পরিচ্ছেদঃ ১৯. ওযরের কারণে রমযানের রোযা ভঙ্গের ফিদয়া

রেওয়ায়ত ৫১. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি জানিতে পারিয়াছেন যে, আনাস ইবন মালিক (রাঃ) যখন অতি বৃদ্ধ হন, তখন তিনি রোযা রাখিতে পারিতেন না, তাই তিনি ফিদয়া দিতেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমি ফিদয়া দেওয়াকে জরুরী মনে করি না। তবে দেওয়া আমার মতে উত্তম, যদি সামর্থ্য থাকে। যে ব্যক্তি ফিদয়া দিবে সে প্রতিদিনের পরিবর্তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুদ-এর (এক সের পরিমাণ ওজনের একটি পরিমাপ) সমপরিমাণ এক মুদ আহার করাইবে।

بَاب فِدْيَةِ مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مِنْ عِلَّةٍ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ كَبِرَ حَتَّى كَانَ لَا يَقْدِرُ عَلَى الصِّيَامِ فَكَانَ يَفْتَدِي قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى ذَلِكَ وَاجِبًا وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَفْعَلَهُ إِذَا كَانَ قَوِيًّا عَلَيْهِ فَمَنْ فَدَى فَإِنَّمَا يُطْعِمُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مُدًّا بِمُدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حدثني يحيى عن مالك انه بلغه ان انس بن مالك كبر حتى كان لا يقدر على الصيام فكان يفتدي قال مالك ولا ارى ذلك واجبا واحب الي ان يفعله اذا كان قويا عليه فمن فدى فانما يطعم مكان كل يوم مدا بمد النبي صلى الله عليه وسلم


Yahya related to me from Malik that he had heard that Anas ibn Malik used to pay fidya when he had grown old and could no longer manage to do the fast.

Malik said, "I do not consider that to do so is obligatory, but what I like most is that a man does the fast when he is strong enough. Whoever pays compensation gives one mudd of food in place of every day, using the mudd of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting

পরিচ্ছেদঃ ১৯. ওযরের কারণে রমযানের রোযা ভঙ্গের ফিদয়া

রেওয়ায়ত ৫২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে গর্ভবতী স্ত্রীলোক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইল- সে যদি সন্তান সম্বন্ধে আশংকা করে এবং রোযা রাখা তাহার জন্য দুষ্কর হয় (তবে কি করিবে)? তিনি বলিলেনঃ সে রোযা রাখিবে না এবং প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে আহার দিবে এক মুদ গম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুদ পরিমাপে।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আহলে ইলম গর্ভবতীর জন্য রোযার কাযা ওয়াজিব মনে করেন না, যেমন আল্লাহ তা’আলা বলিয়াছেন, (‏فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ‏) অর্থাৎ, তোমাদের মধ্যে কেহ পীড়িত হইলে বা সফরে থাকিলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করিয়া লইতে হইবে। (বাকারাঃ ১৮৪)

গর্ভবতী অবস্থাকে তাহারা রোগের মধ্যে একটি রোগ বলিয়া মনে করেন যাহার সঙ্গে রহিয়াছে সন্তানের আশংকাও।

بَاب فِدْيَةِ مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مِنْ عِلَّةٍ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ سُئِلَ عَنْ الْمَرْأَةِ الْحَامِلِ إِذَا خَافَتْ عَلَى وَلَدِهَا وَاشْتَدَّ عَلَيْهَا الصِّيَامُ قَالَ تُفْطِرُ وَتُطْعِمُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا مُدًّا مِنْ حِنْطَةٍ بِمُدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَالِك وَأَهْلُ الْعِلْمِ يَرَوْنَ عَلَيْهَا الْقَضَاءَ كَمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَيَرَوْنَ ذَلِكَ مَرَضًا مِنْ الْأَمْرَاضِ مَعَ الْخَوْفِ عَلَى وَلَدِهَا

وحدثني عن مالك انه بلغه ان عبد الله بن عمر سىل عن المراة الحامل اذا خافت على ولدها واشتد عليها الصيام قال تفطر وتطعم مكان كل يوم مسكينا مدا من حنطة بمد النبي صلى الله عليه وسلم قال مالك واهل العلم يرون عليها القضاء كما قال الله عز وجل فمن كان منكم مريضا او على سفر فعدة من ايام اخر ويرون ذلك مرضا من الامراض مع الخوف على ولدها


Yahya related to me from Malik that he had heard that Abdullah ibn Umar was asked about what a pregnant woman should do if the fast became difficult for her and she feared for her child, and he said, "She should break the fast and feed a poor man one mudd of wheat in place of every day, using the mudd of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace."

Malik said, "The people of knowledge consider that she has to make up for each day of the fast that she misses as Allah, the Exalted and Glorified, says, 'And whoever of you is sick or on a journey should fast an equal number of other days, ' and they consider her pregnancy and her concern for her child as a sickness."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting

পরিচ্ছেদঃ ১৯. ওযরের কারণে রমযানের রোযা ভঙ্গের ফিদয়া

রেওয়ায়ত ৫৩. আবদুর রহমান ইবন কাসিম (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, তাহার পিতা বলিতেনঃ যাহার উপর রমযানের কাযা রহিয়াছে, সে রোযা রাখিতে সক্ষম, তবু কাযা (রোযা) রাখে নাই, এইভাবে পরবর্তী রমযান আসিয়া গিয়াছে, তবে সে প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে এক মুদ করিয়া গম দিবে, তদুপরি তাহার উপর কাযাও জরুরী হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) হইতেও অনুরূপ বর্ণনা তাহার নিকট পৌছিয়াছে।

بَاب فِدْيَةِ مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مِنْ عِلَّةٍ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ كَانَ عَلَيْهِ قَضَاءُ رَمَضَانَ فَلَمْ يَقْضِهِ وَهُوَ قَوِيٌّ عَلَى صِيَامِهِ حَتَّى جَاءَ رَمَضَانُ آخَرُ فَإِنَّهُ يُطْعِمُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا مُدًّا مِنْ حِنْطَةٍ وَعَلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ الْقَضَاءُ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مِثْلُ ذَلِكَ

وحدثني عن مالك عن عبد الرحمن بن القاسم عن ابيه انه كان يقول من كان عليه قضاء رمضان فلم يقضه وهو قوي على صيامه حتى جاء رمضان اخر فانه يطعم مكان كل يوم مسكينا مدا من حنطة وعليه مع ذلك القضاء وحدثني عن مالك انه بلغه عن سعيد بن جبير مثل ذلك


Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim that his father used to say, "If someone has to make up for days not fasted in Ramadan and does not do them before the next Ramadan comes although he is strong enough to do so, he should feed a poor man with a mudd of wheat for every day that he has missed, and he has to fast the days he owes as well."

Yahya related to me from Malik that he had heard the same thing from Said ibn Jubayr.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে