পরিচ্ছেদঃ ১৭৬. জাহিলিয়াতের যুগে বিভিন্ন ধরণের বিবাহ।

২২৬৬. আহমদ ইবন সালিহ্ .... উরওয়া ইবন যুবায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, জাহিলিয়াতের যুগে চার বিবাহ চালু ছিল। এর মধ্যে এক ধরণের বিবাহ এরূপ ছিল, যেমন আজকালের বিবাহ। বিবাহ ইচ্ছুক পুরুষ পাত্রীর পুরুষ অভিভাবকের নিকট বিবাহের প্রস্তাব করতো। এপর সে এর মাহর নির্দ্ধারণ করতো এবং পরে তাকে (স্ত্রীলোককে) মাহর দিয়ে বিবাহ করতো।

আর দ্বিতীয় প্রকারের বিবাহ ছিল, যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে বলত, যখন তুমি তোমার হায়য হতে পবিত্র হবে, তখন তুমি অমুক ব্যক্তির নিকট গমন করে তার সাথে সহবাস করবে। এ সময় তার স্বামী তার নিকট হতে দূরে সরে থাকত, যতক্ষণ না সে ঐ ব্যক্তির সাথে সহবাসের ফলে সন্তান-সম্ভবা হতো, ততক্ষণ সে তার সাথে সহবাস করতো না। আর যখন সে গর্ভবতী হতো, তখন স্বামী তার সাথে ইচ্ছা হলে সহবাস করতো। আর এরূপ করা হতো সন্তানের বিশেষ বৈশিষ্ট নিরূপনের জন্য। এ বিবাহকে নিকাহে ইস্তিবযা বলা হতো।

আর তৃতীয় প্রকারের বিবাহ ছিল, অনধিক দশজন পুরূষ একজন স্ত্রীলোককে বিবাহ করতো আর তারা সকলেই পর্যায়করমে তার সাথে সহবাস করতো। এরপর সে গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসবের পর কিছুদিন অতিবাহিত হলে, সে সকলকে তার নিকট আসার জন্য পত্র প্রেরণ করতো, যা প্রাপ্তির পর তারা সকলেই সেখানে আসতে বাধ্য হতো। এরপর তারা সকলে সমবেত হলে, সে নারী বলতো, তোমরা তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবশ্যই অবগত আছ, যার ফলে আমি এ সন্তান প্রসব করেছি। তখন সে তাদের মধ্য হতে তার পছন্দমত একজনের নাম ধরে সম্বোধন করে বলতো, হে অমুক! এ তোমার সন্তান। তখন সে তার সাথে ঐ সন্তানকে সম্পর্কিত করতো।

আর চতুর্থ প্রকারের বিবাহ ছিল, বহু লোক একত্রিত হয়ে পর্যায়করমে একটি মহিলার নিকট গমণ করতো। আর যে কেউ তার নিকট সহবাসের উদ্দেশ্যে গমণ করতো, সে কাউকে বাধা প্রদান করতো না। আর এ ধরণের মহিলারা ছিল বেশ্যা। এরা তাদের স্ব-স্ব গৃহের দরজার উপর নিশান লাগিয়ে রাখত, যা তাদের জন্য নিদর্শন স্বরূপ ছিল। যে কেউ তাদের নিকট গমণ করে তাদের সাথে সহবাসে করতে পারত। এরপর সে গর্ভবতী হওয়ার পর, সন্তান প্রসবের পরে তাদের সকলকে তাদের নিকট একত্রিত করতো এবং তাদের নিকট হতে সাযুজ্যতা দাবি করতো। এরপর সে তার সন্তানকে ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত করতো, যার সাথে সন্তানের সামঞ্জস্যতা পরিদৃষ্ট হতো। আর তাকে তার সন্তান হিসাবে ডাকা হতো এবং সে ব্যক্তি এতে নিষেধ করতো না। এরপর আল্লাহ্ তা’আলা যখন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেন, তখন তিনি জাহিলিয়াতের যুগে প্রচলিত ঐসব বিবাহ প্রথাকে বাতিল ঘোষণা করেন। আর বর্তমানে ইসলামের অনুসারীদের জন্য যে বিবাহ পদ্ধতি চালু আছে, তিনি তা বলবৎ করেন।

باب فِي وُجُوهِ النِّكَاحِ الَّتِي كَانَ يَتَنَاكَحُ بِهَا أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النِّكَاحَ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَنْحَاءٍ فَنِكَاحٌ مِنْهَا نِكَاحُ النَّاسِ الْيَوْمَ يَخْطُبُ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ وَلِيَّتَهُ فَيُصْدِقُهَا ثُمَّ يَنْكِحُهَا وَنِكَاحٌ آخَرُ كَانَ الرَّجُلُ يَقُولُ لاِمْرَأَتِهِ إِذَا طَهُرَتْ مِنْ طَمْثِهَا أَرْسِلِي إِلَى فُلاَنٍ فَاسْتَبْضِعِي مِنْهُ وَيَعْتَزِلُهَا زَوْجُهَا وَلاَ يَمَسُّهَا أَبَدًا حَتَّى يَتَبَيَّنَ حَمْلُهَا مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ الَّذِي تَسْتَبْضِعُ مِنْهُ فَإِذَا تَبَيَّنَ حَمْلُهَا أَصَابَهَا زَوْجُهَا إِنْ أَحَبَّ وَإِنَّمَا يَفْعَلُ ذَلِكَ رَغْبَةً فِي نَجَابَةِ الْوَلَدِ فَكَانَ هَذَا النِّكَاحُ يُسَمَّى نِكَاحَ الاِسْتِبْضَاعِ وَنِكَاحٌ آخَرُ يَجْتَمِعُ الرَّهْطُ دُونَ الْعَشَرَةِ فَيَدْخُلُونَ عَلَى الْمَرْأَةِ كُلُّهُمْ يُصِيبُهَا فَإِذَا حَمَلَتْ وَوَضَعَتْ وَمَرَّ لَيَالٍ بَعْدَ أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا أَرْسَلَتْ إِلَيْهِمْ فَلَمْ يَسْتَطِعْ رَجُلٌ مِنْهُمْ أَنْ يَمْتَنِعَ حَتَّى يَجْتَمِعُوا عِنْدَهَا فَتَقُولُ لَهُمْ قَدْ عَرَفْتُمُ الَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِكُمْ وَقَدْ وَلَدْتُ وَهُوَ ابْنُكَ يَا فُلاَنُ فَتُسَمِّي مَنْ أَحَبَّتْ مِنْهُمْ بِاسْمِهِ فَيُلْحَقُ بِهِ وَلَدُهَا وَنِكَاحٌ رَابِعٌ يَجْتَمِعُ النَّاسُ الْكَثِيرُ فَيَدْخُلُونَ عَلَى الْمَرْأَةِ لاَ تَمْتَنِعُ مِمَّنْ جَاءَهَا وَهُنَّ الْبَغَايَا كُنَّ يَنْصِبْنَ عَلَى أَبْوَابِهِنَّ رَايَاتٍ يَكُنَّ عَلَمًا لِمَنْ أَرَادَهُنَّ دَخَلَ عَلَيْهِنَّ فَإِذَا حَمَلَتْ فَوَضَعَتْ حَمْلَهَا جُمِعُوا لَهَا وَدَعَوْا لَهُمُ الْقَافَةَ ثُمَّ أَلْحَقُوا وَلَدَهَا بِالَّذِي يَرَوْنَ فَالْتَاطَهُ وَدُعِيَ ابْنَهُ لاَ يَمْتَنِعُ مِنْ ذَلِكَ فَلَمَّا بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم هَدَمَ نِكَاحَ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ كُلَّهُ إِلاَّ نِكَاحَ أَهْلِ الإِسْلاَمِ الْيَوْمَ ‏.‏

حدثنا احمد بن صالح، حدثنا عنبسة بن خالد، حدثني يونس بن يزيد، قال قال محمد بن مسلم بن شهاب اخبرني عروة بن الزبير، ان عاىشة، - رضى الله عنها - زوج النبي صلى الله عليه وسلم اخبرته ان النكاح كان في الجاهلية على اربعة انحاء فنكاح منها نكاح الناس اليوم يخطب الرجل الى الرجل وليته فيصدقها ثم ينكحها ونكاح اخر كان الرجل يقول لامراته اذا طهرت من طمثها ارسلي الى فلان فاستبضعي منه ويعتزلها زوجها ولا يمسها ابدا حتى يتبين حملها من ذلك الرجل الذي تستبضع منه فاذا تبين حملها اصابها زوجها ان احب وانما يفعل ذلك رغبة في نجابة الولد فكان هذا النكاح يسمى نكاح الاستبضاع ونكاح اخر يجتمع الرهط دون العشرة فيدخلون على المراة كلهم يصيبها فاذا حملت ووضعت ومر ليال بعد ان تضع حملها ارسلت اليهم فلم يستطع رجل منهم ان يمتنع حتى يجتمعوا عندها فتقول لهم قد عرفتم الذي كان من امركم وقد ولدت وهو ابنك يا فلان فتسمي من احبت منهم باسمه فيلحق به ولدها ونكاح رابع يجتمع الناس الكثير فيدخلون على المراة لا تمتنع ممن جاءها وهن البغايا كن ينصبن على ابوابهن رايات يكن علما لمن ارادهن دخل عليهن فاذا حملت فوضعت حملها جمعوا لها ودعوا لهم القافة ثم الحقوا ولدها بالذي يرون فالتاطه ودعي ابنه لا يمتنع من ذلك فلما بعث الله محمدا صلى الله عليه وسلم هدم نكاح اهل الجاهلية كله الا نكاح اهل الاسلام اليوم ‏.‏


A’ishah wife of the Prophet (ﷺ) said “Marriage in pre Islamic times was of four kinds.” One of them was the marriage contracted by the people today. A man asked another man to marry his relative (sister or daughter) to him. He fixed the dower and married her to him. Another kind of marriage was that a man asked his wife when she became pure from menstruation to send fro so and so and have sexual intercourse with him. Her husband kept himself aloof and did not have intercourse with her till It became apparent that she was pregnant from the man who had intercourse with her. When it was manifest that she was pregnant, her husband approached her if he liked. This marriage was called istibda’(to utilize man for intercourse for a noble birth). A third kind of marriage was that a group of people less than ten in number entered upon a woman and had intercourse with her. When she conceived gave birth to a child and a number of days passed after her delivery, she sent for them. No one of them could refuse to attend and they gathered before her. She said to them “You have realized your affair. I have now given birth to a child. And this is your son. O so and so. She called the name of anyone of them she liked and the child was attributed to him. A fourth kind of marriage was that many people gathered together and entered upon a woman who did not prevent anyone who came to her. They were prostitutes. They hoisted flags at their doors which served as a sign for the one who intended to enter upon them. When she became pregnant and delivered the child , they got together before her and called for the experts of tracing relationship from physical features. They attributed the child to whom they considered and it was given to him. The child was called his son and he could not deny. When Allah sent Muhammad (ﷺ) as a Prophet, he abolished all kinds of marriages prevalent among the people of the pre Islamic times except of the Muslims practiced today.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ তালাক (كتاب الطلاق) 7/ Divorce (Kitab Al-Talaq)