পরিচ্ছেদঃ ২২. রোযার বিবিধ আহকাম

রেওয়ায়ত ৫৬. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রাখতেন একাধারে, এমনকি আমরা বলিতাম, তিনি আর রোযা ছাড়িবেন না, আর যখন তিনি রোযা রাখতেন না, আমরা তখন বলিতাম, তিনি আর রোযা রাখবেন না। রমযান ব্যতীত কোন পূর্ণ মাসের রোযা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাখেন নাই এবং শা’বান মাসের চাইতে বেশি অন্য কোন মাসে রোযা রাখিতেও তাঁহাকে দেখি নাই।

بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لَا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لَا يَصُومُ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ قَطُّ إِلَّا رَمَضَانَ وَمَا رَأَيْتُهُ فِي شَهْرٍ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ

حدثني يحيى عن مالك عن ابي النضر مولى عمر بن عبيد الله عن ابي سلمة بن عبد الرحمن عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم انها قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصوم حتى نقول لا يفطر ويفطر حتى نقول لا يصوم وما رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم استكمل صيام شهر قط الا رمضان وما رايته في شهر اكثر صياما منه في شعبان


Yahya related to me from Malik from Abu'n Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah, from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to fast for so long that we thought he would never stop fasting, and he would go without fasting for so long that we thought he would never fast again. I never saw the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, fast for a complete month except for Ramadan, and I never saw him do more fasting in any one month than he did in Shaban.'


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting

পরিচ্ছেদঃ ২২. রোযার বিবিধ আহকাম

রেওয়ায়ত ৫৭. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, রোযা (একটি) ঢাল, কাজেই তোমাদের যে কেউ রোযাদার হও, সে বাজে কথা বলিবে না এবং বর্বরতার কাজ করিবে না। যদি কোন ব্যক্তি তাহাকে গালি দেয় অথবা কাটাকাটি-মারামারি করিতে আসে, তবে সে যেন বলে, আমি রোযাদার, আমি রোযাদার।

بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يَجْهَلْ فَإِنْ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ إِنِّي صَائِمٌ

وحدثني عن مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصيام جنة فاذا كان احدكم صاىما فلا يرفث ولا يجهل فان امرو قاتله او شاتمه فليقل اني صاىم اني صاىم


Yahya related to me from Malik from Abu'z Zinad from al-A'raj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Fasting is a protection for you, so when you are fasting, do not behave obscenely or foolishly, and if any one argues with you or abuses you, say, 'I am fasting. I am fasting.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting

পরিচ্ছেদঃ ২২. রোযার বিবিধ আহকাম

রেওয়ায়ত ৫৮. আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা বলিয়াছেনঃ সেই সত্তার কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয়ই রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভীর ঘ্রাণ হইতেও উত্তম; নিঃসন্দেহে রোযাদার তাহার প্রবৃত্তি ও পানাহারকে ত্যাগ করে আমার জন্য। তাই রোযা আমারই এবং আমি উহার প্রতিদান দিব। প্রতিটি নেকীর প্রতিদান দশ হইতে সাত শত পর্যন্ত, আর রোযা আমার জন্য, আমিই উহার প্রতিদান দিব।

بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ إِنَّمَا يَذَرُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابَهُ مِنْ أَجْلِي فَالصِّيَامُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ كُلُّ حَسَنَةٍ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ إِلَّا الصِّيَامَ فَهُوَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ

وحدثني عن مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال والذي نفسي بيده لخلوف فم الصاىم اطيب عند الله من ريح المسك انما يذر شهوته وطعامه وشرابه من اجلي فالصيام لي وانا اجزي به كل حسنة بعشر امثالها الى سبع ماىة ضعف الا الصيام فهو لي وانا اجزي به


Yahya related to me from Malik from Abu'z Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "By the One in Whose hand my self is, the smell of the breath of a man fasting is better with Allah than the scent of musk.' He leaves his desires and his food and drink for My sake. Fasting is for Me and I reward it. Every good action is rewarded by ten times its kind, up to seven hundred times, except fasting, which is for Me, and I reward it.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting

পরিচ্ছেদঃ ২২. রোযার বিবিধ আহকাম

রেওয়ায়ত ৫৯. আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ রমযান মাস যখন প্রবেশ করে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলিয়া দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়।

بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ

وحدثني عن مالك عن عمه ابي سهيل بن مالك عن ابيه عن ابي هريرة انه قال اذا دخل رمضان فتحت ابواب الجنة وغلقت ابواب النار وصفدت الشياطين


Yahya related to me from Malik from his paternal uncle Abu Suhayl ibn Malik from his father that Abu Hurayra said, "When Ramadan comes the gates of the Garden are opened and the gates of the Fire are locked, and the shayatin are chained."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting

পরিচ্ছেদঃ ২২. রোযার বিবিধ আহকাম

রেওয়ায়ত ৬০. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি আহলে ইলমদের নিকট শুনিয়াছেন যে, তাহারা দিনের কোন মুহুর্তে রোযাদারের জন্য মেছওয়াক করাকে মাকরূহ জানিতেন না- দিনের শুরুর দিকে হউক বা শেষভাগে হউক। তিনি বলেনঃ আমি কাহাকেও শুনি নাই, উহাকে মাকরূহ জানিতে অথবা উহা হইতে বারণ করিতে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিনের রোযা সম্পর্কে মালিক (রহঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, তিনি আহলে ইলম এবং আহলে ফিকহ, কাহাকেও সেই (ছয় দিনের) রোযা রাখিতে দেখেন নাই এবং তিনি বলেনঃ প্রাচীনদের কাহারো নিকট হইতে (উহা রাখার ব্যাপারে) আমার নিকট কোন কিছু পৌছে নাই। আর আহলে ইলম উহাকে মাকরূহ জানিতেন এবং উহা বিদ’আত হওয়ার আশংকা করিতেন। আরো ভয় ছিল, অজ্ঞরা– সহজকে কঠিন করা যাহাদের অভ্যাস- তাহারা রমযানের মধ্যে যাহা গণ্য নছে উহাকে রমযানের সহিত মিলাইয়া দিবে, যদি তাহারা আহলে ইলমকে উহা রাখিতে দেখে এবং তাছাদের নিকট হইতে এই ব্যাপারে অনুমতি লাভ করে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আহলে ইলম ও আহলে ফিকহ এবং লোকে যাহাদিগকে স্মরণ করিয়া থাকে, তাহাদের কাহাকেও জুম’আ দিবসের রোযা হইতে নিষেধ করিতে শুনি নাই। জুম’আর দিনে রোযা রাখা ভাল। আমি কোন কোন আহলে ইলমকে উহা পালন করিতে দেখিয়াছি। আর আমি মনে করি, তাহারা (জুম’আ দিবসের প্রতি) লক্ষ্য রাখিতেন (ইহার গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া)।

بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ أَهْلَ الْعِلْمِ لَا يَكْرَهُونَ السِّوَاكَ لِلصَّائِمِ فِي رَمَضَانَ فِي سَاعَةٍ مِنْ سَاعَاتِ النَّهَارِ لَا فِي أَوَّلِهِ وَلَا فِي آخِرِهِ وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَكْرَهُ ذَلِكَ وَلَا يَنْهَى عَنْهُ قَالَ يَحْيَى وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي صِيَامِ سِتَّةِ أَيَّامٍ بَعْدَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ إِنَّهُ لَمْ يَرَ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ يَصُومُهَا وَلَمْ يَبْلُغْنِي ذَلِكَ عَنْ أَحَدٍ مِنْ السَّلَفِ وَإِنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ يَكْرَهُونَ ذَلِكَ وَيَخَافُونَ بِدْعَتَهُ وَأَنْ يُلْحِقَ بِرَمَضَانَ مَا لَيْسَ مِنْهُ أَهْلُ الْجَهَالَةِ وَالْجَفَاءِ لَوْ رَأَوْا فِي ذَلِكَ رُخْصَةً عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَرَأَوْهُمْ يَعْمَلُونَ ذَلِكَ وَقَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ لَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ وَمَنْ يُقْتَدَى بِهِ يَنْهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَصِيَامُهُ حَسَنٌ وَقَدْ رَأَيْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَصُومُهُ وَأُرَاهُ كَانَ يَتَحَرَّاهُ

وحدثني عن مالك انه سمع اهل العلم لا يكرهون السواك للصاىم في رمضان في ساعة من ساعات النهار لا في اوله ولا في اخره ولم اسمع احدا من اهل العلم يكره ذلك ولا ينهى عنه قال يحيى وسمعت مالك يقول في صيام ستة ايام بعد الفطر من رمضان انه لم ير احدا من اهل العلم والفقه يصومها ولم يبلغني ذلك عن احد من السلف وان اهل العلم يكرهون ذلك ويخافون بدعته وان يلحق برمضان ما ليس منه اهل الجهالة والجفاء لو راوا في ذلك رخصة عند اهل العلم وراوهم يعملون ذلك وقال يحيى سمعت مالك يقول لم اسمع احدا من اهل العلم والفقه ومن يقتدى به ينهى عن صيام يوم الجمعة وصيامه حسن وقد رايت بعض اهل العلم يصومه واراه كان يتحراه


Yahya related to me from Malik that he had heard that the people of knowledge did not disapprove of people fasting using tooth-sticks at any hour of the day in Ramadan, whether at the beginning or the end, nor had he heard any of the people of knowledge disapproving of or forbidding the practice.

Yahya said that he heard Malik say, about fasting for six days after breaking the fast at the end of Ramadan, that he had never seen any of the people of knowledge and fiqh fasting them. He said, "I have not heard that any of our predecessors used to do that, and the people of knowledge disapprove of it and they are afraid that it might become a bida and that common and ignorant people might join to Ramadan what does not belong to it, if they were to think that the people of knowledge had given permission for that to be done and were seen doing it.

Yahya said that he heard Malik say, "I have never heard any of the people of knowledge and fiqh and those whom people take as an example forbidding fasting on the day of jumua. Fasting on it is good, and I have seen one of the people of knowledge fasting it, and it seemed to me that he was keen to do so."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে