পরিচ্ছেদঃ ১২২. কারো জন্মের পূর্বে বিবাহ দেয়া।
২০৯৯. আ্ল হাসান ইবন আলী ...... সারা বিন্ত মুকাসসাম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মায়মূনা বিনত কারদামকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিদায় হজ্জের বছর, আমি আমার পিতার সাথে বের হই। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে স্বচক্ষে দেখি। ঐ সময় তিনি তাঁর উষ্ট্রীর উপর সাওয়ার ছিলেন এবং তাঁর হাতে ছিল একটি দুর্রা (লাঠি), যেমন ছেলেদের শিক্ষার জন্য (যেরূপ) লাঠি ব্যাবহৃত হয়। তখন আমি আরবদের ও অন্যান্য লোকদের বলতে শুনিঃ আল্-তাবতাবিয়া আল-তাবতাবিয়া, আল্-তাবতাবিয়া।*
এরপর আমার পিতা তাঁর নিকটবর্তী হয়ে তাঁর কদম মোবারক জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁর রিসালাতের সত্যতা স্বীকার করেন। এরপর তাঁর নিকট অবস্থান করেন এবং তাঁর নিকট হতে হাদীস শ্রবণ করেন এবং বলেন, আমি উসরান অভিযানে হাজির ছিলাম। রাবী ইবন মুসান্না বলেন, তা (অন্ধকার যুগের) একটি যুদ্ধ ছিল। তখন তারিক ইবন আল্-মুরাক্কা বলেন, আমাকে এর বিনিময়ে কে একটি বর্শা প্রদান করবে? আমি বলি, ঐ বিনিময়টা কী? আমার যে কন্যা সন্তানের প্রথম জন্ম হবে বিনিময়ে আমি তাকে তার নিকট বিবাহ দিব। আমি তাকে আমার বর্শাটি প্রদান করলাম।
এরপর আমি তার নিকট হতে চলে যাই। পরে আমি শুনতে পাই যে, তার একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে এবং সে বালিগা (সাবালক) হয়েছে। এরপর আমি তার নিকট উপস্থিত হই এবং বলি, আমার বউকে আমার জন্য সাজিয়ে দিন। তখন সে এ বলে শপথ করেন যে, অতিরিক্ত কিছু মাহর না দিলে তাকে দেওয়া হবে না। তখন আমিও বিনিময়ে চুক্তির অতিরিক্ত মাহর না দেওয়ার অঙ্গীকার করি এবং বর্শা দানের বিনিময়েই তাকে পেতে চাই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে আজকের মহিলা। বোধ হয় সে তোমার বার্ধক্য দেখেছে। তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা তুমি তাকে পরিত্যাগ কর, তিনি (কারদাম) বলেন, আমি তখন শপথের কারণে ভীত হয়ে পড়ি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে দৃষ্টিপাত করি। এরপর তিনি আমাকে ভীত সন্ত্রস্ত দেখে বলেন, এতে তুমি এবং তোমার সাথী কেউ (শপথ ভঙ্গের কারণে) পাপী হবে না।
باب فِي تَزْوِيجِ مَنْ لَمْ يُولَدْ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مِقْسَمٍ الثَّقَفِيُّ، - مِنْ أَهْلِ الطَّائِفِ - حَدَّثَتْنِي سَارَّةُ بِنْتُ مِقْسَمٍ، أَنَّهَا سَمِعَتْ مَيْمُونَةَ بِنْتَ كَرْدَمٍ، قَالَتْ خَرَجْتُ مَعَ أَبِي فِي حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَنَا إِلَيْهِ أَبِي وَهُوَ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ فَوَقَفَ لَهُ وَاسْتَمَعَ مِنْهُ وَمَعَهُ دِرَّةٌ كَدِرَّةِ الْكُتَّابِ فَسَمِعْتُ الأَعْرَابَ وَالنَّاسَ وَهُمْ يَقُولُونَ الطَّبْطَبِيَّةَ الطَّبْطَبِيَّةَ الطَّبْطَبِيَّةَ فَدَنَا إِلَيْهِ أَبِي فَأَخَذَ بِقَدَمِهِ فَأَقَرَّ لَهُ وَوَقَفَ عَلَيْهِ وَاسْتَمَعَ مِنْهُ فَقَالَ إِنِّي حَضَرْتُ جَيْشَ عِثْرَانَ - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى جَيْشَ غِثْرَانَ - فَقَالَ طَارِقُ بْنُ الْمُرَقَّعِ مَنْ يُعْطِينِي رُمْحًا بِثَوَابِهِ قُلْتُ وَمَا ثَوَابُهُ قَالَ أُزَوِّجُهُ أَوَّلَ بِنْتٍ تَكُونُ لِي . فَأَعْطَيْتُهُ رُمْحِي ثُمَّ غِبْتُ عَنْهُ حَتَّى عَلِمْتُ أَنَّهُ قَدْ وُلِدَ لَهُ جَارِيَةٌ وَبَلَغَتْ ثُمَّ جِئْتُهُ فَقُلْتُ لَهُ أَهْلِي جَهِّزْهُنَّ إِلَىَّ . فَحَلَفَ أَنْ لاَ يَفْعَلَ حَتَّى أُصْدِقَهُ صَدَاقًا جَدِيدًا غَيْرَ الَّذِي كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَحَلَفْتُ لاَ أُصْدِقُ غَيْرَ الَّذِي أَعْطَيْتُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَبِقَرْنِ أَىِّ النِّسَاءِ هِيَ الْيَوْمَ " . قَالَ قَدْ رَأَتِ الْقَتِيرَ . قَالَ " أَرَى أَنْ تَتْرُكَهَا " . قَالَ فَرَاعَنِي ذَلِكَ وَنَظَرْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ مِنِّي قَالَ " لاَ تَأْثَمُ وَلاَ يَأْثَمُ صَاحِبُكَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْقَتِيرُ الشَّيْبُ .
পরিচ্ছেদঃ ১২২. কারো জন্মের পূর্বে বিবাহ দেয়া।
২১০০. আহমদ ইবন সালিহ ..... জনৈকা মহিলা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহিলিয়াতের যুগে আমার পিতা কোন এক যুদ্ধে শরীক হন এবং তা প্রচন্ডরূপে ধারণ করে। তখন জনৈক ব্যক্তি বলে, কে আমাকে একজোড়া জুতা প্রদান করবে? আর (এর বিনিময়ে) আমি তার নিকট আমার প্রথমা মেয়ের জন্ম হলে বিবাহ দিব। তখন আমার পিতা তার পায়ের জুতা খুলে তাকে প্রদান করেন। এরপর তার একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে বালিগা হয়। এরপর রাবী উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। এই বর্ণনায় বার্ধক্যের কথার উল্লেখ নেই।
باب فِي تَزْوِيجِ مَنْ لَمْ يُولَدْ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ، أَنَّ خَالَتَهُ، أَخْبَرَتْهُ عَنِ امْرَأَةٍ، قَالَتْ هِيَ مُصَدَّقَةٌ امْرَأَةُ صِدْقٍ قَالَتْ بَيْنَا أَبِي فِي غَزَاةٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذْ رَمِضُوا فَقَالَ رَجُلٌ مَنْ يُعْطِينِي نَعْلَيْهِ وَأُنْكِحُهُ أَوَّلَ بِنْتٍ تُولَدُ لِي فَخَلَعَ أَبِي نَعْلَيْهِ فَأَلْقَاهُمَا إِلَيْهِ فَوُلِدَتْ لَهُ جَارِيَةٌ فَبَلَغَتْ وَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قِصَّةَ الْقَتِيرِ .
Ibrahim bin Maisarah reported from his maternal aunt who reported on the authority of a woman called Mussaddaqah (a truthful woman). She said “In pre Islamic days, when my father participated in a battle the feet of the people burnt due to intense heat. Thereupon a man said “Who gives me his shoes, I shall marry him to my first daughter born to me. My father took off his shoes and there them before him. A girl was thereafter born to him and came of age.” The narrator then mentioned a similar story. But he did not mention that she had grown old.