পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬১. আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) .... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুরআনের এ আয়াত- "তোমাদের মাঝে যে সব মহিলারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তাদের জন্য চারজন সাক্ষী নির্ধারিত কর। যদি তারা সে মহিলার ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার পক্ষে সাক্ষী দেয়, তবে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখ, অথবা যতক্ষণ না আল্লাহ্‌ তার জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা করে দেন।" মহিলাদের পরে পুরুষদের কথা উল্লেখ করার পর, উভয়ের কথা একত্রে কুরআনে এরূপ বর্ণিত হয়েছেঃ তোমাদের মাঝে যে পুরুষ ও মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তাদের শাস্তি প্রদান কর। আর যদি তারা তাওবা করে এবং ভাল হয়ে যায়, তবে তাদের ক্ষমা কর। এ আয়াতটি দুররার আয়াত নাযিল হওয়ার পর বাতিল হয়ে গেছে। আয়াতটি হলোঃ যিনাকারী পুরুষ ও যিনাকারিণী স্ত্রী লোককে একশতটি বেত্রাদণ্ড প্রদান কর।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ‏(‏ وَاللاَّتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً ‏)‏ وَذَكَرَ الرَّجُلَ بَعْدَ الْمَرْأَةِ ثُمَّ جَمَعَهُمَا فَقَالَ ‏(‏ وَاللَّذَانِ يَأْتِيَانِهَا مِنْكُمْ فَآذُوهُمَا فَإِنْ تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا عَنْهُمَا ‏)‏ فَنَسَخَ ذَلِكَ بِآيَةِ الْجَلْدِ فَقَالَ ‏(‏ الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ ‏)‏ ‏.‏

حدثنا احمد بن محمد بن ثابت المروزي، حدثني علي بن الحسين، عن ابيه، عن يزيد النحوي، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال ‏(‏ واللاتي ياتين الفاحشة من نساىكم فاستشهدوا عليهن اربعة منكم فان شهدوا فامسكوهن في البيوت حتى يتوفاهن الموت او يجعل الله لهن سبيلا ‏)‏ وذكر الرجل بعد المراة ثم جمعهما فقال ‏(‏ واللذان ياتيانها منكم فاذوهما فان تابا واصلحا فاعرضوا عنهما ‏)‏ فنسخ ذلك باية الجلد فقال ‏(‏ الزانية والزاني فاجلدوا كل واحد منهما ماىة جلدة ‏)‏ ‏.‏


Ibn ‘Abbas said:
The Qur’anic verse goes: “If any of your woman are guilty of lewdness, take the evidence of four (reliable) witnesses from amongst you against them, and if they testify, Confine them to houses until death do chain them or Allah ordains for them some (other) way. Allah then mentioned man after woman and combined them in another verse : “If two men among you are guilty of lewdness, punish them both. If they repent and amend, leave them alone. This command was abrogated by the verse relating to flogging : “The woman and the man guilty of adultery or fornication – flog each of them with one hundred stripes.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬২. আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ..... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ পূর্ববর্তী হাদীছে যে ’সাবীল’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, এর অর্থ হলো- ’হদ’ বা আল্লাহ্‌ প্রদত্ত শাস্তির বিধান।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى، - (يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ) - عَنْ شِبْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ السَّبِيلُ الْحَدُّ

حدثنا احمد بن محمد بن ثابت، حدثنا موسى، - (يعني ابن مسعود) - عن شبل، عن ابن ابي نجيح، عن مجاهد، قال السبيل الحد


Mujahid said:
“Apponting a way in the verse (iv.15) means prescribed punishment.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মুজাহিদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬৩. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার কাছ থেকে শিখে নাও, আমার কাছ থেকে শিখে নাও, আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদের জন্য সাবীল বা পথ নির্ধারিত করে দিয়েছেন। যদি বিবাহিত পুরুষ-বিবাহিতা স্ত্রীর সাথে যিনা করে, তবে তাদের শাস্তি হলো-একশত বেত্রাদণ্ড এবং পাথর মেরে হত্যা। আর যদি অবিবাহিত পুরুষ-কোন অবিবাহিতা স্ত্রীর সাথে যিনা করে, তবে তাদের শাস্তি হলো-একশত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশ থেকে বহিষ্কার।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خُذُوا عَنِّي خُذُوا عَنِّي قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَرَمْىٌ بِالْحِجَارَةِ وَالْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْىُ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن سعيد بن ابي عروبة، عن قتادة، عن الحسن، عن حطان بن عبد الله الرقاشي، عن عبادة بن الصامت، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خذوا عني خذوا عني قد جعل الله لهن سبيلا الثيب بالثيب جلد ماىة ورمى بالحجارة والبكر بالبكر جلد ماىة ونفى سنة ‏"‏ ‏.‏


‘Ubadah b. al-Samit reported the Messenger of Allah(ﷺ) as sayings:
Receive my teachings, receive my teachings. Allah has appointed a way for those women. If the parties have been married, they shall receive a hundred lashes and stoned to death. If the parties are unmarried, they shall receive a hundred lashes and banished for a year.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬৪. ওয়াহাব ইবন বাকীয়্যা (রহঃ) .... হাসান (রহঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীছের সনদে ও অর্থে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ যিনাকারী পুরুষ ও মহিলার শাস্তি হলো একশত বেত্রাদণ্ড এবং পাথর মেরে হত্যা।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَسَنِ، بِإِسْنَادِ يَحْيَى وَمَعْنَاهُ قَالاَ ‏ "‏ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا وهب بن بقية، ومحمد بن الصباح بن سفيان، قالا حدثنا هشيم، عن منصور، عن الحسن، باسناد يحيى ومعناه قالا ‏ "‏ جلد ماىة والرجم ‏"‏ ‏.‏


A similar tradition has been transmitted by al-Hasan through a chain of Yahya and to the same effect. This version adds:
They shall receive a hundred lashes and toned to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬৫. আবদুল্লাহ্‌ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) খুতবা দেওয়ার সময় বলেন যে, মহান আল্লাহ্‌ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেন এবং তাঁর উপর কিতাবও নাযিল করেন, যাতে রজমের নির্দেশ আছে। আমরা তা তিলাওয়াত করে ভালভাবে মুখস্থ করেছি। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন এবং তাঁর পরে আমরাও রজম করেছি। এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার কারণে হয়তো কেউ এরূপ বলবেঃ আমরা আল্লাহ্‌র কিতাবে রজম সম্পর্কে কোন নির্দেশ পাই না। ফলে তারা আল্লাহ্‌র একটি ফরয নির্দেশ পরিত্যাগ করার কারণে গুমরাহ হয়ে যাবে। এরপর তিনি বলেনঃ যে সব নর-নারী যিনায় লিপ্ত হয়, তাদের জন্য রজমের নির্দেশ আছে; যদি সে বিবাহিত হয়, যদি সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, অথবা গর্ভবতী হয়, অথবা সে নিজে তা স্বীকার করে। আল্লাহর শপথ! যদি লোকেরা এরূপ বলাবলি না করতো যে, উমার আল্লাহ্‌র কিতাবে অতিরিক্ত যোগ করেছে, তবে আমি রজমের আয়াত লিখে দিতাম।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ، - يَعْنِي ابْنَ الْخَطَّابِ - رضى الله عنه خَطَبَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ فِيمَا أَنْزَلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ فَقَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا مِنْ بَعْدِهِ وَإِنِّي خَشِيتُ - إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ الزَّمَانُ - أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ مَا نَجِدُ آيَةَ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ تَعَالَى فَالرَّجْمُ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا كَانَ مُحْصَنًا إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ حَمْلٌ أَوِ اعْتِرَافٌ وَايْمُ اللَّهِ لَوْلاَ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ زَادَ عُمَرُ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَكَتَبْتُهَا ‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد النفيلي، حدثنا هشيم، حدثنا الزهري، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، عن عبد الله بن عباس، ان عمر، - يعني ابن الخطاب - رضى الله عنه خطب فقال ان الله بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق وانزل عليه الكتاب فكان فيما انزل عليه اية الرجم فقراناها ووعيناها ورجم رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجمنا من بعده واني خشيت - ان طال بالناس الزمان - ان يقول قاىل ما نجد اية الرجم في كتاب الله فيضلوا بترك فريضة انزلها الله تعالى فالرجم حق على من زنى من الرجال والنساء اذا كان محصنا اذا قامت البينة او كان حمل او اعتراف وايم الله لولا ان يقول الناس زاد عمر في كتاب الله عز وجل لكتبتها ‏.‏


Abd Allah b. ‘Abbas said:
‘Umar b. al-Khattab gave an address saying: Allah sent Muhammad (ﷺ) with truth and sent down the Books of him, and the verse of stoning was included in what He sent down to him. We read it and memorized it. The Messenger of Allah (ﷺ) had people stoned to death and we have done it also since his death. I am afraid the people might say with the passage of time: We do not find the verse of stoning in the Books of Allah, and thus they stray by abandoning a duty which Allah had received. Stoning is a duty laid down (by Allah) for married men and women who commit fornication when proof is established, or if there is pregnancy, or a confession. I swear by Allah, had it not been so that the people might say: ‘Umar made an addition to Allah’s Book, I would have written it (there).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬৬. মুহাম্মদ ইবন সুলায়মান (রহঃ) .... ইয়াযীদ ইবন নুআয়েম ইবন হুযাল (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ মা’ইয ইবন মালিক ইয়াতীম ছিলেন এবং তিনি আমার পিতার নিকট লালিত-পালিত হন। একদা তিনি মহল্লার একটি মেয়ের সাথে ব্যভিচার করেন। তখন আমার পিতা তাকে বলেনঃ তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাও এবং অবস্থা সম্পর্কে তাঁকে অবহিত কর। সম্ভবতঃ তিনি তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন-তোমার অপকর্মের জন্য। আর তার এরূপ বলার উদ্দেশ্য এই ছিল যে, যাতে মা’ইযের নাজাতের কোন ব্যবস্থা হয়ে যায়।

এরপর মা’ইয (রাঃ) তাঁর নিকট যান এবং বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যিনা করেছি, আপনি আমার উপর আল্লাহ্‌র কিতাবের হুকুম কার্যকরী করুন। একথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তিনি দ্বিতীয়বার বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যিনা করেছি, আপনি আমার উপর আল্লাহ্‌র কিতাবের হুকুম কার্যকরী করুন। এ ভাবে তিনি চারবার তার ক্রটির কথা স্বীকার করেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি তো চারবার তোমার দোষের কথা স্বীকার করেছ। এখন বলঃ তুমি কার সাথে যিনা করেছ? তখন তিনি বলেনঃ অমুক মেয়ের সাথে।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে শয়ন করেছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি তার সাথে মিলিত হয়েছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে সংগম করেছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। এ সব শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে রজম বা পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন।

তাকে হাররা নামক স্থানে নেওয়া হয় এবং পাথর মারা শুরু হলে ভয়ে অস্থির হয়ে তিনি পালাতে থাকেন। এ সময় আবদুল্লাহ ইবন উনায়স তাকে কাবু করে ফেলেন। তাঁর সঙ্গী ক্লান্ত হয়ে পড়ায়, তিনি উটের খুর দিয়ে তাকে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এ ঘটনা বর্ণনা করলে, তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না? সে হয়তো খালিস তাওবা করতো এবং আল্লাহ্‌ তাকে মাফ করে দিত।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ نُعَيْمِ بْنِ هَزَّالٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي ‏.‏ فَأَصَابَ جَارِيَةً مِنَ الْحَىِّ فَقَالَ لَهُ أَبِي ائْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبِرْهُ بِمَا صَنَعْتَ لَعَلَّهُ يَسْتَغْفِرُ لَكَ وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِذَلِكَ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ لَهُ مَخْرَجًا فَأَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَىَّ كِتَابَ اللَّهِ ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَعَادَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَىَّ كِتَابَ اللَّهِ ‏.‏ حَتَّى قَالَهَا أَرْبَعَ مِرَارٍ ‏.‏ قَالَ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّكَ قَدْ قُلْتَهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَبِمَنْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ بِفُلاَنَةَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هَلْ ضَاجَعْتَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هَلْ بَاشَرْتَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هَلْ جَامَعْتَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فَأُخْرِجَ بِهِ إِلَى الْحَرَّةِ ‏.‏ فَلَمَّا رُجِمَ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ جَزِعَ فَخَرَجَ يَشْتَدُّ فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ وَقَدْ عَجَزَ أَصْحَابُهُ فَنَزَعَ لَهُ بِوَظِيفِ بَعِيرٍ فَرَمَاهُ بِهِ فَقَتَلَهُ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏"‏ هَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ لَعَلَّهُ أَنْ يَتُوبَ فَيَتُوبَ اللَّهُ عَلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن سليمان الانباري، حدثنا وكيع، عن هشام بن سعد، قال حدثني يزيد بن نعيم بن هزال، عن ابيه، قال كان ماعز بن مالك يتيما في حجر ابي ‏.‏ فاصاب جارية من الحى فقال له ابي اىت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبره بما صنعت لعله يستغفر لك وانما يريد بذلك رجاء ان يكون له مخرجا فاتاه فقال يا رسول الله اني زنيت فاقم على كتاب الله ‏.‏ فاعرض عنه فعاد فقال يا رسول الله اني زنيت فاقم على كتاب الله ‏.‏ حتى قالها اربع مرار ‏.‏ قال صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انك قد قلتها اربع مرات فبمن ‏"‏ ‏.‏ قال بفلانة ‏.‏ قال ‏"‏ هل ضاجعتها ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال ‏"‏ هل باشرتها ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال ‏"‏ هل جامعتها ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال فامر به ان يرجم فاخرج به الى الحرة ‏.‏ فلما رجم فوجد مس الحجارة جزع فخرج يشتد فلقيه عبد الله بن انيس وقد عجز اصحابه فنزع له بوظيف بعير فرماه به فقتله ثم اتى النبي صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له فقال ‏"‏ هلا تركتموه لعله ان يتوب فيتوب الله عليه ‏"‏ ‏.‏


Narrated Nu'aym ibn Huzzal:

Yazid ibn Nu'aym ibn Huzzal, on his father's authority said: Ma'iz ibn Malik was an orphan under the protection of my father. He had illegal sexual intercourse with a slave-girl belonging to a clan. My father said to him: Go to the Messenger of Allah (ﷺ) and inform him of what you have done, for he may perhaps ask Allah for your forgiveness. His purpose in that was simply a hope that it might be a way of escape for him.

So he went to him and said: Messenger of Allah! I have committed fornication, so inflict on me the punishment ordained by Allah. He (the Prophet) turned away from him, so he came back and said: Messenger of Allah! I have committed fornication, so inflict on me the punishment ordained by Allah. He (again) turned away from him, so he came back and said: Messenger of Allah! I have committed fornication, so inflict on me the punishment ordained by Allah.

When he uttered it four times, the Messenger of Allah (ﷺ) said: You have said it four times. With whom did you commit it?

He replied: With so and so. He asked: Did you lie down with her? He replied: Yes. He asked: Had your skin been in contact with hers? He replied. Yes. He asked: Did you have intercourse with her? He said: Yes. So he (the Prophet) gave orders that he should be stoned to death. He was then taken out to the Harrah, and while he was being stoned he felt the effect of the stones and could not bear it and fled. But Abdullah ibn Unays encountered him when those who had been stoning him could not catch up with him. He threw the bone of a camel's foreleg at him, which hit him and killed him. They then went to the Prophet (ﷺ) and reported it to him.

He said: Why did you not leave him alone. Perhaps he might have repented and been forgiven by Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬৭. উবায়দুল্লাহ ইবন উমার (রহঃ) ..... মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আসিম ইবন আমর ইবন কাতাদা (রহঃ)-এর নিকট মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ)-এর ঘটনা বর্ণনা করি। তখন তিনি বলেনঃ হাসান ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ হাদীছ বর্ণনা করেন যে, তোমরা আসলামের লোকদের মধ্য হতে তাকে পরিত্যাগ করনি। আমি অবশ্য এ জন্য তাদের দোষারূপ করি না।

রাবী বলেনঃ আমি হাদীছের এ অর্থ বুঝতে না পারায় জাবির ইবন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট যাই এবং বলিঃ আসলাম গোত্রের কোন কোন লোক এ হাদীছ বর্ণনা করে যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে মা’ইযের পাথরের আঘাত প্রাপ্তির, তার ভীতি-জনক অবস্থার কথা বর্ণনা করা হয়, তখন তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না? আমি এ হাদীছের অর্থ বুঝতে অক্ষম।

তখন জাবির (রাঃ) বলেনঃ হে প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি এ হাদীছ সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞ এবং মা’ইযের রজমকারীদের মাঝে আমি অন্যতম। এরপর তিনি বলেনঃ আমরা তাকে ময়দানে নিয়ে যখন পাথর মারা শুরু করি, তখন সে স্থির হয়ে চীৎকার করে বলে যে, হে জনগণ! তোমরা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফিরিয়ে নিয়ে চল। কেননা আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য ধোঁকাবাজী করেছে। তারা আমাকে বলেছিলঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে হত্যার নির্দেশ দেবেন না। কিন্ত্বু তার এ কথার প্রতি আমরা কর্ণপাত না করে, তাকে হত্যা করে ফেলি।

আমরা ফিরে এসে এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করলে তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না এবং কেন আমার কাছে আনলে না? যাতে তিনি তাকে শাস্তি কবূল করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। কাজেই, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ নির্দেশ শাস্তি মাফ করার জন্য ছিল না। এরপর রাবী মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ এখন আমি সঠিকভাবে হাদীছের অর্থ বুঝতে পারলাম।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ ذَكَرْتُ لِعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قِصَّةَ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ لِي حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ذَلِكَ، مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ مَنْ شِئْتُمْ مِنْ رِجَالِ أَسْلَمَ مِمَّنْ لاَ أَتَّهِمُ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ أَعْرِفْ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فَجِئْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقُلْتُ إِنَّ رِجَالاً مِنْ أَسْلَمَ يُحَدِّثُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُمْ حِينَ ذَكَرُوا لَهُ جَزَعَ مَاعِزٍ مِنَ الْحِجَارَةِ حِينَ أَصَابَتْهُ ‏"‏ أَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ وَمَا أَعْرِفُ الْحَدِيثَ قَالَ يَا ابْنَ أَخِي أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَ الرَّجُلَ إِنَّا لَمَّا خَرَجْنَا بِهِ فَرَجَمْنَاهُ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ صَرَخَ بِنَا يَا قَوْمِ رُدُّونِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ قَوْمِي قَتَلُونِي وَغَرُّونِي مِنْ نَفْسِي وَأَخْبَرُونِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ قَاتِلِي فَلَمْ نَنْزِعْ عَنْهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ فَلَمَّا رَجَعْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخْبَرْنَاهُ قَالَ ‏"‏ فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ وَجِئْتُمُونِي بِهِ ‏"‏ ‏.‏ لِيَسْتَثْبِتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ فَأَمَّا لِتَرْكِ حَدٍّ فَلاَ قَالَ فَعَرَفْتُ وَجْهَ الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا عبيد الله بن عمر بن ميسرة، حدثنا يزيد بن زريع، عن محمد بن اسحاق، قال ذكرت لعاصم بن عمر بن قتادة قصة ماعز بن مالك فقال لي حدثني حسن بن محمد بن علي بن ابي طالب، قال حدثني ذلك، من قول رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فهلا تركتموه ‏"‏ ‏.‏ من شىتم من رجال اسلم ممن لا اتهم ‏.‏ قال ولم اعرف هذا الحديث قال فجىت جابر بن عبد الله فقلت ان رجالا من اسلم يحدثون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لهم حين ذكروا له جزع ماعز من الحجارة حين اصابته ‏"‏ الا تركتموه ‏"‏ ‏.‏ وما اعرف الحديث قال يا ابن اخي انا اعلم الناس بهذا الحديث كنت فيمن رجم الرجل انا لما خرجنا به فرجمناه فوجد مس الحجارة صرخ بنا يا قوم ردوني الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فان قومي قتلوني وغروني من نفسي واخبروني ان رسول الله صلى الله عليه وسلم غير قاتلي فلم ننزع عنه حتى قتلناه فلما رجعنا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم واخبرناه قال ‏"‏ فهلا تركتموه وجىتموني به ‏"‏ ‏.‏ ليستثبت رسول الله صلى الله عليه وسلم منه فاما لترك حد فلا قال فعرفت وجه الحديث ‏.‏


Narrated Jabir ibn Abdullah:

Muhammad ibn Ishaq said: I mentioned the story of Ma'iz ibn Malik to Asim ibn Umar ibn Qatadah. He said to me: Hasan ibn Muhammad ibn Ali ibn AbuTalib said to me: Some men of the tribe of Aslam whom I do not blame and whom you like have transmitted to me the saying of the Messenger of Allah (ﷺ): Why did you not leave him alone?

He said: But I did not understand this tradition. So I went to Jabir ibn Abdullah and said (to him): Some men of the tribe of Aslam narrate that the Messenger of Allah (ﷺ) said when they mentioned to him the anxiety of Ma'iz when the stones hurt him: "Why did you not leave him alone?' But I do not know this tradition.

He said: My cousin, I know this tradition more than the people. I was one of those who had stoned the man. When we came out with him, stoned him and he felt the effect of the stones, he cried: O people! return me to the Messenger of Allah (ﷺ). My people killed me and deceived me; they told me that the Messenger of Allah (ﷺ) would not kill me. We did not keep away from him till we killed him. When we returned to the Messenger of Allah (ﷺ) we informed him of it.

He said: Why did you not leave him alone and bring him to me? and he said this so that the Messenger of Allah (ﷺ) might ascertain it from him. But he did not say this to abandon the prescribed punishment. He said: I then understood the intent of the tradition.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬৮. আবূ কামিল (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেঃ সে যিনা করেছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মুখ ফিরিয়ে নেন। এ ভাবে মা’ইয (রাঃ) কয়েক বার এরূপ স্বীকারোক্তি করতে থাকলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকেন। অবশেষে তিনি লোকদের জিজ্ঞাসা করেনঃ লোকটা কি পাগল? তারা বলেনঃ না, এ ধরনের কোন লক্ষণ তার মধ্যে নেই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা’ইয (রাঃ)-কে জিজ্ঞাস করেনঃ তুমি কি সে মহিলার সাথে যিনা করেছ? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর মেরে তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। এরপর লোকেরা তাকে ময়দানে নিয়ে পাথর মেরে হত্যা করে। তাঁর জানাযার সালাত আদায় করা হয়নি।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي الْحَذَّاءَ - عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ زَنَى ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَأَعَادَ عَلَيْهِ مِرَارًا فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَسَأَلَ قَوْمَهُ ‏"‏ أَمَجْنُونٌ هُوَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَفَعَلْتَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فَانْطُلِقَ بِهِ فَرُجِمَ وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ ‏.‏

حدثنا ابو كامل، حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا خالد، - يعني الحذاء - عن عكرمة، عن ابن عباس، ان ماعز بن مالك، اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال انه زنى ‏.‏ فاعرض عنه فاعاد عليه مرارا فاعرض عنه فسال قومه ‏"‏ امجنون هو ‏"‏ ‏.‏ قالوا ليس به باس ‏.‏ قال ‏"‏ افعلت بها ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ فامر به ان يرجم فانطلق به فرجم ولم يصل عليه ‏.‏


Narrated Abdullah ibn Abbas:

Ma'iz ibn Malik came to the Prophet (ﷺ) and said that he had committed fornication and he (the Prophet) turned away from him. He repeated it many times, but he (the Prophet) turned away from him. He asked his people: Is he mad? They replied: There is no defect in him. He asked: Have you done it with her? He replied: Yes. so he ordered that he should be stoned to death. He was taken out and stoned to death, and he (the Prophet) did not pray over him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৬৯. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... জাবির ইবন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ)-কে তখন দেখি, যখন তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত করা হয়। তিনি খর্বাকৃতি বিশিষ্ট স্থুল দেহী লোক ছিলেন এবং সে সময় তার দেহে কোন চাদর ছিল না। তিনি চারবার এরূপ স্বীকারোক্তি করেন যে, আমি যিনা করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সম্ভবতঃ তুমি তাকে চুম্বন করেছ। মা’ইয (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ্‌র শপথ! আমি যিনা করেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর মেরে তাকে হত্যার নির্দেশ দেন।

এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেওয়ার সময় বলেনঃ যখন আমরা আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশ্যে সফর করি, তখন কাফিলার পেছনে তদারককারী এক ব্যক্তি থাকে, যে বকরীর মত শব্দ করে এবং সুযোগমত কোন মহিলার সাথে শয়তানী চক্রান্তের ফলে যিনায় লিপ্ত হয়। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা শুনে রাখ, যদি মহান আল্লাহ্‌ আমাকে শক্তি দান করেন, তবে আমি ঐ ব্যক্তিকে মহিলাদের সাথে অপকর্মে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখবো।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ حِينَ جِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً قَصِيرًا أَعْضَلَ لَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أَنَّهُ قَدْ زَنَى ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَلَعَلَّكَ قَبَّلْتَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ وَاللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى الآخِرُ ‏.‏ قَالَ فَرَجَمَهُ ثُمَّ خَطَبَ فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ كُلَّمَا نَفَرْنَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ خَلَفَ أَحَدُهُمْ لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ يَمْنَحُ إِحْدَاهُنَّ الْكُثْبَةَ أَمَا إِنَّ اللَّهَ إِنْ يُمَكِّنِّي مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ إِلاَّ نَكَلْتُهُ عَنْهُنَّ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا ابو عوانة، عن سماك، عن جابر بن سمرة، قال رايت ماعز بن مالك حين جيء به الى النبي صلى الله عليه وسلم رجلا قصيرا اعضل ليس عليه رداء فشهد على نفسه اربع مرات انه قد زنى ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فلعلك قبلتها ‏"‏ ‏.‏ قال لا والله انه قد زنى الاخر ‏.‏ قال فرجمه ثم خطب فقال ‏"‏ الا كلما نفرنا في سبيل الله عز وجل خلف احدهم له نبيب كنبيب التيس يمنح احداهن الكثبة اما ان الله ان يمكني من احد منهم الا نكلته عنهن ‏"‏ ‏.‏


Jabir b. Samurah said:
I saw Ma’iz b. Malik when he was brought to the Prophet (ﷺ). He was a small and muscular man. He did not wear the loose outer garment. He made confession about him four times that he committed fornication. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Perhaps you kissed her. He said that this most discarded man has committed fornication. He said: So he had him stoned to death and gave an address, saying: Beware, whenever we go out on an expedition in the path of Allah, one of them (I.e. the people) lags behind with a bleating sound like that of a he-goat, and gives modicum of his milk(i.e. sperm) to one of the women. If Allah gives control over any of them, I shall deter him from them (i.e. women) by punishing him severely.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭০. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) .... সিমাক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাবির ইবন সামুরা (রাঃ) থেকে অনুরুপ হাদীছ শ্রবণ করেছি কিন্তু প্রথম হাদীছটি সম্পূর্ণ। রাবী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’বার মা’ইযের কথাকে প্রত্যাখ্যান করেন।

রাবী সিমাক (রহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবন জুবায়র (রাঃ) এ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা’ইয (রাঃ) এর স্বীকারোক্তিকে চারবার প্রত্যাখ্যান করেন।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَالأَوَّلُ أَتَمُّ قَالَ فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ ‏.‏ قَالَ سِمَاكٌ فَحَدَّثْتُ بِهِ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ فَقَالَ إِنَّهُ رَدَّهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، عن محمد بن جعفر، عن شعبة، عن سماك، قال سمعت جابر بن سمرة، بهذا الحديث والاول اتم قال فرده مرتين ‏.‏ قال سماك فحدثت به سعيد بن جبير فقال انه رده اربع مرات ‏.‏


Simak said:
I heard this tradition from Jabir b. Samurah. But the first version is more perfect. This version has: He repeated twice, Simak said: I narrated to Sa’id b. Jubair. He said: He repeated it four times.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সিমাক ইবন হারব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭১. আবদুল গনী (রহঃ) .... শুবা (রহঃ) বলেনঃ আমি রাবী সিমাক (রহঃ) কে ’কুছবা’ শব্দের অর্থ জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি বলেনঃ ’কুছবা’ শব্দের অর্থ হলো অল্প দুধ, অর্থাৎ মনি বা বীর্য, (যা সহবাসকালে নির্গত হয়)।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ أَبِي عَقِيلٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - قَالَ قَالَ شُعْبَةُ فَسَأَلْتُ سِمَاكًا عَنِ الْكُثْبَةِ فَقَالَ اللَّبَنُ الْقَلِيلُ ‏.‏

حدثنا عبد الغني بن ابي عقيل المصري، حدثنا خالد، - يعني ابن عبد الرحمن - قال قال شعبة فسالت سماكا عن الكثبة فقال اللبن القليل ‏.‏


Shu’bah said:
I asked Simak about the meaning of KUTHBAH. He said: A small quantity of milk.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু'বা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭২. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার সম্পর্কে আমাকে যা বলা হয়েছে, তা কি সত্য? তিনি বলেনঃ আপনি আমার সম্পর্কে কি জেনেছেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি তুমি অমুক গোত্রের জনৈক দাসীর সাথে যিনা করেছ। মা’ইয (রাঃ) বলেনঃ হ্যাঁ; এ ভাবে তিনি চারবার স্বীকারোক্তি করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ ‏"‏ أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي قَالَ ‏"‏ بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ بَنِي فُلاَنٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا ابو عوانة، عن سماك بن حرب، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لماعز بن مالك ‏"‏ احق ما بلغني عنك ‏"‏ ‏.‏ قال وما بلغك عني قال ‏"‏ بلغني عنك انك وقعت على جارية بني فلان ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ فشهد اربع شهادات فامر به فرجم ‏.‏


Ibn ‘Abbas said:
The Messenger of Allah (ﷺ) asked Ma’iz b. Malik : Is what I have heard about you is true? He said: What have you heard about me? He said: I have heard that you have had intercourse with a girl belonging to the family of so and so. He said: Yes. He then testified four times. He (The prophet) then gave order regarding him and he was stoned to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭৩. নসর ইবন আলী (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে দু’বার যিনায় লিপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করলে, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর মা’ইয (রাঃ) পুনরায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে দু’বার যিনার কথা স্বীকার করেন। তখন তিনি বলেনঃ তুমি নিজেই চারবার যিনার কথা স্বীকার করেছ। তখন তিনি সাহাবীদের বলেনঃ তোমরা একে নিয়ে যাও এবং পাথর মেরে হত্যা কর।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ فَطَرَدَهُ ثُمَّ جَاءَ فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ فَقَالَ ‏ "‏ شَهِدْتَ عَلَى نَفْسِكَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا نصر بن علي، اخبرنا ابو احمد، اخبرنا اسراىيل، عن سماك بن حرب، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال جاء ماعز بن مالك الى النبي صلى الله عليه وسلم فاعترف بالزنا مرتين فطرده ثم جاء فاعترف بالزنا مرتين فقال ‏ "‏ شهدت على نفسك اربع مرات اذهبوا به فارجموه ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abdullah ibn Abbas:

Ma'iz ibn Malik came to the Prophet (ﷺ) and admitted fornication twice. But he drove him away. He then came and admitted fornication twice. But he drove him away. He then came and admitted fornication twice. He (the Prophet) said: You have testified to yourself four times. Take him away and stone him to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭৪. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ)-কে বলেনঃ সন্তবতঃ তুমি তাকে চুম্বন করেছ, নয়তো স্পর্শ করেছ, অথবা তার দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়েছ। তখন মা’ইয (রাঃ) বলেনঃ না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ তবে কি তুমি তার সাথে সংগম করেছ। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন। রাবী মূসা ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে এরূপ বর্ণনা করেননি বরং রাবী ওয়াহাব নিজেই এরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنِي يَعْلَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ سَمِعْتُ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ ‏"‏ لَعَلَّكَ قَبَّلْتَ أَوْ غَمَزْتَ أَوْ نَظَرْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَفَنِكْتَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ بِرَجْمِهِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مُوسَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهَذَا لَفْظُ وَهْبٍ ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا جرير، حدثني يعلى، عن عكرمة، ان النبي صلى الله عليه وسلم ح وحدثنا زهير بن حرب وعقبة بن مكرم قالا حدثنا وهب بن جرير حدثنا ابي قال سمعت يعلى بن حكيم يحدث عن عكرمة عن ابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لماعز بن مالك ‏"‏ لعلك قبلت او غمزت او نظرت ‏"‏ ‏.‏ قال لا ‏.‏ قال ‏"‏ افنكتها ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال فعند ذلك امر برجمه ‏.‏ ولم يذكر موسى عن ابن عباس وهذا لفظ وهب ‏.‏


Narrated Abdullah ibn Abbas:

The Prophet (ﷺ) said to Ma'iz ibn Malik: Perhaps you kissed, or squeezed, or looked. He said: No. He then said: Did you have intercourse with her? He said: Yes. On the (reply) he (the Prophet) gave order that he should be stoned to death. The narrator did not mention "on the authority of Ibn 'Abbas". This is Wahb's version.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭৫. হাসান ইবন আলী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে স্বীকার করে যে, সে হারামভাবে একজন মহিলার সাথে যিনা করেছে, আর সে ব্যক্তি চারবার এরূপ স্বীকারোক্তি করে। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিবারই তার কথা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর সে ব্যক্তি পঞ্চমবারের মত স্বীকারোক্তি করার জন্য হাযির হলে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে সংগম করেছ? তখন সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার গুপ্তাংগ কি তার গুপ্তাংগের মধ্যে অদৃশ্য হয়েছিল? সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার গুপ্তাংগ কি তার গুপ্তাংগের মধ্যে এরূপ অদৃশ্য হয়েছিল, যেমন সুরমা দানির মধ্যে তার শলাকা বা কূপের মধ্যে রশি অদৃশ্য হয়ে যায়? তখন সে ব্যক্তি বলেঃ হ্যাঁ।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি জান, যিনা কী? সে বলেঃ যেরূপ কেউ হালাল ভাবে তার স্ত্রীর সাথে সংগম করে, আমি এরূপই হারামভাবে তার সাথে সংগম করেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এখন তুমি কিসের ইচ্ছা পোষণ কর? সে ব্যক্তি বলেঃ আমি আশা করি, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ’রজম’ করার নির্দেশ দিলে, তা কার্যকরী করা হয়।

এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দু’জন সাহাবীকে এরূপ বলতে শোনেন, যাদের একজন এরূপ বলছিল; আল্লাহ্‌ তা’আলা তার গুনাহকে গোপন রেখেছিলেন, কিন্তু সে ব্যক্তি নিজে তা প্রকাশ করায় কুকুরের মত মৃত্যুবরণ করলো। একথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকেন। এরপর সামনে কিছু দূর গমনের পর তিনি দেখতে পান যে, একটি মৃত গাধা পড়ে আছে, যার পা উপরের দিকে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ অমুক, অমুক ব্যক্তি কোথায়?

তখন তারা দু’জন সেখানে হাযির হয়ে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা উপস্থিত। তখন তিনি তাদের বলেনঃ এসো এবং তোমরা এ মৃত গাধার মাংস ভক্ষণ কর। তখন তারা দু’জন বলেঃ হে আল্লাহ্‌র নবী! ইহা কে ভক্ষণ করে থাকে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইয়ের ক্রটি যেভাবে আলেচনা করেছ, তা এই মরা গাধার মাংস খাওয়ার চাইতেও গুরুতর! আল্লাহর শপথ! যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন; তোমরা শুনে নাও! মা’ইয (রাঃ) এখন জান্নাতের নহরে গোসল করছে।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الصَّامِتِ ابْنَ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ جَاءَ الأَسْلَمِيُّ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ أَصَابَ امْرَأَةً حَرَامًا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ فِي الْخَامِسَةِ فَقَالَ ‏"‏ أَنِكْتَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ حَتَّى غَابَ ذَلِكَ مِنْكَ فِي ذَلِكَ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَمَا يَغِيبُ الْمِرْوَدُ فِي الْمُكْحُلَةِ وَالرِّشَاءُ فِي الْبِئْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَهَلْ تَدْرِي مَا الزِّنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ أَتَيْتُ مِنْهَا حَرَامًا مَا يَأْتِي الرَّجُلُ مِنِ امْرَأَتِهِ حَلاَلاً ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا تُرِيدُ بِهَذَا الْقَوْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِهِ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ انْظُرْ إِلَى هَذَا الَّذِي سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَلَمْ تَدَعْهُ نَفْسُهُ حَتَّى رُجِمَ رَجْمَ الْكَلْبِ ‏.‏ فَسَكَتَ عَنْهُمَا ثُمَّ سَارَ سَاعَةً حَتَّى مَرَّ بِجِيفَةِ حِمَارٍ شَائِلٍ بِرِجْلِهِ فَقَالَ ‏"‏ أَيْنَ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالاَ نَحْنُ ذَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ انْزِلاَ فَكُلاَ مِنْ جِيفَةِ هَذَا الْحِمَارِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالاَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَنْ يَأْكُلُ مِنْ هَذَا قَالَ ‏"‏ فَمَا نِلْتُمَا مِنْ عِرْضِ أَخِيكُمَا آنِفًا أَشَدُّ مِنْ أَكْلٍ مِنْهُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهُ الآنَ لَفِي أَنْهَارِ الْجَنَّةِ يَنْقَمِسُ فِيهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا عبد الرزاق، عن ابن جريج، قال اخبرني ابو الزبير، ان عبد الرحمن بن الصامت ابن عم ابي هريرة، اخبره انه، سمع ابا هريرة، يقول جاء الاسلمي الى نبي الله صلى الله عليه وسلم فشهد على نفسه انه اصاب امراة حراما اربع مرات كل ذلك يعرض عنه النبي صلى الله عليه وسلم فاقبل في الخامسة فقال ‏"‏ انكتها ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال ‏"‏ حتى غاب ذلك منك في ذلك منها ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال ‏"‏ كما يغيب المرود في المكحلة والرشاء في البىر ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال ‏"‏ فهل تدري ما الزنا ‏"‏ ‏.‏ قال نعم اتيت منها حراما ما ياتي الرجل من امراته حلالا ‏.‏ قال ‏"‏ فما تريد بهذا القول ‏"‏ ‏.‏ قال اريد ان تطهرني ‏.‏ فامر به فرجم فسمع النبي صلى الله عليه وسلم رجلين من اصحابه يقول احدهما لصاحبه انظر الى هذا الذي ستر الله عليه فلم تدعه نفسه حتى رجم رجم الكلب ‏.‏ فسكت عنهما ثم سار ساعة حتى مر بجيفة حمار شاىل برجله فقال ‏"‏ اين فلان وفلان ‏"‏ ‏.‏ فقالا نحن ذان يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ انزلا فكلا من جيفة هذا الحمار ‏"‏ ‏.‏ فقالا يا نبي الله من ياكل من هذا قال ‏"‏ فما نلتما من عرض اخيكما انفا اشد من اكل منه والذي نفسي بيده انه الان لفي انهار الجنة ينقمس فيها ‏"‏ ‏.‏


Narrated AbuHurayrah:

A man of the tribe of Aslam came to the Prophet (ﷺ) and testified four times against himself that he had had illicit intercourse with a woman, while all the time the Prophet (ﷺ) was turning away from him.

Then when he confessed a fifth time, he turned round and asked: Did you have intercourse with her? He replied: Yes. He asked: Have you done it so that your sexual organ penetrated hers? He replied: Yes. He asked: Have you done it like a collyrium stick when enclosed in its case and a rope in a well? He replied: Yes. He asked: Do you know what fornication is? He replied: Yes. I have done with her unlawfully what a man may lawfully do with his wife.

He then asked: What do you want from what you have said? He said: I want you to purify me. So he gave orders regarding him and he was stoned to death. Then the Prophet (ﷺ) heard one of his companions saying to another: Look at this man whose fault was concealed by Allah but who would not leave the matter alone, so that he was stoned like a dog. He said nothing to them but walked on for a time till he came to the corpse of an ass with its legs in the air.

He asked: Where are so and so? They said: Here we are, Messenger of Allah (ﷺ)! He said: Go down and eat some of this ass's corpse. They replied: Messenger of Allah! Who can eat any of this? He said: The dishonour you have just shown to your brother is more serious than eating some of it. By Him in Whose hand my soul is, he is now among the rivers of Paradise and plunging into them.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭৬. মুহাম্মদ ইবন মুতাওয়াককিল (রহঃ) ...... জাবির ইবন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হয়ে যিনার কথা স্বীকার করে। তখন তিনি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। সে ব্যক্তি আবার যিনার কথা স্বীকার করলে, তিনি আবার মুখ ফিরিয়ে নেন। এভাবে সে ব্যক্তি চারবার যিনার কথা স্বীকার করলে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? সে বললঃ না। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি বিবাহিত? সে বলেঃ হ্যাঁ।

রাবী বলেনঃ এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে সে ব্যক্তিকে ঈদের ময়দানে নিয়ে, পাথর মেরে হত্যা করা হয়। পাথর মারা শুরু হলে সে পালাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে পাঁকড়াও করে, পাথর মেরে হত্যা করা হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ব্যক্তির প্রশংসা করেন, কিন্তু তিনি তার জানাযার নামায পড়াননি।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ اعْتَرَفَ فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبِكَ جُنُونٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَحْصَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَ فِي الْمُصَلَّى فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ فَرَّ فَأُدْرِكَ فَرُجِمَ حَتَّى مَاتَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْرًا وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن المتوكل العسقلاني، والحسن بن علي، قالا حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن ابي سلمة، عن جابر بن عبد الله، ان رجلا، من اسلم جاء الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاعترف بالزنا فاعرض عنه ثم اعترف فاعرض عنه حتى شهد على نفسه اربع شهادات فقال له النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابك جنون ‏"‏ ‏.‏ قال لا ‏.‏ قال ‏"‏ احصنت ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال فامر به النبي صلى الله عليه وسلم فرجم في المصلى فلما اذلقته الحجارة فر فادرك فرجم حتى مات فقال له النبي صلى الله عليه وسلم خيرا ولم يصل عليه ‏.‏


Jabir b. ‘Abd Allah said:
A man of the tribe of Asalam came to the Messenger of Allah (ﷺ) and made confession of fornication. He (the prophet) turned away from him. When he testified against him four times, the Prophet (ﷺ) said: Are you mad? He said: No. he asked: Are you married? He replied: Yes. The Prophet (ﷺ) then commanded regarding him and he was stoned in the place of prayer. Then when the stones hurt him, he fled, but was overtaken and stoned to death. The Prophet (ﷺ) then spoke well of him and did not pray over him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭৭. আবূ কামিল (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ)-কে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন, তখন আমরা তাকে নিয়ে ময়দানে গমন করি। আল্লাহ্‌র শপথ! এ সময় আমরা তাকে বাঁধি নাই এবং তার জন্য কোন গর্তও খুদি নাই, বরং তিনি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান।

রাবী আবূ কামিল (রহঃ) বলেনঃ তখন আমরা তার প্রতি প্রচণ্ডভাবে হাঁড়, পাথর ও ঢিলা নিক্ষেপ করতে থাকি। আঘাতের প্রচণ্ডতায় তিনি পালাতে চাইলে, আমরা তার পশ্চাদধাবন করি। তিনি হুররা নামক স্থানে পৌছে দণ্ডায়মান হলে, আমরা সেখানকার বড় বড় পাথর তার প্রতি নিক্ষেপ করতে থাকি। ফলে তিনি মারা যান। রাবী বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য কোন ইস্তিগফার করেননি এবং তাকে খারাপও বলেননি।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، - وَهَذَا لَفْظُهُ - عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَمَّا أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ خَرَجْنَا بِهِ إِلَى الْبَقِيعِ فَوَاللَّهِ مَا أَوْثَقْنَاهُ وَلاَ حَفَرْنَا لَهُ وَلَكِنَّهُ قَامَ لَنَا ‏.‏ - قَالَ أَبُو كَامِلٍ قَالَ - فَرَمَيْنَاهُ بِالْعِظَامِ وَالْمَدَرِ وَالْخَزَفِ فَاشْتَدَّ وَاشْتَدَدْنَا خَلْفَهُ حَتَّى أَتَى عُرْضَ الْحَرَّةِ فَانْتَصَبَ لَنَا فَرَمَيْنَاهُ بِجَلاَمِيدِ الْحَرَّةِ حَتَّى سَكَتَ - قَالَ - فَمَا اسْتَغْفَرَ لَهُ وَلاَ سَبَّهُ ‏.‏

حدثنا ابو كامل، حدثنا يزيد، - يعني ابن زريع - ح وحدثنا احمد بن منيع، عن يحيى بن زكريا، - وهذا لفظه - عن داود، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد، قال لما امر النبي صلى الله عليه وسلم برجم ماعز بن مالك خرجنا به الى البقيع فوالله ما اوثقناه ولا حفرنا له ولكنه قام لنا ‏.‏ - قال ابو كامل قال - فرميناه بالعظام والمدر والخزف فاشتد واشتددنا خلفه حتى اتى عرض الحرة فانتصب لنا فرميناه بجلاميد الحرة حتى سكت - قال - فما استغفر له ولا سبه ‏.‏


Abu Sa’id said:
When the Prophet (May peace e upon him) commanded to stone Ma’iz b. Malik, we took him out to Baql. I swear by Allah, we did not tie him, nor did we dig a pit for him. But he was standing before us. The narrator Abu Kamil said: So we threw at him bones, clods of mud and pieces of earthenware. He ran away and we ran after him till he came to a side of the Harrah. He stood there before us and we threw at him big stones of the Harrah until he died. He (the Prophet) did not ask forgiveness for him, nor did he speak ill of him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭৮. মুআম্মাল ইবন হিশাম (রহঃ) ..... আবূ নাযরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হন। এরপর পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, তবে তা অসম্পূর্ণ।

রাবী বলেনঃ লোকেরা তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ বলতে থাকলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে নিষেধ করেন। আর লোকেরা তার মাগফিরাতের জন্য দু’আ করতে থাকলে তিনি তাতে বাঁধা দেন এবং বলেনঃ সে এমন এক ব্যক্তি, যার দ্বারা একটি অপকর্ম অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। তার জন্য আল্লাহ্‌-ই যথেষ্ট।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَيْسَ بِتَمَامِهِ قَالَ ذَهَبُوا يَسُبُّونَهُ فَنَهَاهُمْ قَالَ ذَهَبُوا يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ فَنَهَاهُمْ قَالَ ‏ "‏ هُوَ رَجُلٌ أَصَابَ ذَنْبًا حَسِيبُهُ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا مومل بن هشام، حدثنا اسماعيل، عن الجريري، عن ابي نضرة، قال جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم نحوه وليس بتمامه قال ذهبوا يسبونه فنهاهم قال ذهبوا يستغفرون له فنهاهم قال ‏ "‏ هو رجل اصاب ذنبا حسيبه الله ‏"‏ ‏.‏


Abu Nadrah said:
A man came to Prophet (ﷺ). He then mentioned a similar tradition but not completely. This version has: People began to speak ill of him but he (the Prophet) forbade them. Then they began to ask forgiveness from him, but he forbade them by saying. He is a man who had committed a sin. Allah will call him to account himself.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ নাদরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৭৯. মুহাম্মদ ইবন আবূ বকর (রহঃ) .... বুরায়দা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ)-এর মুখ শুকে দেখেছিলেন, তিনি মদ পান করেছেন কিনা-তা নিশ্চিত হবার জন্য।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَنْكَهَ مَاعِزًا ‏.‏

حدثنا محمد بن ابي بكر بن ابي شيبة، حدثنا يحيى بن يعلى بن الحارث، حدثنا ابي، عن غيلان، عن علقمة بن مرثد، عن ابن بريدة، عن ابيه، ان النبي صلى الله عليه وسلم استنكه ماعزا ‏.‏


Buraidah said. :
The Prophet (ﷺ) smelt the breath of Ma’iz.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।

৪৩৮০. আহমদ ইবন ইসহাক (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্‌ ইবন বুরায়দা (রহঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ এরূপ বলাবলি করতাম যে, গামিদ গোত্রের যিনাকারিণী মহিলা এবং মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ) যদি যিনার কথা স্বীকার করার পর অস্বীকার করতো, অথবা প্রথমবার স্বীকার করার পর, আর যদি স্বীকার না করতো; তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ’রজমের’ শাস্তি প্রদান করতেন না। কিন্তু তারা চতুর্থবার যিনার কথা স্বীকার করায়, তাদের পাথর মেরে হত্যা করা হয়।

باب فِي الرَّجْمِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ الأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ نَتَحَدَّثُ أَنَّ الْغَامِدِيَّةَ وَمَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ لَوْ رَجَعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا أَوْ قَالَ لَوْ لَمْ يَرْجِعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا لَمْ يَطْلُبْهُمَا وَإِنَّمَا رَجَمَهُمَا عِنْدَ الرَّابِعَةِ ‏.‏

حدثنا احمد بن اسحاق الاهوازي، حدثنا ابو احمد، حدثنا بشير بن المهاجر، حدثني عبد الله بن بريدة، عن ابيه، قال كنا اصحاب رسول الله نتحدث ان الغامدية وماعز بن مالك لو رجعا بعد اعترافهما او قال لو لم يرجعا بعد اعترافهما لم يطلبهما وانما رجمهما عند الرابعة ‏.‏


Narrated Buraydah ibn al-Hasib:

We, the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ), used to talk mutually: Would that al-Ghamidiyyah and Ma'iz ibn Malik had withdrawn after their confession; or he said: Had they not withdrawn after their confession, he would not have pursued them (for punishment). He had them stoned after the fourth (confession).


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود) 33/ Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »