পরিচ্ছেদঃ ১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ্‌ না বলার বিবরণ।

৭৮২. মুসলিম ইবনু ইব্রাহীম ..... আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর (রাঃ), উমার (রাঃ) ও উছমান (রাঃ) “আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন” হতে কিরাআত পাঠ শুরু করতেন। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)।

باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ ‏{‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏}‏

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَانُوا يَفْتَتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِـ ‏(‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ ‏.‏

حدثنا مسلم بن ابراهيم، حدثنا هشام، عن قتادة، عن انس، ان النبي صلى الله عليه وسلم وابا بكر وعمر وعثمان كانوا يفتتحون القراءة بـ ‏(‏ الحمد لله رب العالمين ‏)‏ ‏.‏


‘Anas said:
The Prophet(peace be upon hm), Abu Bakr, ‘Umar and ‘Uthman used to begin the recitation with “Praise be to Allah, the Lord of the Universe.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ্‌ না বলার বিবরণ।

৭৮৩. মুসাদ্দাদ ..... আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা বলে নামায আরম্ভ করতেন এবং আলহামদু লিল্লাহি রব্বীল আলামীন বলে কিরাআত শুরু করতেন। তিনি রুকুর সময় স্বীয় মাথা উচুঁ করেও রাখতেন না এবং নীচু করেও রাখতেন না, বরং পিঠের সমান্তরাল করে রাখতেন। অতঃপর তিনি রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর আগে সিজদায় যেতেন না এবং এক সিজদা করার পর সোজা হয়ে বসার পূর্বে দ্বিতীয় সিজদা করতেন না। তিনি প্রত্যেক দুই রাকাত নামায আদায়ের পর তাশাহুদ, পাঠ করতেন। অতঃপর তিনি যখন বসতেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পা খাড়া করে রাখতেন। তিনি শয়তানের মত উপবেশন করা তথা উভয় গোড়ালীর উপর পাছা রেখে বসতে নিষেধ করতেন এবং চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় (অর্থাৎ দুই হাত মাটির সাথে বিছিয়ে দিয়ে) সিজদা করতে নিষেধ করতেন। অতঃপর তিনি আস-সালামু আলাইকুম বলে নামায শেষ করতেন- (মুসলিম, ইবনু মাজাহ)।

باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ ‏{‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏}‏

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةَ بِـ ‏(‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلَكِنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ ‏"‏ التَّحِيَّاتُ ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَ إِذَا جَلَسَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عَقِبِ الشَّيْطَانِ وَعَنْ فِرْشَةِ السَّبُعِ وَكَانَ يَخْتِمُ الصَّلاَةَ بِالتَّسْلِيمِ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا عبد الوارث بن سعيد، عن حسين المعلم، عن بديل بن ميسرة، عن ابي الجوزاء، عن عاىشة، قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يفتتح الصلاة بالتكبير والقراءة بـ ‏(‏ الحمد لله رب العالمين ‏)‏ وكان اذا ركع لم يشخص راسه ولم يصوبه ولكن بين ذلك وكان اذا رفع راسه من الركوع لم يسجد حتى يستوي قاىما وكان اذا رفع راسه من السجود لم يسجد حتى يستوي قاعدا وكان يقول في كل ركعتين ‏"‏ التحيات ‏"‏ ‏.‏ وكان اذا جلس يفرش رجله اليسرى وينصب رجله اليمنى وكان ينهى عن عقب الشيطان وعن فرشة السبع وكان يختم الصلاة بالتسليم ‏.‏


‘A’ishah said:
The Messenger of Allah(ﷺ) began prayer with the takbir (Allah is most great) and with reciting “Praise be to Allah, the Lord of the Universe”. And when he bowed, he neither raised up nor lowered down his head, but kept it between the two (conditions). And when he raised his head after bowing, he did not prostrate himself until he stood up straight; and when he raised his head after prostration, he did not prostrate (the second time) until he sat down properly; and he recited al-tahiyyat after every pair of rak’ahs; and when he sat, he spread out his left foot and raised his right. He forbade to sit like the sitting of the devil, and to spread out to hands (on the ground in prostration) like animals. He used to finish prayer with uttering the salutation.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ্‌ না বলার বিবরণ।

