পরিচ্ছেদঃ ২. বয়স্ক হওয়ার পর দুধ পান করা

রেওয়ায়ত ১২. ইবন শিহাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল বয়স্কের দুধ পান করা সম্বন্ধে। তিনি (উত্তরে) বলিলেনঃ উরওয়াহ ইবন যুবায়র (রহঃ) আমাকে বলিয়াছেনঃ আবু হুযায়ফা ইবন উতবা ইবন রবি’আ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে একজন সাহাবী ছিলেন। তিনি বদরের যুদ্ধে শহীদ হইয়াছেন, তিনি সালিম (রাঃ)-কে পালক পুত্র করিয়াছিলেন যাহাকে বলা হইত-সালিম মাওলা আবু হুযায়ফা। [সায়িবা নামক জনৈকা মহিলা তাহাকে আযাদ করেন, পরে আবু হুযায়ফা তাহাকে লালন-পালন করেন এবং পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। এইজন্য সালিমকে আবু হুযায়ফার মাওলা বলা হইয়াছে] যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়দ ইবন হারিস (রাঃ)-কে পুত্র সন্তান বানাইয়ছিলেন এবং আবু হুযায়ফা সালিমের নিকট তাহার ভাতিজী ফাতেমা বিনত ওয়ালিদ ইবন উতবা ইবন রবি’আকে বিবাহ দিলেন, তিনি সালিমকে নিজের পুত্র বলিয়া মনে করিতেন।

ফাতেমা ছিলেন প্রথম ভাগে হিজরতকারিণীদের মধ্যে একজন মহিলা এবং তিনি তখন কুরাইশদের অবিবাহিত মহিলাদের মধ্যেও ছিলেন অন্যতমা। যখন আল্লাহ তাহার কিতাবে যায়দ ইবন হারিসা সম্পর্কে এই আয়াত অবতীর্ণ করিলেনঃ

‏ادْعُوهُمْ لآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ‏

(অর্থাৎ তোমরা উহাদিগকে ডাক উহাদের পিতৃপরিচয়ে। আল্লাহর নিকট ইহাই ন্যায়সঙ্গত, যদি তোমরা উহাদের পরিচয় না জান তবে উহদিগকে তোমাদের ধর্মীয় ভ্রাতা ও বন্ধুরূপে গণ্য করবে।) যাহাদিগকে পোষ্যপুত্র বানাইয়াছ তাহাদিগকে তাহদের পিতৃপরিচয়ের দিকে ফিরাইয়া দাও। আর যদি পিতার পরিচয় না জান তবে তাহার মাওলার (মনিব বা মিত্রতা সূত্রে স্থাপিত সম্পর্কের স্বজন) দিকে তাহাদিগকে ফিরাইয়া দাও। আর হুযায়ফার স্ত্রী সাহলা বিনত সুহায়ল যিনি ছিলেন আমির ইবন লুয়াই গোত্রের, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট আসিলেন এবং বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালিমকে আমরা পুত্ররূপে গ্রহণ করিয়াছিলাম। সে আমার কক্ষে প্রবেশ করে এই অবস্থায় যে, আমি তখন একটি কাপড় পরিধান করিয়া থাকি। আর আমার গৃহও মাত্র একটি। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ এ বিষয়ে আমাদের কথা হইল তাহাকে পাঁচবার (স্তন হইতে) দুধ পান করাইয়া দাও। তাহা হইলে এই দুধের কারণে সে হারাম হইয়া যাইবে এবং সাহলা দুধপান করানোর কারণে তাহাকে পুত্র বলিয়া জানিতেন।

উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ অভিমত গ্রহণ করিয়াছেন, অতএব সেই সকল পুরুষের তাঁহার নিকট প্রবেশ করা তিনি পছন্দ করিতেন। তিনি তাহার ভগ্নী উম্মে কুলসুম বিনত আবি বকর সিদ্দীক (রাঃ)-কে এবং তাহার ভাতিজীদিগকে সেই সকল পুরুষকে দুধ পান করানোর নির্দেশ দিতেন। কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্যান্য সহধর্মিণী এই প্রকার দুধ পানের দ্বারা কোন পুরুষের তাহদের নিকট প্রবেশ করাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। তাহারা বলিতেন, [’আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করিয়া] আল্লাহর কসম, আমরা মনে করি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহলা বিনত সুহাইলকে যে হুকুম দিয়াছিলেন তাহা কেবলমাত্র সালিমের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের পক্ষ হইতে রুখসত (বিশেষ অনুমতি) স্বরূপ ছিল। কসম আল্লাহর! এই প্রকারের দুধ পান করানো দ্বারা আমাদের নিকট কোন লোক প্রবেশ করিতে পরিবে না। বয়স্কদের দুধ পান করানো সম্বন্ধে আর সকল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণীগণ এই অভিমতের উপর অটল ছিলেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي الرَّضَاعَةِ بَعْدَ الْكِبَرِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ فَقَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَكَانَ تَبَنَّى سَالِمًا الَّذِي يُقَالُ لَهُ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَأَنْكَحَ أَبُو حُذَيْفَةَ سَالِمًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ ابْنُهُ أَنْكَحَهُ بِنْتَ أَخِيهِ فَاطِمَةَ بِنْتَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ مِنْ الْمُهَاجِرَاتِ الْأُوَلِ وَهِيَ مِنْ أَفْضَلِ أَيَامَى قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ فِي زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ مَا أَنْزَلَ فَقَالَ ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ رُدَّ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْ أُولَئِكَ إِلَى أَبِيهِ فَإِنْ لَمْ يُعْلَمْ أَبُوهُ رُدَّ إِلَى مَوْلَاهُ فَجَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ وَهِيَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُنَّا نَرَى سَالِمًا وَلَدًا وَكَانَ يَدْخُلُ عَلَيَّ وَأَنَا فُضُلٌ وَلَيْسَ لَنَا إِلَّا بَيْتٌ وَاحِدٌ فَمَاذَا تَرَى فِي شَأْنِهِ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْضِعِيهِ خَمْسَ رَضَعَاتٍ فَيَحْرُمُ بِلَبَنِهَا وَكَانَتْ تَرَاهُ ابْنًا مِنْ الرَّضَاعَةِ فَأَخَذَتْ بِذَلِكَ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ فِيمَنْ كَانَتْ تُحِبُّ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهَا مِنْ الرِّجَالِ فَكَانَتْ تَأْمُرُ أُخْتَهَا أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَبَنَاتِ أَخِيهَا أَنْ يُرْضِعْنَ مَنْ أَحَبَّتْ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهَا مِنْ الرِّجَالِ وَأَبَى سَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِنَّ بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ أَحَدٌ مِنْ النَّاسِ وَقُلْنَ لَا وَاللَّهِ مَا نَرَى الَّذِي أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْلَةَ بِنْتَ سُهَيْلٍ إِلَّا رُخْصَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَضَاعَةِ سَالِمٍ وَحْدَهُ لَا وَاللَّهِ لَا يَدْخُلُ عَلَيْنَا بِهَذِهِ الرَّضَاعَةِ أَحَدٌ فَعَلَى هَذَا كَانَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ

حدثني يحيى عن مالك عن ابن شهاب انه سىل عن رضاعة الكبير فقال اخبرني عروة بن الزبير ان ابا حذيفة بن عتبة بن ربيعة وكان من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان قد شهد بدرا وكان تبنى سالما الذي يقال له سالم مولى ابي حذيفة كما تبنى رسول الله صلى الله عليه وسلم زيد بن حارثة وانكح ابو حذيفة سالما وهو يرى انه ابنه انكحه بنت اخيه فاطمة بنت الوليد بن عتبة بن ربيعة وهي يومىذ من المهاجرات الاول وهي من افضل ايامى قريش فلما انزل الله تعالى في كتابه في زيد بن حارثة ما انزل فقال ادعوهم لاباىهم هو اقسط عند الله فان لم تعلموا اباءهم فاخوانكم في الدين ومواليكم رد كل واحد من اولىك الى ابيه فان لم يعلم ابوه رد الى مولاه فجاءت سهلة بنت سهيل وهي امراة ابي حذيفة وهي من بني عامر بن لوي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله كنا نرى سالما ولدا وكان يدخل علي وانا فضل وليس لنا الا بيت واحد فماذا ترى في شانه فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم ارضعيه خمس رضعات فيحرم بلبنها وكانت تراه ابنا من الرضاعة فاخذت بذلك عاىشة ام المومنين فيمن كانت تحب ان يدخل عليها من الرجال فكانت تامر اختها ام كلثوم بنت ابي بكر الصديق وبنات اخيها ان يرضعن من احبت ان يدخل عليها من الرجال وابى ساىر ازواج النبي صلى الله عليه وسلم ان يدخل عليهن بتلك الرضاعة احد من الناس وقلن لا والله ما نرى الذي امر به رسول الله صلى الله عليه وسلم سهلة بنت سهيل الا رخصة من رسول الله صلى الله عليه وسلم في رضاعة سالم وحده لا والله لا يدخل علينا بهذه الرضاعة احد فعلى هذا كان ازواج النبي صلى الله عليه وسلم في رضاعة الكبير


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that he was asked about the suckling of an older person. He said, ''Urwa ibn az-Zubayr informed me that Abu Hudhayfa ibn Utba ibn Rabia, one of the companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, who was present at Badr, adopted Salim (who is called Salim, the mawla of Abu Hudhayfa) as the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, adopted Zayd ibn Haritha. He thought of him as his son, and Abu Hudhayfa married him to his brother's sister, Fatima bint al-Walid ibn Utba ibn Rabia, who was at that time among the first emigrants. She was one of the best unmarried women of the Quraysh. When Allah the Exalted sent down in His Book what He sent down about Zayd ibn Haritha, 'Call them after their true fathers. That is more equitable in the sight of Allah. If you do not know who their fathers were then they are your brothers in the deen and your mawali,' (Sura 33 ayat 5) people in this position were traced back to their fathers. When the father was not known, they were traced to their mawla.

"Sahla bint Suhayl who was the wife of Abu Hudhayfa, and one of the tribe of Amr ibn Luayy, came to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and said, 'Messenger of Allah! We think of Salim as a son and he comes in to see me while I am uncovered. We only have one room, so what do you think about the situation?' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Give him five drinks of your milk and he will be mahram by it.' She then saw him as a foster son. A'isha umm al-muminin took that as a precedent for whatever men she wanted to be able to come to see her. She ordered her sister, Umm Kulthum bint Abi Bakr as-Siddiq and the daughters of her brother to give milk to whichever men she wanted to be able to come in to see her. The rest of the wives of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, refused to let anyone come in to them by such nursing. They said, 'No! By Allah! We think that what the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, ordered Sahla bint Suhayl to do was only an indulgence concerning the nursing of Salim alone. No! By Allah! No one will come in upon us by such nursing!'

"This is what the wives of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, thought about the suckling of an older person."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩০. সন্তানের দুধ পান করানোর বিধান সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الرضاع) 30/ Suckling

পরিচ্ছেদঃ ২. বয়স্ক হওয়ার পর দুধ পান করা

রেওয়ায়ত ১৩. ’আবদুল্লাহ ইবন দীনার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেনঃ বয়স্কদের দুধ পানের বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য “দারুল কাযা” (বিচারালয় ইহা ছিল উমর ফারুক (রাঃ)-এর ঘর, তাহার শাহাদতের পর তাহার ঋণ পরিশোধ করার জন্য এই ঘর বিক্রি করা হয়, তাই ইহাকে দারুল কাযা বলা হয়)-এর নিকট এক ব্যক্তি আসিল। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিলেনঃ এক ব্যক্তি উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট আসিয়া বলিলেন, আমার এক দাসী ছিল। আমি উহার সহিত সঙ্গম করিতাম - আমার স্ত্রী ইচ্ছাপূর্বক উহাকে দুধ খাওয়াইয়া দেয়, তারপর আমি সেই দাসীর নিকট (সঙ্গমের উদ্দেশ্যে) প্রবেশ করিলাম। আমার স্ত্রী বলিল থাম। উহার সাথে সংগত হইও না আল্লাহর কসম, আমি উহাকে দুধ পান করাইয়াছি। উমর (রাঃ) বলিলেন তোমার স্ত্রীকে শাস্তি দাও, তারপর দাসীর নিকট গমন কর, দুধ পান করানো ছোটদের বেলায় গ্রহণযোগ্য হইয়া থাকে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الرَّضَاعَةِ بَعْدَ الْكِبَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَنَا مَعَهُ عِنْدَ دَارِ الْقَضَاءِ يَسْأَلُهُ عَنْ رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنِّي كَانَتْ لِي وَلِيدَةٌ وَكُنْتُ أَطَؤُهَا فَعَمَدَتْ امْرَأَتِي إِلَيْهَا فَأَرْضَعَتْهَا فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا فَقَالَتْ دُونَكَ فَقَدْ وَاللَّهِ أَرْضَعْتُهَا فَقَالَ عُمَرُ أَوْجِعْهَا وَأْتِ جَارِيَتَكَ فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ رَضَاعَةُ الصَّغِيرِ


وحدثني عن مالك عن عبد الله بن دينار انه قال جاء رجل الى عبد الله بن عمر وانا معه عند دار القضاء يساله عن رضاعة الكبير فقال عبد الله بن عمر جاء رجل الى عمر بن الخطاب فقال اني كانت لي وليدة وكنت اطوها فعمدت امراتي اليها فارضعتها فدخلت عليها فقالت دونك فقد والله ارضعتها فقال عمر اوجعها وات جاريتك فانما الرضاعة رضاعة الصغير


Yahya related to me from Malik that Abdullah ibn Dinar said, "A man came to Abdullah ibn Umar when I waswith him at the place where judgments were given and asked him about the suckling of an older person. Abdullah ibn Umar replied, 'A man came to Umar ibn al-Khattab and said, 'I have a slave-girl and I used to have intercourse with her. My wife went to her and suckled her. When I went to the girl, my wife told me to watch out, because she had suckled her!' Umar told him to beat his wife and to go to his slave-girl because kinship by suckling was only by the suckling of the young.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩০. সন্তানের দুধ পান করানোর বিধান সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الرضاع) 30/ Suckling

পরিচ্ছেদঃ ২. বয়স্ক হওয়ার পর দুধ পান করা

রেওয়ায়ত ১৪. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ)-কে প্রশ্ন করিলেন- আমি আমার স্ত্রীর স্তন চুষিয়াছি, দুধ আমার ভিতরে প্রবেশ করিয়াছে। আবু মূসা আশ’আরী (রাঃ) বললেন- আমি মনে করি, তোমার স্ত্রী তোমার উপর হারাম হইয়াছে। আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রহঃ) বললেনঃ ভাবিয়া দেখুন এই ব্যক্তি কে, কি ফতোয়া দিতেছেন? আবূ মূসা বলিলেনঃ তবে আপনি কি বলেন? আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) বলিলেনঃ দুধ খাওয়া দুই বৎসরের ভিতরেই হয়, অতঃপর আবু মূসা (রাঃ) বলিলেনঃ এই বিজ্ঞজন যতদিন তোমাদের মধ্যে আছেন তোমরা (কোন বিষয়ে) আমার নিকট ফতোয়া জিজ্ঞাসা করিও না।

بَاب مَا جَاءَ فِي الرَّضَاعَةِ بَعْدَ الْكِبَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ فَقَالَ إِنِّي مَصِصْتُ عَنْ امْرَأَتِي مِنْ ثَدْيِهَا لَبَنًا فَذَهَبَ فِي بَطْنِي فَقَالَ أَبُو مُوسَى لَا أُرَاهَا إِلَّا قَدْ حَرُمَتْ عَلَيْكَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ انْظُرْ مَاذَا تُفْتِي بِهِ الرَّجُلَ فَقَالَ أَبُو مُوسَى فَمَاذَا تَقُولُ أَنْتَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ لَا رَضَاعَةَ إِلَّا مَا كَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ فَقَالَ أَبُو مُوسَى لَا تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ مَا كَانَ هَذَا الْحَبْرُ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد ان رجلا سال ابا موسى الاشعري فقال اني مصصت عن امراتي من ثديها لبنا فذهب في بطني فقال ابو موسى لا اراها الا قد حرمت عليك فقال عبد الله بن مسعود انظر ماذا تفتي به الرجل فقال ابو موسى فماذا تقول انت فقال عبد الله بن مسعود لا رضاعة الا ما كان في الحولين فقال ابو موسى لا تسالوني عن شيء ما كان هذا الحبر بين اظهركم


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that a man said to Abu Musa al-Ashari, "I drank some milk from my wife's breasts and it went into my stomach." Abu Musa said, "I can only but think that she is haram for you." Abdullah ibn Masud said, "Look at what opinion you are giving the man." Abu Musa said, "Then what do you say?" Abdullah ibn Masud said, "There is only kinship by suckling in the first two years."

Abu Musa said, "Do not ask me about anything while this learned man is among you."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩০. সন্তানের দুধ পান করানোর বিধান সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الرضاع) 30/ Suckling
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে