পরিচ্ছেদঃ ১. কুরআন স্পর্শ করার জন্য ওযুর নির্দেশ

রেওয়ায়ত ১. আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর ইবন হাযম (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আমর ইবন হাযমের নিকট যে পত্র লিখিয়াছিলেন উহাতে ইহাও লিখিত ছিল যে, পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কুরআনকে যেন কেউ স্পর্শ না করে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ কুরআনকে জুযবদান-এর ফিতা ধরিয়া অথবা বালিশের উপর রাখিয়া যেন উত্তোলন না করে, তবে পবিত্রাবস্থায়। যদি উহা (ফিতা ধরিয়া এবং বালিশের উপর কুরআন রাখিয়া ওযু ছাড়া স্পর্শ করা) জায়েয হইত, তবে জিলদকেও পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ করা যাইত। আর ইহা এই কারণে মাকরূহ করা হয় নাই যে, যে ব্যক্তি কুরআন উঠাইতেছে তাহার হাতে এমন কোন জিনিস আছে যদ্বারা ইহা অপরিষ্কার হইয়া যাইবে। অপবিত্র অবস্থায় উহা উঠান মাকরূহ, এই হুকুম করা হইয়াছে কুরআনের তাযীম ও সম্মানার্থে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ (لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ) অর্থাৎ যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না (সূরা ওয়াকিয়াহঃ ৭৯) এই আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে সর্বোত্তম যাহা আমি শুনিয়াছি তাহা হইল যেইরূপ সূরা আবাসা’তে ইরশাদ করা হইয়াছে (كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ فَمَن شَاءَ ذَكَرَهُ فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ) অর্থাৎ এই প্রকার আচরণ অনুচিত, ইহা উপদেশবাণী; যে ইচ্ছা করিবে সে ইহা স্মরণ রাখিবে। উহা আছে মহান, উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন, পবিত্র গ্রন্থে, মহান, পূতচরিত্র লিপিকারদের হস্তে। (সূরা আবাসাঃ ১১-১৪)

بَاب الْأَمْرِ بِالْوُضُوءِ لِمَنْ مَسَّ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
قَالَ مَالِك وَلَا يَحْمِلُ أَحَدٌ الْمُصْحَفَ بِعِلَاقَتِهِ وَلَا عَلَى وِسَادَةٍ إِلَّا وَهُوَ طَاهِرٌ وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَحُمِلَ فِي خَبِيئَتِهِ وَلَمْ يُكْرَهْ ذَلِكَ لِأَنْ يَكُونَ فِي يَدَيْ الَّذِي يَحْمِلُهُ شَيْءٌ يُدَنِّسُ بِهِ الْمُصْحَفَ وَلَكِنْ إِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِمَنْ يَحْمِلُهُ وَهُوَ غَيْرُ طَاهِرٍ إِكْرَامًا لِلْقُرْآنِ وَتَعْظِيمًا لَهُ قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ إِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ هَذِهِ الْآيَةِ الَّتِي فِي عَبَسَ وَتَوَلَّى قَوْلُ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ فَمَنْ شَاءَ ذَكَرَهُ فِي صُحُفٍ مُكَرَّمَةٍ مَرْفُوعَةٍ مُطَهَّرَةٍ بِأَيْدِي سَفَرَةٍ كِرَامٍ بَرَرَةٍ

حدثني يحيى عن مالك عن عبد الله بن ابي بكر بن حزم ان في الكتاب الذي كتبه رسول الله صلى الله عليه وسلم لعمرو بن حزم ان لا يمس القران الا طاهر قال مالك ولا يحمل احد المصحف بعلاقته ولا على وسادة الا وهو طاهر ولو جاز ذلك لحمل في خبيىته ولم يكره ذلك لان يكون في يدي الذي يحمله شيء يدنس به المصحف ولكن انما كره ذلك لمن يحمله وهو غير طاهر اكراما للقران وتعظيما له قال مالك احسن ما سمعت في هذه الاية لا يمسه الا المطهرون انما هي بمنزلة هذه الاية التي في عبس وتولى قول الله تبارك وتعالى كلا انها تذكرة فمن شاء ذكره في صحف مكرمة مرفوعة مطهرة بايدي سفرة كرام بررة


Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Hazm that in a letter that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, sent to Amr ibn Hazm it said that no-one should touch the Qur'an unless he was pure.

Malik said, "No-one should carry the Qur'an by its strap, or on a cushion, unless he is pure. If it were permissible to do so, it would also have been permissible to carry it in its cover. This is not because there is something on the hands of the one who carries it by which the Qur'an will be soiled, but because it is disapproved of for someone to carry the Qur'an without being pure out of respect for the Qur'an, and in order to honour it."

Malik said, "The best thing that I have heard about this is the ayat 'None touch it except the purified.' (Sura 56 ayat 79) It ranks with the ayat in Surat Abasa (Sura 80), where Allah, the Blessed and Exalted, says, 'No, it is a reminder, and whoever wishes will remember it. Upon honoured pages, exalted and purified, by the hands of scribes, noble and obedient.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৫. কুরআন প্রসঙ্গ (كتاب القرآن) 15/ The Qur'an