৭৮৪. হান্নাদ ইবনুস সারী ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ এখনই আমার উপর একটি সূরা নাযিল হয়েছে। অতঃপর তিনি পাঠ করেনঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম, ইন্না আ’তায়না কাল কাওছার ... তিনি সূরাটির শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা কি জান কাওছার কি? তারা বলেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল এ ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। তিনি বলেনঃ এটি একটি নহর, যা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন জান্নাতের মধ্যে আমাকে দান করবেন বলে অংগীকার করেছেন। (মুসলিম, ইবনু মাজাহ, ইবনু কাছীর বলেছেন, ইমাম বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী স্ব স্ব গ্রন্থে এ হাদীছ সংকলন করেছেন)।

باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ ‏{‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏}‏

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آنِفًا سُورَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏(‏ إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ ‏)‏ حَتَّى خَتَمَهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري، حدثنا ابن فضيل، عن المختار بن فلفل، قال سمعت انس بن مالك، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انزلت على انفا سورة ‏"‏ ‏.‏ فقرا بسم الله الرحمن الرحيم ‏(‏ انا اعطيناك الكوثر ‏)‏ حتى ختمها ‏.‏ قال ‏"‏ هل تدرون ما الكوثر ‏"‏ ‏.‏ قالوا الله ورسوله اعلم ‏.‏ قال ‏"‏ فانه نهر وعدنيه ربي في الجنة ‏"‏ ‏.‏


Anas b. Malik said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: A surah has just been revealed to me. He then recited:”In the name of Allah, the Compassionate, the Merciful. Lo! We have given thee Abundance” until he finished it. Then he asked: Do you know what Abundance (al-Kawthar) is? They replied: Allah and His Apostle know it better. He said: It is a river of which my Lord, the Exalted, the Majestic has promised me to give in Paradise.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ্‌ না বলার বিবরণ।

৭৮৫. কুত্‌ন ইবনু নুসায়র ..... আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ইফ্‌ক (মিথ্যা অপবাদ)-এর ঘটনা উল্লেখ পূর্বক বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বসা ছিলেন। তিনি মুখ খোলেন এবং বলেনঃ আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম, "ইন্নাল্লাযীনা জা’উ বিল-ইফ্‌কে উসবাতুম মিনকুম” আয়াতের শেষ পর্যন্ত পাঠ করেন। অর্থাৎ “যারা মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে বেড়াচ্ছে তারা তোমাদের মধ্যেরই লোক।”

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীছ মুনকার শ্রেণীভুক্ত। কারণ মুহাদ্দিছদের একদল এই হাদীছ ইমাম যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তাদের বর্ণানায় ঐ আয়াতের বর্ণনার সাথে আউযুবিল্লাহ্ এর উল্লেখ নাই। আমার আশংকা হচ্ছে আউযুবিল্লাহ্ বাক্যটি রাবী হুমায়েদ নিজস্বভাবে পাঠ করেন।

باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ ‏{‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏}‏

حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ نُسَيْرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الأَعْرَجُ الْمَكِّيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَذَكَرَ الإِفْكَ، قَالَتْ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَالَ ‏"‏ أَعُوذُ بِالسَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ‏(‏ إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالإِفْكِ عُصْبَةٌ مِنْكُمْ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ لَمْ يَذْكُرُوا هَذَا الْكَلاَمَ عَلَى هَذَا الشَّرْحِ وَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ أَمْرُ الاِسْتِعَاذَةِ مِنْ كَلاَمِ حُمَيْدٍ ‏.‏

حدثنا قطن بن نسير، حدثنا جعفر، حدثنا حميد الاعرج المكي، عن ابن شهاب، عن عروة، عن عاىشة، وذكر الافك، قالت جلس رسول الله صلى الله عليه وسلم وكشف عن وجهه وقال ‏"‏ اعوذ بالسميع العليم من الشيطان الرجيم ‏(‏ ان الذين جاءوا بالافك عصبة منكم ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ الاية ‏.‏ قال ابو داود وهذا حديث منكر قد روى هذا الحديث جماعة عن الزهري لم يذكروا هذا الكلام على هذا الشرح واخاف ان يكون امر الاستعاذة من كلام حميد ‏.‏


‘Urwah reported on the authority of ‘A’ishah mentioning the incident of slander. She said:
The Messenger of Allah (ﷺ) sat and unveiled his face and said: “I take refuge in Allah, All-Hearing, All-Knowing from the accursed devil. Lo! They who spread the slander are a gang among you.”

Abu Dawud said: This is a rejected (munkar) tradition. A group of narrators have reported this tradition from al-Zuhri; but did not mention this detail. I am afraid the phrase concerning “seeking refuge in Allah” is the statement of Humaid.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে