পরিচ্ছেদঃ ৪৫৭. মেহমানের জন্য অন্যের মাল খাওয়ার হুকুম বাতিল হওয়া।

৩৭১১. আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) .... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) "তোমরা একে অন্যের মাল অবৈধভাবে খাবে না, অবশ্য ব্যবসার মধ্যে একে অন্যের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে একজন অপর জনের মাল গ্রহণ করতে পার।" এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর এতে অন্যের বাড়ীতে আহার করাকে গুনাহের কাজ বলে মনে করতে থাকে। পরে এ আয়াতের হুকুম সূরা নূরের এ আয়াত দ্বারা মানুসূখ বা রহিত হয়ে যায়। আয়াতটি হলোঃ (অর্থ) এতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই যে, তোমরা খাদ্য খাবে তোমাদের ঘরে, অথবা তোমাদের মাতা-পিতার ঘরে, অথবা নিজের সন্তানের ঘরে, অথবা ভাই ও বোনের ঘরে, অথবা চাচাত ও ফুফীর ঘরে, অথবা মামা ও খালার ঘরে, অথবা ঐ ঘরে যার চাবির মালিক তুমি নিজে, অথবা কোন দোস্ত ও বন্ধুর বাড়ীতে।

এ আয়াত নাযিল হওয়ার আগে লোকদের অবস্থা এরূপ ছিল যে, যদি কোন ধনী ব্যক্তি তার কোন বন্ধু-রান্ধবকে দাওয়াত দিত, তখন সে বলতোঃ আমি তো এখাদ্য গ্রহণ করাকে গুনাহ বলে মনে করি। আর সে আরো বলতোঃ মিসকীন ব্যক্তি এখাদ্য গ্রহণে আমার চাইতে অধিক হকদার। বস্তুত এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর এ সমস্যা দূরীভূত হয় যে, তারা একে অন্যের বাড়ীতে খাদ্য গ্রহণ করবে এ শর্তে যে, সে খাদ্যবস্তু (প্রাণী) এমন হবে, যার উপর তা (যবাহর সময়) আল্লাহ্‌র নাম নেওয়া হবে, আর আহলে কিতাব বা কিতাবধারীদের খাদ্য গ্রহণ করাও বৈধ সাব্যস্ত হয়।

باب نَسْخِ الضَّيْفِ يَأْكُلُ مِنْ مَالِ غَيْرِهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ‏(‏ لاَ تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ ‏)‏ فَكَانَ الرَّجُلُ يُحْرَجُ أَنْ يَأْكُلَ عِنْدَ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ بَعْدَ مَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فَنَسَخَ ذَلِكَ الآيَةُ الَّتِي فِي النُّورِ قَالَ ‏(‏ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ ‏)‏ ‏(‏ أَنْ تَأْكُلُوا مِنْ بُيُوتِكُمْ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏ أَشْتَاتًا ‏)‏ كَانَ الرَّجُلُ الْغَنِيُّ يَدْعُو الرَّجُلَ مِنْ أَهْلِهِ إِلَى الطَّعَامِ قَالَ إِنِّي لأَجَّنَّحُ أَنْ آكُلَ مِنْهُ ‏.‏ وَالتَّجَنُّحُ الْحَرَجُ وَيَقُولُ الْمِسْكِينُ أَحَقُّ بِهِ مِنِّي ‏.‏ فَأُحِلَّ فِي ذَلِكَ أَنْ يَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَأُحِلَّ طَعَامُ أَهْلِ الْكِتَابِ ‏.‏

حدثنا احمد بن محمد المروزي، حدثني علي بن الحسين بن واقد، عن ابيه، عن يزيد النحوي، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال ‏(‏ لا تاكلوا اموالكم بينكم بالباطل الا ان تكون تجارة عن تراض منكم ‏)‏ فكان الرجل يحرج ان ياكل عند احد من الناس بعد ما نزلت هذه الاية فنسخ ذلك الاية التي في النور قال ‏(‏ ليس عليكم جناح ‏)‏ ‏(‏ ان تاكلوا من بيوتكم ‏)‏ الى قوله ‏(‏ اشتاتا ‏)‏ كان الرجل الغني يدعو الرجل من اهله الى الطعام قال اني لاجنح ان اكل منه ‏.‏ والتجنح الحرج ويقول المسكين احق به مني ‏.‏ فاحل في ذلك ان ياكلوا مما ذكر اسم الله عليه واحل طعام اهل الكتاب ‏.‏


Narrated Abdullah Ibn Abbas:

When the verse: "O ye who believe! eat not up your property among yourselves in vanities, but let there be amongst you traffic and trade by mutual good will" was revealed, a man thought it a sin to eat in the house of another man after the revelation of this verse.

Then this (injunction) was revealed by the verse in Surat an-Nur: "No blame on you whether you eat in company or separately."

When a rich man (after revelation) invited a man from his people to eat food in his house, he would say: I consider it a sin to eat from it, and he said: a poor man is more entitled to it than I. The Arabic word tajannah means sin or fault. It was then declared lawful to eat something on which the name of Allah was mentioned, and it was made lawful to eat the flesh of an animal slaughtered by the people of the Book.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২১/ খাদ্যদ্রব্য (كتاب الأطعمة) 21/ Foods (Kitab Al-At'imah)