পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৪৯৯. মুহাম্মাদ ইবনু মানসূর .... আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিংগা ধ্বনি করে লোকদের নামাযের জন্য একত্র করার নির্দেশ প্রদান করেন তখন একদা আমি স্বপ্নে দেখি যে, এক ব্যক্তি শিংগা হাতে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে বলি, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি কি শিংগা বিক্রয় বরবে? সে বলে, তুমি শিংগা দিয়ে কি করবে? আমি বলি, আমি তার সাহায্যে নামাযের জামাআতে লোকদের ডাকব। সে বলল, আমি কি এর উত্তম কোন সন্ধান তোমাকে দেব না? আমি বলি, হাঁ। রাবী বলেন, তখন সে বলল, তুমি এইরূপ শব্দ উচ্চারণ করবেঃ

“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশ্হাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।”

রাবী রলেন! অতঃপর ঐ স্থান হতে ঐ ব্যক্তি একটু দুরে সরে গিয়ে দাঁড়ায় এবং বলে- তুমি যখন নামায পড়তে দাঁড়াবে তখন বলবেঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদুআল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্; কাদ কামাতিস্ সালাহ্; কাদ কামাতিস্-সালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”। অতঃপর ভোর বেলা আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে হাযির হয়ে তাঁর নিকট আমার স্বপ্নের বর্ণনা করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন এটা অবশ্যই সত্য স্বপ্ন। অতঃপর তিনি বলেনঃ তুমি বিলালকে ডেকে তোমার সাথে নাও এবং তুমি যেরূপ স্বপ্ন দেখেছ- তদ্রুপ তাকে শিক্ষা দাও যাতে সে (বিলাল) ঐরূপে-আযান দিতে পারে। কেননা তাঁর কন্ঠস্বর তোমার স্বরের চাইতে অধিক উচ্চ।

অতঃপর আমি বিলাল (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়াই এবং তাকে আযানের শব্দগুলি শিক্ষা দিতে থাকি এবং তিনি উচ্চারণ পূর্বক আযান দিতে থাকেন। বিলালের এই আযান ধ্বনি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) নিজ আবাসে বসে শুনতে পান। তা শুনে উমার (রাঃ) এত দ্রুত পদে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদ্মতে আগমন করেন যে, তাঁর গায়ের চাঁদর মাটিতে হেচঁড়িয়ে যাচ্ছিলো। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! যে মহান সত্তা আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন, আমিও ঐরূপ স্বপ্ন দেখেছি যেরূপ অন্যরা দেখেছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। (ইবনু মাজাহ, তিরমিযী, মুসলিম)।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সাইদ ইবনুল মূসাইয়্যাব ও আবদুল্লাহ ইবনু যায়েদের সূত্রে ইমাম যুহুরী (রহঃ) হতেও এইরূপ হাদীছ বর্ণিত আছ। যুহরী থেকে ইবনু ইসহাকের সূত্রে “আল্লাহু আকবার, চারবার উল্লেখ আছ। যুহরী থেকে মামার ও ইউনুসের সূত্রে “আল্লাহু আকবার” দুই বার উল্লেখ আছে, তাঁরা চারবার উল্লেখ করেননি।

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاقُوسِ يُعْمَلُ لِيُضْرَبَ بِهِ لِلنَّاسِ لِجَمْعِ الصَّلاَةِ طَافَ بِي وَأَنَا نَائِمٌ رَجُلٌ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ فَقُلْتُ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَتَبِيعُ النَّاقُوسَ قَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ فَقُلْتُ نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلاَةِ ‏.‏ قَالَ أَفَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكَ فَقُلْتُ لَهُ بَلَى ‏.‏ قَالَ فَقَالَ تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ قَالَ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ عَنِّي غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ قَالَ وَتَقُولُ إِذَا أَقَمْتَ الصَّلاَةَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا رَأَيْتُ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٌّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقُمْ مَعَ بِلاَلٍ فَأَلْقِ عَلَيْهِ مَا رَأَيْتَ فَلْيُؤَذِّنْ بِهِ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُمْتُ مَعَ بِلاَلٍ فَجَعَلْتُ أُلْقِيهِ عَلَيْهِ وَيُؤَذِّنُ بِهِ - قَالَ - فَسَمِعَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ وَيَقُولُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ مَا رَأَى ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَلِلَّهِ الْحَمْدُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رِوَايَةُ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ وَقَالَ فِيهِ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ مَعْمَرٌ وَيُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِيهِ ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏"‏ ‏.‏ لَمْ يُثَنِّيَا ‏.‏

حدثنا محمد بن منصور الطوسي، حدثنا يعقوب، حدثنا ابي، عن محمد بن اسحاق، حدثني محمد بن ابراهيم بن الحارث التيمي، عن محمد بن عبد الله بن زيد بن عبد ربه، قال حدثني ابي عبد الله بن زيد، قال لما امر رسول الله صلى الله عليه وسلم بالناقوس يعمل ليضرب به للناس لجمع الصلاة طاف بي وانا ناىم رجل يحمل ناقوسا في يده فقلت يا عبد الله اتبيع الناقوس قال وما تصنع به فقلت ندعو به الى الصلاة ‏.‏ قال افلا ادلك على ما هو خير من ذلك فقلت له بلى ‏.‏ قال فقال تقول الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الصلاة حى على الفلاح حى على الفلاح الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله قال ثم استاخر عني غير بعيد ثم قال وتقول اذا اقمت الصلاة الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الفلاح قد قامت الصلاة قد قامت الصلاة الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله فلما اصبحت اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبرته بما رايت فقال ‏"‏ انها لرويا حق ان شاء الله فقم مع بلال فالق عليه ما رايت فليوذن به فانه اندى صوتا منك ‏"‏ ‏.‏ فقمت مع بلال فجعلت القيه عليه ويوذن به - قال - فسمع ذلك عمر بن الخطاب وهو في بيته فخرج يجر رداءه ويقول والذي بعثك بالحق يا رسول الله لقد رايت مثل ما راى ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فلله الحمد ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود هكذا رواية الزهري عن سعيد بن المسيب عن عبد الله بن زيد وقال فيه ابن اسحاق عن الزهري ‏"‏ الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر ‏"‏ ‏.‏ وقال معمر ويونس عن الزهري فيه ‏"‏ الله اكبر الله اكبر ‏"‏ ‏.‏ لم يثنيا ‏.‏


