ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ

তখন প্রত্যেকেই স্বীয় পোষ্যপুত্ৰকে তার পিতার দিকে প্রত্যাবর্তিত করলো। যদি তাঁর পিতার নাম জানা না থাকতো, তা হলে তাকে ধর্মীয় ভাই হিসেবে গণ্য করা হতো।

تَزَوُّجُ الْمَوْلَى الْعَرَبِيَّةَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ قَالَ قَالَ يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ وَأَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَبَنَّى سَالِمًا وَهُوَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ مِنْ الْأَنْصَارِ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَأَنْكَحَ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ سَالِمًا ابْنَةَ أَخِيهِ هِنْدَ ابْنَةَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَكَانَتْ هِنْدُ بِنْتُ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ مِنْ الْمُهَاجِرَاتِ الْأُوَلِ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ مِنْ أَفْضَلِ أَيَامَى قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ رُدَّ كُلُّ أَحَدٍ يَنْتَمِي مِنْ أُولَئِكَ إِلَى أَبِيهِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ يُعْلَمُ أَبُوهُ رُدَّ إِلَى مَوَالِيهِ

اخبرنا محمد بن نصر قال حدثنا ايوب بن سليمان بن بلال قال حدثني ابو بكر بن ابي اويس عن سليمان بن بلال قال قال يحيى يعني ابن سعيد واخبرني ابن شهاب قال حدثني عروة بن الزبير وابن عبد الله بن ربيعة عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم وام سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان ابا حذيفة بن عتبة بن ربيعة بن عبد شمس وكان ممن شهد بدرا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم تبنى سالما وهو مولى لامراة من الانصار كما تبنى رسول الله صلى الله عليه وسلم زيد بن حارثة وانكح ابو حذيفة بن عتبة سالما ابنة اخيه هند ابنة الوليد بن عتبة بن ربيعة وكانت هند بنت الوليد بن عتبة من المهاجرات الاول وهي يومىذ من افضل ايامى قريش فلما انزل الله عز وجل في زيد بن حارثة ادعوهم لاباىهم هو اقسط عند الله رد كل احد ينتمي من اولىك الى ابيه فان لم يكن يعلم ابوه رد الى مواليه


Narrated 'Aishah:
It was narrated from 'Aishah the wife of the Prophet, and Umm Salamah the wife of the Prophet that Abu Hudhaifah bin 'Utbah bin Rabi'ah bin Abd Shams --who was one of those who had been present at Badr with the Messenger of Allah-- adopted Salim --who was the freed slave of an Ansari woman-- as the Messenger of Allah had adopted Zaid bin Harithah. Abu Hudhaifah bin 'Utbah married Salim to his brother's daughter Hind bint Al-Walid bin 'Utbah bin Rabi'ah. Hind bint Al-Walid bin 'Utbah was one of the first Muhajir women, and at that time she was one of the best single women of the Quraish. When Allah, the Mighty and Sublime, revealed the following concerning Zaid bin Harithah: "Call them by (the names of) their fathers, that is more just with Allah. But if you know not their fathers' (names, call them) your brothers in Faith and Mawalikum (your freed slaves).' Each of them went back to being called after his father, and if a person's father was unknown, he was named after his former masters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৬/ নিকাহ (বিবাহ)(كتاب النكاح) 26/ The Book of Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে