পরিচ্ছেদঃ ৫. আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর আযান এবং এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৮৭৭(১). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনে মুহায়রীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ইয়াতীম হিসেবে আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন, যখন তাকে তিনি সিরিয়ায় পাঠান। তিনি বলেন, আমি আবু মাহযুরা (রাঃ)-কে বললাম, হে চাচাজান! আমি সিরিয়া যাচ্ছি। আমি আশংকা করছি, তথায় আমি আপনার আযান সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবো। অতএব আমাকে অবহিত করুন । তিনি বলেন, হাঁ। আমি একদল লোকের সঙ্গে সফরে বের হলাম। আমরা হুনায়েনের পথে ছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়েন যুদ্ধশেষে প্রত্যাবর্তন করছিলেন। আমরা পথিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাত করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুয়াযযিন নামাযের আযান দিলেন। রাবী বলেন, আমরা মুয়াযযিনের আযানের শব্দ শুনলাম। তখন আমরা (তাদের থেকে দূরে ছিলাম। আমরা হাসি-ঠাট্টাচ্ছলে উচ্চস্বরে তার আযানের প্রতিধ্বনি করলাম।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই শব্দ শুনলেন। তিনি আমাদেরকে তাঁর সামনে উপস্থিত হতে ডেকে পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে কার উচ্চ কণ্ঠস্বর শুনেছি? দলের সবাই আমার দিকে ইশারা করলো এবং সত্যায়ন করলো। তিনি তাদের সকলকে বিদায় দিলেন, কিন্তু আমাকে রেখে দিলেন। তিনি বললেনঃ তুমি দাঁড়িয়ে নামাযের আযান দাও। অতএব আমি দাঁড়ালাম। তখন আমার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অমনোপূত লাগলো।
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে দাঁড়ালাম এবং তিনি নিজেই আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন। তিনি বলেন, তুমি বলো, আল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান) আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু (আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই), আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ (আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল), আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। তারপর তিনি আমাকে বললেনঃ পুনরায় তোমার উচ্চস্বরে বলো। তারপর তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি বলো, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হায়্যা আলাস সালাহ (নামাযের জন্য এসো), হায়্যা আলাস সালাহ, হায়্যা আলাল ফালাহ (কল্যাণের দিকে এসো) হায়্যা আলাল ফালাহ। আল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
আমি আযান শেষ করলে পর তিনি আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে একটি থলে দিলেন যাতে রুপা ছিলো। তারপর তিনি নিজের হাত আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর মাথার সম্মুখভাগে রাখলেন, এবং তা তার মুখমণ্ডলে, তার বুকে ও তার কাঁধে বুলালেন, এমনকি তাঁর হাত আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর নাভি পর্যন্ত পৌঁছালেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তোমার মধ্যে এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে মক্কায় আযান দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে এ ব্যাপারে নিয়োগ দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে আমার সমস্ত অপছন্দনীয় বিষয় দূর হলো এবং তৎপরিবর্তে তাঁর প্রতি ভালোবাসা আমার অন্তরে ঠাই নিলো।
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমেল (মক্কার শাসক) আত্তাব ইবনে উসাইদ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ মোতাবেক নামাযের আযান দিলাম। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর বংশের যার সাথে আমার দেখা হয়েছে তিনি আমাকে ইবনে মুহাইরীয (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ অবহিত করেছেন। এটা আর-রাবী (রহঃ) বর্ণিত হাদীস এবং তার বর্ণিত পাঠ এখানে উধৃত করা হলো।
بَابٌ : فِي ذِكْرِ أَذَانِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِيهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا أَبُو حُمَيْدٍ الْمِصِّيصِيُّ ، ثَنَا حَجَّاجٌ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، وَأَبُو أُمَيَّةَ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ، وَغَيْرُهُمْ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا رَوْحٌ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ ، ثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، ثَنَا الشَّافِعِيُّ ، ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُوَرَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ أَخْبَرَهُ - وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي مَحْذُورَةَ - حِينَ جَهَّزَهُ إِلَى الشَّامِ - قَالَ : فَقُلْتُ لِأَبِي مَحْذُورَةَ : أَيْ عَمِّ ، إِنِّي خَارِجٌ إِلَى الشَّامِ ، وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ أُسْأَلَ عَنْ تَأْذِينِكَ ؟ فَأَخْبِرْنِي . قَالَ : نَعَمْ ، خَرَجْتُ فِي نَفَرٍ ، فَكُنَّا فِي بَعْضِ طَرِيقِ حُنَيْنٍ ، فَقَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ حُنَيْنٍ ، فَلَقِينَا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ ، فَأَذَّنَ مُؤَذِّنُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِالصَّلَاةِ ، فَقَالَ : فَسَمِعْنَا صَوْتَ الْمُؤَذِّنِ وَنَحْنُ مُتَنَكِّبُونَ فَصَرَخْنَا نَحْكِيهِ ، وَنَسْتَهْزِئُ بِهِ ، فَسَمِعَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الصَّوْتَ ، فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا إِلَى أَنْ وَقَفْنَا بَيْنَ يَدَيْهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أَيُّكُمُ الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ قَدِ ارْتَفَعَ ؟ " . فَأَشَارَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ إِلَيَّ ، وَصَدَقُوا ، فَأَرْسَلَ كُلَّهُمْ وَحَبَسَنِي ، فَقَالَ : " قُمْ فَأَذِّنْ بِالصَّلَاةِ " . فَقُمْتُ وَلَا شَيْءَ أَكْرَهُ إِلَيَّ مِنَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، وَمَا يَأْمُرُنِي بِهِ ، فَقُمْتُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَأَلْقَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ ، فَقَالَ : " قُلِ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ " ثُمَّ قَالَ لِيَ : " ارْجِعْ فَامْدُدْ مِنْ صَوْتِكَ " . ثُمَّ قَالَ لِيَ : " قُلْ : أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ " . ثُمَّ دَعَانِي حِينَ قَضَيْتُ التَّأْذِينَ ، وَأَعْطَانِي صُرَّةً فِيهَا شَيْءٌ مِنْ فِضَّةٍ ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى نَاصِيَةِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، ثُمَّ أَمَرَّهَا عَلَى وَجْهِهِ ، ثُمَّ أَمَرَّ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ ، ثُمَّ عَلَى كَبِدِهِ ، حَتَّى بَلَغَتْ يَدُهُ سُرَّةَ أَبِي مَحْذُورَةَ ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ ، وَبَارَكَ عَلَيْكَ " . فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مُرْنِي بِالتَّأْذِينِ بِمَكَّةَ . فَقَالَ : " قَدْ أَمَرْتُكَ بِهِ " وَذَهَبَ كُلُّ شَيْءٍ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ كَرَاهِيَةٍ ، وَعَادَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَحَبَّةً لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَدِمْتُ عَلَى عَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ عَامِلِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَذَّنْتُ بِالصَّلَاةِ عَنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : فَأَخْبَرَنِي مَنْ أَدْرَكْتُ مِنْ آلِ أَبِي مَحْذُورَةَ عَلَى نَحْوِ مَا أَخْبَرَنِي ابْنُ مُحَيْرِيزٍ . هَذَا حَدِيثُ الرَّبِيعِ وَلَفْظُهُ
পরিচ্ছেদঃ ৫. আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর আযান এবং এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৮৭৮(২). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আশ-শাফিঈ (রহঃ) বলেন, আমি ইবরাহীম ইবনে আবদুল আযীয ইবনে আবদুল মালেক ইবনে আবু মাহযুরার সাক্ষাত পেলাম। তিনি ইবনে মুহাইরীয (রহঃ)-এর বর্ণনার অনুরূপ আযান দেন। আমি তাকে তার পিতা-ইবনে মুহাইরীয-আবু মাহয়ূরা (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে ইবনে জুরাইজ (রহঃ)-এর বর্ণনার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি।
আমি তাকে ইকামত দিতে শুনেছি। তিনি বলেন, আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হায়্যা আলাস-সালাহ, হায়্যা আলাল-ফালাহ, কাদ কামাতিস সালাহ কাদ কামাতিস সালাহ। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আমার ধারণা যে, তিনি আযানের বর্ণনার অনুরূপ ইকামতের বর্ণনা দিয়েছেন।
بَابٌ : فِي ذِكْرِ أَذَانِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِيهِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا الرَّبِيعُ ، ثَنَا الشَّافِعِيُّ ، قَالَ : وَأَدْرَكْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، يُؤَذِّنُ كَمَا حَكَى ابْنُ مُحَيْرِيزٍ ، وَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِمَعْنَى مَا حَكَى ابْنُ جُرَيْجٍ ، وَسَمِعْتُهُ يُقِيمُ فَيَقُولُ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ " . وَأَحْسَبُهُ يَحْكِي الْإِقَامَةَ خَبَرًا كَمَا يَحْكِي الْأَذَانَ
পরিচ্ছেদঃ ৫. আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর আযান এবং এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৮৭৯(৩)। আবু বাকর আন-নায়সাপুরী ... আবু মাহযুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হুনাইনের উদ্দেশে রওয়ানা হলেন, তাদের অনুসন্ধানে মক্কা থেকে যে দশজন লোক রওয়ানা হলো, আমিও তাদের একজন ছিলাম। তিনি বলেন, আমরা তাদের নামাযের আযান শুনলাম। আমরা তাদের উপহাস করার জন্য দাঁড়িয়ে আযান দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি এদের মধ্যে একজনের উত্তম সুরে আযান শুনেছি। তিনি আমাদের জন্য লোক পাঠালেন। আমাদের প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে আযান দিলো। আমি ছিলাম তাদের সকলের মধ্যে শেষ ব্যক্তি। আমি আযান দিলে তিনি বলেনঃ আমার কাছে এসো। তিনি আমাকে তাঁর সামনে বসালেন। তিনি আমার মাথার সম্মুখভাগে হাত বুলালেন এবং আমার জন্য তিন বার বরকতের দোয়া করলেন।
অতঃপর তিনি বলেনঃ যাও ঘরের কাছে গিয়ে আযান দাও। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিভাবে? তিনি বলেন, অতএব তিনি আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন যেভাবে আজকাল আযান দেয়া হয়। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। হায়্যা আলাস-সালাহ হায়্যা আলাস-সালাহ, হায়্যা আলাল ফালাহ হায়্যা আলাল ফালাহ। আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম। (দিনের) প্রথম ফজরের আযানে তা বলবে। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
রাবী বলেন, তিনি আমাকে ইকামত শিক্ষা দিলেন শব্দগুলো দুই দুইবার করে বলতেঃ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। হায়্যা আলাস-সালাহ, হায়্যা আলাল-ফালাহ, কাদ কামাতিস সালাহ, কাদ কামাতিস সালাহ। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, আমার নিকট এই হাদীস বর্ণনা করেন উসমান-তার পিতা-উম্মে আবদুল মালেক ইবনে আবু মাহয়ূরা (রহঃ), তারা উভয়ে এই হাদীস আবু মাহযুরা (রাঃ)-র নিকট শুনেছেন।
بَابٌ : فِي ذِكْرِ أَذَانِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِيهِ
ثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، نَا أَبُو حُمَيْدٍ الْمِصِّيصِيُّ ، ثَنَا حَجَّاجٌ ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ ، أَخْبَرَنِي أَبِي ، وَأُمُّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ ، قَالَ : " لَمَّا خَرَجَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِلَى حُنَيْنٍ ، خَرَجْتُ عَاشِرَ عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ أَطْلُبُهُمْ ، قَالَ : فَسَمِعْنَاهُمْ يُؤَذِّنُونَ لِلصَّلَاةِ ، فَقُمْنَا نُؤَذِّنُ نَسْتَهْزِئُ بِهِمْ ! فَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " لَقَدْ سَمِعْتُ فِي هَؤُلَاءِ تَأْذِينَ إِنْسَانٍ حَسَنِ الصَّوْتِ " . فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا ، فَأَذَّنَّا كُلُّنَا رَجُلًا رَجُلًا ، فَكُنْتُ آخِرَهُمْ ، فَقَالَ حِينَ أَذَّنْتُ " تَعَالَ " . فَأَجْلَسَنِي بَيْنَ يَدَيْهِ ، فَمَسَحَ عَلَى نَاصِيَتِي ، وَبَارَكَ عَلَيَّ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ قَالَ : " اذْهَبْ فَأَذِّنْ عِنْدَ الْبَيْتِ " قُلْتُ : كَيْفَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ : فَعَلَّمَنِي الْأَذَانَ كَمَا تُؤَذِّنُونَ الْآنَ : " اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ ، الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ - فِي الْأُولَى مِنَ الصُّبْحِ - اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ " . قَالَ : وَعَلَّمَنِي الْإِقَامَةَ مَرَّتَيْنِ : " اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ . قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : أَخْبَرَنِي هَذَا الْخَبَرَ كُلَّهُ عُثْمَانُ ، عَنْ أَبِيهِ ، وَعَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، أَنَّهُمَا سَمِعَا ذَلِكَ مِنْ أَبِي مَحْذُورَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৫. আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর আযান এবং এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৮৮০(৪)। আবু বাকর আন-নায়সাপুরী ... উসমান ইবনুস সায়েব (রহঃ) তাঁর পিতা এবং উম্মে আবদুল মালেক ইবনে আবু মাহয়ূরা (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন, তারা উভয়ে এই হাদীস আবু মাহয়ূরা (রাঃ) থেকে শ্রবণ করেছেন। তারা উভয়ে বলেন, আবু মাহযুরা (রাঃ) বলেছেন, আমরা দশজন যুবক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হুনাইনের দিকে রওয়ানা হলাম। তখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন আমাদের নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত। অতএব আমরা দাঁড়িয়ে তাদের উপহাস করে আযান দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ঐ যুবকদের আমার কাছে হাযির করো। তিনি বলেনঃ তোমরা আযান দাও। অতএব তারা একে একে আযান দিলো এবং আমি সবশেষে আযান দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর কণ্ঠস্বর সুন্দর শুনলাম। তুমি যাও এবং মক্কাবাসীদের জন্য আযান দাও এবং আত্তাব ইবনে উসাইদকে বললা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মক্কাবাসীদের জন্য আযান দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আমার মাথার সম্মুখভাগ মসেহ করলেন এবং বললেনঃ তুমি বলো,
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ দুইবার করে বলবে। অতঃপর পুনরায় বলবেঃ আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দুইবার। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ দুইবার। হায়্যা আলাস সালাহ দুইবার, হায়্যা আলাল ফালাহ দুইবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর তুমি ফজরের আযান দিলে দুইবার বলবে, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম। আর যখন তুমি ইকামত দিবে তখন দুইবার বলবে, কাদ কামাতিস সালাহ, কাদ কামাতিস সালাহ। তুমি কি শুনলে? রাবী বলেন, আবু মাহযুরা (রাঃ) তার মাথার সম্মুখভাগের চুল কাটতেন না এবং সিঁথিও বের করতেন না। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাতে হাত বুলিয়েছিলেন।
بَابٌ : فِي ذِكْرِ أَذَانِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِيهِ
نَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، نَا أَبُو الْأَزْهَرِ ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ - مَوْلًى لَهُمْ - عَنْ أَبِيهِ السَّائِبِ ، وَعَنْ أُمِّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ ؛ أَنَّهُمَا سَمِعَاهُ مِنْ أَبِي مَحْذُورَةَ ، قَالَا : قَالَ أَبُو مَحْذُورَةَ : خَرَجْتُ فِي عَشْرَةِ فِتْيَانٍ مَعَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِلَى حُنَيْنٍ ، وَهُوَ أَبْغَضُ النَّاسِ إِلَيْنَا ، فَقُمْنَا نُؤَذِّنُ نَسْتَهْزِئُ بِهِمْ ! فَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " ائْتُونِي بِهَؤُلَاءِ الْفِتْيَانِ " . ، فَقَالَ : " أَذِّنُوا " . فَأَذَّنُوا ، فَكُنْتُ آخِرَهُمْ ، فَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " نَعَمْ ، هَذَا الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ ، اذْهَبْ فَأَذِّنْ لِأَهْلِ مَكَّةَ ، وَقُلْ لِعَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ أُؤَذِّنَ لِأَهْلِ مَكَّةَ " . وَمَسَحَ عَلَى نَاصِيَتِي ، وَقَالَ : " قُلِ اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ ، ثُمَّ ارْجِعْ فَاشْهَدْ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مَرَّتَيْنِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ مَرَّتَيْنِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ مَرَّتَيْنِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، فَإِذَا أَذَّنْتَ بِالْأُولَى مِنَ الصُّبْحِ فَقُلِ الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ مَرَّتَيْنِ ، وَإِذَا أَقَمْتَ فَقُلْهَا مَرَّتَيْنِ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، انْبَعِثْ " . قَالَ : فَكَانَ أَبُو مَحْذُورَةَ لَا يَجُزُّ نَاصِيَتَهُ وَلَا يَفْرُقُهَا ؛ لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَسَحَ عَلَيْهَا
পরিচ্ছেদঃ ৫. আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর আযান এবং এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৮৮১(৫). উসমান ইবনে আহমাদ (রহঃ) ... আবু মাহযুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এই আযান শিক্ষা দিয়েছেন : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হায়্যা আলাস সালাহ, হায়্যা আলাস সালাহ, হায়্যা আলাল ফালাহ হায়্যা আলাল- ফালাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
بَابٌ : فِي ذِكْرِ أَذَانِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِيهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ الدَّقَّاقُ ، نَا حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ ، ح : وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ ، قَالَا : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُوسَى ، قَالَا : نَا الْحُمَيْدِيُّ ، ثَنَا أَبُو إِسْمَاعِيلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، قَالَ : سَمِعْتُ جَدِّي عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ أَبِي مَحْذُورَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ أَبِي مَحْذُورَةَ ؛ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَلْقَى هَذَا الْأَذَانَ عَلَيْهِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