‘Abd Allah b. Zaid reported :
when the Messenger of Allah (ﷺ) ordered a bell to be made so that it might be struck to gather the people for prayer, a man carrying a bell in his hand appeared to me while I was asleep, and I said; servant of ‘abd Allah, will you sell the bell? He asked; what will you do with it? I replied; we shall use it to call the people to prayer. He said; should I not suggest you something better than that. I replied: certainly. Then he told me to say: Allah is most great, Allah is most great, Allah is most great, Allah is most great. I testify that there is no god but Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah. Come to pray, come to pray; come to salvation; come to salvation. Allah is most great, Allah is most great. I testify that there is no god but Allah. He then moved backward a few steps and said: when you utter the IQAMAH, you should say: Allah is most great, Allah is most great. I testify that there is no god but Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah. Come to prayer, come to salvation. The time for prayer has come, the time for prayer has come: Allah is most great, Allah is most great. There is no god but Allah. When the morning came, I came to the Messenger of Allah (May peace be upon him) and informed him of what I had seen in the dream. He said: it is a genuine vision, and he then should use it to call people to prayer, for he has a louder voice than you have. So I got up along with Bilal and began to teach it to him and he used it in making the call to prayer. ‘Umar b. al-khattab (Allah be pleased with him) heard it while he was in his house and came out trailing his cloak and said: Messenger of Allah. By him who has sent you with the truth, I have also seen the kind of thing as has been shown to him. The Messenger of Allah (May peace be upon him) said: To Allah be the praise. Abu Dawud said; Al-Zuhri narrated this tradition in a similar way from Sa’id b. al-Musayyib on the authority of ‘Abd Allah b. Zaid. In this version Ibn Ishaq narrated from al-Zuhri: Allah is most great. Allah is most great, Allah is most great, Allah is most great. Ma;mar and yunus narrated from al-Zuhri; Allah is most great, Allah is most great. They did not report it twice again.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০০. মুসাদ্দাদ ..... মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল মালিক ইবনু আবূ মাহযুরা থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাবী বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলি, আমাকে আযানের নিয়ম-পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা দিন। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি আমার মাথার সম্মুখভাগে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেনঃ তুমি বলবেঃ আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকরার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, তা উচ্চ স্বরে বলবে। অতঃপর আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ বলার সময় গলার স্বর নীচু করবে। অতঃপর উচ্চ কন্ঠে বলবেঃ আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, অতঃপর বলবেঃ হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সলাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্। অতঃপর ফজরের নামাযের আযানের সময় বলবেঃ আস্-সালাতু খাইরুম্ মিনান্ নাওম, আস্-সালাতু খাইরুম্ মিনান্ নাওম অতঃপর বলবেঃ আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)।

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي سُنَّةَ الأَذَانِ ‏.‏ قَالَ فَمَسَحَ مُقَدَّمَ رَأْسِي وَقَالَ ‏ "‏ تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ تَرْفَعُ بِهَا صَوْتَكَ ثُمَّ تَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ تَخْفِضُ بِهَا صَوْتَكَ ثُمَّ تَرْفَعُ صَوْتَكَ بِالشَّهَادَةِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ فَإِنْ كَانَ صَلاَةَ الصُّبْحِ قُلْتَ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا الحارث بن عبيد، عن محمد بن عبد الملك بن ابي محذورة، عن ابيه، عن جده، قال قلت يا رسول الله علمني سنة الاذان ‏.‏ قال فمسح مقدم راسي وقال ‏ "‏ تقول الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر ترفع بها صوتك ثم تقول اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله تخفض بها صوتك ثم ترفع صوتك بالشهادة اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الصلاة حى على الفلاح حى على الفلاح فان كان صلاة الصبح قلت الصلاة خير من النوم الصلاة خير من النوم الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏


Abu Mahdhurah reported; I said; Messenger of Allah, teach me the method of ADHAN (how to pronounce the call to prayer). He wiped my forehead (with his hand) and asked me to pronounce; Allah is most great. Allah is most great. Allah is most great. Allah is most great, raising your voice while saying them (these words). Then you must raise your voice in making the testimony:
I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah. Lowering your voice while saying them (these words). Then you must raise your voice in making the testimony: I testify that there is no god but Allah, I testify there is no god but Allah; I testify Muhammad is the Messenger of Allah, I testify Muhammad is the Messenger of Allah. Come to prayer, come to prayer; come to salvation, come to salvation. If it is the morning prayer, you must pronounce; prayer is better than sleep, prayer is better than sleep, Allah is most great; there is no god but Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০১. আল্-হাসান ইবনু আলী ...... আবূ মাহযূরা (রাঃ) থেকে এই সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত আছে। এই হাদীছের মধ্যে আস্-সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম, আস-সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম”- ফজরের প্রথম আযানের মধ্যে বর্ণিত। (মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ)।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মূসা’দ্দাদ হতে বর্ণিত। হাদীছটি এই, রাবী বলেন, আমাকে ইকামতের মধ্যে প্রতিটি শব্দ দুই-দুইবার শিখানো হয়েছেঃ আল্লাহু আকবার দুইবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দুইবার; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্ দুইবার; হাইয়া আলাস্-সালাহ্ দুইবার; হাইয়া আলাল-ফালাহ্ দুইবার; আল্লাহু আকবার দুইবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্- একবার রাবী আব্দুর রাযযাক বলেন, যখন নামাযের জন্য ইকামত দিবে তখন কাদ্ কামাতিস-সালাহ্ শব্দটি দুইবার বলবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ মাহযূরা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কি তা সঠিকভাবে শুনেছ (যা আমি শিখালাম)? রাবী বলেন, আবূ মাহযূরা (রাঃ) কখনও তাঁর মাথার সম্মুখ ভাগের চুল কাটতেন না এবং পৃথকও করতেন না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এই চুলের উপর হাত বুলিয়েছিলেন।

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ، أَخْبَرَنِي أَبِي وَأُمُّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْخَبَرِ وَفِيهِ ‏"‏ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فِي الأُولَى مِنَ الصُّبْحِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ مُسَدَّدٍ أَبْيَنُ قَالَ فِيهِ قَالَ وَعَلَّمَنِي الإِقَامَةَ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ ‏"‏ وَإِذَا أَقَمْتَ الصَّلاَةَ فَقُلْهَا مَرَّتَيْنِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ أَسَمِعْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ أَبُو مَحْذُورَةَ لاَ يَجُزُّ نَاصِيَتَهُ وَلاَ يَفْرِقُهَا لأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَيْهَا ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا ابو عاصم، وعبد الرزاق، عن ابن جريج، قال اخبرني عثمان بن الساىب، اخبرني ابي وام عبد الملك بن ابي محذورة، عن ابي محذورة، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا الخبر وفيه ‏"‏ الصلاة خير من النوم الصلاة خير من النوم في الاولى من الصبح ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود وحديث مسدد ابين قال فيه قال وعلمني الاقامة مرتين مرتين ‏"‏ الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الصلاة حى على الفلاح حى على الفلاح الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏ وقال عبد الرزاق ‏"‏ واذا اقمت الصلاة فقلها مرتين قد قامت الصلاة قد قامت الصلاة اسمعت ‏"‏ ‏.‏ قال فكان ابو محذورة لا يجز ناصيته ولا يفرقها لان النبي صلى الله عليه وسلم مسح عليها ‏.‏


Abu Mahdhurah also narrated this tradition from the prophet (May peace be upon him) to the same effect through a different chain of transmitters. This version has the additional wordings. The phrases “prayer is better than sleep, prayer is better than sleep” are to be pronounced in the first ADHAN (i.e., not in Iqamah) of the morning prayer.

Abu Dawud said; The version narrated by Musaddad is more clear. It reads:
He (the prophet) taught me IQAMAH (to pronounce each phrase) twice: Allah is most great. Allah is most great. I testify that there is no god but Allah. I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah: come to prayer, come to prayer: come to salvation, come to salvation: Allah is most great. Allah is great; there is no god but Allah.

Abu Dawud said: The narrator ‘Abd al-Razzaq said; You pronounce IQAMAH for announcing the prayer; you must say twice: the time for prayer has come, the time for prayer has come. (The Prophet said to Abu Mahdhurah): did you listen (to me)? Abu Mahdhurah would not have the hair of his forehead cut, nor would he separate them (from him) because the Prophet (ﷺ) wiped over them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু মাহযুরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০২. আল্-হাসান ইবনু আলী ..... ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) আবূ মাহযূরা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে উনিশ শব্দে আযান এবং সতের শব্দে ইকামত শিক্ষা দিয়েছেন। আযানের শব্দগুলি নিম্নরূপঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।”

আর ইকামতের শব্দগুলি হলঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্; কাদ কামাতিস্ সালাহ্; কাদ কামাতিস্-সালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” আবূ মাহযূরা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। হাদীছটি তাঁর নিকট রক্ষিত কিতাবে এভাবে উল্লেখ আছে। (নাসাঈ, মুসলিম)।

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، وَسَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، وَحَجَّاجٌ، - وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ الأَحْوَلُ، حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، أَنَّ ابْنَ مُحَيْرِيزٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَهُ الأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً وَالإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً الأَذَانُ ‏ "‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَالإِقَامَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ كَذَا فِي كِتَابِهِ فِي حَدِيثِ أَبِي مَحْذُورَةَ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا عفان، وسعيد بن عامر، وحجاج، - والمعنى واحد - قالوا حدثنا همام، حدثنا عامر الاحول، حدثني مكحول، ان ابن محيريز، حدثه ان ابا محذورة حدثه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم علمه الاذان تسع عشرة كلمة والاقامة سبع عشرة كلمة الاذان ‏ "‏ الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الصلاة حى على الفلاح حى على الفلاح الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والاقامة الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الصلاة حى على الفلاح حى على الفلاح قد قامت الصلاة قد قامت الصلاة الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏ كذا في كتابه في حديث ابي محذورة ‏.‏


Abu Mahdhurah reported ; The Messenger of Allah (May peace be upon him) taught him nineteen phrases in ADHAN and seventeen phrases in IQAMAH. ADHAN runs; Allah is most great. Allah is most great. Allah is most great. Allah is most great; I testify that there is no god but Allah. I testify that Muhammad is the Messenger of Allah. I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; I testify that there is no god but Allah. I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is Messenger of Allah:
come to prayer, come to prayer, come to salvation; Allah is most great, Allah is most great: there is no god but Allah. IQAMAH runs: Allah is most great, Allah is most great. Allah is most great, Allah is most great: I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; come to prayer; come to prayer: come to salvation. Come to salvation; the time for prayer has come the time for prayer has come: Allah is most great, Allah is most great: there is no god but Allah. This is recorded in his collection (i.e., in the collection of the narrator Hammam b. Yahya) according to the tradition reported by Abu Mahdhurah (i.e., IQAMAH contains seventeen phrases)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবু মাহযুরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০৩. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার .... আবূ মাহযূরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে আযানের নিম্নোক্ত শব্দণ্ডলি শিক্ষা দেন। তিনি আমাকে বলেনঃ তুমি বল, “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্। অতঃপর তিনি বলেনঃ তোমার কন্ঠস্বর দীর্ঘায়িত করে পুনরায় বলঃ আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।”

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، - يَعْنِي عَبْدَ الْعَزِيزِ - عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، قَالَ أَلْقَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ فَقَالَ ‏ "‏ قُلِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ - مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ - قَالَ ثُمَّ ارْجِعْ فَمُدَّ مِنْ صَوْتِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو عاصم، حدثنا ابن جريج، اخبرني ابن عبد الملك بن ابي محذورة، - يعني عبد العزيز - عن ابن محيريز، عن ابي محذورة، قال القى على رسول الله صلى الله عليه وسلم التاذين هو بنفسه فقال ‏ "‏ قل الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله - مرتين مرتين - قال ثم ارجع فمد من صوتك اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الصلاة حى على الفلاح حى على الفلاح الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏


Abu Mahdurah reported :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) himself taught me the call to prayer (adhan). He asked me to pronounce: Allah is most great. Allah is most great. Allah is most great. Allah is most great: I testify that there is no god but Allah. I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is Messenger of Allah. Then repeat and raise your voice; I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah ; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; come to prayer, come to prayer; come to salvation, come to salvation; Allah is most great. Allah is most great; there is no god but Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু মাহযুরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০৪. আন-নুফায়লী ...... আবূ মাহযূরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে আযানের নিম্নোক্ত শব্দগুলি একটি একটি করে শিক্ষা দেনঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, রাবী বলেন, ফজরের নামাযে এরূপ বলতেন, আস্- সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম।”

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، قَالَ سَمِعْتُ جَدِّي عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ أَبِي مَحْذُورَةَ، يَذْكُرُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَحْذُورَةَ، يَقُولُ أَلْقَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَذَانَ حَرْفًا حَرْفًا ‏ "‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ يَقُولُ فِي الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ ‏.‏

حدثنا النفيلي، حدثنا ابراهيم بن اسماعيل بن عبد الملك بن ابي محذورة، قال سمعت جدي عبد الملك بن ابي محذورة، يذكر انه سمع ابا محذورة، يقول القى على رسول الله صلى الله عليه وسلم الاذان حرفا حرفا ‏ "‏ الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة حى على الصلاة حى على الفلاح حى على الفلاح ‏"‏ ‏.‏ قال وكان يقول في الفجر الصلاة خير من النوم ‏.‏


Abu Mahdhurah reported:
The Messenger of Allah (May peace be upon him) taught me the call to prayer (adhan) verbatim; Allah is most great, Allah is most great, Allah is most great, Allah is most great; I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; I testify that there is no god but Allah. I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; come to prayer, come to prayer; come to salvation, come to salvation. He used to pronounce “prayer is better than sleep” in the dawn prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু মাহযুরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০৫. মুহাম্মাদ ইবনু দাউদ .... আবূ মাহযূরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আযান শিক্ষা দেন। তিনি বলতেনঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, অতঃপর হাদীছের অবশিষ্ট অংশ আব্দুল মালিকের সূত্রে বর্ণিত ইবনে জুরাজের হাদীছের অনুরূপ। মালেক ইবনু দ্বীনার (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীছে উল্লেখ আছে যে, তিনি বলেছেন! আমি ইবনু আবূ মাহযূরাকে বলি- আপনার পিতা-রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে যেরূপ আযান শিক্ষা করেন- তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তখন তিনি বলেন, “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, এইরূপে আযানের শেষ পর্যন্ত। জাফর ইবনু সুলায়মানের হাদীছেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি তাঁর হাদীছে এরূপ উল্লেখ করেছেন যে, আল্লাহু আকরার, আল্লাহু আকবার, শব্দাটি উচ্চস্বরে দীর্ঘায়িত করে বলবে।

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادٌ، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ، - يَعْنِي الْجُمَحِيَّ - عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ الْجُمَحِيِّ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَهُ الأَذَانَ يَقُولُ ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ أَذَانِ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَمَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَفِي حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ أَبِي مَحْذُورَةَ قُلْتُ حَدِّثْنِي عَنْ أَذَانِ أَبِيكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ فَقَالَ ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏"‏ ‏.‏ قَطُّ وَكَذَلِكَ حَدِيثُ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنِ ابْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ عَنْ عَمِّهِ عَنْ جَدِّهِ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ ثُمَّ تَرَجَّعْ فَتَرَفَّعْ صَوْتَكَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن داود الاسكندراني، حدثنا زياد، - يعني ابن يونس - عن نافع بن عمر، - يعني الجمحي - عن عبد الملك بن ابي محذورة، اخبره عن عبد الله بن محيريز الجمحي، عن ابي محذورة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم علمه الاذان يقول ‏"‏ الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله ‏"‏ ‏.‏ ثم ذكر مثل اذان حديث ابن جريج عن عبد العزيز بن عبد الملك ومعناه ‏.‏ قال ابو داود وفي حديث مالك بن دينار قال سالت ابن ابي محذورة قلت حدثني عن اذان ابيك عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكر فقال ‏"‏ الله اكبر الله اكبر ‏"‏ ‏.‏ قط وكذلك حديث جعفر بن سليمان عن ابن ابي محذورة عن عمه عن جده الا انه قال ‏"‏ ثم ترجع فترفع صوتك الله اكبر الله اكبر ‏"‏ ‏.‏


Abu Mahdhurah said that the apostle of Allah (May peace be upon him) taught him the call to prayer (adhan), saying:
Allah is most great, Allah is most great; I testify that there is no god but Allah. He then narrated adhan like the one contained in the tradition transmitted by Ibn Juraij from ‘Abd al-aziz b. ‘abd al-Malik to the same effect. The version Malik b. Dinar has. I asked the son of Abu Mahdhurah, saying: Narrate to me the adhan of your father narrated from the Messenger of Allah (May peace be upon him). He said: Allah is most great, Allah is most great, that is all. Similar is the version narrated by Ja’far b. Sulaiman from the son of Abd Muhdhurah from his uncle on the authority of his grandfather, excepting that he said; Then repeat and raise your voice. Allah is most great. Allah is most great.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু মাহযুরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০৬. আমর ইবনু মারযূক .... ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) বলেন, নামাযের ব্যাপারে (কিবলার) পরিবর্তন তিনবার সাধিত হয়েছে। রাবী বলেন, আমাদের সাথীরা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ মুসলিমগণ একত্রিত হয়ে জামাআতে নামায আদায় করায় আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমি প্রথমাবস্থায় এরূপ চিন্তা করি যে, লোকদের নামাযের আহবানের জন্য বাড়ীতে বাড়ীতে কিছু লোক প্রেরণ করি আমি এরূপও ইরাদা করি যে, লোকদেরকে জামাআতে আনার জন্য কিছু সংখ্যক লোককে (মহল্লার) উঁচু স্থানে উঠিয়ে দিব, যারা তাদেরকে নামাযের জন্য আহবান করবে, অথবা তারা শিংগা ধ্বনির মাধ্যমে লোকদেরকে জামাআতে আহবান করার চিন্তাও করেছিল।

