পরিচ্ছেদঃ ২৮৯. এক দল বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন নামায পড়া কালে সকলকে এক সঙ্গে তাকবীর তাহরীমা বলতে হবে, যদি এক দলের কিবলা তাঁদের পশ্চাতে পড়ে। অতঃপর যারা ইমামের নিকটবর্তী থাকবে তিনি তাঁদের সাথে এক রাকাত আদায় করবেন। পড়ে অপর দল এসে নিজ নিজ এক রাকাত আদায় করার পর ইমাম তাদেরকে নিয়ে দ্বিতীয় রাকাত আদায় করে বসে থাকবেন। তখন প্রথম রাকাত ইমামের সাথে আদায়কারীগণ ফিরে এসে স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকাত আদায় করবে। অতঃপর ইমাম তাঁদের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।

১২৪০. আল হাসান ইবন আলী (রহঃ) ..... মারওান ইবনুল-হাকাম হতে বর্ণিত। তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি কখনও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ভয় ভীতির সময় নামায আদায় করেছেন? আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, হ্যাঁ। মারওান পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, কখন? তিনি বলেন, যাতুর-রিকার যুদ্ধের সময়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায আদায়ের জন্য দাঁড়ালে একদল তাঁর সাথে নামাযে দাঁড়ায় এবং অপর দল কিবলার দিকে পিঠ ফিরিয়ে শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহু আকবার বললে যারা তাঁর সাথে ছিলেন এবং যারা শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিলেন সকলে তাকবীর বলেন।

তিনি তাঁর নিকটবর্তী লোকদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম রাকাতের সিজদাহ করেন এবং অপর দল শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত থাকে। অতঃপর তিনি দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়ান এবং তাঁর সাথীগণ দুশমনের মুকাবিলায় যান এবং যারা ঐ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাঁরা এসে একাকী প্রথম রাকাতের রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য তাঁর পশ্চাতে দণ্ডায়মান হন। তখন তিনি তাঁদের সাথে একত্রে দ্বিতীয় রাকাতের রুকু সিজদা করে বসে থাকেন। এই সময়ে যারা দুশমনের মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিল তাঁরা ফিরে এসে নিজ নিজ রুকু সিজদা করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে বসেন। অতঃপর তিনি সকলকে নিয়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন। রাবী বলেন, এই সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দুই রাকাত নামাযই জামায়াতের সাথে আদায় করেন, কিন্তু তাঁর সাহাবীদের (প্রতিটি দলের) নামায জামায়াতের সাথে এক রাকাত করে আদায় হয়েছে। (নাসাঈ)।

باب مَنْ قَالَ يُكَبِّرُونَ جَمِيعًا وَإِنْ كَانُوا مُسْتَدْبِرِي الْقِبْلَةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، وَابْنُ، لَهِيعَةَ قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، يُحَدِّثُ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ هَلْ صَلَّيْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ مَرْوَانُ مَتَى فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَامَ غَزْوَةِ نَجْدٍ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى صَلاَةِ الْعَصْرِ فَقَامَتْ مَعَهُ طَائِفَةٌ وَطَائِفَةٌ أُخْرَى مُقَابِلَ الْعَدُوِّ ظُهُورُهُمْ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرُوا جَمِيعًا الَّذِينَ مَعَهُ وَالَّذِينَ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً وَاحِدَةً وَرَكَعَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي مَعَهُ ثُمَّ سَجَدَ فَسَجَدَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي تَلِيهِ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَامَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي مَعَهُ فَذَهَبُوا إِلَى الْعَدُوِّ فَقَابَلُوهُمْ وَأَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ كَمَا هُوَ ثُمَّ قَامُوا فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً أُخْرَى وَرَكَعُوا مَعَهُ وَسَجَدَ وَسَجَدُوا مَعَهُ ثُمَّ أَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ وَمَنْ مَعَهُ ثُمَّ كَانَ السَّلاَمُ فَسَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَلَّمُوا جَمِيعًا فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ وَلِكُلِّ رَجُلٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا ابو عبد الرحمن المقرى، حدثنا حيوة، وابن، لهيعة قالا اخبرنا ابو الاسود، انه سمع عروة بن الزبير، يحدث عن مروان بن الحكم، انه سال ابا هريرة هل صليت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاة الخوف قال ابو هريرة نعم ‏.‏ قال مروان متى فقال ابو هريرة عام غزوة نجد قام رسول الله صلى الله عليه وسلم الى صلاة العصر فقامت معه طاىفة وطاىفة اخرى مقابل العدو ظهورهم الى القبلة فكبر رسول الله صلى الله عليه وسلم فكبروا جميعا الذين معه والذين مقابلي العدو ثم ركع رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعة واحدة وركعت الطاىفة التي معه ثم سجد فسجدت الطاىفة التي تليه والاخرون قيام مقابلي العدو ثم قام رسول الله صلى الله عليه وسلم وقامت الطاىفة التي معه فذهبوا الى العدو فقابلوهم واقبلت الطاىفة التي كانت مقابلي العدو فركعوا وسجدوا ورسول الله صلى الله عليه وسلم قاىم كما هو ثم قاموا فركع رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعة اخرى وركعوا معه وسجد وسجدوا معه ثم اقبلت الطاىفة التي كانت مقابلي العدو فركعوا وسجدوا ورسول الله صلى الله عليه وسلم قاعد ومن معه ثم كان السلام فسلم رسول الله صلى الله عليه وسلم وسلموا جميعا فكان لرسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتان ولكل رجل من الطاىفتين ركعة ركعة ‏.‏


Urwah ibn az-Zubayr reported that Marwan ibn al-Hakam asked AbuHurayrah:
Did you pray in time of danger with the Messenger of Allah (ﷺ)?

AbuHurayrah replied: Yes. Marwan then asked: When? AbuHurayrah said: On the occasion of the Battle of Najd. The Messenger of Allah (ﷺ) stood up to offer the afternoon prayer. One section stood with him (to pray) and the other was standing before the enemy, and their backs were towards the qiblah. The Messenger of Allah (ﷺ) uttered the takbir and all of them too uttered the takbir, i.e. those who were with him and those who were facing the enemy. Then the Messenger of Allah (ﷺ) offered one rak'ah and the section that was with him also prayed one rak'ah. He then prostrated himself and those who were with him also prostrated, while the other section was standing before the enemy.

The Messenger of Allah (ﷺ) then stood up and the section with him also stood up. They went and faced the enemy and the section that was previously facing the enemy stepped forward. They bowed and prostrated while the Messenger of Allah (ﷺ) was standing in the same position. Then they stood up and the Messenger of Allah (may peace be upon) prayed another rak'ah and all of them bowed and prostrated along with him. After that the section that was standing before the enemy came forward and they bowed and prostrated, while the Messenger of Allah (ﷺ) remained seated and also those who were with him. The salutation then followed. The Messenger of Allah (ﷺ) uttered the salutation and all of them uttered it together. The Messenger of Allah (ﷺ) prayed two rak'ahs and each of the two sections prayed one rak'ah with him (and the other by themselves).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ২৮৯. এক দল বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন নামায পড়া কালে সকলকে এক সঙ্গে তাকবীর তাহরীমা বলতে হবে, যদি এক দলের কিবলা তাঁদের পশ্চাতে পড়ে। অতঃপর যারা ইমামের নিকটবর্তী থাকবে তিনি তাঁদের সাথে এক রাকাত আদায় করবেন। পড়ে অপর দল এসে নিজ নিজ এক রাকাত আদায় করার পর ইমাম তাদেরকে নিয়ে দ্বিতীয় রাকাত আদায় করে বসে থাকবেন। তখন প্রথম রাকাত ইমামের সাথে আদায়কারীগণ ফিরে এসে স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকাত আদায় করবে। অতঃপর ইমাম তাঁদের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।

১২৪১. মুহাম্মাদ ইবন আমর (রহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নজদে গমন করি। ঐ সময় আমরা যাতুর-রিকা নামক স্থানের একটি খেজুর বাগানে অবস্থান করি। তখন গাতাফান গোত্রের সাথে আমাদের যুদ্ধ হয়। অতঃপর তিনি পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ অর্থ জ্ঞাপক হাদিস বর্ণনা করেন, যদিও কিছু শাব্দিক পার্থক্য রয়েছে।

রাবী ইবন ইসহাকের বর্ণনায় আছে, ’যখন তাঁর সাথীগণ রুকু সিজদা করেন’। রাবী আরও বলেন, রাকাত শেষে তাঁরা কিবলার দিকে মুখ রেখে পশ্চাদপসারন করে যারা শত্রুর মুকাবিলায় নিয়োজিত ছিল, তাঁদের স্থানে গিয়ে দণ্ডায়মান হন। উক্ত বর্ণনায় কিবলার দিকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনের কথা উল্লেখ নাই।

باب مَنْ قَالَ يُكَبِّرُونَ جَمِيعًا وَإِنْ كَانُوا مُسْتَدْبِرِي الْقِبْلَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَمُحَمَّدِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى نَجْدٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ لَقِيَ جَمْعًا مِنْ غَطَفَانَ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ وَلَفْظُهُ عَلَى غَيْرِ لَفْظِ حَيْوَةَ وَقَالَ فِيهِ حِينَ رَكَعَ بِمَنْ مَعَهُ وَسَجَدَ قَالَ فَلَمَّا قَامُوا مَشَوُا الْقَهْقَرَى إِلَى مَصَافِّ أَصْحَابِهِمْ وَلَمْ يَذْكُرِ اسْتِدْبَارَ الْقِبْلَةِ ‏.‏

حدثنا محمد بن عمرو الرازي، حدثنا سلمة، حدثني محمد بن اسحاق، عن محمد بن جعفر بن الزبير، ومحمد بن الاسود، عن عروة بن الزبير، عن ابي هريرة، قال خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم الى نجد حتى اذا كنا بذات الرقاع من نخل لقي جمعا من غطفان فذكر معناه ولفظه على غير لفظ حيوة وقال فيه حين ركع بمن معه وسجد قال فلما قاموا مشوا القهقرى الى مصاف اصحابهم ولم يذكر استدبار القبلة ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:

We went out with the Messenger of Allah (ﷺ) to Najd. When we reached Dhat ar-Riqa at Nakhl (or in a valley with palm trees) he met a group of the tribe of Ghatafan. The narrator then reported the tradition to the same effect, but his version is other than that of Haywah. He added to the words "when he bowed along with those who were with him and prostrated" the words "when they stood up, they retraced their footsteps to the rows of their companions". He did not mention the words "their back was towards the qiblah".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ২৮৯. এক দল বিশেষজ্ঞ আলেম বলেন, শংকাকালীন নামায পড়া কালে সকলকে এক সঙ্গে তাকবীর তাহরীমা বলতে হবে, যদি এক দলের কিবলা তাঁদের পশ্চাতে পড়ে। অতঃপর যারা ইমামের নিকটবর্তী থাকবে তিনি তাঁদের সাথে এক রাকাত আদায় করবেন। পড়ে অপর দল এসে নিজ নিজ এক রাকাত আদায় করার পর ইমাম তাদেরকে নিয়ে দ্বিতীয় রাকাত আদায় করে বসে থাকবেন। তখন প্রথম রাকাত ইমামের সাথে আদায়কারীগণ ফিরে এসে স্ব স্ব দ্বিতীয় রাকাত আদায় করবে। অতঃপর ইমাম তাঁদের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।

১২৪২. আবু দাউদ (রহঃ) ..... আয়েশা (রাঃ) হতে ঘটনাটি এভাবে বিবৃত হয়েছেঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তাকবীরের সাথে সাথেই তাঁর নিকটবর্তী কাতারের লোকেরা তাকবীর বলেন এবং তাঁর সাথে প্রথম রাকাতের রুকু ও সিজদা করেন। অতঃপর তিনি প্রথম সিজদা হতে মাথা উঠাবার সাথে সাথে তারাও মাথা উঠান। প্রথম সিজদা করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে থাকেন। এ সময় মুক্তাদিগন নিজেরাই দ্বিতীয় সিজদা করে শত্রুর মুকাবিলা করার জন্য গমন করে। তখন দ্বিতীয় দল এসে নিজেরা তাকবীর বলে রুকু আদায় করে এবং পরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সিজদা করে। অতঃপর তিনি একাকী দণ্ডায়মান হন। তখন মুক্তাদিগন স্ব স্ব দ্বিতীয় সিজদা আদায় করে দণ্ডায়মান হয়। অতঃপর উভয় দল একত্রিত হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রুকু সিজদা করে পূর্ববর্তী সিজদাটি (যা সকলে বিচ্ছিন্ন ভাবে আদায় করে) জামায়াতের সাথে আদায় করেন এবং তা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করেন। অতঃপর তিনি এবং তাঁর সাহাবীগণ সালাম ফিরান। এমনিভাবে সকলে জামাতের অর্ধেক অংশে শরীক হয়ে নামায সম্পন্ন করেন।

باب مَنْ قَالَ يُكَبِّرُونَ جَمِيعًا وَإِنْ كَانُوا مُسْتَدْبِرِي الْقِبْلَةِ

قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَمَّا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ فَحَدَّثَنَا قَالَ حَدَّثَنِي عَمِّي، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ، قَالَتْ كَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرَتِ الطَّائِفَةُ الَّذِينَ صُفُّوا مَعَهُ ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعُوا ثُمَّ سَجَدَ فَسَجَدُوا ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعُوا ثُمَّ مَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا ثُمَّ سَجَدُوا هُمْ لأَنْفُسِهِمُ الثَّانِيَةَ ثُمَّ قَامُوا فَنَكَصُوا عَلَى أَعْقَابِهِمْ يَمْشُونَ الْقَهْقَرَى حَتَّى قَامُوا مِنْ وَرَائِهِمْ وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَقَامُوا فَكَبَّرُوا ثُمَّ رَكَعُوا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَجَدُوا مَعَهُ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَجَدُوا لأَنْفُسِهِمُ الثَّانِيَةَ ثُمَّ قَامَتِ الطَّائِفَتَانِ جَمِيعًا فَصَلُّوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَكَعَ فَرَكَعُوا ثُمَّ سَجَدَ فَسَجَدُوا جَمِيعًا ثُمَّ عَادَ فَسَجَدَ الثَّانِيَةَ وَسَجَدُوا مَعَهُ سَرِيعًا كَأَسْرَعِ الإِسْرَاعِ جَاهِدًا لاَ يَأْلُونَ سِرَاعًا ثُمَّ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَلَّمُوا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ شَارَكَهُ النَّاسُ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا ‏.‏

قال ابو داود واما عبيد الله بن سعد فحدثنا قال حدثني عمي، حدثنا ابي، عن ابن اسحاق، حدثني محمد بن جعفر بن الزبير، ان عروة بن الزبير، حدثه ان عاىشة حدثته بهذه القصة، قالت كبر رسول الله صلى الله عليه وسلم وكبرت الطاىفة الذين صفوا معه ثم ركع فركعوا ثم سجد فسجدوا ثم رفع فرفعوا ثم مكث رسول الله صلى الله عليه وسلم جالسا ثم سجدوا هم لانفسهم الثانية ثم قاموا فنكصوا على اعقابهم يمشون القهقرى حتى قاموا من وراىهم وجاءت الطاىفة الاخرى فقاموا فكبروا ثم ركعوا لانفسهم ثم سجد رسول الله صلى الله عليه وسلم فسجدوا معه ثم قام رسول الله صلى الله عليه وسلم وسجدوا لانفسهم الثانية ثم قامت الطاىفتان جميعا فصلوا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فركع فركعوا ثم سجد فسجدوا جميعا ثم عاد فسجد الثانية وسجدوا معه سريعا كاسرع الاسراع جاهدا لا يالون سراعا ثم سلم رسول الله صلى الله عليه وسلم وسلموا فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد شاركه الناس في الصلاة كلها ‏.‏


Abu Dawud said:
This tradition has been transmitted by 'Aishah through a different chain of narrators. She said: The Messenger of Allah (ﷺ) uttered the takbir and the section that was in the same row with him also uttered the takbir. He then bowed and they also bowed, and he prostrated and they also prostrated. Then he raised his head and they also raised (their heads). The Messenger of Allah (ﷺ) then remained seated. They prostrated alone and stood up and retraced their footsteps and stood behind them.

Then the other section came; they stood up and uttered the takbir and bowed by themselves. The Messenger of Allah (ﷺ) prostrated himself and they also prostrated with him. Then the Messenger of Allah (ﷺ) stood up and they performed the second prostration by themselves. Then both the sections stood up and prayed with the Messenger of Allah (ﷺ). He bowed and they also bowed, and then he prostrated himself and they also prostrated themselves. Then he returned and performed the second prostration and they also prostrated with him as quickly as possible, showing no slackness in quick prostration. The Messenger of Allah (ﷺ) then uttered the salutation. After that the Messenger of Allah (ﷺ) stood up. Thus everyone participated in the entire prayer.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে