পরিচ্ছেদঃ ২০/ গ্রহণকালীন সালাতে সিজদায় কথা বলা

১৪৯৯। আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করলেন, আর দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর রুকু করলেন আর রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং তাও (দাঁড়ানো) দীর্ঘায়িত করলেন। রাবী শুবা (রহঃ) বলেন, আমি মনে করি যে, তিনি সিজদার ব্যাপারেও অনুরূপ বলেছেন এবং তিনি সিজদায় ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে লাগলেন। বলতে লাগলেন, হে রব! আমি তোমার কাছে মাগফিরাত চাওয়াকালীন তুমি তো এরূপ আযাবের ওয়াদা করনি? আমি তাদের মাঝে অবস্থানকালীন তুমি তো আমার কাছে এরূপ আযাবের প্রতিশ্রতি করনি।

যখন তিনি সালাত আদায় করে নিলেন তখন বললেন, আমার সামনে জান্নাত উপস্থাপন করা হলো, এমনকি যদি আমি হাত প্রসারিত করতাম তাহলে তার ফল স্পর্শ করতে পারতাম। আমার সামনে জাহান্নামও উপস্থাপন করা হলো, আমি তাতে এই ভয়ে ফুঁক দিতে লাগলাম যে, তার তাপ তোমাদের গ্রাস করে ফেলে। আমি তাতে আমার (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) দুই উটনীর চোরকেও দেখলাম, আর আমি তাতে দা’দা গোত্রের এক ব্যক্তিকেও দেখলাম, যে হাজীদের মাল চুরি করত। যখন তার শান্তি অনুভব হলো তখন সে বললো, এতো হল বক্র লাঠির কাজ।

আমি তাতে এক কুষ্ণবর্ণের মহিলাকেও দেখলাম, তাকে এক বিড়ালের ব্যাপারে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সে বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। তাকে সে খাদ্যও খাওয়াত না এবং পানিও পান করাত না এবং ছেড়েও দিত না সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারতো। এমনিভাবে বিড়ালটি মারা গিয়েছিল। আর চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে হয় না বরং তারা হয় আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। অতএব, যখন তাদের কারো গ্রহণ লেগে যায় অথবা বলেছেন যে, তাদের কারো এমন ধরনের কিছু ঘটে যায় তখন তোমবা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও।

باب الْقَوْلِ فِي السُّجُودِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمِسْوَرِ الزُّهْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ - قَالَ شُعْبَةُ وَأَحْسَبُهُ قَالَ فِي السُّجُودِ نَحْوَ ذَلِكَ - وَجَعَلَ يَبْكِي فِي سُجُودِهِ وَيَنْفُخُ وَيَقُولُ ‏"‏ رَبِّ لَمْ تَعِدْنِي هَذَا وَأَنَا أَسْتَغْفِرُكَ لَمْ تَعِدْنِي هَذَا وَأَنَا فِيهِمْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا صَلَّى قَالَ ‏"‏ عُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ حَتَّى لَوْ مَدَدْتُ يَدِي تَنَاوَلْتُ مِنْ قُطُوفِهَا وَعُرِضَتْ عَلَىَّ النَّارُ فَجَعَلْتُ أَنْفُخُ خَشْيَةَ أَنْ يَغْشَاكُمْ حَرُّهَا وَرَأَيْتُ فِيهَا سَارِقَ بَدَنَتَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتُ فِيهَا أَخَا بَنِي دُعْدُعٍ سَارِقَ الْحَجِيجِ فَإِذَا فُطِنَ لَهُ قَالَ هَذَا عَمَلُ الْمِحْجَنِ وَرَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً طَوِيلَةً سَوْدَاءَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَسْقِهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ وَإِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ فَإِذَا انْكَسَفَتْ إِحْدَاهُمَا - أَوْ قَالَ فَعَلَ أَحَدُهُمَا شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ - فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا عبد الله بن محمد بن عبد الرحمن بن المسور الزهري، قال حدثنا غندر، عن شعبة، عن عطاء بن الساىب، عن ابيه، عن عبد الله بن عمرو، قال كسفت الشمس على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاطال القيام ثم ركع فاطال الركوع ثم رفع فاطال - قال شعبة واحسبه قال في السجود نحو ذلك - وجعل يبكي في سجوده وينفخ ويقول ‏"‏ رب لم تعدني هذا وانا استغفرك لم تعدني هذا وانا فيهم ‏"‏ ‏.‏ فلما صلى قال ‏"‏ عرضت على الجنة حتى لو مددت يدي تناولت من قطوفها وعرضت على النار فجعلت انفخ خشية ان يغشاكم حرها ورايت فيها سارق بدنتى رسول الله صلى الله عليه وسلم ورايت فيها اخا بني دعدع سارق الحجيج فاذا فطن له قال هذا عمل المحجن ورايت فيها امراة طويلة سوداء تعذب في هرة ربطتها فلم تطعمها ولم تسقها ولم تدعها تاكل من خشاش الارض حتى ماتت وان الشمس والقمر لا ينكسفان لموت احد ولا لحياته ولكنهما ايتان من ايات الله فاذا انكسفت احداهما - او قال فعل احدهما شيىا من ذلك - فاسعوا الى ذكر الله عز وجل ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abdullah bin Amr said:
"The sun eclipsed during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) prayed and stood for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up and (remained standing) for a long time." (One of the narrators) Shu'bh said: "I think he said something similar concerning prostration."- "He started weeping and blowing during his prostration and said: 'Lord, You did not tell me that You would do that while I am asking You for forgiveness; You did not tell me that You would do that while I was still among them.' When he finished praying he said: "Paradise was shown to me, and if I had stretched forth my hand I could have taken some of its fruits. And Hell was shown to me, so I started blowing for fear that its heat might overwhelm you. I saw therein the thief who stole the two camels of the Messenger of Allah (ﷺ); and I saw therein the brother of Banu As-Du'du; the thief who stole from the pilgrims, and when he was caught he said: The crooked stick did it; and I saw therein a tall black woman who was being punished because of a cat she tied up and did not feed or give it water, and she did not let it eat of the vermin of the earth, until it died. Then sun and the moon do not become eclipsed for the death or birth of anyone, but they are two of the signs of Allah. If one of them becomes eclipsed'- or he said: 'if one of them does anything like that'- 'then hasten to remember Allah, the Mighty and Sublime.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses