পরিচ্ছেদঃ ১৪/ মৃতের জন্য ক্রন্দনের নিষেধাজ্ঞা
১৮৪৯। উতবা ইবনু আব্দুল্লাহ (রহঃ) ... জাবির ইবনু আতীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল্লাহ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর শুশ্রুষার জন্য গিয়ে দেখতে পেলেন যে, তার মৃত্যূ আসন্ন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উচ্চ স্বরে ডেকেও তার কোন নাড়া শব্দ না পেয়ে انا لله وانا اليه راجعون পড়লেন এবং বললেন, হে আবূ বুবী! আমাদের সম্মূখে তোমার উপর আল্লাহ তা’আলার হুকুম বিজয়ী হতে যাচ্ছে (তুমি মৃত্যূ বরণ করেছ)। একথা শুনে কিছু মহিলা উচ্চ স্বরে ক্রন্দন শুরু করে দিলে ইবনু আতীক (রাঃ) (জাবির) তাদের শান্ত করাতে লাগলেন।
তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাদের ছেড়ে দাও। যখন মৃত্যৃ হয়ে যারে তখন কোনই ক্রন্দনকারিণী ক্রন্দন করবে না। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, ’উজুব’ শব্দের অর্থ কি ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, ’মৃত্যু’। তার কন্যা বলল, যে আমি তো এ আশাই করতাম যে, আপনি শহীদ হবেন। আপনি তো শাহাদাতের যাবতীয় পাথেয় সংগ্রহ করেই রেখেছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তা’আলা তার নিয়্যত অনুযায়ী তাকে শাহাদাতের সওয়াব দিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা, তোমরা শাহাদাত কাকে মনে কর? তারা বললেন, আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুবরণ করাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুবরণ করা ব্যতীতও আরো সাত প্রকারের শাহাদাত আছে-
১. প্লেগ রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ
২. পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ
৩. পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি শহীদ
৪. প্রাচীর চাপায় মৃত ব্যক্তি শহীদ
৫. আভ্যন্তরীণ বিষ ফোঁড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ
৬. অগ্নিদাহে মৃত ব্যক্তি শহীদ
৭. প্রসবকালে মৃত রমনী শহীদ।
باب النَّهْىِ عَنِ الْبُكَاءِ، عَلَى الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا عُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرِ بْنِ عَتِيكٍ، أَنَّ عَتِيكَ بْنَ الْحَارِثِ، وَهُوَ جَدُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو أُمِّهِ أَخْبَرَهُ أَنَّ جَبْرَ بْنَ عَتِيكٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَاءَ يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ثَابِتٍ فَوَجَدَهُ قَدْ غُلِبَ عَلَيْهِ فَصَاحَ بِهِ فَلَمْ يُجِبْهُ فَاسْتَرْجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " قَدْ غُلِبْنَا عَلَيْكَ أَبَا الرَّبِيعِ " . فَصِحْنَ النِّسَاءُ وَبَكَيْنَ فَجَعَلَ ابْنُ عَتِيكٍ يُسَكِّتُهُنَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعْهُنَّ فَإِذَا وَجَبَ فَلاَ تَبْكِيَنَّ بَاكِيَةٌ " . قَالُوا وَمَا الْوُجُوبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الْمَوْتُ " . قَالَتِ ابْنَتُهُ إِنْ كُنْتُ لأَرْجُو أَنْ تَكُونَ شَهِيدًا قَدْ كُنْتَ قَضَيْتَ جِهَازَكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَوْقَعَ أَجْرَهُ عَلَيْهِ عَلَى قَدْرِ نِيَّتِهِ وَمَا تَعُدُّونَ الشَّهَادَةَ " . قَالُوا الْقَتْلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الشَّهَادَةُ سَبْعٌ سِوَى الْقَتْلِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ وَالْغَرِيقُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ الْهَدْمِ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ الْحَرَقِ شَهِيدٌ وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهِيدَةٌ " .
It was narrated from Jabir bin 'Abdullah bin 'Atik that 'Atik bin Al-Harith who was the grandfather of 'Abdullah bin 'Abdullah, his mother's fathr told him that the Jabir bin "Atik told him that:
the Prophet came to visit 'Abdullah bin Thabit (when he was sick) and found him very close to death. He called out to him and he did not respond, so the Messenger of Allah said: "Truly, to Allah we belong and truly, to Him we shall return," and said: "We wanted you to live but we were overtaken by the decree of Allah, O Abu Ar-Rabi." The women screamed and wept, and Ibn "Atik started telling them to quiet. The Messenger of Allah said: "Leave them; when the inevitable comes, no one should weep." They said: "What is the inevitable, O Messenger of Allah?" He said: "Death." His daughter said: "I had hoped that you would become a martyr, for you had prepared yourself for it." The Messenger of Allah said: "Allah, the Mighty and Sublime, has rewarded him according to his intention. What do you think martyrdom is?" They said: "Being killed for the sake of Allah." The Messenger of Allah said: "Martyrdom is of seven types besides being killed for the sake of Allah. The one who dies of the plague is a martyr; the one who is crushed by a falling building is a martyr; the one who is crusheds by a falling building is a martyr; the one who dies of pleurisy is a martyr; the one who dies of pleurisy is a martyr; the one who is burned to death is a martyr, and the woman who dies in pregnancy is a martyr."
পরিচ্ছেদঃ ১৪/ মৃতের জন্য ক্রন্দনের নিষেধাজ্ঞা
১৮৫০। ইউনুস ইবনু আব্দুল আ’লা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যায়দ ইবনু হারিসা, জা’ফর ইবনু আবূ তালিব এবং আব্দুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ)-এর শাহাদাত প্রাপ্তির সংবাদ এসে পৌছলো, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মসজিদে) বসে পড়লেন এবং তার মুখমণ্ডলে বিষণ্ণতার রেখা ফুটে উঠল, আমি দরজার ছিদ্রপথ দিয়ে তাকে দেখছিলাম। এক ব্যাক্তি এসে বলল, জা’ফর (রাঃ)-এর পরিবারবর্গ ক্রন্দন করছে, তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাদের নিষেধ কর।
সে চলে গেল এবং আবার এসে বললো, আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা ক্রন্দন করছেই। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাদের নিষেধ কর। সে পুনরায় এসে বললো, আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা ক্রন্দন করছেই। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাদের মুখে মাটি ভরে দাও। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ তা’আলা অভাগার নাসিকা ধূলাধূসরিত করে দিক, আল্লাহর শপথ! তুমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কষ্ট না দিয়ে ছাড়লে না, তোমাকে যা বলা হয়েছিল, তুমি তা করতে পারলে না।
باب النَّهْىِ عَنِ الْبُكَاءِ، عَلَى الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أَتَى نَعْىُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَجَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْرَفُ فِيهِ الْحُزْنُ وَأَنَا أَنْظُرُ مِنْ صِئْرِ الْبَابِ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ نِسَاءَ جَعْفَرٍ يَبْكِينَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " انْطَلِقْ فَانْهَهُنَّ " . فَانْطَلَقَ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ قَدْ نَهَيْتُهُنَّ فَأَبَيْنَ أَنْ يَنْتَهِينَ . فَقَالَ " انْطَلِقْ فَانْهَهُنَّ " . فَانْطَلَقَ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ قَدْ نَهَيْتُهُنَّ فَأَبَيْنَ أَنْ يَنْتَهِينَ . قَالَ " فَانْطَلِقْ فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ التُّرَابَ " . فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ أَرْغَمَ اللَّهُ أَنْفَ الأَبْعَدِ إِنَّكَ وَاللَّهِ مَا تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا أَنْتَ بِفَاعِلٍ .
It was narrated that 'Aishah said:
'When news of the death of Zaid bin Harithah, Ja'far bin Abi Talib and 'Abdullah bin Rawahah was announced, the Messenger of Allah sat down and it could be seen that he was grieving. I was looking through a crack in the door, and a man came and said: 'Ja'far's womenfolk are weeping.' The Messenger of Allah said: 'Go and prevent them.' He went away, then he came back, and said: I told them not to do that, but they refused to stop; He said: Go and prevent them; He went away then he came back, and said: I told them not to do that, but they refused to stop. He said: 'Throw dust in their mouths.'" Aishah said: "I said: 'May Allah rub his nose in the dust, the one who is over there! You did not leave the Messenger of Allah alone but you were not going to do (what he told you to do).""
পরিচ্ছেদঃ ১৪/ মৃতের জন্য ক্রন্দনের নিষেধাজ্ঞা
১৮৫১। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উমর (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মৃতকে তার পরিবারবর্গের তার উপর ক্রন্দনের কারনে শাস্তি দেওয়া হয়।
باب النَّهْىِ عَنِ الْبُكَاءِ، عَلَى الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ " .
It was narrated from Ibn 'Umar, from 'Umar, that the Prophet said:
"The deceased is punished due to the weeping of his family for him."
পরিচ্ছেদঃ ১৪/ মৃতের জন্য ক্রন্দনের নিষেধাজ্ঞা
১৮৫২। মাহমূদ ইবনু গায়ালান (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনু সূবায়হ (রহঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, একদা ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) এর কাছে উল্লেখ করা হল যে, মৃতকে জীবিতদের ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। ইমরান (রাঃ) বললেন, তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন।
باب النَّهْىِ عَنِ الْبُكَاءِ، عَلَى الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صُبَيْحٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ، يَقُولُ ذُكِرَ عِنْدَ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ فَقَالَ عِمْرَانُ قَالَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
It was narrated that 'Abdullah bin Subaih said:
"I heard Muhammad bin Sirin say: It was mentioned in the presence of 'Imran bin Husain that the deceased is punished due to the weeping of the living.' 'Imran said: "The Messenger of Allah said it."
পরিচ্ছেদঃ ১৪/ মৃতের জন্য ক্রন্দনের নিষেধাজ্ঞা
১৮৫৩। সুলায়মান ইবনু সায়ফ (রহঃ) ... উমর (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃতব্যক্তিকে তার পরিবারবর্গের তার জন্য ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়।
باب النَّهْىِ عَنِ الْبُكَاءِ، عَلَى الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ قَالَ سَالِمٌ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ عُمَرُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ " .
It was narrated that Ibn Shihab said:
"Salim said: 'I heard 'Abdullah bin 'Umar say: 'Umar said: The Messenger of Allah said: The deceased is punished due to his family's weeping for him."