পরিচ্ছেদঃ ১১৯. নামাযীর সামনে দিয়ে গাধা অতিক্রম করলে নামাযের কোন ক্ষতি হয় না।
৭১৫. উছমান ইবনু আবূ শায়বা ..... ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কাছাকাছি সময়ে একদিন গাধীর পিঠে আরোহণ করে মীনায় যাই যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে নামাযের ইমামতি করছিলেন। তখন আমি নামাযীদের কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করি আমি আমার গাধীকে বিচরণের জন্য ছেড়ে দিয়ে নামাযের কাতারে শামিল হই। এ সময় কেউই আমাকে এ কাজের জন্য নিষেধ করেনি। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীছটির শব্দগুলি আল্-কানবীর। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, আমার মতে ইমামের সামনে দিয়ে যাওয়ার ফলে নামাযের ক্ষতি হয়ে থাকে; কিন্তু কাতারের সামনে দিয়ে গেলে কোন ক্ষতি হয় না।
باب مَنْ قَالَ الْحِمَارُ لاَ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جِئْتُ عَلَى حِمَارٍ ح وَحَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى أَتَانٍ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ، قَدْ نَاهَزْتُ الاِحْتِلاَمَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ بِمِنًى فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَىْ بَعْضِ الصَّفِّ فَنَزَلْتُ فَأَرْسَلْتُ الأَتَانَ تَرْتَعُ وَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ أَحَدٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا لَفْظُ الْقَعْنَبِيِّ وَهُوَ أَتَمُّ . قَالَ مَالِكٌ وَأَنَا أَرَى ذَلِكَ وَاسِعًا إِذَا قَامَتِ الصَّلاَةُ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
I came riding a donkey. Another version has: Ibn Abbas said: When I was near the age of the puberty I came riding a she-ass and found the Messenger of Allah (ﷺ) leading the people in prayer at Mina. I passed in front of a part of the row (of worshippers), and dismounting left my she-ass for grazing in the pasture, and I joined the row, and no one objected to that.
Abu Dawud said: These are the words of al-Qa'nabi, and are complete. Malik said: I take it as permissible at the time when the iqamah for prayer is pronounced.
পরিচ্ছেদঃ ১১৯. নামাযীর সামনে দিয়ে গাধা অতিক্রম করলে নামাযের কোন ক্ষতি হয় না।
৭১৬. মুসাদ্দাদ .... ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি এবং বনী আব্দুল মুত্তালিবের এক যুবক গাধার পিঠে আরোহণ করে ঐ স্থানে গমন করি যেখানে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের ইমামতি করছিলেন। আমরা আমাদের গাধাকে বিচরণের জন্য কাতারের সামনে ছেড়ে দেই এবং তাতে তিনি কোন আপত্তি করেন নি। এ সময় সেখানে বনী আব্দুল মুত্তালিবের দুই যুবতী এসে নামাযের কাতারের মধ্যে প্রবেশ করে এবং তাতেও তিনি কোন আপত্তি করেন নি। (নাসাঈ)।
باب مَنْ قَالَ الْحِمَارُ لاَ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنْ أَبِي الصَّهْبَاءِ، قَالَ تَذَاكَرْنَا مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ جِئْتُ أَنَا وَغُلاَمٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى حِمَارٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فَنَزَلَ وَنَزَلْتُ وَتَرَكْنَا الْحِمَارَ أَمَامَ الصَّفِّ فَمَا بَالاَهُ وَجَاءَتْ جَارِيَتَانِ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَدَخَلَتَا بَيْنَ الصَّفِّ فَمَا بَالَى ذَلِكَ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
AbusSahba' said: We discussed the things that cut off the prayer according to Ibn Abbas. He said: I and a boy from Banu AbdulMuttalib came riding a donkey, and the Messenger of Allah (ﷺ) was leading the people in prayer. He dismounted and I also dismounted. I left the donkey in front of the row (of the worshippers). He (the Prophet) did not pay attention to that. Then two girls from Banu AbdulMuttalib came and joined the row in the middle, but he paid no attention to that.
পরিচ্ছেদঃ ১১৯. নামাযীর সামনে দিয়ে গাধা অতিক্রম করলে নামাযের কোন ক্ষতি হয় না।
৭১৭. উছমান ইবনু আবূ শায়বা .... মানসুর হতে একই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, এ সময় সেখানে বনী আব্দুল মুত্তালিবের দুই যুবতী ঝগড়া রত অবস্হায় এসে উপস্থিত হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ধরে ফেলেন অথবা পৃথক করে দেন এবং এরূপ করা দূষনীয় মনে করেননি। (ঐ)।
باب مَنْ قَالَ الْحِمَارُ لاَ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَدَاوُدُ بْنُ مِخْرَاقٍ الْفِرْيَابِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِإِسْنَادِهِ قَالَ فَجَاءَتْ جَارِيَتَانِ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ اقْتَتَلَتَا فَأَخَذَهُمَا - قَالَ عُثْمَانُ فَفَرَّعَ بَيْنَهُمَا وَقَالَ دَاوُدُ - فَنَزَعَ إِحْدَاهُمَا مِنَ الأُخْرَى فَمَا بَالَى ذَلِكَ .
The above mentioned narration has also been narrated by Mansur through a different chain of narrators. This version has:
Then two girls from Banu ‘Abd al-Muttalib came fighting together. He caught them. ‘Uthman (a narrator) said: He separated them. And Dawud (another narrator) said: He pulled away from the other, but he paid no attention to that.