পরিচ্ছেদঃ ১৭৩. ইমামের জন্য মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা সম্পর্কে।
৩০৪৪. আবূ তাওবা রবী ইবন নাফি (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্ হাওযানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুআয্যিন বিলাল (রাঃ) এর হালব শহরে দেখা হয়। তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, হে বিলাল! আপনি আমার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভরণ-পোষণের ব্যয় নির্বাহের ব্যবস্থা কিরূপ ছিল, তা বর্ণনা করুন। তখন তিনি বলেনঃ যখন থেকে আল্লাহ্ তাঁকে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেন, তখন থেকে তাঁর ইনতিকালের সময় পর্যন্ত তাঁর কাজ-কর্মের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আমার উপরই ন্যস্ত ছিল। যখনই তাঁর নিকট মুসলিম আসতেন এবং তিনি তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতেন, তখন আমাকে তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতেন।
তখন আমি কর্য নিয়ে তার জন্য চাদর খরিদ করে তাকে পরাতাম এবং তাকে খানাও খাওয়াতাম। এমতাবস্থায় একদা জনৈক মুশরিক আমার সঙ্গে সাক্ষাত করে বলে যে, হে বিলাল! আমার কাছে অনেক ধন-দওলত আছে। কাজেই তুমি আমি ব্যতীত আর কারো থেকে ধার নিও না। তখন আমি এরূপ করতে থাকি। এ অবস্থায় একদা আমি উযূ করে যখন আযান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, তখন আমি দেখতে পাই যে, সে মুশরিক লোকটি একদল ব্যবসায়ী সমভিব্যাহারে আমার দিকে আসছে। সে আমাকে দেখেই বলে উঠলঃ হে হাবশী! আমি বললামঃ বলুন, আমি তো হাযির। সে সময় সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালমন্দ করতে লাগল এবং বললঃ তোমার কি জানা আছে, মাসের আর কতদিন বাকী আছে?
তখন আমি বললামঃ মাস তো প্রায় শেষ। তখন সে বলেঃ তোমার মাস পূর্ণ হতে আর মাত্র চার দিন বাকী আছে। আমি তোমার নিকট হতে আমার পাওনা টাকা আদায় করে ছাড়ব, আর আমি তোমাকে তোমার পূর্বাবস্থায় নিয়ে ছাড়ব, যেরূপ তুমি আগে বকরীর পাল চরাতে। বিলাল (রাঃ) বলেনঃ তার এরূপ কথাবার্তায় আমি মর্মাহত হই, এরূপ ক্ষেত্রে মানুষের যেমন হয়ে থাকে। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈশার সালাত আদায় শেষে যখন স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুমত চাইলাম। তখন তিনি আমাকে তাঁর খিদ্মতে হাযির হওয়ার জন্য অনুমতি দেন।
আমি তাঁর নিকট আরয করিঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমি যে মুশরিক ব্যক্তির নিকট হতে ধার নিতাম, সে আমাকে এরূপ এরূপ কথা বলেছে। এখন তো আপনার নিকট এমন কোন ধন-সম্পদ নেই যা দিয়ে আপনি আমার করয পরিশোধ করতে পারেন। আর আমার কাছেও কিছু নেই; ওদিকে সে তো আমাকে বেইযযত করতে চায়। সুতরাং আপনি আমাকে অনুমতি দিন, যাতে আমি পালিয়ে গিয়ে ঐ গোত্রের কোন লোকের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করতে পারি, যারা মুসলিম হয়েছে। আর আমি ততদিন এ অবস্থায় থাকব, যতদিন না আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রাসূলের জন্য এ পরিমাণ মালের সংস্থান করে দেন, যা দিয়ে আমি আমার করয পরিশোধ করতে পারি। একথা বলে আমি আমার ঘরে ফিরে আসি এবং আমার তরবারি, মোজা, জুতা এবং ঢাল আমার শিয়রে রাখি (যাতে অতি ভোরে আমি চলে যেতে পারি)।
এমতাবস্থায় যখন আমি অতি প্রত্যুষে পলায়ন করার জন্য তৈরী হলাম, তখন হঠাৎ দেখতে পাই যে, এক ব্যক্তি দৌড়ে আমার কাছে এসে বললঃ হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে ডাকছেন। তখন আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই যে, পিঠে মাল বোঝাই চারটি উট বসে আছে। এরপর আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (হে বিলাল!) তুমি সুসংবাদ গ্রহণ কর। তোমার করয পরিশোধের জন্য আল্লাহ্ তা’আলা এ মাল পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এরপর তিনি আরো বলেনঃ তুমি কি দেখছ না যে, চারটি মাল-বোঝাই উট বসে আছে? তখন আমি বলিঃ হ্যাঁ দেখছি। এরপর তিনি বলেনঃ এ পশুগুলো এবং এদের পিঠে যে মালামাল আছে, তা সবই তোমার। এতে কাপড় এবং খাদ্যশস্য আছে, যা ফিদাকের বিশিষ্ট ধনী নেতা হাদিয়া-স্বরূপ আমার জন্য পাঠিয়েছে। সুতরাং তুমি এসব বুঝে নাও এবং তোমার যাবতীয় দেনা পরিশোধ কর। বিলাল (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি এরূপ করি।
অতঃপর পূর্ণ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বিলাল (রাঃ) বলেনঃ পরে আমি মসজিদে গিয়ে দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসে আছেন। তখন আমি তাকে সালাম করলে তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি যে সম্পদ পেয়েছ তা কি করেছ? তখন আমি বলিঃ মহান আল্লাহ্ ঐ সমস্ত দেনাই পরিশোধ করে দিয়েছেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ছিল। বস্তুত ঐ দেনার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ঐ মাল হতে কিছু কি অবশিষ্ট আছে? তখন আমি বলিঃ হ্যাঁ, কিছু মাল অবশিষ্ট আছে।
তখন তিনি বলেনঃ আমি এও চাই যে, তুমি অবশিষ্ট মাল হতেও আমাকে চিন্তামুক্ত করবে (অর্থাৎ তা অতি সত্তর বিতরণ করে দেবে)। কেননা, যতক্ষণ না তুমি আমাকে তা হতে চিন্তামুক্ত করবে, ততক্ষণ আমি আমার স্বজনদের কারো কাছে ফিরে যাব না। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সালাত আদায় শেষে আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ অবশিষ্ট মাল কি করেছ? তখন আমি বলিঃ তা আমার কাছেই আছে, তা গ্রহণের জন্য কেউ-ই আমার নিকট আসেনি। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে রাত মসজিদেই কাটালেন।
এ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বিলাল (রাঃ) আরো বলেনঃ এরপর দ্বিতীয় দিন ইশার সালাত আদায় শেষে তিনি আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ যে মাল অবশিষ্ট ছিল, তুমি তা কি করেছ? তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্ তা’আলা ঐ মাল হতে আপনাকে চিন্তামুক্ত করেছেন। একথা শুনে তিনি তাকবীর (আল্লাহু আকবর) পাঠ করলেন এবং আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন। এ ভয়ে যেন এরূপ না হয় যে, ঐ মাল তাঁর নিকট থাকে এবং তিনি ইনতিকাল করেন। এরপর তিনি তাঁর গৃহে ফিরে যান এবং আমিও তাঁর পশ্চাতে গমন করি। পরে তিনি তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীকে আলাদাভাবে সালাম করেন এবং পরিশেষে নিজের বিশ্রামাগারে প্রবেশ করেন। এ-ই ছিল তার ব্যয় নির্বাহের ঘটনা, যে সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ।
باب فِي الإِمَامِ يَقْبَلُ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ الْهَوْزَنِيُّ، قَالَ لَقِيتُ بِلاَلاً مُؤَذِّنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَلَبَ فَقُلْتُ يَا بِلاَلُ حَدِّثْنِي كَيْفَ كَانَتْ نَفَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا كَانَ لَهُ شَىْءٌ كُنْتُ أَنَا الَّذِي أَلِي ذَلِكَ مِنْهُ مُنْذُ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ وَكَانَ إِذَا أَتَاهُ الإِنْسَانُ مُسْلِمًا فَرَآهُ عَارِيًا يَأْمُرُنِي فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَقْرِضُ فَأَشْتَرِي لَهُ الْبُرْدَةَ فَأَكْسُوهُ وَأُطْعِمُهُ حَتَّى اعْتَرَضَنِي رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ يَا بِلاَلُ إِنَّ عِنْدِي سَعَةً فَلاَ تَسْتَقْرِضْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ مِنِّي فَفَعَلْتُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ تَوَضَّأْتُ ثُمَّ قُمْتُ لأُؤَذِّنَ بِالصَّلاَةِ فَإِذَا الْمُشْرِكُ قَدْ أَقْبَلَ فِي عِصَابَةٍ مِنَ التُّجَّارِ فَلَمَّا أَنْ رَآنِي قَالَ يَا حَبَشِيُّ . قُلْتُ يَا لَبَّاهُ . فَتَجَهَّمَنِي وَقَالَ لِي قَوْلاً غَلِيظًا وَقَالَ لِي أَتَدْرِي كَمْ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الشَّهْرِ قَالَ قُلْتُ قَرِيبٌ . قَالَ إِنَّمَا بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ أَرْبَعٌ فَآخُذُكَ بِالَّذِي عَلَيْكَ فَأَرُدُّكَ تَرْعَى الْغَنَمَ كَمَا كُنْتَ قَبْلَ ذَلِكَ فَأَخَذَ فِي نَفْسِي مَا يَأْخُذُ فِي أَنْفُسِ النَّاسِ حَتَّى إِذَا صَلَّيْتُ الْعَتَمَةَ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنَّ الْمُشْرِكَ الَّذِي كُنْتُ أَتَدَيَّنُ مِنْهُ قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا وَلَيْسَ عِنْدَكَ مَا تَقْضِي عَنِّي وَلاَ عِنْدِي وَهُوَ فَاضِحِي فَأْذَنْ لِي أَنْ آبِقَ إِلَى بَعْضِ هَؤُلاَءِ الأَحْيَاءِ الَّذِينَ قَدْ أَسْلَمُوا حَتَّى يَرْزُقَ اللَّهُ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم مَا يَقْضِي عَنِّي فَخَرَجْتُ حَتَّى إِذَا أَتَيْتُ مَنْزِلِي فَجَعَلْتُ سَيْفِي وَجِرَابِي وَنَعْلِي وَمِجَنِّي عِنْدَ رَأْسِي حَتَّى إِذَا انْشَقَّ عَمُودُ الصُّبْحِ الأَوَّلِ أَرَدْتُ أَنْ أَنْطَلِقَ فَإِذَا إِنْسَانٌ يَسْعَى يَدْعُو يَا بِلاَلُ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَتَيْتُهُ فَإِذَا أَرْبَعُ رَكَائِبَ مُنَاخَاتٍ عَلَيْهِنَّ أَحْمَالُهُنَّ فَاسْتَأْذَنْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبْشِرْ فَقَدْ جَاءَكَ اللَّهُ بِقَضَائِكَ " . ثُمَّ قَالَ " أَلَمْ تَرَ الرَّكَائِبَ الْمُنَاخَاتِ الأَرْبَعَ " . فَقُلْتُ بَلَى . فَقَالَ " إِنَّ لَكَ رِقَابَهُنَّ وَمَا عَلَيْهِنَّ فَإِنَّ عَلَيْهِنَّ كِسْوَةً وَطَعَامًا أَهْدَاهُنَّ إِلَىَّ عَظِيمُ فَدَكَ فَاقْبِضْهُنَّ وَاقْضِ دَيْنَكَ " . فَفَعَلْتُ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ فِي الْمَسْجِدِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ " مَا فَعَلَ مَا قِبَلَكَ " . قُلْتُ قَدْ قَضَى اللَّهُ كُلَّ شَىْءٍ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَبْقَ شَىْءٌ . قَالَ " أَفَضَلَ شَىْءٌ " . قُلْتُ نَعَمْ قَالَ " انْظُرْ أَنْ تُرِيحَنِي مِنْهُ فَإِنِّي لَسْتُ بِدَاخِلٍ عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَهْلِي حَتَّى تُرِيحَنِي مِنْهُ " . فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَتَمَةَ دَعَانِي فَقَالَ " مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ " . قَالَ قُلْتُ هُوَ مَعِي لَمْ يَأْتِنَا أَحَدٌ . فَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ وَقَصَّ الْحَدِيثَ حَتَّى إِذَا صَلَّى الْعَتَمَةَ - يَعْنِي مِنَ الْغَدِ - دَعَانِي قَالَ " مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ " . قَالَ قُلْتُ قَدْ أَرَاحَكَ اللَّهُ مِنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَكَبَّرَ وَحَمِدَ اللَّهَ شَفَقًا مِنْ أَنْ يُدْرِكَهُ الْمَوْتُ وَعِنْدَهُ ذَلِكَ ثُمَّ اتَّبَعْتُهُ حَتَّى إِذَا جَاءَ أَزْوَاجَهُ فَسَلَّمَ عَلَى امْرَأَةٍ امْرَأَةٍ حَتَّى أَتَى مَبِيتَهُ فَهَذَا الَّذِي سَأَلْتَنِي عَنْهُ .
Narrated Abdullah al-Hawzani:
I met Bilal, the Mu'adhdhin of the Messenger of Allah (ﷺ) at Aleppo, and said: Bilal, tell me, what was the financial position of the Messenger of Allah (ﷺ)?
He said: He had nothing. It was I who managed it on his behalf since the day Allah made him Prophet of Allah (ﷺ) until he died. When a Muslim man came to him and he found him naked, he ordered me (to clothe him). I would go, borrow (some money), and purchase a cloak for him. I would then clothe him and feed him.
A man from the polytheists met me and said: I am well off, Bilal. Do not borrow money from anyone except me. So I did accordingly. One day when I performed ablution and stood up to make call to prayer, the same polytheist came along with a body of merchants.
When he saw me, he said: O Abyssinian. I said: I am at your service. He met me with unpleasant looks and said harsh words to me. He asked me: Do you know how many days remain in the completion of this month? I replied: The time is near. He said: Only four days remain in the completion of this month. I shall then take that which is due from you (i.e. loan), and then shall return you to tend the sheep as you did before. I began to think in my mind what people think in their minds (on such occasions). When I offered the night prayer, the Messenger of Allah (ﷺ) returned to his family. I sought permission from him and he gave me permission.
I said: Messenger of Allah, may my parents be sacrificed for you, the polytheist from whom I used to borrow money said to me such-and-such. Neither you nor I have anything to pay him for me, and he will disgrace me. So give me permission to run away to some of those tribes who have recently embraced Islam until Allah gives His Apostle (ﷺ) something with which he can pay (the debt) for me. So I came out and reached my house. I placed my sword, waterskin (or sheath), shoes and shield near my head. When dawn broke, I intended to be on my way.
All of a sudden I saw a man running towards me and calling: Bilal, return to the Messenger of Allah (ﷺ). So I went till I reached him. I found four mounts kneeling on the ground with loads on them. I sought permission.
The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: Be glad, Allah has made arrangements for the payment (of your debt). He then asked: Have you not seen the four mounts kneeling on the ground?
I replied: Yes. He said: You may have these mounts and what they have on them. There are clothes and food on them, presented to me by the ruler of Fadak. Take them away and pay off your debt. I did so.
He then mentioned the rest of the tradition. I then went to the mosque and found that the Messenger of Allah (ﷺ) was sitting there. I greeted him.
He asked: What benefit did you have from your property? I replied: Allah Most High paid everything which was due from the Messenger of Allah (ﷺ). Nothing remains now.
He asked: Did anything remain (from that property)? I said: Yes. He said: Look, if you can give me some comfort from it, for I shall not visit any member of my family until you give me some comfort from it. When the Messenger of Allah (ﷺ) offered the night prayer, he called me and said: What is the position of that which you had with you (i.e. property)?
I said: I still have it, no one came to me. The Messenger of Allah (ﷺ) passed the night in the mosque.
He then narrated the rest of the tradition. Next day when he offered the night prayer, he called me and asked: What is the position of that which you had (i.e. the rest of the property)?
I replied: Allah has given you comfort from it, Messenger of Allah. He said: Allah is Most Great, and praised Allah, fearing lest he should die while it was with him. I then followed him until he came to his wives and greeted each one of them and finally he came to his place where he had to pass the night. This is all for which you asked me.
পরিচ্ছেদঃ ১৭৩. ইমামের জন্য মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা সম্পর্কে।
৩০৪৫. মাহমূদ ইবন খালিদ (রহঃ) .... মু’আবিয়া (রাঃ) আবূ তাওবার সনদে যে হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তাতেও এ ঘটনা বিধৃত হয়েছে। তিনি তাঁর বর্ণিত হাদীছে এরূপ ব্যক্ত করেছেনঃ যখন আমি তাঁকে বলি, আমার নিকট এবং আপনার নিকট এত পরিমাণ মাল নেই, যা দিয়ে দেনা পরিশোধ করা যায়, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করে থাকেন। ব্যাপারটি আমার নিকট খুবই অসহনীয় ছিল (কেননা, আমার মনে হচ্ছিল, তিনি আমার কথায় কর্ণপাত করেননি)।
باب فِي الإِمَامِ يَقْبَلُ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، بِمَعْنَى إِسْنَادِ أَبِي تَوْبَةَ وَحَدِيثِهِ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ " مَا يَقْضِي عَنِّي " . فَسَكَتَ عَنِّي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاغْتَمَزْتُهَا .
The tradition mentioned above has also been transmitted by Mu’awiyah through a different chain of narrators to the same effect as narrated by Abu Taubah. This version has “I have nothing to pay from me. The Apostle of Allaah(ﷺ) thereupon kept silence and this displeased me.”
পরিচ্ছেদঃ ১৭৩. ইমামের জন্য মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা সম্পর্কে।
৩০৪৬. হারূন ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) .... ইয়ায ইবন হিমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাদিয়া হিসাবে একটি উট পেশ করি। তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি ইসলাম কবূল করেছ? তখন আমি বলিঃ না। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুশরিকদের নিকট হতে হাদিয়া গ্রহণ করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।
باب فِي الإِمَامِ يَقْبَلُ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ، قَالَ أَهْدَيْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَاقَةً فَقَالَ " أَسْلَمْتَ " . فَقُلْتُ لاَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي نُهِيتُ عَنْ زَبْدِ الْمُشْرِكِينَ " .
Narrated Iyad ibn Himar:
I presented a she-camel to the Prophet (ﷺ). He asked: Have you embraced Islam? I replied: No. The Prophet (ﷺ) said: I have been prohibited to accept the present of polytheists.