পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৫. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়বারের যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের সময় এক রাতে যাত্রা অব্যাহত রাখেন। আমরা নিদ্রালু হয়ে পড়ায় তিনি রাতের শেযভাগে বিশ্রামের উদ্দেশ্যে বাহন হতে অবতরণ করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি জেগে থাক এবং রাতের দিকে খেয়াল রাখ। অতঃপর বিলাল (রাঃ)-ও নিদ্রাকাতর হয়ে পড়েন এবং তিনি নিজের উটের সাথে হেলান দেয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিলাল (রাঃ) এবং সহগামী সাহাবীদের কেউই জাগরিত হন নাই যতক্ষণ না সূর্যের তাপ তাদেরকে স্পর্শ করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সর্বপ্রথম ঘুম হতে জাগরিত হন এবং অস্থির হয়ে পড়েন।
অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে বলেনঃ হে বিলাল! জবাবে বিলাল (রাঃ) ওজর পেশ করে বলেন! ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। যে মহান সত্তা আপনার জীবন ধরে রেখেছিলেন সেই মহান সত্বা আমার জীবনও ধরে রেখেছিলেন। অতঃপর তারা উক্ত স্থান পরিত্যাগ করে কিছু দূর যাওয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে নামাযের ইকামত দিতে বলেন। তিনি সকলকে নিয়ে নামায আদায় করেন। নামায শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি নামায (আদায় করতে) ভুলে যাবে সে যেন স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা আদায় করে। কেননা আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেনঃ “তোমরা আমার স্মরণের জন্য নামায কায়েম কর”। (মুসলিম, ইবনু মাজাহ, তিরমিযী, নাসাঈ)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلاَلٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلاَلاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ بِلاَلٌ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلاَلُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلاَةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ ( أَقِمِ الصَّلاَةَ لِلذِّكْرَى ) " . قَالَ يُونُسُ وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يَقْرَؤُهَا كَذَلِكَ . قَالَ أَحْمَدُ قَالَ عَنْبَسَةُ - يَعْنِي عَنْ يُونُسَ - فِي هَذَا الْحَدِيثِ لِذِكْرِي . وَقَالَ أَحْمَدُ الْكَرَى النُّعَاسُ .
Abu Hurairah reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) returned from the Battle of Khaibar, he travelled during the night. When we felt sleep, he halted for rest. Addressing Bilal he said: Keep vigilance at night for us. But Bilal who was leaning against the saddle of his mount was dominated by sleep. Neither the Prophet (ﷺ) nor Bilal nor any of his Companions could get up till the sunshine struck them. The Messenger of Allah (ﷺ) got up first of all. The Messenger of Allah (ﷺ) was embarrassed and said: O Bilal ! He replied: He who detained your soul, detained my soul, Messenger of Allah, my parents be sacrificed for you. Then they drove their mounts to a little distance. The Prophet (ﷺ) perfumed ablution and commanded Bilal who made announcement for the prayer. He (the Prophet) led them in the Fajr prayer. When he finished prayer, he said: If anyone forget saying prayer, he should observe it when he recalls it, for Allah has said (in the Qur'an): "Establish prayer for my remembrance". Yunus said: Ibn Shihab used to recite this verse in a similar way (i.e. instead of reciting the word li-dhikri - for the sake of My remembrance - he would recite li-dhikra - when you remember). Ahmad (one of the narrator) said: 'Anbasah (a reporter) reported on the authority of Yunus the word li-dhikri (for the sake of my remembrance). Ahmad said: The word nu'as (occurring in this tradition) means "drowsiness".
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৬. মূসা ইবনু ইসমাঈল ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) পূর্বোক্ত হাদীছের বর্ণনা পরস্পরায় বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে স্থানে তোমরা গাফলতিতে নিমজ্জিত হয়েছ- সে স্থান ত্যাগ কর। রাবী বলেন, উক্ত স্থান ত্যাগের পর অন্য স্থানে পৌছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেওয়ায় তিনি আযান ও ইকামত দেন এবং তিনি সকলকে নিয়ে নামায আদায় করেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীছ মালেক, সুফিয়ান, আওযাঈ, আব্দুর রাযযাক- সকলে মা’মার ও ইবনু ইসহাক হতে বর্ণনা করেছেন। তাদের বর্ণনায় কেউই আযানের কথা উল্লেখ করেননি।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَحَوَّلُوا عَنْ مَكَانِكُمُ الَّذِي أَصَابَتْكُمْ فِيهِ الْغَفْلَةُ " . قَالَ فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ وَأَقَامَ وَصَلَّى . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ مَالِكٌ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَالأَوْزَاعِيُّ وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ وَابْنِ إِسْحَاقَ لَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمُ الأَذَانَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ هَذَا وَلَمْ يُسْنِدْهُ مِنْهُمُ إِلاَّ الأَوْزَاعِيُّ وَأَبَانُ الْعَطَّارُ عَنْ مَعْمَرٍ .
Abu Hurairah reported:
Another version of the above tradition adds: The Messenger of Allah (ﷺ) said: Go away from this place of yours where inadvertence took hold of you. He then commanded Bilal who called for prayer and announced that the prayer in congregation was ready (i.e. he uttered the iqamah) and he observed prayer.
Abu Dawud said: This tradition has been narrated by Malik, Sufyan b. 'Uyainah, al-Awza'i, and 'Abd al-Razzaq from Ma'mar and Ibn Ishaq, none of them made a mention of the call for prayer (adman) in this version of the tradition narrated by al-Zuhri, and none of them attribute (this tradition) to him except al-Awza'i and Aban al-'Attar on the authority of Ma'mar.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৭. মূসা ইবনু ইসমাঈল .... আবূ কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সফরে ছিলেন। তিনি একদিকে মনোনিবেশ করলেন এবং আমিও তাঁর সাথে মনোনিবেশ করলাম। অতঃপর তিনি বলেনঃ লক্ষ্য কর। তখন আমি বলি এই একজন আরোহী, এই দুইজন আরোহী, এই তিনজন আরোহী- এইরূপে আমরা গণনায় সাত পর্যন্ত পৌছাই। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আমাদের ফজরের নামাযের প্রতি দৃষ্টি রাখ। অতঃপর রাবী বলেন যে, তাদের কান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল (সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিল) এবং রৌদ্রের তাপ গায়ে লাগার পূর্বে কেউই ঘুম হতে উঠতে পারেননি। ঘুম হতে বেলা উঠার পর জাগ্রত হয়ে তারা উক্ত স্থান ত্যাগ করে সামান্য দূর যাওয়ার পর অবতরণ করে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন।
অতঃপর বিলাল (রাঃ) আযান দেওয়ার পর তারা প্রথমে ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত, অতঃপর দুই রাকাত ফরয নামায আদায় করে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর তাঁরা পরস্পর বলাবলি করতে থাকেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় না করে গুনাহগার হয়েছি। এতদশ্রবণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামায কাযা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায কাযা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামায আদায়ের কথা ভুলে যায়, সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাযটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে। (মুসলিম, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, তিরমিযী)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَمَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمِلْتُ مَعَهُ فَقَالَ " انْظُرْ " . فَقُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ هَذَانِ رَاكِبَانِ هَؤُلاَءِ ثَلاَثَةٌ حَتَّى صِرْنَا سَبْعَةً . فَقَالَ " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلاَتَنَا " . يَعْنِي صَلاَةَ الْفَجْرِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ فَمَا أَيْقَظَهُمْ إِلاَّ حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامُوا فَسَارُوا هُنَيَّةً ثُمَّ نَزَلُوا فَتَوَضَّئُوا وَأَذَّنَ بِلاَلٌ فَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ وَرَكِبُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ قَدْ فَرَّطْنَا فِي صَلاَتِنَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ لاَ تَفْرِيطَ فِي النَّوْمِ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ فَإِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ عَنْ صَلاَةٍ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَذْكُرُهَا وَمِنَ الْغَدِ لِلْوَقْتِ " .
Abu Qatadah reported:
"The Prophet (ﷺ) was on a journey. The Prophet (ﷺ) took a turn and I also took a turn with him. He said: 'Look!' I said: 'This is a rider; these are two riders; and these are three' until we became seven. He then said: Guard for us our prayer, i.e. the Fajr prayer. But sleep dominated them and none could awaken them except the heat of the sun. They stood up and drove away a little. Then they got down (from their mounts) and performed ablution. Bilal called for prayer and they offered two rak'ahs of (Sunnah) of Fajr and then offered the Fajr prayer and mounted (their mounts). Some of them said to others: We showed negligence in prayer. The Prophet (ﷺ) said: There is no negligence in sleep. The negligence is in wakefulness. If any of you forget saying prayer, he should offer it when he remembers it and next day (he should say it) at its proper time.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৮. আলী ইবনু নাসর .... খালিদ ইবনু সুমাইর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু রাবাহ্ আনসারী (রাঃ) মদ্বীনা হতে আমাদের নিকট আগমন করেন। মদ্বীনার আনসারগগ তাঁকে একজন বিশিষ্ট ফকীহ (ফিকাহ্ তত্ত্ববিদ আলেম) হিসাবে গণ্য করতেন। রাবী বলেন, আবদুল্লাহ্ আনসারী (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, আবূ কাতাদা আল্-আনসারী (রাঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোড়া রক্ষক ছিলেন- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুতার যুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করেন … পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ।
রাবী বলেন, সূর্যের রশ্মি আমাদের শরীর স্পর্শ করার পর আমরা ঘুম হতে জগ্রত হই। ঐ সময় আমরা আমাদের নামাযের জন্য অস্থির হয়ে পড়ি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামঃ এ স্থান ত্যাগ কর, ত্যাগ কর। তাঁরা ঐ স্থান ত্যাগ করে যাওয়ার পর যখন কিছুটা উপরে উঠল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যারা সফরের সময় ফজরের নামাযের দুই রাকাত সুন্নাত আদায়ে অভ্যস্ত-তারা যেন তা আদায় করে নেয়। অতঃপর উপস্থিত সাহাবাগণ ফজরের দুই রাকাত (সুন্নাত) আদায় করেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযান দেওয়ার নির্দেশ দেন। আযানের পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সলাম আমাদের ফজরের দুই রাকাত ফরয নামায আদায় করেন।
নামায আদায়ের পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সম্বোধন করে বলেনঃ তোমরা জেনে রাখ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুনিয়ার কোন কাজকর্ম আমাদের এই নামায আদায় করা হতে বিরত রাখেনি, বরং আমাদের আত্মাসমূহ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে ছিল। অতঃপর তাঁর ইচ্ছানুযায়ী তা আমাদের নিকট ফেরত পাঠিয়েছেন। তোমাদের কেউ যখন আগামী দিনের ফজরের নামায ঠিক সময়ে পাবে তবে সে যেন এ ওয়াক্তের সাথে এই কাযা নামাযটিও আদায় করে।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ سُمَيْرٍ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيُّ مِنَ الْمَدِينَةِ وَكَانَتِ الأَنْصَارُ تُفَقِّهُهُ - فَحَدَّثَنَا قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو قَتَادَةَ الأَنْصَارِيُّ فَارِسُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشَ الأُمَرَاءِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ . قَالَ فَلَمْ تُوقِظْنَا إِلاَّ الشَّمْسُ طَالِعَةً فَقُمْنَا وَهِلِينَ لِصَلاَتِنَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " رُوَيْدًا رُوَيْدًا " . حَتَّى إِذَا تَعَالَتِ الشَّمْسُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَرْكَعُ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَلْيَرْكَعْهُمَا " . فَقَامَ مَنْ كَانَ يَرْكَعُهُمَا وَمَنْ لَمْ يَكُنْ يَرْكَعُهُمَا فَرَكَعَهُمَا ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنَادَى بِالصَّلاَةِ فَنُودِيَ بِهَا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِنَا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " أَلاَ إِنَّا نَحْمَدُ اللَّهَ أَنَّا لَمْ نَكُنْ فِي شَىْءٍ مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا يَشْغَلُنَا عَنْ صَلاَتِنَا وَلَكِنَّ أَرْوَاحَنَا كَانَتْ بِيَدِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَأَرْسَلَهَا أَنَّى شَاءَ فَمَنْ أَدْرَكَ مِنْكُمْ صَلاَةَ الْغَدَاةِ مِنْ غَدٍ صَالِحًا فَلْيَقْضِ مَعَهَا مِثْلَهَا " .
Khalid b. Sumair said:
'Abd Allah b. Rabah al-Ansari, whom the Ansar called faqih (juries), came to us from Medina, and reported us on the authority of Abu Qatadah al-Ansari, the horseman of the Messenger of Allah (ﷺ) saying: The Messenger of Allah (ﷺ) sent a military expedition consisting of the chief Companions. He then narrated the same story, saying Nothing awakened us except the rising sun. We stoop up in bewilderment, for our prayer. The Prophet (ﷺ) said: Wait a little, wait a little. When the sun rose high, the Messenger of Allah (ﷺ) said: Those who sued to observer the two rak'ahs of Fajr prayer (sunnah prayer before obligatory prayer) should observe them. Then those who used to observe and those who would not observe stood up and said prayer. Then the Messenger of Allah (ﷺ) commanded to call for prayer; the call for prayer was made accordingly. The Messenger of Allah (ﷺ) stood and led us in prayer. When he turned away (from the prayer) he said: We thank Allah for the fact that we were not engaged in any wordily affairs which detained us from our prayer. Instead our souls were in the hands of Allah. He released them whenever He wished. If any one of you gets morning prayer tomorrow at its proper time, he should offer a similar prayer as an atonement.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৯. আমর ইবনু আওন .... আবূ কাতাদা (রাঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত। রাবী বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের আত্মাগুলিকে যতক্ষণ ইচ্ছা স্বীয় নিয়ন্ত্রণে রাখেন, অতঃপর তা ফিরিয়ে দেন। অতঃপর তিনি ঐ স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে আযান দিতে বলায় তিনি আযান দিলে-সকলে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন। ইতিমধ্যে সূর্য উপরে উঠে যায় এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে ঐ নামায আদায় করেন। (বুখারী, নাসাঈ)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ قَبَضَ أَرْوَاحَكُمْ حَيْثُ شَاءَ وَرَدَّهَا حَيْثُ شَاءَ قُمْ فَأَذِّنْ بِالصَّلاَةِ " . فَقَامُوا فَتَطَهَّرُوا حَتَّى إِذَا ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ .
This tradition has also been reported by Abu Qatadah through a different chain of narrators. He said (that the Prophet (ﷺ) said):
"Allah takes your souls as He wishes, and returns them as He wishes. Stand up and call the Adhan to prayer." They (the Companions) stood and performed ablution. When the sun rose high, the Prophet (ﷺ) stood and led the people in prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪০. হান্নাদ .... আবূ কাতাদা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট থেকে … পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ। রাবী বলেন, সূর্য কিছু উপরে উঠার পর সকলে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নামায আদায় করেন। (বুখারী, নাসাঈ)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ فَتَوَضَّأَ حِينَ ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى بِهِمْ .
This tradition has been transmitted through a different chain by Abu Qatadah to the same effect. This version adds:
"He performed ablution when the sun had arisen high and led them in prayer."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪১. আল-আব্বাস আল-আনবারী .... আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ঘুমের কারণে নামায কাযা হলে অন্যায় নয়, বরং জগ্রত অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায এত বিলম্বে আদায় করা অন্যায়, যাতে অন্য ওয়াক্ত উপনীত হয়। (মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، - وَهُوَ الطَّيَالِسِيُّ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ أَنْ تُؤَخَّرَ صَلاَةٌ حَتَّى يَدْخُلَ وَقْتُ أُخْرَى " .
Abu Qatadah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
There is no remissness in sleep, it is only when one is awake that there is remissness when you delay saying the prayer till the time for the next prayer comes.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪২. মুহাম্মাদ ইবনু কাছীর .... আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি নামায আদায়ের কথা ভুলে যায় সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায করে। কাযা নামাযের কাফফারা হল তা আদায় করা। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, তিরমিযী)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ " .
Anas b. Malik reported the Prophet (ﷺ) as saying:
If any one forgets a prayer or oversleeps, he should observe it when he remembers it ; there is no expiation for it except that.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৩. ওয়াহব ইবনু বাকিয়্যা ..... ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক দীর্ঘ সফর হতে প্রত্যাবর্তনের সময় ফজরের নামাযের ওয়াক্তে সকলে নিদ্রাচ্ছন্ন থাকেন। তাঁরা সূর্যোত্তাপ শরীরে লাগার পর জাগ্রত হন। অতঃপর স্থান ত্যাগ করে কিছু দূরে যাওয়ার পর সূর্য কিছু উপরে উঠলে তিনি মুয়াযযিনকে আযান দেওয়ার নির্দেশ দেন। মুআযযিন আযান দিলে তাঁরা প্রথমে ফজরের দু’রাকাত সুন্নাত নামায আদায় করেন এবং ইকামতের পর ফরয নামায আদায় করেন। (বুখারী, মুসলিম)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي مَسِيرٍ لَهُ فَنَامُوا عَنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ فَاسْتَيْقَظُوا بِحَرِّ الشَّمْسِ فَارْتَفَعُوا قَلِيلاً حَتَّى اسْتَقَلَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَ مُؤَذِّنًا فَأَذَّنَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَقَامَ ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ .
'Imran b. Husain said:
The Messenger of Allah (ﷺ) was on his journey. They (the people) slept abandoning the Fajr prayer. They awoke by the heat of the sun. Then they travelled a little until the sun rose high. He (the Prophet) commanded the mu'adhdhin (one who called for prayer) to call for prayer. He then offered two rak'ahs of prayer (sunnah prayer) before the (obligatory) fajr prayer. Then he (the mu'adhdhin) announced for saying the prayer in congregation (i.e. he uttered iqamah). Then he led them in the morning prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৪. আব্বাস আল-আনবারী .... আমর ইবনু উমাইয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। তিনি ফজরের নামাযের সময় ঘুমে কাতর ছিলেন। সূর্যোদয়ের পর ঘুম থেকে জাগরিত হয়ে সাহাবীদের উক্ত স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন। অতঃপর তিনি অন্য এক স্থানে উপনীত হয়ে বিলাল (রাঃ)-কে আযান দিতে বলেন। তিনি আযান দিলে সাহাবীগণ উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে দু’রাকাত সুন্নাত নামায আদায় করেন। অতঃপর বিলাল (রাঃ)-কে ইকামতের নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে নিয়ে ফজরের ফরয নামায আদায় করেন।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، - وَهَذَا لَفْظُ عَبَّاسٍ - أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ حَدَّثَهُمْ عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ - يَعْنِي الْقِتْبَانِيَّ - أَنَّ كُلَيْبَ بْنَ صُبْحٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّ الزِّبْرِقَانَ حَدَّثَهُ عَنْ عَمِّهِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَامَ عَنِ الصُّبْحِ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " تَنَحُّوا عَنْ هَذَا الْمَكَانِ " . قَالَ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ ثُمَّ تَوَضَّئُوا وَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الصَّلاَةَ فَصَلَّى بِهِمْ صَلاَةَ الصُّبْحِ " .
Narrated Amr ibn Umayyah ad-Damri:
We were in the company of the Messenger of Allah (ﷺ) during one of his journeys. He overslept abandoning the morning prayer until the sun had arisen. The Messenger of Allah (ﷺ) awoke and said: Go away from this place.
He then commanded Bilal to call for prayer. He called for prayer. They (the people) performed ablution and offered two rak'ahs of the morning prayer (sunnah prayer). He then commanded Bilal (to utter the iqamah, i.e. to summon the people to attend the prayer). He announced the prayer (i.e. uttered the iqamah) and he led them in the morning prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৫. ইব্রাহীম ..... যু-মিখবার আল-হাবশী (নাজ্জাশীর ভ্রাতাষ্পুত্র) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমত করতেন। পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা পূর্বক বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি আযান দেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দন্ডায়মান হয়ে শান্তভাবে দুই রাকাত ফজরের সুন্নাত নামায আদায় করেন। অতঃপর বিলাল (রাঃ)-কে ইকামত দিতে বলেন। তিনি ইকামত দিলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে ধীরস্হিরভাবে ফজরের দু’রাকাত ফরয নামায আদায় করেন।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - حَدَّثَنَا حَرِيزٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ، - يَعْنِي الْحَلَبِيَّ - حَدَّثَنَا حَرِيزٌ، - يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ - حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ ذِي، مِخْبَرٍ الْحَبَشِيِّ وَكَانَ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَتَوَضَّأَ - يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - وُضُوءًا لَمْ يَلْثَ مِنْهُ التُّرَابُ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ غَيْرَ عَجِلٍ ثُمَّ قَالَ لِبِلاَلٍ " أَقِمِ الصَّلاَةَ " . ثُمَّ صَلَّى الْفَرْضَ وَهُوَ غَيْرُ عَجِلٍ . قَالَ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ صُلَيْحٍ حَدَّثَنِي ذُو مِخْبَرٍ رَجُلٌ مِنَ الْحَبَشَةِ وَقَالَ عُبَيْدٌ يَزِيدُ بْنُ صَالِحٍ .
Dhu Mikhbar al-Habashi, who used to serve the Prophet (ﷺ), reported a version of the previous tradition. The Prophet (ﷺ) performed ablution in such a way that there is no mud on the earth. He then commanded Bilal (to call for prayer). He called for prayer. The Prophet (ﷺ) stood and offered two rak'ahs of prayer unhurriedly.
This is narrated by Hajjaj on the authority of Yazid b. Sulaih from Dhu Mikhbar from a person of al-Habashah (Ethiopia). 'Ubaid (a narrator) said:
Yazid b. Salih (instead of Yazid b. Sulaih).
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৬. মুআম্মাল .... যু-মিখবার হতে পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত। তিনি বলেন, অতঃপর বিলাল (রাঃ) ধীরস্থিরভাবে আযান দেন।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ حَرِيزٍ، - يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ - عَنْ يَزِيدَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ ذِي، مِخْبَرِ بْنِ أَخِي النَّجَاشِيِّ فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَأَذَّنَ وَهُوَ غَيْرُ عَجِلٍ .
This tradition has also been transmitted through another chain of narrators by Dhu Mikhbar, the nephew of the Negus. This version adds:
"He (Bilal) called for prayer unhurriedly."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৭. মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না ..... আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস্উদ (রাঃ) বলেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাইহে ওয়া সাল্লামের সফরসংগী ছিলাম। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে? তখন বিলাল (রাঃ) বলেন, আমি। অতঃপর সকলে ঘুমিয়ে পড়েন এমনকি সূর্যোদয়ের পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম হতে জাগরিত হয়ে বলেনঃ তোমরা ঐরূপ কর যেরূপ তোমরা করতে- অর্থাৎ সুর্যোদয়ের পূর্বে তোমরা যেরূপ এই নামায আদায় করতে- এখনও সেভাবে তা আদায় কর।
রাবী বলেন, অতঃপর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ মোতাবেক উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে আযান, ইকামত ও জামাআতের সাথে নামায আদায় করি। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি নামায আদায় করতে ভুলে যাবে বা ঘুমিয়ে থাকার ফলে আদায় করতে পারবে না; সে যেন তার কাযা এইরূপে আদায় করে। (নাসাঈ)।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي عَلْقَمَةَ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ يَكْلَؤُنَا " . فَقَالَ بِلاَلٌ أَنَا . فَنَامُوا حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَاسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " افْعَلُوا كَمَا كُنْتُمْ تَفْعَلُونَ " . قَالَ فَفَعَلْنَا . قَالَ " فَكَذَلِكَ فَافْعَلُوا لِمَنْ نَامَ أَوْ نَسِيَ " .
Narrated Abdullah ibn Mas'ud:
We proceeded with the Messenger of Allah (ﷺ) on the occasion of al-Hudaybiyyah. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Who will keep watch for us? Bilal said: I (shall do). The overslept till the sun arose. The Prophet (ﷺ) awoke and said: Do as you used to do (i.e. offer prayer as usual). Then we did accordingly. He said: Anyone who oversleeps or forgets (prayer) should do similarly.