রাবী বলেন, এমতাবস্থায় আনসারদের মধ্য হতে একজন এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকদেরকে জামাআতে-হাযির করার ব্যাপারে আপনাকে উৎকণ্ঠিত দেখার পর রাতে আমি স্বপ্নে দেখি যে এক ব্যক্তি দুটি হলুদ বর্ণের কাপড় পরিধাণ করে মসজিদের সম্মুখে আযান দিচ্ছেন। আযান শেযে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি ইকামত দেন এবং এখানে তিনি আযানের শব্দের সাথে “কাদ কামাতিস-সালাহ” শব্দটি যোগ করেন। অতঃপর তিনি বলেন- মানুষের মিথ্যা অপবাদের ভয় যদি আমার না থাকত তবে নিশ্চয়ই আমি বলতাম, আমি তা জাগ্রত অবস্থায় দেখেছি- স্বপ্নে নয়।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে উত্তম স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তুমি বিলালকে নির্দেশ দাও যেন সে আযান দেয়। তখন উমার (রাঃ) বলেন, আমিও ইতিপূর্বে তার অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু আমার আগেই অনুরূপ স্বপ্নের কথা ব্যক্ত হওয়ার কারণে আমি তা প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করি। রাবী বলেন, ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে যখন নামাযের হুকুম-আহকাম পরির্ণভাবে নাযিল হয় নাই তখন সাহাবায়ে কিরামদের মধ্য হতে যারা নামায আরম্ভের পরে আসতেন তারা জিজ্ঞেস করতেন- নামাযের কতটুকু আদায় করা হয়েছে। অতঃপর তাদের অবহিত করা হত। যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে প্রথম হতে নামাযে শরীক হতেন তারা এক অবস্থায় থাকতেন এবং যারা পরে আসতেন তাদের কেউ দাঁড়ান, বসা বা রুকুর অবস্থায় থাকতেন।

ইবনুল মুছান্না, আমর, হুসায়েন, ইবনু আবূ লায়লা হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) জামাআত শুরু হওয়ার পর মসজিদে আসেন। শোবা- হুসায়েন হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি তাকে এক অবস্হায় দেখতে পাই নাই- হতে, অনুরূপভাবে তোমরা কর…পর্যন্ত বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, অতঃপর আমি আমরের হাদীছ বর্ণনা করি রাবী বলেন, মুআয (রাঃ) মসজিদে আগমনের পর উপস্হিত সাহাবীগণ তাকে ইশরা করে বলেন…।

শোবা বলেন, আমি হুসায়েনের নিকট শুনেছি, মুআয (রাঃ) বলেন, আমি তাকে নামাযের মধ্যে যে অবস্থায় পাই সে অবস্থায় তাঁর সাথে নামায আরম্ভ করব। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেনঃ মুআয তোমাদের জন্য একটি উত্তম সুন্নাত সৃষ্টি করেছে (অর্থাৎ সর্বপ্রথম ইমামের সাথে কিরূপে নামায আদায় করতে হয়, তা ভালভাবে দেখিয়েছেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে প্রাপ্ত নামায জামাআতে আদায়ের পর অবশিষ্ট নামায পরে আদায় করেন)। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরাও এরূপ করবে। রাবী বলেন, আমাদের সাথীরা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মদ্বীনায় আসার পর তাদেরকে প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখার নির্দেশ দেন। অতঃপর রমযানের রোযার আয়াত নাযিল হয় সাহাবীদের ইতিপূর্বে রোযা রাখার অভ্যাস না থাকায় তা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়।

অতঃপর যারা রোযা রাখতে অক্ষম তাঁরা মিসকীনদের আহার করাতেন। অতঃপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ(‏فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) “তোমাদের মধ্যে যারা রমযান মাস পাবে তারা যেন অবশ্যই রোযা রাখে।” মুসাফির ও রোগগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যই কেবলমাত্র রমযান মাসের রোযা না রাখার অনুমতি ছিল (কিন্তু অন্য সময়ে এর কাযা আদায় করতে হত)। এভাবে তাদেরকে রমযানের রোযা রাখার নির্দেশ দেয়া হয় ইসলামের প্রথম যুগে রোযার নিয়ম এইরূপ ছিল যে, ইফতারের পর খাওয়ার পূর্বে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণ বশত ঘুমিয়ে পড়ত তবে তার জন্য পরের দিন সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোনরূপ খাদ্য গ্রহণ নাজায়েয ছিল।

এক রাতে উমার (রাঃ) তাঁর স্ত্রীর নিকট সহবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি বলেন, আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন উমার (রাঃ) এরূপ ধারণা করেন যে, তাঁর স্ত্রী মিথ্যা বাহানা করে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অতঃপর তিনি তাঁর সাথে সংগম করেন। অপরপক্ষে একজন আনসার সাহাবী ঘরে ফিরে খাদ্য চাইলে তাঁর পরিবারের লোকেরা বলেন, ধৈর্য ধরুন, আমরা খাবার প্রস্তুত করে আনছি। ইত্যবসরে তিনি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন পরের দিন ভোরে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ) “রমযান মাসের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের বিবিদের সাথে সংগম হালাল করা হয়ছে।”

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ - قَالَ - وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لَقَدْ أَعْجَبَنِي أَنْ تَكُونَ صَلاَةُ الْمُسْلِمِينَ - أَوْ قَالَ الْمُؤْمِنِينَ - وَاحِدَةً حَتَّى لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَبُثَّ رِجَالاً فِي الدُّورِ يُنَادُونَ النَّاسَ بِحِينِ الصَّلاَةِ وَحَتَّى هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رِجَالاً يَقُومُونَ عَلَى الآطَامِ يُنَادُونَ الْمُسْلِمِينَ بِحِينِ الصَّلاَةِ حَتَّى نَقَسُوا أَوْ كَادُوا أَنْ يَنْقُسُوا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمَّا رَجَعْتُ - لِمَا رَأَيْتُ مِنَ اهْتِمَامِكَ - رَأَيْتُ رَجُلاً كَأَنَّ عَلَيْهِ ثَوْبَيْنِ أَخْضَرَيْنِ فَقَامَ عَلَى الْمَسْجِدِ فَأَذَّنَ ثُمَّ قَعَدَ قَعْدَةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ يَقُولُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ وَلَوْلاَ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى أَنْ تَقُولُوا - لَقُلْتُ إِنِّي كُنْتُ يَقْظَانًا غَيْرَ نَائِمٍ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى ‏"‏ لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ عَمْرٌو ‏"‏ لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَمُرْ بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَمَا إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى وَلَكِنِّي لَمَّا سُبِقْتُ اسْتَحْيَيْتُ ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا جَاءَ يَسْأَلُ فَيُخْبَرُ بِمَا سُبِقَ مِنْ صَلاَتِهِ وَإِنَّهُمْ قَامُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ قَائِمٍ وَرَاكِعٍ وَقَاعِدٍ وَمُصَلٍّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى قَالَ عَمْرٌو وَحَدَّثَنِي بِهَا حُصَيْنٌ عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى حَتَّى جَاءَ مُعَاذٌ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ فَقَالَ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلَى قَوْلِهِ كَذَلِكَ فَافْعَلُوا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ قَالَ فَجَاءَ مُعَاذٌ فَأَشَارُوا إِلَيْهِ - قَالَ شُعْبَةُ وَهَذِهِ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ - قَالَ فَقَالَ مُعَاذٌ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلاَّ كُنْتُ عَلَيْهَا ‏.‏ قَالَ فَقَالَ إِنَّ مُعَاذًا قَدْ سَنَّ لَكُمْ سُنَّةً كَذَلِكَ فَافْعَلُوا ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ أَمَرَهُمْ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ثُمَّ أُنْزِلَ رَمَضَانُ وَكَانُوا قَوْمًا لَمْ يَتَعَوَّدُوا الصِّيَامَ وَكَانَ الصِّيَامُ عَلَيْهِمْ شَدِيدًا فَكَانَ مَنْ لَمْ يَصُمْ أَطْعَمَ مِسْكِينًا فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ‏)‏ فَكَانَتِ الرُّخْصَةُ لِلْمَرِيضِ وَالْمُسَافِرِ فَأُمِرُوا بِالصِّيَامِ ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَفْطَرَ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يَأْكُلَ لَمْ يَأْكُلْ حَتَّى يُصْبِحَ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَرَادَ امْرَأَتَهُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ نِمْتُ فَظَنَّ أَنَّهَا تَعْتَلُّ فَأَتَاهَا فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرَادَ الطَّعَامَ فَقَالُوا حَتَّى نُسَخِّنَ لَكَ شَيْئًا فَنَامَ فَلَمَّا أَصْبَحُوا أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ‏)‏ ‏.‏

حدثنا عمرو بن مرزوق، اخبرنا شعبة، عن عمرو بن مرة، قال سمعت ابن ابي ليلى، ح وحدثنا ابن المثنى، حدثنا محمد بن جعفر، عن شعبة، عن عمرو بن مرة، سمعت ابن ابي ليلى، قال احيلت الصلاة ثلاثة احوال - قال - وحدثنا اصحابنا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لقد اعجبني ان تكون صلاة المسلمين - او قال المومنين - واحدة حتى لقد هممت ان ابث رجالا في الدور ينادون الناس بحين الصلاة وحتى هممت ان امر رجالا يقومون على الاطام ينادون المسلمين بحين الصلاة حتى نقسوا او كادوا ان ينقسوا ‏"‏ ‏.‏ قال فجاء رجل من الانصار فقال يا رسول الله اني لما رجعت - لما رايت من اهتمامك - رايت رجلا كان عليه ثوبين اخضرين فقام على المسجد فاذن ثم قعد قعدة ثم قام فقال مثلها الا انه يقول قد قامت الصلاة ولولا ان يقول الناس - قال ابن المثنى ان تقولوا - لقلت اني كنت يقظانا غير ناىم ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال ابن المثنى ‏"‏ لقد اراك الله خيرا ‏"‏ ‏.‏ ولم يقل عمرو ‏"‏ لقد اراك الله خيرا فمر بلالا فليوذن ‏"‏ ‏.‏ قال فقال عمر اما اني قد رايت مثل الذي راى ولكني لما سبقت استحييت ‏.‏ قال وحدثنا اصحابنا قال وكان الرجل اذا جاء يسال فيخبر بما سبق من صلاته وانهم قاموا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من بين قاىم وراكع وقاعد ومصل مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابن المثنى قال عمرو وحدثني بها حصين عن ابن ابي ليلى حتى جاء معاذ ‏.‏ قال شعبة وقد سمعتها من حصين فقال لا اراه على حال الى قوله كذلك فافعلوا ‏.‏ قال ابو داود ثم رجعت الى حديث عمرو بن مرزوق قال فجاء معاذ فاشاروا اليه - قال شعبة وهذه سمعتها من حصين - قال فقال معاذ لا اراه على حال الا كنت عليها ‏.‏ قال فقال ان معاذا قد سن لكم سنة كذلك فافعلوا ‏.‏ قال وحدثنا اصحابنا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لما قدم المدينة امرهم بصيام ثلاثة ايام ثم انزل رمضان وكانوا قوما لم يتعودوا الصيام وكان الصيام عليهم شديدا فكان من لم يصم اطعم مسكينا فنزلت هذه الاية ‏(‏ فمن شهد منكم الشهر فليصمه ‏)‏ فكانت الرخصة للمريض والمسافر فامروا بالصيام ‏.‏ قال وحدثنا اصحابنا قال وكان الرجل اذا افطر فنام قبل ان ياكل لم ياكل حتى يصبح ‏.‏ قال فجاء عمر بن الخطاب فاراد امراته فقالت اني قد نمت فظن انها تعتل فاتاها فجاء رجل من الانصار فاراد الطعام فقالوا حتى نسخن لك شيىا فنام فلما اصبحوا انزلت عليه هذه الاية ‏(‏ احل لكم ليلة الصيام الرفث الى نساىكم ‏)‏ ‏.‏


Ibn Abi Laila said:
Prayer passed through three stages. And out people narrated to us that Messenger of Allah (May peace be upon him) said; it is to my liking that the prayer of Muslims or believers should be united (i.e., in congregation), so much so that I intended to send people to the houses to announce the time of prayer; and I also resolved that I should order people to stand at (the tops of) the forts and announce the time of the prayer for Muslims; and they struck the bell or were about to strike the bell (to announce the time for prayer). Then came a person from among the Ansar who said: Messenger of Allah, when I returned from you, as I saw your anxiety. I saw (in sleep) a person with two green clothes on him; he stood on the mosque and called (people) to prayer. He then sat down for a short while and stood up and pronounced in a like manner, except that he added: “The time for prayer has come”. If the people did not call me (a liar), and according to the version of Ibn al-Muthanna, if you did not call me (a liar). I would say that I was awake; I was awake; I was not asleep. The Messenger of Allah (May peace be upon him) said: According to the version of Ibn al-Muthanna, Allah has shown you a good (dream). But the version of ‘Amr does not have the words: Allah has shown you a good (dream). Then ask Bilal to pronounce the ADHAN (to call to the prayer). ‘Umar (in the meantime) said: I also had a dream like the one he had. But as he informed earlier. I was ashamed (to inform). Our people have narrated to us: when a person came (to the mosque during the prayer in congregation), he would ask (about the RAKAHS of prayer), and he would be informed about the number of RAKAHS already performed. They would stand (in prayer) along with the Messenger of Allah (May peace be upon him): some in standing position; others bowing; some sitting and some praying along with the Messenger of Allah (May peace be upon him).

Ibn al-Muthanna reported from ‘Amr from Hussain b. Abi Laila, saying ; Until Mu’adh came. Shu’bah said ; I heard it from Hussain who said : I shall follow the position (in the prayer in which I find him (the prophet)). . . you should do in a similar way.

Abu Dawud said: I then turned to the tradition reported by ‘Amr b. Marzuq he said; then Ma’adh came and they (the people) hinted at him. Shu’bah said; I heard it from hussain who said: Mu’adh then said; I shall follow the position (in the prayer when I join it) in which I find him (the prophet). He then said: Mu’adh has prayer when I join it in which I find him (the prophet). He then said: MU’adh has introduced for you a SUNNAH (a model behaviour), so you should do in a like manner. He said; our people have narrated to us; when the Messenger of Allah (ﷺ) came to Madina, he commanded them (the people) to keep fast for three days. Thereafter the Quranic verses with regard to the fasts during Ramadan were revealed. But they were people who were not accustomed to keep fast ; hence the keeping of the fasts was hard for them; so those who could not keep fast would feed an indigent; then the month”. The concession was granted to the patient and the traveler; all were commanded to keep fast.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।

৫০৭. ইবনুল মুসান্না .... মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নামাযের ব্যাপারে কিব্লার পরিবর্তন তিনবার সাধিত হয়েছে এবং রোযার ব্যাপারে নিয়ম পদ্ধতিও তিনবার পরিবর্তিত হয়েছে। রাবী নাসর এ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মুছান্না তা সংক্ষিপ্তাকারে নামাযের ব্যাপারে এরূপ বর্ণনা করেছেন, মুসলিমদের কিব্লা ছিল বায়তুল মুকাদ্দাস। রাবী বলেন, তৃতীয় অবস্থা এই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদ্বীনায় আসার পর দীর্ঘ তের মাস বায়তুল মুকাদ্দেসের দিকে মুখ ফিরিয়ে নামায আদায় করেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াত নামিল করেনঃ “আমি তোমাকে তোমার চেহারা সব সময় আকাশের প্রতি ফিরান অবস্থায় অবলোকন করছি। এমতাবস্থায় আমি তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিব যা তুমি পছন্দ কর। এখন তুমি তোমার চেহারা মসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং অতঃপর তোমরা যেখানেই অবস্থান কর- তোমাদের চেহারা ঐ স্থানের দিকে ফিরাও।” অতএব আল্লাহ্ পাক তাকে কা’বার দিকে ফিরিয়ে দেন। এভাবে তাঁর বর্ণনা শেষ হয়েছে।

অতঃপর আনসার গোত্রীয় সাহাবী আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ (রাঃ) আগমন করেন। তিনি কিবলামুখী হয়ে বলেনঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২ বার), আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্ (২ বার), হাইয়া আলাস্-সালাহ্ (২ বার), হাইয়া আলাল-ফালাহ্ (২ বার), আল্লাহু আকবার (২ বার), লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্- (১ বার), অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ পরে আযানের শব্দগুলির পুনরাবৃত্তি করেন এবং তন্মধ্যে হাইয়া আলাল-ফালাহ্ শব্দটির পরে দুইবার – কাদ্ কামাতিস-সালাহ” ঝক্যটি উচ্চারণ করেন। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ (রাঃ) -কে বলেন তুমি বিলালকে এর তালকীন (শিক্ষা) দাও।

অতঃপর বিলাল (রাঃ) উক্ত শব্দ দ্বারা আযান দেন। অতঃপর রাবী রোযা সম্পর্কে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি মাসে তিনদিন করে এবং আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র রোযা রাখতেন। অতঃপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর ফরয করা হয়েছিল- যেন তোমরা খোদাভীরু হও। নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সফরে থাকে বা রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে- তবে পরবর্তী সময়ে তাকে এর কাযা আদায় করতে হবে। এবং যারা রোযা রাখতে অক্ষম তারা প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে ফিদ্য়া হিসেবে একজন মিস্কীনকে খাদ্য দান করবে”-(সূরা বাকারাঃ ১৮৪)।”

অতঃপর যারা ইচছা করত রোযা রাখত এবং যারা ইচ্ছা করত রোযার পরিবর্তে প্রত্যহ একজন মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করলেই চলত। অতঃপর এই হুকুম পরিবর্তিত হয় এবং আল্লাহ্ তা’আলার তরফ হতে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “রমযান মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা মানুষের দিশারী এবং হিদায়াতের নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমযান মাস পাবে সে যেন অবশ্যই ঐ মাসে রোষা রাখে। আর যারা সফরে থাকবে বা রোগগ্রস্ত হবে তারা পরবর্তী সময়ে তার কাযা আদায় করবে”- (সূরা বাকারাঃ ১৮৫)।

এই আয়াত দ্বারা রোযার মাস প্রাপ্ত ব্যক্তির উপর রোযা রাখা ফরয করা হয়েছে। মূসাফিরকে পরে রোযার কাযা আদায় করতে হবে। অক্ষম ব্যক্তি- যারা রোযা রাখতে অক্ষম তারা রোযার পরিবর্তে মিসকিনকে প্রত্যহ খাদ্যদান করবে।

باب كَيْفَ الأَذَانُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَأُحِيلَ الصِّيَامُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَسَاقَ نَصْرٌ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَاقْتَصَّ ابْنُ الْمُثَنَّى مِنْهُ قِصَّةَ صَلاَتِهِمْ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَطُّ قَالَ الْحَالُ الثَّالِثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَصَلَّى - يَعْنِي نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ - ثَلاَثَةَ عَشَرَ شَهْرًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ‏(‏ قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ‏)‏ فَوَجَّهَهُ اللَّهُ تَعَالَى إِلَى الْكَعْبَةِ ‏.‏ وَتَمَّ حَدِيثُهُ وَسَمَّى نَصْرٌ صَاحِبَ الرُّؤْيَا قَالَ فَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَقَالَ فِيهِ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ مَرَّتَيْنِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ مَرَّتَيْنِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ أَمْهَلَ هُنَيَّةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ زَادَ بَعْدَ مَا قَالَ ‏"‏ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ ‏"‏ ‏.‏ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَقِّنْهَا بِلاَلاً ‏"‏ ‏.‏ فَأَذَّنَ بِهَا بِلاَلٌ وَقَالَ فِي الصَّوْمِ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَيَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنَ قَبْلِكُمْ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏)‏ فَكَانَ مَنْ شَاءَ أَنْ يَصُومَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُفْطِرَ وَيُطْعِمَ كُلَّ يَوْمٍ مِسْكِينًا أَجْزَأَهُ ذَلِكَ وَهَذَا حَوْلٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏ شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ ‏)‏ إِلَى ‏(‏ أَيَّامٍ أُخَرَ ‏)‏ فَثَبَتَ الصِّيَامُ عَلَى مَنْ شَهِدَ الشَّهْرَ وَعَلَى الْمُسَافِرِ أَنْ يَقْضِيَ وَثَبَتَ الطَّعَامُ لِلشَّيْخِ الْكَبِيرِ وَالْعَجُوزِ اللَّذَيْنِ لاَ يَسْتَطِيعَانِ الصَّوْمَ وَجَاءَ صِرْمَةُ وَقَدْ عَمِلَ يَوْمَهُ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، عن ابي داود، ح وحدثنا نصر بن المهاجر، حدثنا يزيد بن هارون، عن المسعودي، عن عمرو بن مرة، عن ابن ابي ليلى، عن معاذ بن جبل، قال احيلت الصلاة ثلاثة احوال واحيل الصيام ثلاثة احوال وساق نصر الحديث بطوله واقتص ابن المثنى منه قصة صلاتهم نحو بيت المقدس قط قال الحال الثالث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قدم المدينة فصلى - يعني نحو بيت المقدس - ثلاثة عشر شهرا فانزل الله تعالى هذه الاية ‏(‏ قد نرى تقلب وجهك في السماء فلنولينك قبلة ترضاها فول وجهك شطر المسجد الحرام وحيث ما كنتم فولوا وجوهكم شطره ‏)‏ فوجهه الله تعالى الى الكعبة ‏.‏ وتم حديثه وسمى نصر صاحب الرويا قال فجاء عبد الله بن زيد رجل من الانصار وقال فيه فاستقبل القبلة قال الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حى على الصلاة مرتين حى على الفلاح مرتين الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله ثم امهل هنية ثم قام فقال مثلها الا انه قال زاد بعد ما قال ‏"‏ حى على الفلاح ‏"‏ ‏.‏ قد قامت الصلاة قد قامت الصلاة ‏.‏ قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لقنها بلالا ‏"‏ ‏.‏ فاذن بها بلال وقال في الصوم قال فان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصوم ثلاثة ايام من كل شهر ويصوم يوم عاشوراء فانزل الله تعالى ‏(‏ كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم ‏)‏ الى قوله ‏(‏ طعام مسكين ‏)‏ فكان من شاء ان يصوم صام ومن شاء ان يفطر ويطعم كل يوم مسكينا اجزاه ذلك وهذا حول فانزل الله تعالى ‏(‏ شهر رمضان الذي انزل فيه القران ‏)‏ الى ‏(‏ ايام اخر ‏)‏ فثبت الصيام على من شهد الشهر وعلى المسافر ان يقضي وثبت الطعام للشيخ الكبير والعجوز اللذين لا يستطيعان الصوم وجاء صرمة وقد عمل يومه وساق الحديث ‏.‏


Narrated Mu'adh ibn Jabal:

Prayer passed through three stages and fasting also passed through three stages. The narrator Nasr reported the rest of the tradition completely. The narrator, Ibn al-Muthanna, narrated the story of saying prayer facing in the direction of Jerusalem.

He said: The third stage is that the Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina and prayed, i.e. facing Jerusalem, for thirteen months.

Then Allah, the Exalted, revealed the verse: "We have seen thee turning thy face to Heaven (for guidance, O Muhammad). And now verily We shall make thee turn (in prayer) toward a qiblah which is dear to thee. So turn thy face toward the Inviolable Place of Worship, and ye (O Muslims), wherever ye may be, turn your face (when ye pray) toward it" (ii.144). And Allah, the Reverend and the Majestic, turned (them) towards the Ka'bah. He (the narrator) completed his tradition.

The narrator, Nasr, mentioned the name of the person who had the dream, saying: And Abdullah ibn Zayd, a man from the Ansar, came. The same version reads: And he turned his face towards the qiblah and said: Allah is most great, Allah is most great; I testify that there is no god but Allah, I testify that there is no god but Allah; I testify that Muhammad is the Messenger of Allah, I testify that Muhammad is the Messenger of Allah; come to prayer (he pronounced it twice), come to salvation (he pronounced it twice); Allah is Most Great, Allah is most great. He then paused for a while, and then got up and pronounced in a similar way, except that after the phrase "Come to salvation" he added. "The time for prayer has come, the time for prayer has come."

The Messenger of Allah (ﷺ) said: Teach it to Bilal, then pronounce the adhan (call to prayer) with the same words. As regards fasting, he said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to fast for three days every month, and would fast on the tenth of Muharram. Then Allah, the Exalted, revealed the verse: ".......Fasting was prescribed for those before you, that ye may ward off (evil)......and for those who can afford it there is a ransom: the feeding of a man in need (ii.183-84). If someone wished to keep the fast, he would keep the fast; if someone wished to abandon the fast, he would feed an indigent every day; it would do for him. But this was changed. Allah, the Exalted, revealed: "The month of Ramadan in which was revealed the Qur'an ..........(let him fast the same) number of other days" (ii.185).

Hence the fast was prescribed for the one who was present in the month (of Ramadan) and the traveller was required to atone (for them); feeding (the indigent) was prescribed for the old man and woman who were unable to fast. (The narrator, Nasr, further reported): The companion Sirmah, came after finishing his day's work......and he narrated the rest of the tradition.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে