পরিচ্ছেদঃ ৪০৫. একটি শপথ ও একজন সাক্ষীর উপর বিচার করা।

৩৫৭৩. আহমদ ইবন আবদা (রহঃ) .... শুআয়ব ইবন উবায়দিল্লাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার দাদা যাবীব আনবারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আনবরের প্রতি একটি সেনাদল প্রেরণ করেন। যারা তাদেরকে তায়েফের নিকটবর্তী স্থান রুকবাম্বতে বন্দী করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পেশ করেন। আমি অশ্বারোহী সৈন্য ছিলাম। তাই আমি তাদের আগে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলিঃ হে আল্লাহ্‌র নবী! আপনার প্রতি সালাম ও বরকত বর্ষিত হোক। (তিনি বলেনঃ) আপনার সেনাবাহিনী আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে আমাদের বন্দী করেছে, অথচ আমরা তো ইসলাম কবূল করেছি এবং আমাদের পশুর কান চিরে দিয়েছি।

এর পর আনবর গোত্রের লোকেরা যখন উপস্থিত হলো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা যে ইসলাম গ্রহণ করছো, এর কোন সাক্ষী-প্রমাণ আছে কি, যখন তোমরা বন্দী হয়েছো? তখন আমি বলি, হ্যাঁ আছে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করে কে সেই সাক্ষী? আমি বলিঃ সামুরা, যিনি আনবর গোত্রের জনৈক ব্যক্তি এবং আরো একজন- যার নাম সে বলে। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি সাক্ষ্য দিলেও সামুরা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করে। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে তো তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছে, এখন তুমি তোমার দ্বিতীয় সাক্ষীর সাথে শপথ করতে পার কি? আমি বলিঃ হ্যাঁ।

তখন তিনি আমাকে শপথ করতে বলেন এবং আমি আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলিঃ আমরা অমুক অমুক দিন ইসলাম কবুল করেছি এবং আমাদের পশুর কান চিরে দিয়েছি। একথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সৈন্যদলকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ যাও, তোমরা তাদের অর্ধেক মাল ভাগ-বণ্টন করে নাও এবং তাদের সন্তান-সন্ততিদের স্পর্শ করবে না। এরপর তিনি বলেনঃ যদি মহান আল্লাহ্‌ মুজাহিদদের চেষ্টা অহেতুক হওয়াকে অপছন্দ না করতেন, তবে আমরা তোমাদের মাল হতে একটি রশিও গ্রহন করতাম না।

যাবীব বলেনঃ এ সময় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন যে, এ লোকটি আমার তোশক ছিনিয়ে নিয়েছে। তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করি। তখন তিনি আমাকে বলেনঃ তাকে গ্রেফতার কর। তখন আমি তার গলায় কাপড় দিয়ে তাকে পাকড়াও করি এবং আমাদের অবস্থানে ফিরে যাই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলেনঃ তুমি তোমার বন্দীর কাছে কি চাচ্ছ? এসময় আমি তাকে ছেড়ে দিই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ তুমি তার মায়ের তোশক ফিরিয়ে দাও, যা তুমি ছিনিয়ে নিয়েছ। তখন সে বলেঃ ছে আল্লাহ্‌র নবী! তা তো আমার কাছে নেই।

রাবী বলেনঃ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ব্যক্তির তরবারি তার থেকে নিয়ে আমাকে প্রদান করেন এবং তাকে এরূপ নির্দেশ দেন যে, তাকে আরো কিছু খাদ্য- শস্য প্রধান করো।

যাবীব বলেনঃ তখন সে ব্যক্তি আমাকে যবের কিছু অংশও প্রদান করে।

باب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ وَالشَّاهِدِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْبِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ جَدِّيَ الزُّبَيْبَ، يَقُولُ بَعَثَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا إِلَى بَنِي الْعَنْبَرِ فَأَخَذُوهُمْ بِرُكْبَةٍ مِنْ نَاحِيَةِ الطَّائِفِ فَاسْتَاقُوهُمْ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَكِبْتُ فَسَبَقْتُهُمْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ أَتَانَا جُنْدُكَ فَأَخَذُونَا وَقَدْ كُنَّا أَسْلَمْنَا وَخَضْرَمْنَا آذَانَ النَّعَمِ فَلَمَّا قَدِمَ بَلْعَنْبَرُ قَالَ لِي نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ لَكُمْ بَيِّنَةٌ عَلَى أَنَّكُمْ أَسْلَمْتُمْ قَبْلَ أَنْ تُؤْخَذُوا فِي هَذِهِ الأَيَّامِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَنْ بَيِّنَتُكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ سَمُرَةُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي الْعَنْبَرِ وَرَجُلٌ آخَرُ سَمَّاهُ لَهُ فَشَهِدَ الرَّجُلُ وَأَبَى سَمُرَةُ أَنْ يَشْهَدَ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قَدْ أَبَى أَنْ يَشْهَدَ لَكَ فَتَحْلِفُ مَعَ شَاهِدِكَ الآخَرِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَاسْتَحْلَفَنِي فَحَلَفْتُ بِاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْنَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَخَضْرَمْنَا آذَانَ النَّعَمِ ‏.‏ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذْهَبُوا فَقَاسِمُوهُمْ أَنْصَافَ الأَمْوَالِ وَلاَ تَمَسُّوا ذَرَارِيَهُمْ لَوْلاَ أَنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ ضَلاَلَةَ الْعَمَلِ مَا رَزَيْنَاكُمْ عِقَالاً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الزُّبَيْبُ فَدَعَتْنِي أُمِّي فَقَالَتْ هَذَا الرَّجُلُ أَخَذَ زِرْبِيَّتِي فَانْصَرَفْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي فَأَخْبَرْتُهُ - فَقَالَ لِي ‏"‏ احْبِسْهُ ‏"‏ ‏.‏ فَأَخَذْتُ بِتَلْبِيبِهِ وَقُمْتُ مَعَهُ مَكَانَنَا ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمَيْنِ فَقَالَ ‏"‏ مَا تُرِيدُ بِأَسِيرِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَرْسَلْتُهُ مِنْ يَدِي فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِلرَّجُلِ ‏"‏ رُدَّ عَلَى هَذَا زِرْبِيَّةَ أُمِّهِ الَّتِي أَخَذْتَ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّهَا خَرَجَتْ مِنْ يَدِي ‏.‏ قَالَ فَاخْتَلَعَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَيْفَ الرَّجُلِ فَأَعْطَانِيهِ ‏.‏ وَقَالَ لِلرَّجُلِ ‏"‏ اذْهَبْ فَزِدْهُ آصُعًا مِنْ طَعَامٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَزَادَنِي آصُعًا مِنْ شَعِيرٍ ‏.‏

حدثنا احمد بن عبدة، حدثنا عمار بن شعيب بن عبد الله بن الزبيب العنبري، حدثني ابي قال، سمعت جدي الزبيب، يقول بعث نبي الله صلى الله عليه وسلم جيشا الى بني العنبر فاخذوهم بركبة من ناحية الطاىف فاستاقوهم الى نبي الله صلى الله عليه وسلم فركبت فسبقتهم الى النبي صلى الله عليه وسلم فقلت السلام عليك يا نبي الله ورحمة الله وبركاته اتانا جندك فاخذونا وقد كنا اسلمنا وخضرمنا اذان النعم فلما قدم بلعنبر قال لي نبي الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هل لكم بينة على انكم اسلمتم قبل ان توخذوا في هذه الايام ‏"‏ ‏.‏ قلت نعم ‏.‏ قال ‏"‏ من بينتك ‏"‏ ‏.‏ قلت سمرة رجل من بني العنبر ورجل اخر سماه له فشهد الرجل وابى سمرة ان يشهد فقال نبي الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قد ابى ان يشهد لك فتحلف مع شاهدك الاخر ‏"‏ ‏.‏ قلت نعم ‏.‏ فاستحلفني فحلفت بالله لقد اسلمنا يوم كذا وكذا وخضرمنا اذان النعم ‏.‏ فقال نبي الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذهبوا فقاسموهم انصاف الاموال ولا تمسوا ذراريهم لولا ان الله لا يحب ضلالة العمل ما رزيناكم عقالا ‏"‏ ‏.‏ قال الزبيب فدعتني امي فقالت هذا الرجل اخذ زربيتي فانصرفت الى النبي صلى الله عليه وسلم - يعني فاخبرته - فقال لي ‏"‏ احبسه ‏"‏ ‏.‏ فاخذت بتلبيبه وقمت معه مكاننا ثم نظر الينا نبي الله صلى الله عليه وسلم قاىمين فقال ‏"‏ ما تريد باسيرك ‏"‏ ‏.‏ فارسلته من يدي فقام نبي الله صلى الله عليه وسلم فقال للرجل ‏"‏ رد على هذا زربية امه التي اخذت منها ‏"‏ ‏.‏ فقال يا نبي الله انها خرجت من يدي ‏.‏ قال فاختلع نبي الله صلى الله عليه وسلم سيف الرجل فاعطانيه ‏.‏ وقال للرجل ‏"‏ اذهب فزده اصعا من طعام ‏"‏ ‏.‏ قال فزادني اصعا من شعير ‏.‏


Narrated Zubayb ibn Tha'labah al-Anbari:

The Messenger of Allah (ﷺ) sent an army to Banu al-Anbar. They captured them at Rukbah in the suburbs of at-Ta'if and drove them to the Holy Prophet (ﷺ).

I rode hurriedly to the Holy Prophet (ﷺ) and said: Peace be on you, Messenger of Allah, and the mercy of Allah and His blessings. Your contingent came to us and arrested us, but we had already embraced Islam and cut the sides of the ears of our cattle.

When Banu al-Anbar arrived, the Holy Prophet (ﷺ) said to me: Have you any evidence that you had embraced Islam before you were captured today?

I said: Yes. He said: Who is your witness? I said: Samurah, a man from Banu al-Anbar, and another man whom he named. The man testified but Samurah refused to testify. The Holy Prophet (ﷺ) said: He (Samurah) has refused to testify for you, so take an oath with your other witness. I said: Yes. He then dictated an oath to me and I swore to the effect that we had embraced Islam on a certain day, and that we had cut the sides of the ears of the cattle.

The Holy Prophet (ﷺ) said: Go and divide half of their property, but do not touch their children. Had Allah not disliked the wastage of action, we should not have taxed you even a rope.

Zubayb said: My mother called me and said: This man has taken my mattress. I then went to the Holy Prophet (ﷺ) and informed him.

He said to me: Detain him. So I caught him with a garment around his neck, and stood there with him . Then the Holy Prophet (ﷺ) looked at us standing there. He asked: What do you intend (doing) with your captive?

I said: I shall let him go free if he returns to this (man) the mattress of his mother which he has taken from her.

He said: Prophet of Allah (ﷺ), I no longer have it.

He said: The Holy Prophet (ﷺ) took the sword of the man and gave it to me, and said to him: Go and give him some sa's of cereal. So he gave me some sa's of barley.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৮/ বিচার (كتاب الأقضية) 18/ The Office of the Judge (Kitab Al-Aqdiyah)